ফুটবলে ফুলব্যাক পজিশনটা খুবই অদ্ভুত, বিখ্যাত সব ফুলব্যাকের শৈশবের গল্প শুনলে দেখা যায় যে, তাদের সিংহভাগই ক্যারিয়ারের একদম প্রারম্ভে এই পজিশনে খেলতেনই না! দ্রুতগতির সেন্টারব্যাক কিংবা ভালো ট্যাকল করতে পারা উইঙ্গাররাই পরবর্তীতে কোচের পরামর্শে এই পজিশন বেছে নেন।
তবে আধুনিক ফুটবলে সাফল্য পাওয়ার জন্য ফুলব্যাকদের ভূমিকা কিন্তু অপরিসীম। শেষ কিছু বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের পরিসংখ্যান ঘাঁটলেও এই ব্যাপারটি স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে জর্জিনহো ও ব্রাঙ্কো, ১৯৯৮ বিশ্বকাপে লিলিয়ান থুরাম ও লিজারাজু, ২০০২ বিশ্বকাপে কাফু ও রবার্তো কার্লোস কিংবা ২০০৬ বিশ্বকাপে জামব্রোত্তা ও গ্রোসো– প্রতিটি চ্যাম্পিয়ন দলের জুটিই সেই বিশ্বকাপের সেরা ফুলব্যাক জুটি ছিল। মাঝে ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্যতিক্রম ঘটলেও ২০১৮ বিশ্বকাপে আবারো সেই একই ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায়, ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন তাদের দুই ফুলব্যাক বেঞ্জামিন পাভার্ড ও লুকাস হার্নান্দেজ।
ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বের মতো ফুটবলও প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সব কৌশলের আবির্ভাব ঘটে। ফুলব্যাক পজিশনটাও তার ব্যতিক্রম নয়, একদম শুরুর দিকে তাদের একমাত্র কাজ ছিল শুধুমাত্র প্রতিপক্ষ উইঙ্গারদের প্রতিহত করা। ফুলব্যাকরাও আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে– এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে ১৯৫৮ বিশ্বকাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই বিশ্বকাপে ব্রাজিল খেলেছিল ৪-৪-২ ফর্মেশনে, যেখানে আক্রমণ সাজানোর জন্য ফুলব্যাকরা প্রচুর স্পেস পেত। আর এই স্পেসটাই কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন ভিসেন্তে ফিওলা। দলের দুই উইংব্যাক জালমা সান্তোস ও নিল্টন সান্তোসকে আক্রমণে ওঠার পূর্ণ স্বাধীনতা দেন তিনি।
সেই আসরে ফুলব্যাক পজিশনটির নতুনভাবে জন্ম হয়। ব্রাজিলকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে তাদের এই ফুলব্যাক জুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরপর থেকে মোটামুটি সবখানে দলের আক্রমণ সাজানোর কৌশলে ফুলব্যাকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বরাদ্দ রাখা হত। তবে কাতেনাচ্চিও কৌশলের অনুসারীরা ফুলব্যাকদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার প্রসঙ্গে কিছুটা ব্যতিক্রমী মত দিলেও ব্রাজিলে কিন্তু ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। আর সেই ধারাবাহিকতায় কার্লোস আলবার্তো টরেস, জর্জিনহো, ব্রাঙ্কোদের পথ অনুসরণ করে একসময়ে সেখান থেকে উঠে আসেন কাফু ও রবার্তো কার্লোস।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ দেশ ব্রাজিল আয়তনেও বিশাল, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশটির মোটামুটি পুরো অংশটাই ফুটবলের উর্বর ভূমি। এই বিশাল একটি দেশের সমসাময়িক দুই ফুলব্যাক যখন একদম কাছাকাছি অঞ্চল থেকে উঠে আসেন, তখন অবাক হওয়াটাই আসলেই স্বাভাবিক। তবে কাফু ও রবার্তো কার্লোসের বেলায় কিন্তু সেটাই হয়েছিল, দুজন একদম পাশাপাশি অঞ্চল থেকে উঠে এসেছিলেন।
