নেই রোহিত শর্মার মতো বড় ইনিংস খেলতে সিদ্ধহস্ত কোনো ওপেনার। নেই ভিরাট কোহলির মতো কোনো রানমেশিন। নেই লোয়ার মিডল অর্ডারে জস বাটলার, আন্দ্রে রাসেলদের মতো কোনো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। তারপরও বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনকে প্রতিপক্ষের কাছে বেশ সমীহ জাগানো।
কারণ এই ব্যাটিং লাইনে আছে অভিজ্ঞতার প্রাচুর্য। চারজন ব্যাটসম্যান আছেন, যারা একা না হলেও সম্মিলিতভাবে ম্যাচের গতিচিত্র বদলে দিতে পারেন। এবং ক্যারিয়ারজুড়ে এই কাজটাই নিয়মিতভাবে করে আসছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। তাদের সঙ্গে সৌম্য সরকার, লিটন দাসদের মতো তরুণরাও হাত বাড়ান। অন্য দলগুলোর মতো বিভিন্ন দিক থেকে ‘স্পেশালাইজড’ বা বিশ্ব কাঁপানো কেউ না থাকলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনের একটা আলাদা সৌন্দর্য্য আছে, গভীরতার দিক থেকেও বেশ সমৃদ্ধ।
বহু ম্যাচে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার নজির গড়া, ব্যাটিং ব্যর্থতার লম্বা তালিকা রয়েছে বাংলাদেশের। বড় স্কোরের চাপ যারা নিতে পারতো না, বড় স্কোরই একটা ভীতির সঞ্চার করতো ড্রেসিংরুমে, নিজেদের সামর্থ্য নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল হয়তো নিজেদের মাঝে। সেই দলটাই এখন ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের এক জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তারা ভয়কে জয় করেছে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এ যাবৎকালে (১৯ জুন পর্যন্ত) চারবার তিনশ’র বেশি রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ দল। মজার বিষয়, নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ পরে ব্যাট করেই। মোট ১২৪ (১৯ জুন পর্যন্ত) ওয়ানডে জয়ের মধ্যে ৬৭ বারই এভাবে জিতেছে টাইগাররা। এই ফরম্যাটে রান তাড়া করে পাওয়া বাংলাদেশের সেরা পাঁচটি জয়ের গল্প পড়ুন এখানে।
টন্টন, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১৯
রান তাড়ায় বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে টাটকা, মধুর স্মৃতি টন্টনের এই ম্যাচ। বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে টাইগাররা চার ম্যাচ পর পড়েছিল চাপে। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের সামনে। একই সমীকরণের মুখে ছিল উইন্ডিজরা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম চেনা প্রতিপক্ষ ক্যারিবিয়ানদের রাজ্যের হতাশা উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ।
টন্টনে সাকিব আল হাসানের অনন্য সেঞ্চুরি, লিটন দাসের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এমন চাপের ম্যাচেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের বড় স্কোর গড়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। সাকিব-লিটনের ব্যাটে ওই রানটাই কি না বাংলাদেশ টপকে যায় ৫১ বল হাতে রেখে! ৪১.৩ ওভারেই ৩ উইকেটে ৩২২ রান করে ম্যাচ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। বড় টার্গেট তাড়া করে এর চেয়ে অনায়াস জয় এর আগে পায়নি টাইগাররা। এখন পর্যন্ত এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টার্গেট তাড়া করে পাওয়া জয়।
এভিন লুইস ৭০, একপ্রান্ত আগলে থাকা শাই হোপ ৯৬, নিকোলাস পুরান ২৫ রান করেন। তবে উইন্ডিজদের স্কোরটা তিনশ’ ছাড়ানোর পেছনে বড় অবদান হেটমায়ারের ২৬ বলে ৫০, হোল্ডারের ১৫ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসের। পরিস্থিতি বলছিল, ক্যারিবিয়রা সাড়ে তিনশ’র বেশি রান করবে। কিন্তু একই ওভারে হেটমায়ার, আন্দ্রে রাসেল মুস্তাফিজের জোড়া শিকার হলে সেই লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়ে তারা। বোলিংয়ে মুস্তাফিজের ওই ওভারই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। মুস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনরা তিন উইকেট করে পেলেও এমন রানের ম্যাচে ৮ ওভারে ৪.৬২ ইকোনমিতে ৩৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকা মাশরাফির বোলিংয়ের কথাও বিস্মৃত হওয়ার নয়।
