এবারের অ্যাশেজে ফলাফলের মতো দুই দলের ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্সও প্রায় সমান। তবে ব্যাটে-বলের পরিসংখ্যানে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা এগিয়ে আছে। যেমন- অস্ট্রেলিয়ার উইকেট প্রতি ব্যাটিং গড় যেখানে ৩১.৮৫, সেখানে ইংল্যান্ডের ২৭.৫১। অস্ট্রেলিয়া উইকেট শিকার করেছে ৯৪টি, ইংল্যান্ড করেছে ৮৭টি। রান এবং উইকেটের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে দুই দলই রান সংকটে ভুগেছে। পাঁচ টেস্টের ২০টি উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে গড়ে রান এসেছে মাত্র ১২.৫৫। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারদের গড় ৮.৫ এবং ইংল্যান্ডের ১৬.৬। উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে মাত্র একবার অর্ধশত রান এসেছে। শেষ টেস্টে ইংলিশ ওপেনাররা একমাত্র অর্ধশত রানের জুটি গড়েছিলেন। সেটিও হতো না, যদি হ্যারিস মাত্র চার রানের মাথায় ডেনলির সহজ ক্যাচ হাত ছাড়া না করতেন।
সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার তিন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, মার্কাস হ্যারিস এবং ক্যামেরুন ব্যানক্রফট কেউই রানের দেখা পাননি। তাই ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার রোরি বার্ন্স এবং জো ডেনলিই সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন। তিন, চার এবং পাঁচে যথাক্রমে মার্নাস ল্যাবুশেইন, স্টিভ স্মিথ এবং বেন স্টোকস দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে জায়গা করে নিয়েছেন। বোলারদের মধ্যে প্যাট কামিন্স, জোফরা আর্চার এবং স্টুয়ার্ট ব্রডরা সিরিজ জুড়ে অসাধারণ বোলিং করে অ্যাশেজের ৭১তম আসরের রোর বাংলার যৌথ সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন।
রোর বাংলার দৃষ্টিতে অ্যাশেজের সেরা একাদশ
১. রোরি বার্ন্স (ইংল্যান্ড)
রোরি বার্ন্সের ব্যাটিং স্টাইল গড়পড়তা স্টাইলের চেয়ে ভিন্ন। তিনি নিজস্ব ব্যাটিং স্টাইলে ব্যাট করে থাকেন। গড়পড়তা স্টাইলে ব্যাট না করেও তিনি সিরিজের সেরা ওপেনার। দুই দলের ওপেনাররাই রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধুমাত্র রোরি বার্ন্স। পাঁচ ম্যাচে তিনি একটি শতক এবং দুটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৩৯.০০ ব্যাটিং গড়ে ৩৯০ রান সংগ্রহ করেছেন। যা সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তিনি সিরিজ শুরু করেছিলেন বার্মিংহামে ১৩৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে। এটিই ছিল টেস্ট ক্রিকেটে তার প্রথম শতক। এই শতক ছাড়াও লর্ডসে ৫৩ রান এবং ম্যানচেস্টারে ৮১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
২. জো ডেনলি (ইংল্যান্ড)
জো ডেনলি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলেছিলেন। পরে জেসন রয়ের ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর চতুর্থ টেস্টে রোরি বার্ন্সের সাথে ইনিংস গোড়াপত্তন করেন তিনি। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ম্যানচেস্টার টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রান এবং দ্য ওভালে শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও ৯৪ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন তিনি। এর আগে লিডসে ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক জয়েও অবদান রাখেন তিনি। ৩৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড ১৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক জো রুটের সাথে ১২৬ রানের জুটি গড়েন। জুটিতে তার অবদান ছিল ৫০ রানের। শেষ তিন টেস্টে অর্ধশতক হাঁকানো ডেনলি সিরিজে ৩১.২০ ব্যাটিং গড়ে ৩১২ রান করেছিলেন।
৩. মার্নাস ল্যাবুশেইন (অস্ট্রেলিয়া)
লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অভিষিক্ত জোফরা আর্চারের একের পর এক বডিলাইন বাউন্সার সামলাতে ব্যর্থ হয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত পান স্টিভ স্মিথ। এরপর শেষপর্যন্ত প্রথম ইনিংসে পুরো ব্যাট করতে পারলেও পরবর্তী ইনিংসে ব্যাট করার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন। নতুন নিয়মের কারণে তার বদলে একাদশে খেলার সুযোগ পান ল্যাবুশেইন। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের শেষদিনে ১০০ বলে ৫৯ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলে দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচান। লিডসে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে স্টিভ স্মিথের বদলি হিসাবে চার নাম্বারে ব্যাট করেন তিনি। বোলিং বান্ধব উইকেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৭৪ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে রান আউট হওয়ার আগে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সিরিজে মোট সাত ইনিংস ব্যাট করে চারটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫০.৪২ ব্যাটিং গড়ে ৩৫৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
