১.
‘বিশ্বকাপ’ কথাটির মাঝে ‘বিশ্ব’ শব্দটির অন্তর্ভুক্তি এর মর্যাদাকে বহুলাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই মর্যাদাময় প্রতিযোগিতার অন্যতম আকর্ষণীয় একটি বিষয় থাকে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে সেরা টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটিও যেকোনো ফুটবলারের জন্য বেশ কাঙ্ক্ষিতই হবে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপ হয়েছে ২০টি। প্রতি টুর্নামেন্টে ১ম, ২য় আর ৩য় সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই বিচারে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রতিটি পজিশনে সেরা খেলোয়াড় আছেন ২০ জন করে; সর্বমোট ৬০ জন।
এখন যদি প্রশ্ন করা হয় যে, সবকিছু বিবেচনা করে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় কে, তাহলে সেটি নির্বাচন করা কিছুটা কঠিন হয়ে যাবে। ভিন্ন ভিন্ন যুগের খেলোয়াড়দের মাঝে তুলনা টানাই আসলে উচিত নয়। ভিন্ন সময়, ভিন্ন পরিস্থিতি, ভিন্ন প্রতিপক্ষ– এতসব ফ্যাক্টরকে মাথায় রেখে একেবারে নিখুঁত বিচার করা কখনোই সম্ভব নয়। তবুও মানুষ সবসময়েই বিচার করার চেষ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই যেকোনো বিষয়ের স্বীকৃতিটা সেই বিষয়ের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান দ্বারা করা হলে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়। ফুটবলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান ফিফা দ্বারা এখনো এই ধরনের কোনো নির্বাচন হয়নি। তবে এই পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রুপ দ্বারা সেরার নির্বাচন করা হলেও এখানে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তিনটি তালিকার দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
২.
গার্ডিয়ান পত্রিকার নির্বাচিত ২০১০ সাল পর্যন্ত পারফর্মেন্স বিবেচনায় বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা ২৫ জন খেলোয়াড়ের তালিকাটি ক্রমানুসারে দেখা যাক:
· পেলে – ব্রাজিল
· দিয়াগো ম্যারাডোনা – আর্জেন্টিনা
· বেকেনবাওয়ার – পশ্চিম জার্মানি
· রোনালদো – ব্রাজিল
· জিনেদিন জিদান – ফ্রান্স
· ক্রুয়েফ – নেদারল্যান্ড
· লোথার ম্যাথিউস – পশ্চিম জার্মানি
· জার্ড মুলার – পশ্চিম জার্মানি
· গ্যারিঞ্চা – ব্রাজিল
· মিশেল প্লাতিনি – ফ্রান্স
· ইউসেবিও – পর্তুগাল
· পাওলো মালদিনি – ইতালি
· জোয়ারজিনহো – ব্রাজিল
· ববি চার্লটন – ইংল্যান্ড
· জাবি – স্পেন
· রোমারিও – ব্রাজিল
· জা ফন্টেইন – ফ্রান্স
· পাওলো রসি – ইতালি
· দিনো জফ – ইতালি
· ববি মুর – ইংল্যান্ড
· পুসকাস – হাংগেরি
· জিকো – ব্রাজিল
· রোনালদিনহো – ব্রাজিল
· রবার্তো ব্যাজিও – ইতালি
· কাফু – ব্রাজিল
২০১০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিবেচনায় ব্লিচার রিপোর্টের একটি তালিকার দিকেও একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক:
