অনেক আলোচনা-সমালোচনা, বাধার দেয়াল ঠেলে অবশেষে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে এক যুগ পর পাকিস্তানে পা রাখবে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০০৮ সালে পাকিস্তান গিয়েছিল টাইগাররা। ২০২০ সালে তিন দফায় পাকিস্তান সফর করবে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আগামী ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি লাহোরে তিন ম্যাচ খেলে দেশে ফিরে আসবে মাহমুদউল্লাহর দল।
এই সফরে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল স্বাগতিক পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে। আঁতস কাচের নিচে থাকা দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে ক্রিকেটখেলুড়ে দেশগুলো। বাংলাদেশের এই সফরটা তাই পাকিস্তানের জন্য পরীক্ষাই বটে।
বাংলাদেশ দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিবে দেশটি। কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ক্রিকেট খেলতে হবে বাংলাদেশকে। তাই ২২ গজের ক্রিকেটের চেয়ে এই সিরিজে নিরাপত্তা ইস্যুটিই বড় হয়ে ধরা দিয়েছে। যদিও শেষ অব্দি পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট হয়েই বাংলাদেশ দলকে পাঠাচ্ছে বিসিবি। আবার নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ভীত, শঙ্কিত হয়েই পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
গত ২১ জানুয়ারি দুপুরে মিরপুরে স্টেডিয়ামে আয়োজিত সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবশ্য জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ভয় নিয়ে আর আলোচনা করছে না দল। ক্রিকেটারদের ভাবনায় এখন শুধুই ব্যাট-বলের লড়াই। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে নিষিদ্ধ হওয়া সাকিব আল হাসান নেই, মুশফিক নেই, তারপরও পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জয়ের আশা করছেন মাহমুদউল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়কের উত্তরগুলো তুলে ধরা হলো রোর বাংলার পাঠকদের জন্য।
মুশফিক পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বলে। আপনি যাচ্ছেন। আপনাদের মাঝে পারিবারিক সম্পর্ক আছে। আপনার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া কতটা কঠিন ছিল?
প্রথমে অবশ্যই কঠিন ছিল। কারণ আমার পরিবারও কনসার্নড ছিল। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, তো ওরা রাজি হয়েছে। এদিক থেকে আমি কিছুটা নিশ্চিন্ত, যেহেতু আমার পরিবার এতটা চাপ অনুভব করবে না। কারণ, পাকিস্তান আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দিচ্ছে। আর মুশির সিদ্ধান্ত আমিও সমর্থন করি। পরিবারের একটা ইস্যু থাকে সবসময়। পরিবারের চাইতে বড় ইস্যু কোনো ক্রিকেটারের বা কোনো সাধারণ মানুষের হতে পারে না। মুশফিকের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে।
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টির এক নম্বর দল, বাংলাদেশ নবম। তাছাড়া ওরা হোমে খেলবে। তাহলে এই সিরিজটা কি বাংলাদেশ আন্ডারডগ হিসেবে শুরু করবে?
র্যাংকিং তো ভিন্ন কথা বলে। আমরা নয় নম্বরে, ওরা এক নম্বরে। টি-টোয়েন্টিতে তারা ধারাবাহিকভাবে খেলে আসছে। আমার মনে হয়, যেভাবে আমরা ক্রিকেট খেলছি, শেষ কয়েকটি সিরিজে আমি খুব আশাবাদী যে, ভালো কিছু ম্যাচ আমরা উপহার দিতে পারব। ইনশাআল্লাহ্ আমরা সিরিজ জেতার চেষ্টা করব।
এমন কঠিন নিরাপত্তা বলয়ের মাঝে থাকা, খেলা কতটা কঠিন হবে?
এই মুহূর্তে আমি একটা কথা বলতে পারি। দলের অন্যান্য সদস্যরা এই ব্যাপারে চিন্তিত নয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে। আমরা শুধু খেলার কথাই চিন্তা করছি। কীভাবে ওখানে গিয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারব এবং জিততে পারব, এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
পাকিস্তান সফরের বাংলাদেশ দলটা কেমন হয়েছে?
আমি এই মুহূর্তে খুবই খুশি, যারা স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছে তাদের নিয়ে। সবাই খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছে এই বিপিএলে। যারা ব্যাটসম্যান ছিল, তারা রান পেয়েছে; বোলাররা যারা ছিল, ওরা উইকেট পেয়েছে। সব মিলিয়ে আমি খুব আত্মবিশ্বাসী আমার দল নিয়ে। দেখার বিষয় আমরা ওখানে গিয়ে নিজেদের কত ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারি।
মুশফিক থাকছে না। দলে সিনিয়র ক্রিকেটার আপনি ও তামিম। আপনাদের উপর নিশ্চয়ই দায়িত্বটা বেশি থাকবে…
আমি এবং তামিম – আমরা দুজনই ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি যে, আমাদের দায়িত্ব বেশি থাকবে। টপ-অর্ডারে তামিমের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি কাজে আসবে। ও খুব ভালো ছন্দে আছে, রান করেছে এই বিপিএলে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করব যে আমার দায়িত্ব যেন ভালোভাবে পালন করতে পারি। আমার যে ভূমিকা থাকবে, শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা – আমি ওই জিনিসটা করার চেষ্টা করব।
আমার মনে হয় যে, সবারই দায়িত্ব থাকবে। আপনি যেটা উল্লেখ করলেন যে, অনেকের হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসতে পারে। তো এই জিনিসটা ওরা ইতঃমধ্যে মানসিকভাবে মানিয়ে নিচ্ছে বা চিন্তা করছে। আশা করব, তারা এটার সাথে মানিয়ে নেবে।
আপনার নিজের দিক থেকে কি চেষ্টা থাকবে ব্যাটিংয়ে?