৪. স্টিভ স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)
স্টিভ স্মিথকে নিয়ে আর কী বলার আছে! ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি এক ম্যাচ। লর্ডসে যে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছেন তার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসেও নিজের শতভাগ দিতে পারেননি। এতকিছুর পরেও সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক থেকে ৩৩৩ রান বেশি করেছেন তিনি। প্রায় ১৬ মাস পর টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে ১৪৪ এবং ১৪২ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় টেস্টে ইনজুরিতে পড়ার কারণে তৃতীয় টেস্টও খেলতে পারেননি তিনি। ইনজুরি কাটিয়ে চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমে ২১১ এবং ৮২ রানের দুটি ইনিংস খেলে অ্যাশেজ নিজেদের কাছে রাখা নিশ্চিত করেন স্মিথ। স্টিভেন স্মিথ সাত ইনিংসে ব্যাট করে তিনটি শতক এবং তিনটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ১১০.৫৭ ব্যাটিং গড়ে ৭৭৪ রান সংগ্রহ করেছেন। তিনি যেসব ম্যাচে খেলেছেন, ঐ ম্যাচে দলের ৩৫.৫ শতাংশ রান একাই করেছেন।
৫. বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)
১৯৮১ সালের অ্যাশেজ সিরিজকে বলা হয় বোথামের অ্যাশেজ। ২০০৫ সালের অ্যাশেজকে ফ্লিনটফের অ্যাশেজ। ২০১৯ সালের অ্যাশেজকে বেন স্টোকসের অ্যাশেজ বলার খুব নিকটে রয়েছে। স্টিভ স্মিথ না থাকলে বিনাবাক্যে বেন স্টোকসের অ্যাশেজ বলা হতো। তিনি তৃতীয় টেস্টে একাই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডের সামনে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রানের। প্রায় দুই ঘণ্টা টানা বোলিং করা স্টোকস ব্যাট হাতেও দলের ত্রাণকর্তায় পরিণত হয়েছিলেন। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল তিন উইকেটে ১৪১ রান। সেখান থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে জ্যাক লিচ যখন ব্যাট করতে আসেন, তখনও জয়ের জন্য ৭৩ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। স্টোকস শেষ ব্যাটসম্যান লিচকে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন। ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তার একার সংগ্রহ ৭৪ রান।
এই টেস্ট ছাড়াও লর্ডসে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি ইনিংসটি না খেললে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকমও হতে পারতো। এছাড়া দ্য ওভালে শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। সিরিজে তিনি দুটি শতক এবং দুটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫৫.১২ ব্যাটিং গড়ে ৪৪১ রান করেছিলেন। যা ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। রানের পাশাপাশি উইকেটও শিকার করেছেন। সাত ইনিংসে বল করে তিনি আট উইকেট শিকার করেছেন।
৬. ম্যাথু ওয়েড (অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়া দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে রানের দেখা পাচ্ছিলেন ম্যাথু ওয়েড। তবে টেস্ট দলে টিম পেইন এবং ওয়ানডেতে অ্যালেক্স ক্যারির কারণে মূল একাদশে জায়গা পাচ্ছিলেন না। শেষপর্যন্ত এই সিরিজে তাকে স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলানো হয়। স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই ১১০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপরের তিন ম্যাচে রানের মুখ না দেখলেও শেষ টেস্টে ১১৭ রানের ইনিংস খেলার দরুন অ্যাশেজের সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি দুটি শতকের সাহায্যে ৩৩.৭০ ব্যাটিং গড়ে ৩৩৭ রান সংগ্রহ করে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসাবে সিরিজ শেষ করেছেন।
৭. টিম পেইন (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক) (অস্ট্রেলিয়া)