· পেলে – ব্রাজিল
· ম্যারাডোনা – আর্জেন্টিনা
· গ্যারিঞ্চা – ব্রাজিল
· রোনালদো – ব্রাজিল
· জার্ড মুলার – পশ্চিম জার্মানি
· জিনেদিন জিদান – ফ্রান্স
· ফেরেঙ্ক পুসকাস – হাঙ্গেরি
· জা ফন্টেইন – ফ্রান্স
· ইয়োহান ক্রুয়েফ – নেদারল্যান্ড
· ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার – পশ্চিম জার্মানি
· ববি মুর – ইংল্যান্ড
· দিদি – ব্রাজিল
· রোমারিও – ব্রাজিল
· প্লাতিনি – ফ্রান্স
· পাওলো রসি – ইতালি
· গ্রেগর লাতো – পোল্যান্ড
· গুইসেপ্পে মেয়াজ্জা – ইতালি
· ববি চার্লটন – ইংল্যান্ড
· লোথার ম্যাথিউস – পশ্চিম জার্মানি
· পাওলো মালদিনি – ইতালি
· জারজিনহো – ব্রাজিল
· ইউসেবিও – পর্তুগাল
· দিনো জফ – ইতালি
· লুইস মন্টি – আর্জেন্টিনা/ইতালি
· রিভালদো – ব্রাজিল
এরপর ক্রমানুসারে দেখা যাক ইংলিশ পত্রিকা ডেইলি মেইল কর্তৃক নির্বাচিত ২০১০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সেরা ২৫ জনের তালিকাটি:
· ম্যারাডোনা – আর্জেন্টিনা
· পেলে – ব্রাজিল
· রোনালদো – ব্রাজিল
· জিনেদিন জিদান- ফ্রান্স
· বেকেনবাওয়ার – পশ্চিম জার্মানি
· গ্যারিঞ্চা – ব্রাজিল
· লোথার ম্যাথিউস – পশ্চিম জার্মানি
· জার্ড মুলার – পশ্চিম জার্মানি
· ববি মুর – ইংল্যান্ড
· পাওলো রসি – ইতালি
· ইয়োহান ক্রুয়েফ – নেদারল্যান্ড
· রবার্তো ব্যাজিও – ইতালি
· ববি চার্লটন – ইংল্যান্ড
· কাফু – ব্রাজিল
· পাওলো মালদিনি – ইতালি
· জিওফ হার্স্ট – ইংল্যান্ড
· মিরোস্লাভ ক্লোসা- জার্মানি
· মিশেল প্লাতিনি – ফ্রান্স
· জাঁ ফন্টেইন – ফ্রান্স
· রোমারিও – ব্রাজিল
· ইউসেবিও – পর্তুগাল
· জারজিনহো – ব্রাজিল
· দিনো জফ – ইতালি
· ফ্যাবিও ক্যানাভারো – ইতালি
· মারিও ক্যাম্পেস – আর্জেন্টিনা
উপরের তালিকাগুলোতে দেখা যাচ্ছে, একটির সাথে আরেকটার কিছু কিছু নাম কিংবা ক্রমে পার্থক্য আছে। পার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক, কারণ একেকটি প্রতিষ্ঠান একেক দিককে গুরুত্ব দিয়ে তালিকা করে থাকে। তবে ক্রমে পার্থক্য থাকলেও মূল নামগুলোর বেশির ভাগই একই।
এখন এই তিনটি তালিকার মাঝে গার্ডিয়ান পত্রিকার মতামতই একটু বেশি গ্রহণযোগ্য। কারণ, পত্রিকাটি তাদের বাছাই করার পদ্ধতিটা প্রকাশ করেছে। অন্যান্য পত্রিকাগুলোতে নির্বাচনটা সম্ভবত সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নয়। এখানে গার্ডিয়ান পত্রিকার নির্বাচন পদ্ধতিটি নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
৩.
গার্ডিয়ান পত্রিকার সম্পাদক মোট ৩ ধরনের বিচারক নিযুক্ত করেছিলেন- ৬ জন বিশ্বকাপ খেলা তারকা, ২০ জন গার্ডিয়ান পত্রিকার সাংবাদিক এবং ১২ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। বিশ্বকাপের তারকাদের মাঝে জার্মানির লোথার ম্যাথিউস এবং ব্রাজিলের জিকোর মতো কিংবদন্তীরাও ছিলেন।
বিচারকদের কাছে সহজ একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় কে?’
