IEEE কুয়েটে লেখালেখির প্রতিযোগিতা Authorsgate 2.0

IEEE KUET Student Branch-এ অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ আর্টিকেল প্রতিযোগিতা Authorsgate 2.0। অথর্সগেইট: লেখকদের জন্য লেখার প্রবেশদ্বার তৈরি করে, নতুন উদ্ভাবনীর সূচনা করে। এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের টেকনিক্যাল লেখায় আগ্রহী করা, টেকনিক্যাল ইনোভেশনে উৎসাহিত করা, যথাযথ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।

নবীন শিক্ষার্থীরা অনেকেই দ্বিধায় ভোগে কীভাবে লেখালেখি করবে, কোন বিষয়ের উপর লিখব, নিজের আগ্রহের জায়গাটা কীভাবে কাজে লাগাব। দেখা যায় লেখার জন্য পর্যাপ্ত সাহসও পায় না তারা। এই বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের প্রথম সপ্তাহে প্রথমবারের মতো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অথর্সগেইট এর আয়োজন করে IEEE KUET Student Branch এর কার্যনির্বাহী পরিষদ। আর যেমন চিন্তা তার চেয়েও বেশি সাড়া তৈরি করেছিল এ আয়োজন।  প্রাথমিকভাবে চমকপ্রদ ফলাফলে এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে এ বছর প্রতিযোগিতাটি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়ার প্রয়াস করা হয়।

প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় ০৫ নভেম্বর, ২০২০ এবং শেষ হয় ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০। দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জন্য এ প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত ছিল। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্যে রয়েছে ২৫ হাজার টাকার সমমূল্যের পুরস্কার। এর মধ্যে আছে ১৫ হাজার টাকার প্রাইজ মানি এবং  ১০ হাজার টাকার সমমূল্যের বহুব্রীহি অনলাইন কোর্স।

প্রতিযোগিতাটি সফল করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রত্যেক ক্যাম্পাস প্রতিনিধির রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়াই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। এছাড়া ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে সেরা ২ জন প্রতিনিধিকে সম্মানিত করা হচ্ছে।

শুধু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানোটাই উদ্দেশ্য নয়, যথাযথ একটা আর্টিকেল লেখার নিয়মাবলি এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত বেশ কিছু আর্টিকেলের উদাহরণের সাইট ও IEEE Student Branch KEUT এর ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রয়োজনীয়  দিক নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করেন সম্মানিত প্রধান অতিথি ড. একলাস হোসেইন, সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেকট্রিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এন্ড রিনিউএবল এনার্জি, অরেগন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, অরেগন।

Image: IEEE KUET

প্রতিযোগিতায় সম্মানিত বিচারক হিসেবে আছেন ড. সজল কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মেকাট্রনিক্স ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অমিত কুমার পদ্দার, সহকারী অধ্যাপক, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণরূপে সফল করার জন্যে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে Roar বাংলা, অনলাইন লার্নিং পার্টনার হিসেবে আছে বহুব্রীহি অনলাইন কোর্সেস, স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে আছে BARRC (বাংলাদেশ এডভান্সড রোবটিক্স এন্ড রিসার্চ সেন্টার)। 

প্রতিযোগিদের রেজিষ্ট্রেশন ফি’র একটা অংশ দান করা হবে একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য।  প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রতিযোগির আর্টিকেল লেখার দক্ষতা বাড়বে অন্যদিকে একজন অসহায় মানুষকে সাহায্য করাও হবে।

অথর্সগেইট ২.০ এর তাৎপর্য কেমন তা ড. একলাস হোসেইনের মন্তব্য থেকে বুঝা যায়। তার মতে তার দুর্ভাগ্য যে তাদের সময় অথর্সগেইটের মতো প্ল্যাটফর্ম ছিল না।

সকল শিক্ষার্থী নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাক, নির্দ্বিধায় নিজেদের উদ্ভাবনীর উপস্থাপন করুক, ভবিষ্যতে গবেষণাক্ষেত্রে নিজেদের সাফল্যমণ্ডিত করুক, এটাই অথর্সগেইট ২.০ এর কামনা।

লিখেছেন: তাসমী আক্তার

Related Articles

Exit mobile version