১৯৭০ সালটা ব্রাজিল ফুটবলের জন্য ছিল দারুণ পয়মন্ত। পেলে, জর্জিনহো, রিভেলিনো, কার্লোস আলবার্তোরা তর্কযোগ্যভাবে ফুটবল ইতিহাসের সুন্দরতম খেলা উপহার দিচ্ছিল তখন। ৭ ই জুন, ১৯৭০। মেক্সিকোর গুয়াদালজারাতে ব্রাজিল খেলছিল ইংল্যান্ডের সাথে। এদিকে সাও পাওলো হাসপাতালে কর্তব্যরত এক সেবিকা তখন প্রসূতি বিভাগে কর্মরত। একজন সন্তানসম্ভবা নারী সন্তান জন্মদানের খুব কাছাকাছি অবস্থায়। সেবিকা তাড়াহুড়ো করছেন, “বেরিয়ে আসো বাছা! অন্তত খেলার শেষটা দেখতে দাও আমাকে!” বিশ্বকাপের খেলা বলে কথা! সে ম্যাচ তথা ১৯৭০ এর বিশ্বকাপে প্রত্যাশিতভাবেই জয়ী হয় ব্রাজিল। আর সেদিনই সাও পাওলোর হাসপাতালে জন্ম হয় মার্কোস ইভানজেলিস্তা ডি মোরাইস ওরফে কাফুর, যার হাতেই উঠেছিল ব্রাজিলের সর্বশেষ বিশ্বকাপ ট্রফিটি। কাফুকে ধরা হয়ে থাকে সর্বকালের অন্যতম সেরা রাইটব্যাক হিসেবে। আজ সেই কাফুর জীবনী নিয়েই এই লিখাটি।
ক্যারিয়ারের সূচনালগ্ন
যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেন ফুটবলই বেছে নিলেন? তাঁর খুব সহজ উত্তর ছিল, “আমি যে ’৭০ এ জন্মেছি।” আসলে সেই সময়ে ব্রাজিলের ফুটবল উন্মাদনাটা পৌঁছে যায় অন্য স্তরে। আর পাঁচটা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের মতোই তাঁরও বেড়ে ওঠা দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায়। একটা কথা প্রচলিত আছে যে, ব্রাজিলের রাস্তাগুলোও নাকি ইংল্যান্ডের অনেক নামি ফুটবল একাডেমির চেয়েও ভালো খেলোয়াড় তৈরি করে! সে যাক, কাফুরও ফুটবলে হাতেখড়ি রাস্তার খেলাতেই। আট বছর বয়সে স্থানীয় যুব একাডেমিতে যোগ দেন। আশির দশকের শুরুর দিকে ফ্লুমিনেন্স, ফ্রিগুয়েরেন্স, বাহিয়া, পালমেইরাসের মতো ক্লাবগুলোতে ট্রায়াল দিয়েও ব্যর্থ হন।
শেষপর্যন্ত তাঁকে দলে ভেড়ায় স্থানীয় দল সাও পাওলো। সাও পাওলো যুব একাডেমিতে বেড়ে উঠছিলেন তিনি একজন মাঝমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে। তখনো কাফুর জীবনে কোনো ব্রেক-থ্রু আসেনি। খুব একটা অসাধারণ কোন মাঝমাঠের খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি। কিন্তু কাফুর জীবনে বিখ্যাত কোচ টেলে সান্তানা হয়ে এলেন দারুণ সৌভাগ্য হয়ে। সান্তানা তাঁকে মাঝমাঠ থেকে নিয়ে আসেন রাইটব্যাকে। সান্তানার মনে হয়েছিল কাফুর জন্য এই পজিশনই সর্বোত্তম। এরপর কাফু বা সাও পাওলো, কাউকেই পেছনে তাকাতে হয়নি। ১৯৯২ ও ১৯৯৩ সালে টানা দুবার লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা লিবার্তাদোরেস জিতে নেয় কাফুর সাও পাওলো।
’৯৩ ফাইনালে চার গোলের একটি ছিল নিজের, আর বাকি সবকয়টা তাঁর সরাসরি অবদানের। কাফু নির্বাচিত হন সেরা লাতিন খেলোয়াড় হিসেবে। কাফুর সাও পাওলো ক্লাব বিশ্বকাপও জিতে নেয় টানা দুবার, যার মধ্যে একবার সেই আমলের সেরা ইউরোপিয়ান দল ক্রুয়েফের বার্সাকে হারিয়ে। লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন একজন ডিফেন্ডার! এটি আশ্চর্যের, কারণ লাতিন আমেরিকায় আক্রমণকেই খেলার মূল আলোচ্য হিসেবে ধরা হয়।
১৯৯৪ বিশ্বকাপেই বিশ্বের সামনে নিজেকে তুলে ধরা