অবশ্যই। যেটা আমি বললাম, আমি খেলাটাকে যত সামনে নিয়ে যেতে পারব তত দলকে রান এনে দিতে পারব।
সাংবাদিকরা সবসময় আপনাদের সঙ্গে দেশের বাইরে সফরে যায়। দলটাকে ফলো করে। এই নিরাপত্তা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এই সফরে কম সাংবাদিক দেখলে কি অবাক হবেন?
সত্যি বলতে, মিডিয়ার বিষয়টি চিন্তা করিনি। আপনাদের সাপোর্টটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের সঠিক মতামত অবশ্যই জরুরী। আমাদের চিন্তা করতে হবে, আমাদের পারফরম্যান্সটা যেন যথাযথ ওইখানে দিতে পারি। আমরা এগুলো নিয়ে চিন্তিত না। আমার মনে হয় না, দলের কেউ এগুলো নিয়ে চিন্তিত। সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, এখন আমাদের খেলতে হবে। আমাদের ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে আগ্রহী।
মুশফিক নেই বলে মিডল অর্ডারে গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে। অভিজ্ঞ কেউ নেই। সেক্ষেত্রে মিডল অর্ডারে আপনার উপর দায়িত্ব থাকবে…
আমার যত অভিজ্ঞতা আছে, সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করব মিডল অর্ডারে। অনেক ব্যাটসম্যানই আছে, ভিন্ন ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাটিং করা লাগতে পারে। আফিফ শেষ কয়েকটি সিরিজে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেছে। ও হয়তো বা টপ অর্ডারে দারুণ ব্যাটিং করেছে বিপিএলে। অনেক টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানকে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে হতে পারে। এটা মানসিকভাবে মানিয়ে নেয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনুশীলন করাটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দিনশেষে যার যত সুযোগ থাকে, তারা যেন সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করে। আপনি আপনার চেষ্টা কতটা দিচ্ছেন, দলের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, কম-বেশি সব প্লেয়ারই এটা জানে।
র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকলেও পাকিস্তান কিন্তু গত বছর ওদের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করেনি। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও হেরেছে। তাদের বিরুদ্ধে দল কতটা আত্মবিশ্বাসী থাকবে?
র্যাংকিংয়ের বিষয়টা আপনি যেটা বললেন, শেষ কয়েকটা সিরিজে পাকিস্তান হয়তো খারাপ করেছে। আমি মনে করি, তারা অনেক শক্তিশালী দল টি-টোয়েন্টিতে। তাদের ওখানে খেলা। শেষ সিরিজে শ্রীলঙ্কার সাথে হেরেছে তারা, হয়তো এই বিষয়টি নিয়ে কনসার্ন আছে। আমাদের ফোকাস করতে হবে, আমরা কতটা ভালো খেলতে পারি। আমি মনে করি, এই টিমে যারা আছে, তারা ভালো ফর্মে আছে, ভালো ছন্দে আছে। এই জিনিসটা আমাদের সঠিক ব্যবহার করা এবং বোঝা, যদি সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি, আমরা জিততে পারব। ওরা কী করেছে শেষ সিরিজে, এটা নিয়ে যদি চিন্তা করি, র্যাংকিংয়ে কোথায় আছে, আমি মনে করি না, চিন্তার কিন্তু আছে। আমাদের ক্রিকেটটা আমরা কীভাবে প্রয়োগ করতে পারি, কীভাবে নিজেদেরকে ব্যবহার করতে পারি, ব্যক্তিগতভাবে এটা নিয়ে ভাবা আমি মনে করি জরুরী।
হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে আপনি তার পছন্দ। আপনার চিন্তা ভাবনা কি?
আমি এখনও জানি না। যেহেতু আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এই সিরিজের জন্য। আমি চেষ্টা করব আমার দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাতে। যেহেতু সিরিজ-বাই-সিরিজ অধিনায়কত্বের দায়িত্বটি আসছে, তাই অবশ্যই ওর যদি আমার প্রতি আস্থা থাকে, তাহলে ধন্যবাদ। এবং আমার মনে হয়, রাসেল অনেক অভিজ্ঞ একজন কোচ, এবং সে জানে দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে কীভাবে সামলাতে হয়। আমার মনে হয়, সবাই এই জিনিসটি বোঝেন, এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করছেন।
এই প্রসঙ্গেই বলব, পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পেলে কি অধিনায়কত্ব করা, পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে আরও ভালো হয় না?
পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্ব দিলে তো আমার কাছে অবশ্যই মনে হয় পরিকল্পনার জন্য সাহায্য হবে। এটা সম্পূর্ণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমি এই মুহূর্তে চিন্তা করছি যে, আমাকে যেহেতু এই সিরিজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আমি চেষ্টা করব যেন এই সিরিজে ভালো ফলাফল করতে পারি।
একটা প্রজন্ম চলে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব দলই কম-বেশি সংগ্রাম করে। এই পাকিস্তান সফরে আপনি আর তামিম ছাড়া সিনিয়র কেউ নেই। আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশের সেই সংগ্রামের সময়টা চলে আসছে?
আমার মনে হয়, যে কয়জন ক্রিকেটার আছে, আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন, সৌম্য বেশ কয়েক বছর ধরে টানা খেলছে। আফিফ একজন নতুন ক্রিকেটার, নাঈমও নতুন। তবে তারা সবাই ভালো করছে কন্ডিশন এবং পরিস্থিতি বিবেচনায়। এটা খুবই ভালো একটা দিক। আমার মনে হয়, এই জিনিসটি দলের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। এটা আমাদের সবার জন্যই ভালো। আমি এই জিনিসটি এভাবেই দেখছি।
দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার। বিপিএলের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তারপরও টপ-অর্ডারে তামিম ও পরে মিডল অর্ডারে আপনার ব্যাটিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে দল…
আমি চেষ্টা করব আমার জায়গা থেকে পারফর্ম করার। ওরও চেষ্টা থাকবে ওর জায়গা থেকে পারফর্ম করার। ক্রিকেট একটি দলীয় খেলা, আমি সবসময় বিশ্বাস করি। একটি দল হিসেবে যদি আমরা ভালো খেলতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় যে আমাদের ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
স্পিনার বলতে মাত্র একজন। দলে ৫ পেসার। টি-টোয়েন্টিতে পেসাররাই বিপিএলেও ভালো করেছেন। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে পেসাররাই বড় ভরসা হবেন। বিশ্বকাপের কথা ভেবেই কি এত পেসার দলে?
আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে যদি প্রোপার ভ্যারাইটিজ অব পেস বোলার থাকে, তাহলে সেটা মনে হয় অনেক বেশি সাহায্য করবে। আপনি যেটা বলছেন যে অস্ট্রেলিয়ায় স্পিনাররা অতটা সাহায্য পাবে না, যতটা আমরা উপমহাদেশে পেয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, পেস বোলারদের ভূমিকাটি অনেক বেশি থাকে, এই কারণে আমাদের দলে হয়তো পেস বোলারদের আধিক্য এই মুহূর্তে বেশি। আমি মনে করি, সবাই প্রত্যাশা করে। যারা সুযোগ পেয়েছে, যেমন ধরেন রুবেল। সে এই বিপিএলে দারুণ করেছে। আল-আমিন, সুহাস (শফিউল), মুস্তাফিজ আছে। আমাদের পেস বোলিংয়ের দারুণ বৈচিত্র্য আছে। আমি এদিক থেকে আশাবাদী যে, ওরা ডেলিভার করতে পারবে। এবং আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত নই যে, আমাদের বিশেষজ্ঞ স্পিনার আছে কি নেই। এবার আমাদের পেস বোলিং বিভাগটা হয়তো অনেক বেশি অভিজ্ঞ, এবং আমি তাদের উপর আস্থা রাখব।
আপনি কি আগে পাকিস্তান গিয়েছিলেন? এবারের সফর কি ভিন্ন অভিজ্ঞতা হবে?
আমি এর আগেও গিয়েছি পাকিস্তানে দুইবার। ২০০৮-এ গিয়েছিলাম। এবারের অভিজ্ঞতা খুব বেশি তারতম্য করবে। যেহেতু আমরা পাকিস্তানে খেলছি, এর আগেও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার পাকিস্তানে খেলেছে। যেহেতু উপমহাদেশ, তাই আমরা জানি এবং আমার কিছুটা হলেও ধারণা আছে, সেখানকার উইকেট কেমন হতে পারে সেই ব্যাপারে। পাকিস্তানের উইকেট খুব বেশি কঠিন ব্যাটসম্যানদের জন্য। আমরা আশা করি, ব্যাটসম্যানদের ভালো উইকেট পাবো। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বটি বেশি থাকবে বলেই আমি মনে করি বড় স্কোর গড়তে।
দল নির্বাচনে অধিনায়কদের ভূমিকা থাকে। এই দল গঠনে আপনার ভূমিকা কতটা ছিল?
মোটামুটি কম-বেশি আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। পাপন ভাইয়ের কথা হয়েছে। যখন রাসেল বাইরে ছিল এবং আমরা বিপিএল খেলছিলাম, তখনও হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। এমনকি আমরা যখন ভারতেও ছিলাম, তখন আমরা কীভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল গঠন করব, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। আমার মনে হয় যে, সবার সুযোগ থাকবে, এবং কে কখন এই সুযোগ নিতে পারবে দলে জায়গা পাকা করতে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।