রানপ্রসবা উইকেটে রান তাড়া করতে গিয়ে বেশ স্বচ্ছন্দ্য ছিল বাংলাদেশ। তামিম-সৌম্যর শুরুটা সুর ধরিয়ে দিয়েছিল। ৫২ রানে সৌম্য (২৯), ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে তামিম (৪৮) দুর্ভাগ্যজনক রানআউট হন। পরের ওভারে মুশফিকও (১) বিদায় নিলে বেশ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই চাপকে আর ঘনীভূত হতে দেননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিব ও বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন। তাদের দাপুটে, আধিপত্যবাদী ব্যাটিংয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। সাকিব স্পর্শ করেন ওয়ানডেতে ৬ হাজার রানের মাইলফলক। তরুণ লিটনকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। ১৮৯ রানের জুটি গড়েন তারা। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করা সাকিব ৯৯ বলে ১৬ চারে অপরাজিত ১২৪ রান করেন, ৬৯ বলে ৯৪ রান (৮ চার, ৪ ছয়) করে অপরাজিত ছিলেন লিটন। ম্যাচ সেরা হন সাকিব।
নেলসন, প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড ২০১৫
ক্রিকেটের মানচিত্রে বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ডের ব্যবধান যোজন যোজন। তারপরও ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বেশ ভালো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল স্কটিশরা। নিউজিল্যান্ডের নেলসনের স্যাক্সটন ওভাল মাঠ আকৃতিতে অনেক বড় ছিল না, উইকেটও ছিল ব্যাটিংসহায়ক। টসে হেরে আগে ব্যাট করা স্কটল্যান্ড ৮ উইকেটে ৩১৮ রানের বড় স্কোর গড়ে। তিনশ’র বেশি রান তাড়ায় অনভ্যস্ত বাংলাদেশের জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল এই ম্যাচ, বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যখন আইসিসি সহযোগী একটি দেশ।
চার সিনিয়র ব্যাটসম্যানের হাফ সেঞ্চুরিতে ১১ বলে আগেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ। ৪৮.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩২২ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
ওপেনার কাইল কোয়েৎজারের সেঞ্চুরিটাই ছিল স্কটল্যান্ডের স্কোরের মূল রসদ। তিনি ১৫৬ রান করেছিলেন, মাচান ৩৫, মমসেন ৩৯ রান করেন। বাংলাদেশের তাসকিন তিনটি, নাসির দু’টি উইকেট নেন। রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সৌম্যকে (২) হারালেও বাংলাদেশ কক্ষচ্যুত হয়নি। তামিম-মাহমুদউল্লাহর ১৩৯ রানের জুটিই জয়ের ভিত গড়ে দেয়। পরে সেই আবহেই ম্যাচ শেষ করে আসেন সাকিব-সাব্বির রহমানরা। ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন তামিম। ওইদিন সেঞ্চুরি করলে তিনিই হয়ে যেতেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান, পরে যেই কৃতিত্ব নিজের করে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তামিম ৯৫, মাহমুদউল্লাহ ৬২, মুশফিক ৬০, সাকিব অপরাজিত ৫২, সাব্বির অপরাজিত ৪২ রান করেন। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলেও স্কটল্যান্ডের কোয়েৎজার ম্যাচসেরা হন।
বুলাওয়ে, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে ২০০৯
ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার তিনশ’ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই করেছিল বাংলাদেশ। ১০ বছর আগের ওই সময়ে অবশ্য জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধানটা বেশ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তারপরও বাংলাদেশ মাঝে মাঝে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিল জিম্বাবুইয়ানরা।
বেশ ঘটনাবহুল ম্যাচ হয়েছিল বুলাওয়েতে। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে (১৬ আগস্ট, ২০০৯) আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩১২ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল স্বাগতিকরা, যেখানে বড় অবদান চার্লস কভেন্ট্রি’র। ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে কভেন্ট্রি ১৫৬ বলে অপরাজিত ১৯৪ রান (১৬ চার, ৭ ছয়) করেছিলেন। হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার সাঈদ আনোয়ারের কীর্তিকে। তখনও অব্দি ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৯৪ রানের রেকর্ডটা সাঈদ আনোয়ারের দখলেই ছিল। কাছাকাছি গিয়েও সেদিন কভেন্ট্রি টপকাতে পারেননি তাকে।