বিচারকদের সুবিধার জন্য গার্ডিয়ান কমিটি প্রাথমিকভাবে ১৫০ জন ফুটবলারের একটা তালিকা দিয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিজন বিচারক ৪০ জন খেলোয়াড় নির্বাচন করবেন। নির্বাচিত প্রথম জন পাবেন ৪০ পয়েন্ট, দ্বিতীয় জন ৩৯ পয়েন্ট, ৩য় জন ৩৮ পয়েন্ট- এভাবে সবার শেষের জন পাবেন ১ পয়েন্ট। প্রত্যেক বিচারক তার নিজের প্রজ্ঞা অনুযায়ী বাছাই করবেন। বিচারকরা চাইলে গার্ডিয়ান পত্রিকার দেওয়া ১৫০ জন খেলোয়াড় থেকে নির্বাচন করতে পারেন, চাইলে এর বাইরে থেকেও কাউকে বাছাই করতে পারেন। সবার পয়েন্টের গড় বের করেই এরপর সেরা খেলোয়াড়ের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
তালিকাটি লক্ষ্য করলে কিছু বিষয় আপনাকে আশ্চর্য করতে পারে। দেখা যাচ্ছে, তালিকার সেরা ১০-এ এক বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জেতা খেলোয়াড় দিয়াগো ফোরলান না থাকলেও, কখনোই সেরার তালিকায় সেরা তিনে না আসা প্লাতিনি চলে এসেছেন। এই বিষয়টি বুঝতে হলে আপনাকে বিশ্বকাপের এক আসরে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনের পদ্ধতিটি জানতে হবে।
সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি যতই ব্যক্তিগত পুরস্কার হোক না কেন, ইতিহাস বলে যে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হতে চাইলে আপনার দলকে অবশ্যই একটা পর্যায় পর্যন্ত যেতে হবে। আগের বিশ্বকাপ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যেসকল খেলোয়াড় সেরা হয়েছেন তাদের দল নূন্যতম সেমিফাইনালের গণ্ডি পার হতে পেরেছিলেন। ইতিহাস থেকে বোঝা যায়, আপনি যতই ভালো খেলেন অন্তত সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে না পারলে সেরা খেলোয়াড়ের প্রথম তিনজনের তালিকাতেও আসতে পারবেন না। অবশ্য ফিফা আয়োজিত গত কয়েকটি টুর্নামেন্টে জয়ী খেলোয়াড়কে নূন্যতম ফাইনাল পর্যন্ত যেতে হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, আপনি যতই ভালো খেলেন না কেন সেরার পুরস্কার জেতার জন্য নূন্যতম ফাইনাল/সেমিফাইনালে পৌছানোর শর্ত পূরণ করতে হবে।
কিন্তু সব মিলিয়ে বিশ্লেষণ যখন করা হয়, তখন খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সটাই মূখ্য হয়ে দাঁড়ায়। কিছু উদাহরণ দিলেই বিষয়টি বোঝা যাবে।
১৯৬৬ বিশ্বকাপের ১ম আর ২য় সেরা খেলোয়াড় ছিলেন ফাইনাল খেলা ববি চার্লটন এবং ববি মুর। আর ৩য় সেরা ছিলেন সেমিতে বাদ পড়া ইউসেবিও। অথচ গার্ডিয়ানের তালিকায় ইউসেবিও ১১ নম্বরে, চার্লটন ১৪ আর মুর ২০ নম্বরে। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ইউসেবিও ব্যক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকলেও দলগতভাবে পিছিয়ে থাকায় সেরা হতে পারেননি।
আরো কিছু উদাহরণ দেখুন। কোনো বিশ্বকাপেই সেমিফাইনাল না খেলা রজার মিলা আছেন ৩৬ নম্বরে, আর গোল্ডেন বল পেয়েও অলিভার কান আছেন ৪২ নম্বরে।
বিষয়টি হচ্ছে, একই সময়ে একের অধিক দুর্দান্ত খেলোয়াড় এসে পড়লে কিংবা অন্য সময়ে শূন্যতা দেখা দিলে এক বিশ্বকাপের ৩য় সেরা খেলোয়াড়ও আরেক বিশ্বকাপের ১ম সেরা খেলোয়াড়ের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারেন।
৪.
তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় পরের দিকে অনেক ওলট-পালট থাকলেও প্রথম দুটো অবস্থানে সেই পেলে আর ম্যারাডোনাই। এখন এই দুজনের মাঝে সেরা খেলোয়াড় কে?