এই জুটি স্মরণীয় হয়ে আছে একটি মুভমেন্টের জন্য, আর সেটি হচ্ছে ওভারল্যাপ। উইঙ্গার অথবা মিডফিল্ডাররা যখন বলের দখল কিছুক্ষণ নিজেদের কাছে রেখে দেয়, তখন ফুলব্যাকরা তাদের আসল জায়গা ছেড়ে কিছুটা ওপরে উঠে যায়। এরপর সেই উইঙ্গারের কাছ থেকে বল নিয়ে স্পেস কাজে লাগিয়ে ডি-বক্সে থাকা খেলোয়াড়ের কাছে ক্রস করার চেষ্টা করা- এটিই মূলত ওভারল্যাপ হিসেবে পরিচিত। এই কাজ করার ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হচ্ছে ফুলব্যাকদের অবশ্যই বেশ গতিশীল হতে হবে, কাফু আর কার্লোস – উভয়েরই সেই গুণটি ছিল।
আক্রমণে সাহায্য করতে গিয়ে যাতে নিজেদের রক্ষণভাগ খালি না হয়ে যায়, সেজন্য অসীম প্রাণশক্তি নিয়ে ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিট জুড়ে এই দুজন তাদের নিজেদের প্রান্ত দিয়ে বারংবার ওঠানামা করে যেত। মজার ব্যাপার হচ্ছে, কাফু নিজে কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুটা করেছিলেন রাইট উইঙ্গার হিসেবে। সুন্দর ফুটবলের পূজারী হিসেবে পরিচিত কোচ টেলে সান্তানার পরামর্শে তিনি সেই পজিশন পাল্টে রাইটব্যাক হিসেবে খেলা শুরু করেন।
আজকাল বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিওতে যেসব স্কিলের ছড়াছড়ি দেখা যায়, কাফুর হয়তো সেসব ছিল না। কিন্তু নিজের কাজে অবিচল থেকে ধারাবাহিকতা রক্ষা করার ব্যাপারে তার মতো দক্ষ খুব কম ফুটবলারই ছিলেন। টানা তিন বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র খেলোয়াড় কিংবা ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড– সবকিছুই তার অধ্যবসায় ও নিজের কাজের প্রতি একাগ্রতার প্রমাণ দেয়। ক্লাব ফুটবলেও ছিলেন ভীষণ ধারাবাহিক, ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় কাটিয়েছেন রোমা ও এসি মিলানের মতো ইতালিয়ান দুই জায়ান্ট ক্লাবে। দুই ক্লাবের হয়েই জিতেছিলেন লিগ শিরোপা, মিলানের হয়ে জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা।
রবার্তো কার্লোস অবশ্য সেদিক থেকে ব্যতিক্রম ছিলেন, ফুলব্যাক হয়েও অবিশ্বাস্য সব গোল করতে পারার সাথে দুর্দান্ত ফ্রি-কিক নেওয়ার ক্ষমতা– সবমিলিয়ে মিডিয়ার একদম হটকেক ছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফ্রি-কিক থেকে যে অবিশ্বাস্য গোলটি করেন, তা তো ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম আশ্চর্যজনক ঘটনা। তবে এই ডায়নামিক খেলোয়াড়ের শুরুর পথটি কিন্তু মসৃণ ছিল না, শৈশবে অর্থাভাবে টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে হয়েছিল তাকে।
এরপর ফুটবলের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা, পালমেইরাসে নিজের প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে মাত্র ২২ বছর বয়সে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। এই স্প্যানিশ ক্লাবেই পার করেছেন ক্যারিয়ারের পুরো সোনালি সময়, ক্লাব পর্যায়ে যা যা জেতা সম্ভব তার সবই তিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিতেছিলেন।