টিম পেইনের ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো সময় যায়নি। তবে তার প্রতিপক্ষ দুজন তেমন আহামরি রান করতে না পারার কারণে দলের অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক হিসাবে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট এবং উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোও ব্যাট হাতে খুব বেশি রান করতে পারেননি। এদিকে টিম পেইনের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া প্রায় দুই দশক পর ইংল্যান্ড থেকে অ্যাশেজ ঘরে নিয়ে ফিরছে। টিম পেইন ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও উইকেটরক্ষক হিসাবে ২০টি ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন। সিরিজে সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ ৮৫.৭ শতাংশ বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলেছেন। সিরিজে সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণের হার তার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নামটি দেখলে অনেকের চোখই কপালে উঠবে। টিম পেইন। তিনি ২০.০০ ব্যাটিং গড়ে ১৮০ রান করলেও ৮৫.২ শতাংশ বল দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেছিলেন।
৮. প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)
বর্তমানে বিশ্বের সেরা টেস্ট বোলার প্যাট কামিন্স। রেটিং পয়েন্ট বিবেচনায় তিনি অস্ট্রেলিয়া সেরা বোলার গ্লেন ম্যাকগ্রার পাশে অবস্থান করছেন। এই সিরিজেও তার ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। তিনি তার অধিনায়ক টিম পেইনের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার প্রধান হাতিয়ার। ডানহাতি এই পেসার বডিলাইন বাউন্সার করতে পারেন। নিয়মিত এক জায়গায় বল করে ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করতে পারেন। তাছাড়া ভালো জায়গায় বল করে দুদিকেই সুইং আদায় করে নিতে পারেন। এই সিরিজে দুই দলের পেসাররাই সফলতা পেয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছেন প্যাট কামিন্স। তিনি পাঁচ ম্যাচে মাত্র ১৯.৬২ বোলিং গড়ে এবং ২.৬৯ ইকোনমি রেটে ২৯ উইকেট শিকার করেছিলেন।
৯. জোফরা আর্চার (ইংল্যান্ড)
গত একবছরে সবচেয়ে আলোচিত পেসারের নাম জোফরা আর্চার। বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তে দলে জায়গা করে নিয়ে দলের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এরপর অ্যাশেজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। নিজের প্রথম টেস্ট সিরিজেই সাদা পোশাকে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন তিনি। সিরিজের প্রথম টেস্টে একাদশে ছিলেন না। পরবর্তী চার টেস্ট খেলে দুবার ইনিংসে ছয় উইকেটসহ মোট ২২ উইকেট শিকার করেছিলেন। মাত্র ২০.২৭ বোলিং গড়ে এবং ৪২.৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি ২২ উইকেট শিকার করেন। স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে তিনি প্যাট কামিন্স, স্টুয়ার্ট ব্রড এবং জশ হ্যাজেলউডের চেয়ে এগিয়ে আছেন।
১০. স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড)
সিরিজের প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই ইংল্যান্ড তাদের মূল অস্ত্র জেমস অ্যান্ডারসনকে হারায়। অ্যান্ডারসনের ইনজুরির কারণে দলকে শুরুতে উইকেট এনে দেওয়ার দায়িত্ব পড়ে স্টুয়ার্ট ব্রডের কাছে। দায়িত্বটা বেশ ভালোভাবেই পালন করেন তিনি। অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে সিরিজে দাঁড়াতেই দেননি তিনি। ওয়ার্নার সিরিজে সাতবার তার বলে সাজঘরে ফিরেছিলেন। এছাড়া আরেক ওপেনার হ্যারিসকেও তিনবার আউট করেছিলেন। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে তিনি দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সিরিজ জুড়ে। সিরিজে তার ২৩ উইকেটের মধ্যে ১৬টি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের। স্টুয়ার্ট ব্রড পাঁচ ম্যাচে ২৬.৬৫ বোলিং গড়ে ২৩ উইকেট শিকার করে সিরিজে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার।
১১. নাথান লায়ন (অস্ট্রেলিয়া)
এবারের অ্যাশেজে পেসারদের সাফল্য ছিল উল্লেখযোগ্য। কামিন্স, ব্রড, আর্চার ছাড়াও হ্যাজেলউডও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। তিনি চার ম্যাচ খেলে ২১.৮৫ বোলিং গড়ে ২০ উইকেট শিকার করেছেন। তবে তার জায়গায় জায়গা করে নিয়েছেন স্পিনার নাথান লায়ন। এই অফস্পিনার সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের কারিগর ছিলেন। ম্যাচের শেষদিনে মাত্র ৪৯ রান খরচায় ছয় উইকেট তুলে নিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়াকে বড় জয় এনে দিয়েছিলেন। সিরিজে সবচেয়ে বেশি ২৪২.৩ ওভার বল করে ৩৩.৪০ বোলিং গড়ে ২০ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।
ক্রিকেট সম্পর্কে আরও জানতে পড়ে নিন এই বইগুলো
১) শচীন রূপকথা
২) নায়ক
৩) সাকিব আল হাসান – আপন চোখে ভিন্ন চোখে