বিশ্বকাপে পেলে আর ম্যারাডোনার অবদানগুলোর দিকে একটু নজর দেওয়া যাক।
পেলে
১৪ ম্যাচে ১২ গোল এবং ১০টি অ্যাসিস্ট, দুটো ফাইনালে গোল করার রেকর্ড, চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড, বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা (১৭ বছর ২৩৯ দিন), বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ হ্যাটট্রিক গোলদাতা (১৭ বছর ২৪৪ দিন), ১৯৫৮ বিশ্বকাপের সিলভার বল এবং সিলভার বুট জয়ী, ১৯৭০ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়, বিশ্বকাপের অল স্টার দলে ১২ বছরের ব্যবধানে দুইটি দলে সুযোগ পাওয়া একমাত্র খেলোয়াড়, তিনটি বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র খেলোয়াড়– এতসব রেকর্ড শোনার পর কেবল মাত্র একটি কথাই আপনার মাথায় আসার কথা; অবিশ্বাস্য।
ম্যারাডোনা
২১ ম্যাচে ৮ গোল এবং ৮ অ্যাসিস্ট। এক বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল ও সিলভার বুট জয়ী, আরেক বিশ্বকাপের ৩য় সেরা খেলোয়াড়, একবার বিশ্বকাপ জয়ী এবং আরেকবার রানার্স আপ।
পরিসংখ্যানের বিচারে ম্যারাডোনা পেলের চাইতে অনেকাংশেই পেছনে। তবে ম্যারাডোনাকে শুধু মাত্র পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার করাটা বোকামি। কারণ, পরিসংখ্যানের বিচারে ম্যারাডোনা বিশ্বকাপে ব্রাজিলের রোনালদোর চেয়েও পেছনে। এই জায়গায় তাই অন্যান্য কিছু ফ্যাক্টরও কাজ করে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ম্যারাডোনাই একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি বিশ্বজয়ী একটি গোটা দল থেকে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে অলস্টার দলে সুযোগ পেয়েছেন। তুলনামূলক দূর্বল দল নিয়ে লড়াই করে সফলতা পাওয়ার জন্য অনেকেই তাই ম্যারাডোনাকে এগিয়ে রাখেন।
তবে সব কিছু মিলিয়ে পেলেকেই এই পর্যন্ত হওয়া বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় বললে হয়তো ভুল হবে না।
৫.
উপরের যে তালিকাগুলো দেওয়া হয়েছে তার প্রতিটিই ২০১০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত পারফর্মেন্স বিবেচনা করে। কিছুদিন আগে ২০১৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিবেচনা করে ফোর ফোর টু পত্রিকা একটা তালিকা প্রকাশ করেছে। সেটার দিকেও একটু দৃষ্টি দেওয়া যাক:
· ম্যারাডোনা
· পেলে
· ক্লোসা
· রোনালদো
· বেকেনবাওয়ার
· কাফু
· গ্যারিঞ্চা
· জাঁ ফন্টেইন
· জিদান
· ক্রুয়েফ
· জার্ড মুলার
· লেভ ইয়াসিন
· পাওলো রসি
· কার্লোস আলবার্তো
· ক্যানাভারো
· পুসকাস
· জাভি
· প্লাতিনি
· লোথার ম্যাথিউস
· ইউসেবিও
· জারজিনহো
· মালদিনি
· রিভালদো
· রজার মিলা
· গ্যারি লিনেকার
প্রতি বিশ্বকাপেই কিছু পারফর্মার আসেন, তবে এতদিনের ইতিহাসে পেলে-ম্যারাডোনার আসনকে ধাক্কা দেবার মতো পারফর্মেন্স এখনো কেউ করতে পারেনি। যেহেতু রেকর্ড হয়ই ভাঙার জন্য, কাজেই একটি সময় অবশ্যই এমন কোনো খেলোয়াড় আসবেন, যিনি কিনা পেলে-ম্যারাডোনার রেকর্ড ভেঙে নিজের নতুন একটা অবস্থান দাঁড় করাবেন। এই বিশ্বকাপেই কি এমন পারফর্মেন্স কেউ করতে পেরেছেন?
সেটির চূড়ান্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা আর মাত্র ক’দিন।
ফিচার ইমেজ: Goal.com