শুরু হয়ে যায় ১৯৯৪ বিশ্বকাপ। প্রত্যাশিতভাবেই কাফু ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ দলে ডাক পান, যদিও সেই সময় তিনি দলের প্রথম পছন্দের রাইটব্যাক ছিলেন না। সেই ১৯৭০ সালের পরে ব্রাজিল আর বিশ্বকাপ জেতেনি। ২৪ বছরের অপেক্ষা ঘুচাতে মরিয়া ব্রাজিল উঠে গেল ফাইনালে। সামনে ইতালি, তৎকালীন বিশ্বের সেরা কোচ আরিগো সাচ্চির তূণে তখন বিশ্ব কাঁপানো সব তীর। ফাইনালে মাত্র ২১ মিনিটের সময় রাইটব্যাক জর্জিনহো ইনজুরিতে পড়েন। আচমকা কোচ পাহেইরা বলেন কাফুকে মাঠে নামতে। কাফুর ভাষায়, “যখন নামলাম, মাথাটা একদম ফাঁকা লাগছিল। ওদিকে ব্যাজ্জিও, বারেসিরা আমার বিপক্ষে। নেমে দেখি ২১ মিনিট খেলে ফেলায় বাকিরা আমার চেয়ে অধিক গতিশীল শারীরিকভাবে। আমার পাশটাকেই ইতালি পাখির চোখ করে খেলছিল।” কাফু ভড়কে যাননি। মোট ১০০ মিনিট সামলেছেন ইতালির বিখ্যাত ফরোয়ার্ডদের। ব্রাজিল ২৪ বছর পরে জিতে নেয় শিরোপাটি। সান্তানা ও পারেইরার শিষ্য কাফু, লাতিন ফুটবলের অন্যতম সেরা দুই মহারথী কোচের কাছ থেকে চকিতে আক্রমণের সব কৌশল রপ্ত করে নেন সহজাতভাবেই। এরপর স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সময় হয়ে এসেছিল ইউরোপে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের।
ইউরোপে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ
স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল জারাগোজায় যোগ দেন কাফু। সাও পাওলোতে যে প্রচন্ড গতিশীল, দুর্বার কাফুকে দেখা যেত, জারাগোজায় এসে যেন আচমকা তিনি নিজেকে হারিয়ে বসেন। হতাশাজনক এক মৌসুম শেষে ফিরে যান ব্রাজিলে। এবার গন্তব্য পালমেইরাস, ছোটবেলায় যেই ক্লাব তাঁকে বাতিল করে দিয়েছিল! পালমেইরাসে কাফু আবার নিজেকে ফিরে পেলেন। পালমেইরাসের হয়ে কাফু ব্রাজিলিয়ান কাপ ও প্রাদেশিক পাউলিস্তা কাপ জিতে নেন। পুরোনো সাও পাওলোর কাফু যেন আবার নিজেকে ফিরে পেলেন নতুনভাবে। ইউরোপ থেকে ডাক এলো আবার। এবার ইতালিয়ান জায়ান্ট রোমা থেকে। ততদিনে একটা কথা রটে যায় যে, কাফু হয়তো ইউরোপে খেলার যোগ্য নন, ব্রাজিলিয়ান ধাঁচের বাইরে পারবেন কি? চ্যালেঞ্জটা নিলেন, যোগ দেন এএস রোমায়। এরই মাঝে জাতীয় দলের হয়ে ১৯৯৭ সালের কোপা আমেরিকা ও কনফেডারেশন কাপ জিতে নেন। হয়ে উঠেন জাতীয় দলের নিয়মিত এক নাম।
রোমার তখন খুব একটা ভালো অবস্থা যাচ্ছিল না। সর্বশেষ ১৮ বছরে কোনো লিগ ট্রফি নেই। জিম্যানের অধীনে গুছিয়ে উঠছিল রোমা। কাফুর মাঝে জিম্যান তাঁর পছন্দের সবই খুঁজে পান। জিম্যান কাফুর রক্ষণাত্মক দিকগুলো গড়ে দিতে থাকেন এরই মাঝে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ এসে যায়। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে কাফু ছিলেন দলের প্রথম পছন্দের রাইটব্যাক। শুরু থেকেই ফেভারিট ভাবা ব্রাজিল প্রত্যাশামতোই উঠে যায় ফাইনালে। কাফু ছিল বরাবরের মতোই ধারাবাহিক। টানা বিশ্বকাপ জয়ের পথে কেবল বাধা ফ্রান্স। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে রহস্যজনকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন রোনালদো। ফাইনালের আগবধি ব্রাজিলের সেই বিশ্বকাপটা ছিল রোনালদোময়। রোনালদো কোনোক্রমে সুস্থ হয়ে ফাইনালে খেললেও ছিলেন নিজের ক্ষীণতম ছায়া হয়ে। একদিকে হতোদ্যম ব্রাজিল আরেকদিকে ঘরের মাঠে জিদানে উজ্জীবিত ফ্রান্স। ব্রাজিল হেরে গেল, কাফুর টানা বিশ্বকাপ জেতা আর হয়ে ওঠেনি।