কভেন্ট্রি’র এই বিশাল ইনিংসটাকে চাপা দিয়েছিল বাংলাদেশ তামিম ইকবালের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে। ১৩৮ বলে এই বাঁহাতির ১৫৪ রানের (৭ চার, ৬ ছয়) দুরন্ত ইনিংসেই বিফলে যায় কভেন্ট্রির চেষ্টা। মজার বিষয়, দশ বছর পর, তথা এখনও (১৮ জুন, ২০১৯) তামিমের ওই ইনিংসই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। ঐ ইনিংসের সাথে জুনায়েদের ৩৮, রকিবুলের ৩৫, সাকিবের ১৮, মুশফিকের ১৫, মাহমুদউল্লাহ’র অপরাজিত ২২ রানে হাতে ১৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ৩১৩ রান তুলে অসাধারণ এক জয় পায় বাংলাদেশ। রানের পাহাড় ভাঙার চেষ্টায় প্রথমবার সফলতা পায় টাইগাররা।
প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড, ফতুল্লা ২০১৩
২০১০ সালে প্রথমবার নিউ জিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। তিন বছর পর (৩ নভেম্বর, ২০১৩) আবারও আপন ডেরায় কিউইদের পেয়েছিল টাইগাররা। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে প্রথম দুই ওয়ানডেতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচটি ছিল হোয়াইটওয়াশের মাধ্যমে সিরিজে পূর্ণতা আনার উপলক্ষ। ওই ম্যাচেই নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার তিনশ’র বেশি রান তাড়া করার গৌরব অর্জন করেছিল বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করে করে রস টেইলরের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩০৭ রান তুলেছিল ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’রা। রস টেইলর অপরাজিত ১০৭, কলিন মুনরো ৮৫, ডেভিস ৪৬, ল্যাথাম ৪৩ রান করেছিলেন। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানদের ছাড়াই ৩০৮ রানের টার্গেটটা ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রয়াসে পাড়ি দিয়েছিল বাংলাদেশ, পুরোই টিম এফোর্ট যাকে বলে। ৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ৩০৯ রান তুলে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করেছিল মুশফিক-বাহিনী।
শামসুর রহমান-জিয়াউর রহমান ওপেনিংয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েন। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হকের সঙ্গেও শামসুরের জুটি ৬৫ রান যোগ করেছিল। অধিনায়ক মুশফিক (২) দ্রুত ফিরলে ১২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শামসুর-নাঈম ইসলাম ৪র্থ উইকেট জুটিতে ৭৫ রানের জুটি গড়েন। নার্ভাস নাইনটিজের খড়্গে পড়েন শামসুর, ৯৬ রান করে আউট হন। তার বিদায়ের পর নাঈমের ৬৩, নাসিরের অপরাজিত ৪৪, মাহমুদউল্লাহর ১৬, সোহাগ গাজীর অপরাজিত ১১ রানে সম্পন্ন হয় অসাধারণ রান তাড়ার মিশন। সেঞ্চুরি না পেলেও ম্যাচসেরা হয়েছিলেন শামসুর।
প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড, ডাবলিন ২০১৯
রান তাড়ায় বাংলাদেশের পঞ্চম সেরার রেকর্ডে অবস্থান করছে এই গত মে মাসে (১৫ মে, ২০১৯) ত্রিদেশীয় সিরিজে ডাবলিনে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচটি, যেখানে আইরিশদের ২৯৩ রানের টার্গেট পাড়ি দিয়েছিল বাংলাদেশ ৪২ বল হাতে রেখে। ডাবলিনের কনকনে ঠান্ডা পরিবেশে এক নিমিষেই যেন এত বড় স্কোর তাড়া করে ফেলেছিল দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশ।
এই সিরিজে আইরিশদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে পন্ড হয়েছিল। দ্বিতীয় সাক্ষাতে টস জিতেই ব্যাটিং নিয়েছিল স্বাগতিকরা। পল স্টারলিংয়ের সেঞ্চুরি, উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৯২ রানের স্কোর গড়েছিল তারা। স্টারলিং ১৩০, পোর্টারফিল্ড ৯৪ রান করেছিলেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেসার আবু জায়েদ রাহী।
২৯৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে অসাধারণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল, লিটন দাস গড়েন ১১৭ রানের জুটি। দু’জনই অবশ্য দলীয় ১৬০ রানের মাঝে ফিরে গেছেন। তামিম ৫৭ এবং লিটন দাস ৭৬ রান করেন। পরের পথটুকু পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশ সাকিবের হাফসেঞ্চুরি, মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ’র ব্যাটে। ৭ ওভার আগেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ২৯৪ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় টাইগাররা। অবসরে যাওয়ার আগে সাকিব ৫০, মুশফিক ৩৫, মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ৩৫ রান করেন। রাহী ম্যাচসেরা হয়েছিলেন।