সময়ের দুই সেরা ফুলব্যাক ক্লাব পর্যায়ে অবশ্য কখনোই একসাথে খেলার সুযোগ পাননি, তবে জাতীয় দলে দীর্ঘদিন জুটি হিসেবে খেলে সেই আফসোস মিটিয়ে দিয়েছেন। তারা একসাথে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন ১৯৯৮ সালে, ৪-৪-২ ফর্মেশনে দুজনই ছিলেন বেশ কার্যকরী ভূমিকায়। দল সেবার ফাইনালও খেলেছিল, কিন্তু রোনালদোর দুর্ভাগ্যজনক ইনজুরি ও জিদানের অনবদ্য পারফরম্যান্সে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
এই জুটির আসল জাদুটা দেখা যায় ২০০২ বিশ্বকাপে, আসর শুরুর আগে ৪-৪-২ ফর্মেশনে খেলার কথাই ভাবছিল ব্রাজিল। কিন্তু দলটির তৎকালীন অধিনায়ক এমারসনের আকস্মিক ইনজুরিতে বেশ বেকায়দায় পড়ে যান সেলেসাও বস স্কলারি। এই একটি ইনজুরির ফলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে গেল– প্রথমত, এমারসন না থাকায় দলীয় অধিনায়কের দায়িত্ব পান কাফু; দ্বিতীয়ত, এমারসনের অভাব পূরণে ৪-৪-২ ফর্মেশনের বদলে ৩-৫-২ ফর্মেশনে খেলার সিদ্ধান্ত নেন স্কলারি।
দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটি কাফু ও কার্লোসের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনে। শুরুতেই বলা হয়েছে, এই দুই ফুলব্যাকই আক্রমণে বেশ পারদর্শী ছিলেন আর ওভারল্যাপিং ছিল তাদের সবচেয়ে বড় গুণ। এই ফর্মেশনে অতিরিক্ত সেন্টারব্যাক হিসেবে এডমিলসন আসায় দুজনই আক্রমণে ওঠার পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়ে যায়। এই ফর্মেশনে তাদের যে ভূমিকা ছিল, তাতে তারা ফুলব্যাকের বদলে মূলত উইংব্যাকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। আসরের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে এই জুটি।
আসর শুরুর আগে ধুঁকতে ধুঁকতে বাছাইপর্ব পার করা ব্রাজিলকে কেউ সেভাবে ফেভারিটের মর্যাদা দিতে চাচ্ছিল না, কিন্তু আসরের শুরু থেকে দলটি এক অন্য রূপে হাজির হয়। আর সেখানে এই দুজনের পারফর্ম্যান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। দলের প্রতিটি আক্রমণেই ছিল এই দুজনের সক্রিয় অংশগ্রহণ। চীনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের কথাই উল্লেখ করা যাক। সেই ম্যাচে ফ্রি-কিক থেকে দারুণ একটি গোল করেন কার্লোস, আর কাফুর ঝুলিতে ছিল একটি অ্যাসিস্ট।
তবে টুর্নামেন্টের দিন যত এগোতে থাকে, কাফু-কার্লোসের দায়িত্বভার আরেকটু বাড়তে থাকে। বিশেষ করে যখন নক-আউট পর্ব শুরু হয়, তখন ব্রাজিল লিড পাওয়ার পরপরই সেই লিড ধরে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকতো। তখন ৩-৫-২ ফর্মেশন থেকে ৫-৩-২ ফর্মেশনে চলে আসতো ব্রাজিল, আর এই জুটির মূল কাজ থাকতো রক্ষণভাগে সাহায্য করা। এই কাজটিও বেশ ভালোভাবেই করেছিলেন তারা। এ কারণে নক-আউট পর্বের তিন ম্যাচেই লিড নেওয়ার পর সেটি ধরে রাখতে সক্ষম হয় ব্রাজিল, এবং সেই তিন ম্যাচে মাত্র এক গোল হজম করে ব্রাজিল চলে যায় ফাইনালে।
জার্মানির বিপক্ষে সেই ফাইনালে শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলতে থাকে ব্রাজিল, আর সেখানে কাফু ও কার্লোস কিছুটা ওপরে উঠে খেলতে থাকেন। বিশেষ করে প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে রবার্তো কার্লোসের অসাধারণ পাস থেকে দারুণ এক গোলের সুযোগ পান রোনালদো। কিন্তু রোনালদোর শট ঠেকিয়ে দেন অলিভার কান। দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেন কার্লোস, তবে এবার গোল করতে ব্যর্থ হন গিলবার্তো সিলভা।