এরপর কাপেলো রোমায় যোগ দেন জিম্যানের জায়গায়। তিনি কাফুর আক্রমণের দিকটাকে বেশি জোর দেন, নিয়ে আসেন রাইট উইংয়ে। বল পেলেই তীব্র গতিতে নিয়ে গিয়ে ক্রস, ডি বক্সে বাতিস্তুতা, মন্টেল্লাদের মতো ফরোয়ার্ড। কাপেলোর অধীনে রোমা ২০০১ সালে লিগ জিতে নেয়। কাফু হয়ে ওঠেন রোমার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিছুদিন পর বলা শুরু হয়, কাফু আসলে লাতিন আর ইউরোপের সংমিশ্রণ। কেন? চিরাচরিত লাতিন রাইটব্যাকদের মতোই কাফু ছিলেন প্রচন্ড গতিশীল ও দক্ষ খেলোয়াড়। খুব সংকীর্ণ জায়গা থেকে মাপা ক্রস দিতে পারতেন। উপরে উঠে যেমন আক্রমণে অংশ নিতেন আবার নিচে নেমে ডিফেন্স সামলাতেন খুবই দ্রুত। তাঁর ফিটনেস ইউরোপিয়ানদেরও চমকে দিত। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন একবার মজা করে কাফুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “কাফু, তোমার হৃদপিণ্ড আর ফুসফুস কি দুটো করে নাকি?” রোমাতে কাফু শুধু নিয়মিতই না, পরিণত হন দলের এক স্তম্ভে।
দুঃসময় ও অমরত্ব
কিন্তু কাফুর জীবনেও অন্ধকার সময় আসতে থাকে। ২০০২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব ব্রাজিলের জন্য ছিল এক বিভীষিকা। একদিকে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ হারার জন্য গোটা ব্রাজিলের সব খেলোয়াড়ের দিকে দর্শক থেকে মিডিয়া সবাই খড়গহস্ত, অন্যদিকে ব্রাজিল বাদ পড়ল বলে! এমন সময়ে প্যারাগুয়ের সাথে এক ম্যাচে বাজে ট্যাকেল করে লাল কার্ড পেয়ে বসেন কাফু, পয়েন্ট হারায় ব্রাজিল। কাফু হারান তাঁর অধিনায়কত্ব। ম্যানেজার পরিবর্তন হয় ব্রাজিলের। স্কোলারি আসেন, ব্রাজিলের ভাগ্যের চাকা ঘোরে, বিশ্বকাপের টিকিট পায় ব্রাজিল। কাফুর ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি, অধিনায়কত্ব থেকে যায় এমারসনের হাতেই। রোমাও সিরিয়াতে ভালো খেলেও শিরোপাবঞ্চিত হয়।
২০০২ এর শেষটা কাফুর জীবনে যেন পূর্ণতা এনে দেয়। বিশ্বকাপের আগে এমারসন ইনজুরিতে পড়েন, অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড আবার এসে পড়ে কাফুর হাতে। কোচ স্কোলারি ডিফেন্সে ৩ জন রেখে কাফু ও কার্লোসকে একটু বেশি উপরে খেলার সুযোগ করে দেয়। কাফুর খেলার ধরনের সর্বোচ্চ ব্যবহারটাই করেন স্কোলারি। সেই বিশ্বকাপে বিশ্ব দেখে এক অদম্য ব্রাজিলকে। জার্মানিকে হারিয়ে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের যে আইকনিক ছবিটি আছে, সেটির কেন্দ্রে একসময়ের অধিনায়কত্ব হারানো কাফুই। স্কোলারি এ নিয়ে বলেছেন, “এই জয়ের পেছনে যদি একজনের অবদানের কথা বিশেষভাবে বলতে হয়, তবে সেটি আমাদের অধিনায়কের, যিনি মাঠ ও মাঠের বাইরে নিজের সামর্থ্যের সবটা নিংড়ে দিয়েছেন।”
অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার পর একজন আর কী-ইবা চাইতে পারেন? কাফুর অপ্রাপ্তি বলতে ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। কিন্তু কাফু হয়তো বুঝে গিয়েছিলেন রোমায় তাঁর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা সম্ভব না, তাই ২০০৩ সালে যোগ দেন আরেক ইতালিয়ান জায়ান্ট দল এসি মিলানে। সেখানে ছিলেন মালদিনি, ইনজাঘির মতো লিজেন্ড। ৩৪ বছর বয়সেও তাঁর থেমে যাওয়ার কোনো লক্ষণই ছিল না। ২০০৪ সালে মিলানের হয়ে আবার ইতালিয়ান লিগ জেতেন। মিলানে নিজের খেলাকে আরো উঁচু স্তরে নিয়ে যান। ২০০৫ এ বাঘা বাঘা ইউরোপিয়ান দলগুলোকে হারিয়ে মিলান উঠে যায় ফাইনালে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাফু একা মিলানের ডানপাশকে রেখেছিলেন বিপদমুক্ত। মধ্য ত্রিশের এক খেলোয়াড়ের এমন পারফর্মেন্সেই স্যার ফার্গুসনকে বলতে বাধ্য করেছিল “তোমার ফুসফুস আর হৃদপিণ্ড কি দুটো করে?” ২০০৫ এর সেই ঐতিহাসিক ফাইনালে প্রথমার্ধে ৩-০ তে এগিয়ে থেকেও লিভারপুলের কাছে হেরে যায় মিলান। কাফু কি তবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ছাড়াই অবসরে যাবেন?
অবসরের আগে কোনো অপ্রাপ্তি রেখে যাননি
কিন্তু মিলান রয়ে যায় একইরকম দুর্দম, কাফু ৩৫ এ পা দিয়েও খেলছিলেন ২২ বছরের নবাগতের মতো। ২০০৬ বিশ্বকাপেও কাফু ছিলেন ব্রাজিলের প্রথম পছন্দের রাইটব্যাক। সেই ব্রাজিল দলে এত প্রতিভা ছিল যে, ভাবা হচ্ছিল এবারও ব্রাজিলই হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু আবার সেই জিদানের নৈপুণ্যের কাছে পরাস্ত হয় ব্রাজিল। প্রথমবারের মতো কাফু বাদ পড়েন কোনো এক বিশ্বকাপে ফাইনালের আগে! কাফু তাঁর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার স্বপ্ন ছাড়লেন না, মিলানের হয়ে লড়েই যাচ্ছিলেন তিনি। ২০০৭ এ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে আবার দেখা হয় সেই মিলান ও লিভারপুলের। এবার আর হতাশ হতে হয়নি মিলানের। কাকা ও ইনজাঘির নৈপুণ্যে মিলান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নেয়। কাফুও পেয়ে যান তাঁর ট্রফিকেসের পূর্ণতা এনে দেয়ার বাকি মেডেলটি।
কাফু, সাও পাওলোর হয়ে টানা দুবার লাতিন শ্রেষ্ঠত্ব, রোমার হয়ে ১৮ বছর পর ঘরোয়া শ্রেষ্ঠত্ব, মিলানের হয়ে লিগ, কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ব্রাজিলের হয়ে দুবার বিশ্বকাপ, দুবার কোপা আমেরিকা ও একবার কনফেডারেশন কাপ জিতেছেন তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে। অংশ হয়েছেন সাও পাওলো, রোমা, মিলান ও ব্রাজিলের হল অব ফেমের। ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও তাঁর। অবসর নেয়ার আগ অবধি নিজের খেলায় অবসাদ আসতে দেননি। তিনি মাঠে ও মাঠের বাইরে ছিলেন সত্যিকারের এক নেতা। এখন কাজ করছেন সাও পাওলোর দরিদ্র শিশুদের নিয়ে। যদি ফুটবল ইতিহাসের সেরা তিনজন রাইটব্যাকের কথাও বলা হয়, তবে তাঁর নাম আসবেই। তিনি কাফু, যেন গোটা ব্রাজিলেরই অধিনায়ক।
ফিচার ছবিসত্ত্ব: correiodopovo.com.br