অবশেষে ৬৭ মিনিটে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এই গোলে কাফু-কার্লোসের তেমন ভূমিকা না থাকলেও ৭৯ মিনিটে রোনালদো যে গোল করেন তাতে কাফুর বেশ বড় পরোক্ষ অবদান ছিল। সেই গোল যে আক্রমণ থেকে হয়েছিল, তার শুরুটা মূলত কাফুর মাধ্যমেই হয়। হাফ স্পেস লাইনে ক্লেবারসনকে পাস দিয়েই তাকে ওভারল্যাপ করে সামনে এগোতে থাকেন কাফু। এদিকে ক্লেবারসনও বল পায়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, কাকে রেখে কাকে মার্ক করবে– এই চিন্তায় জার্মান খেলোয়াড়েরা কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে যায়। ওভারল্যাপ করে পেনাল্টি বক্সের ডান প্রান্তে অবস্থান নেন কাফু। তাকে মার্ক করতে জার্মান সেন্টারব্যাক র্যামলো ছুটে আসেন। এদিকে কাফু আসার কিছুক্ষণ পরেই পেনাল্টি বক্সে চলে আসেন রিভালদো। তাকে দেখতে পেয়ে আরেক জার্মান সেন্টারব্যাক লিঙ্কে ও র্যামলে দুজনেই তাকে মার্ক করতে চলে আসেন।
কাফু আর রিভালদোর এই অফ দ্য বল মুভমেন্টে তাল হারিয়ে গোলের আসল শিকারি রোনালদোকেই মার্ক করতে ভুলে যান জার্মান ডিফেন্ডাররা। ফলে রিভালদোর দিকে ক্লেবারসন বল বাড়িয়ে দিলে রিভালদো সেই পাস রিসিভ না করে ডামি করে পাঠিয়ে দেন আনমার্কড রোনালদোর কাছে। অত সুন্দর পজিশনে গোল দিতে রোনালদোও আর ভুল করেননি, ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। শিরোপা নিশ্চিত করা এই গোলটির অ্যাসিস্ট ক্লেবারসনের নামের পাশে গেলেও দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে কাফু আর রিভালদোও এই গোলে সমান ভূমিকা রেখেছিলেন।
আসরজুড়ে এই ফুলব্যাক জুটিকে একসাথে পারফর্ম করতে দেখার আনন্দটা সত্যি অন্যরকম ছিল। পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে কাফুর বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরার মাধ্যমে সেই আনন্দ শতভাগ পূর্ণতা পায়। এই দুজনের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ভালো কে– সেটি নিয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন মত দিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ সেই তর্কে ব্রাজিলিয়ানরা কখনোই সেভাবে আগ্রহী ছিল না, বরং এই দুজনের গড়া জুটির সাথে অন্য ফুলব্যাক জুটির তুলনা করতেই তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুজন কি সর্বকালের সেরা ফুলব্যাক? হয়তো হ্যাঁ, হয়তো বা না। সর্বকালের সেরা কথাটিতে ভয়াবহ মারপ্যাঁচ আছে, তাই সেই প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর না দেওয়াটাই শ্রেয়। তবে আধুনিক ফুটবলে জাতীয় দলে এই দুজনের গড়া জুটির চেয়ে ভালো ফুলব্যাক জুটি আর আসেনি– এ মন্তব্যে কিন্তু সিংহভাগ মানুষেরই সায় পাওয়া যাবে। যখনই কোনো ফুলব্যাক দ্রুতগতিতে ওভারল্যাপ করে ওপরে উঠে যাচ্ছে, তখনই তাদের তুলনা দেওয়া হচ্ছে কাফু অথবা রবার্তো কার্লোসের সাথে– ফুটবলার হিসেবে এই প্রাপ্তিটুকুই তো অনেক।
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ যাত্রা সম্পর্কে আরও জানতে পড়তে পারেন এই বইটি: