১.
তারিখটা ছিল ২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সেদিন নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে আতিথ্য দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সে মৌসুমে দারুণ খেলছিল স্যার অ্যালেক্সের শিষ্যরা, ১৯ হোম ম্যাচের মধ্যে ১৭টিতেই জিতেছিল তারা। ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে সেবার শিরোপা জয়ী দলটির নামও ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গুণগান করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। ম্যানচেস্টার বনাম নিউক্যাসলের সেই ম্যাচে ফিরে যাওয়া যাক বরং। ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ খেলছিল রেড ডেভিলরা, কিন্তু গোলের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না কোনোভাবেই। এতে ইউনাইটেডের খেলোয়াড়দের দোষ আছে অবশ্যই, তবে তার চেয়েও বেশি কৃতিত্ব দিতে হবে নিউক্যাসলের আইরিশ গোলকিপার শে গিভেনকে। প্রথমার্ধ শেষ হলো ০ – ০ তে।
গোলমুখ খুললেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাত নাম্বার জার্সিধারী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডি-বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পেলো রেড ডেভিলরা, তা থেকে যে গোলটা ক্রিস্টিয়ানো করলেন তা দর্শকদের চোখে লেগে থাকবে অনেকদিন। মানবদেয়াল লাফিয়ে উঠতেই তাদের পায়ের নিচ দিয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন জালে।
এর ২০ মিনিট পর আরো তীব্র হয় ইউনাইটেডের আক্রমণ। নিজেদের রক্ষণ সামলাতে নিউক্যাসল এতোটাই ব্যস্ত যে আক্রমণে যাওয়ার সময়ই পাচ্ছে না তেমন। এর মধ্যে আরও ১ গোল করে ব্যবধান ২ – ০ করেছেন ‘এল অ্যাপাচি’ কার্লোস তেভেজ। তারপর মাঝমাঠ থেকে হঠাৎ বল এলো ক্যারিকের কাছ থেকে, রিসিভ না করে আলতো টোকায় তেভেজের কাছে পাঠালেন রুনি। ডিফেন্সচেরা একটা পাস দিলেন তেভেজ, রাইট উইং থেকে বিদ্যুৎগতিতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়লেন ক্রিস্টিয়ানো। যে শটটা তিনি নিলেন, তার কোনো জবাব জানা ছিল না গিভেনের। স্কোরবোর্ডে আরো একবার নাম তুললেন রোনালদো, তখনো তিনি জানেন না যে, আর কিছুক্ষণ পরেই পেশাদার ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাট্রিকটা পেতে যাচ্ছেন।
খেলার তখন ৮৮ মিনিট। বক্সের বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো রোনালদোর পায়ে বল তুলে দিলেন নিউক্যাসলের এক ডিফেন্ডার। বল পায়ে পেয়েই শট নিলেন না, ধেয়ে আসা এক ডিফেন্ডারকে কাটালেন, তারপর বাম পায়ের এক শটে বল জড়িয়ে দিলেন জালে। হয়ে গেলো ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাট্রিক।
এর ১০ বছর পরে। মহাকালের হিসেবে ১০ বছর কিছু না হলেও মানুষের জীবনে ১০ বছর অনেকটা সময়। এই ১০ বছরে ফুটবল মাঠে এত কিছু ঘটেছে যে, হিসেব করতে গেলে রীতিমতো খাতাপত্র নিয়ে বসতে হবে। ১৯শে মার্চ, ২০১৮, লা লিগায় ২৯তম রাউন্ডের খেলা, নিজেদের মাঠে রিয়ালের প্রতিপক্ষ জিরোনা। সেই জিরোনা, যাদের কাছে লিগের প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল রিয়াল। সেদিন ক্রিস্টিয়ানো ছিলেন নিষ্প্রভ। ক্যারিয়ারের ৫০তম হ্যাট্রিক করার জন্য সেই জিরোনাকেই বেছে নিলেন তিনি।
বিরতির ঠিক পরে। কোভাচিচ থেকে ভাস্কেজের পায়ে বল, ভাস্কেজ থেকে বেনজেমা এবং সেই সাথে ক্রিস্টিয়ানোর অফসাইডের ফাঁদ কেটে বেরিয়ে যাওয়া। বিপদ দেখে এগিয়ে এলেন জিরোনা গোলকিপার ইয়াসিন বোনৌ। কিন্তু বেরিয়ে আসা পর্যন্তই। ক্রিস্টিয়ানো ততক্ষণে বল পাঠিয়ে দিয়েছেন জালের উদ্দেশ্যে। দলের চতুর্থ গোলে নিজের হ্যাট্রিক পূরণ করলেন ক্রিস্টিয়ানো। এর আগে, লুকাসকে দিয়ে করালেন আরো একটি গোল। যে গোলে হ্যাট্রিক পূরণ করলেন, সে গোলটি তার পাওয়ার কথা ছিল না, ছিল করিম বেনজেমার। বেনজেমার শট জিরোনার গোলকিপার ঠেকিয়ে দিলে রিবাউন্ডে তা থেকে নিজের হ্যাট্রিক পূরণ করলেন ক্রিস।
২০০৮ সালে যে চক্র শুরু করেছিলেন নিউক্যাসলের সাথে, জিরোনার সাথে ক্যারিয়ারের ৫০তম হ্যাট্রিক করে সেই চক্রটা পূরণ করলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দস সান্তোস অ্যাভেইরো।
২.
৫২টি হ্যাট্রিক ক্রিস্টিয়ানোর। এরপরেও ক্লাব এবং ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল মিলিয়ে সবচেয়ে উপরে থাকা মানুষটির থেকে বেশ পিছিয়েই আছেন তিনি। ৯২ হ্যাট্রিক নিয়ে সবার উপরে আছেন ফুটবলের কালো মানিক পেলে। তার হ্যাট্রিক ৯২টার সবগুলোই অবশ্য অফিশিয়াল নয়, কিছু আনঅফিশিয়ালও আছে।
ক্রিস্টিয়ানো ৫২টি হ্যাট্রিকের মধ্যে ১টি করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে, ৬টি পর্তুগালের হয়ে, ৪৪টি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এবং ১টি জুভেন্টাসের হয়ে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৪৪টির মধ্যে ৩৪ করেছেন লা লিগায়, ৭টি করেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে, ২টি করেছেন কোপা দেল রে’তে এবং অবশিষ্ট ১টি করেছেন ক্লাব বিশ্বকাপে। চ্যাম্পিয়নস লিগে সমান সংখ্যক হ্যাট্রিক আছে লিওনেল মেসিরও। তবে লিগে ক্রিস্টিয়ানো থেকে বেশ পিছিয়ে আছেন তিনি। ক্রিস্টিয়ানোর হ্যাট্রিক সংখ্যা যেখানে ৩৪, তার হ্যাট্রিক সংখ্যা ৩২।
৩.
বিশ্বকাপের প্লে-অফ ম্যাচের দ্বিতীয় লেগের খেলা, মুখোমুখি সুইডেন আর পর্তুগাল। সেদিন সুইডেনের ফ্রেন্ডস অ্যারেনা স্টেডিয়াম নামক কলোসিয়াম থেকে ইব্রাহিমোভিচ নামক সিজারের সামনে দিয়ে গ্ল্যাডিয়েটর হয়ে একা ম্যাচ বের করে এনেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, করেছিলেন হ্যাট্রিক। দুই দলই খুব সাবধানে খেলেছিল সে ম্যাচের প্রথমার্ধে। বিচ্ছিন্ন কিছু আক্রমণ ছাড়া হচ্ছিল না তেমন কিছুই। তবে আসল রোমাঞ্চ জমা ছিল সেকেন্ড হাফে। বিরতির পরপরই সুযোগ এলো, ম্যাচের তখন ৫০ মিনিট। বল বাতাসে ভাসিয়ে দিলেন রাউল মেইরেলেস, আলতো হেডে সেই বল নানি পাঠালেন তার সামনে থাকা মৌতিনহোকে।
মৌতিনহো বল পাওয়া মাত্রই মাঠের ডান পাশ থেকে দুরন্ত বেগে ছুটতে শুরু করলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পরের মুহূর্তেই ডিফেন্সচেরা এক পাস দিলেন মৌতিনহো, বল নিয়ে ক্রিস দৌড়ে গেলেন সুইডিশ ডি-বক্সের বামপাশে। বাঁ পায়ের এক জোরালো শটে বল জড়িয়ে দিয়ে উল্লাসে মাতলেন, তাকে দেখা গেল তার পরিচিত সেই সেলিব্রেশনে।
খেলার ৭৭ মিনিট। জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন ইব্রাহিমোভিচ, স্কোর: সুইডেন ২ – ১ পর্তুগাল। সোলনার ফ্রেন্ডস অ্যারেনা স্টেডিয়াম প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে প্রায় পঞ্চাশ হাজার দর্শকের গর্জনে, নিজের মাঠে সুইডেন তখন রীতিমতো উড়ছে। পর্তুগাল তখনও অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে এগিয়ে আছে বটে, তবে সুইডেন যেভাবে খেলছে তাতে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধাও বেশিক্ষণ থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। তখনই ডিফেন্স থেকে বল ক্লিয়ার করে দিলেন উইলিয়াম কার্ভালহো, বল আবারও এলো মৌতিনহোর কাছে। সামনে বাড়ালেন তিনি, রিসিভ করলেন পর্তুগালের নাম্বার নাইন হুগো আলমেইদা।
আলমেইদার পায়ে বল আসা মাত্র বাম পাশ থেকে হাত উঁচু করে ইশারা করলেন রোনালদো। আলমেইদা ডান পাশে তাকিয়ে দেখলেন একবার। তারপর বল বাড়িয়ে দিলেন রোনালদোর উদ্দেশ্যে। দৌড়ে গেলেন রোনালদো, হাঁটু দিয়ে বলকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনলেন, ততক্ষণে তার পাশে চলে এসেছেন একজন সুইডিশ ডিফেন্ডার। ট্যাকল করাটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ‘ক্যান হি কিল দ্য সুইডিশ ড্রিম?’ ধারাভাষ্যকারের জিজ্ঞাসা। পরের মুহূর্তে নিজেই উত্তর দিলেন, ‘হি হ্যাজ ডান শিওরলি।’ রোনালদোর বাঁ পায়ের জোরালো শট আরেকবার জড়াল সুইডেনের জালে।
এর মিনিট দুয়েক পরে আবার। আবারও ডিফেন্সচেরা এক পাস দিলেন মৌটিনহো, রোনালদো দুর্বার গতিতে দৌড় শুরু করলেন, বল নিয়ে চলে এলেন বক্সের ডান পাশে। গোলকিপারকে কাটিয়ে ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো বল জালে পাঠিয়ে দিলেন। হ্যাট্রিক করলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, সুইডেনকে কাঁদিয়ে পর্তুগালকে বিশ্বকাপে নিয়ে গেলেন তিনি।
৪.
আর চ্যাম্পিয়নস লিগে? হয়তো অনেকেই ভাবছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্রিসের প্রিয় হ্যাট্রিক সম্ভবত বায়ার্ন বা অ্যাটলেটিকোর সাথে। হতে পারে, অসম্ভব কিছু না। তবে মনে রাখা দরকার, এই দুই ম্যাচের একটিতেও খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিল না রিয়াল মাদ্রিদ। এমনকি হতে পারে উলফসবার্গের সাথের ম্যাচটাও। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কায় কাঁপছিল দলটি।
হ্যাট্রিককে যদি সুগন্ধি ফুল ধরা হয়, তবে এসবের কিছুই নয়, জুভেন্টাসের হয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সাথের হ্যাট্রিকটিই বেশি সুবাস ছড়াবে রোনালদোর কাছে।
১২ মার্চ ২০১৯; চ্যাম্পিয়নস লিগে দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগের খেলা, নিজেদের মাঠে জুভেন্টাসের প্রতিপক্ষ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। সেই অ্যাটলেটিকো, যাদের কাছে প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল জুভেন্টাস। সেদিন ক্রিস্টিয়ানো ছিলেন নিষ্প্রভ। ক্যারিয়ারের ৫২তম হ্যাট্রিক করার জন্য সেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকেই বেছে নিলেন তিনি।
জুভেন্টাস চাপে ছিল। কিন্তু তার থেকেও বেশি চাপে ছিলেন রোনালদো। মৌসুমের শুরুতে রিয়াল থেকে জুভেন্টাসে এসেছিলেন নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে। কিন্তু এ যে শুরু না হতেই চ্যালেঞ্জ শেষ! এই পরিস্থিতিতে একটা কাজই করার ছিল ক্রিসের, সেটাই করে দেখালেন। জ্বলে উঠলেন তিনি, জুভেন্টাসের হয়ে প্রথম হ্যাট্রিক করে দলকে নিয়ে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণের পরে আক্রমণ করে যাচ্ছিল জুভেন্টাস, কিন্তু গোলের দেখা পাওয়া যাচ্ছিলোই না। সেই গেরো খুললো প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে। মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন বার্নাডেস্কি, উদ্দেশ্য ডি-বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা রোনালদো। বল লক্ষ্য করে চিতার গতিতে লাফ দিলেন তিনি, বুলেটগতির যে হেডটা করলেন, তা ঠেকানোর ক্ষমতা গোলকিপার ওবলাকের ছিল না। ব্যবধান কমালো জুভ, সেই সাথে লক্ষ্যের দিকে এগিয়েও গেল এক পা।
খেলার ৪৮ মিনিট। এবারো ভেসে এলো বল, তবে এবার বাঁ দিক থেকে নয়, ডান দিক থেকে। ক্রস করেছেন ক্রিস্টিয়ানোরই স্বদেশী জোয়াও ক্যান্সেলো। আবারো লাফালেন ক্রিস্টিয়ানো, তবে এবার তার হেড কীভাবে যেন ফিরিয়েও দিলেন ওবলাক। গোল হয়নি ভেবে আফসোসে ফেটে পড়লেন ক্রিস, কিন্তু তার এক মুহূর্ত পরেই মেতে উঠলেন উল্লাসে। বল যে গোললাইন পার হয়ে গেছে!
২ গোলে পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্তভাবে খেলায় ফিরে এলো জুভেন্টাস। দর্শকরাও হয়তো হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কিছুটা। কিন্তু তখনও যথেষ্ট ভয়ের কারণ ছিল জুভেন্টাসের জন্য, কারণ অ্যাটলেটিকো ১ গোল দিয়ে দিলেই দিতে হতো ২ গোল।
খেলার ৮৫ মিনিটে বল নিয়ে বিপুল বিক্রমে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে পড়লেন বার্নাডেস্কি। সেই ম্যাচে রোনালদো অসাধারণ খেলেছিলেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই, তবে ভুলে যাওয়া যাবে না এই আনসাং হিরোকেও। যাই হোক, বার্নাডেস্কি বক্সে ঢুকলেন, একজনকে কাটালেন, কিন্তু তারপরেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন অ্যাটলেটিকোর বদলি খেলয়াড় কোরেয়া।
পেনাল্টি!
এই পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা ক্রিস্টিয়ানো কাজে লাগাবেন না, তা কি হয়? এক জোরালো শটে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যভেদ করলেন তিনি, নিজে হ্যাট্রিক তো করলেনই, সেই সাথে দলকে ১ গোলে এগিয়ে দিলেন দলকে।
৫.
বয়স গত ফেব্রুয়ারিতে তার বয়স হয়ে গেছে ৩৪। আর কতদিন খেলবেন, কে জানে! আর খেললেও যে এরকম উত্তুঙ্গ ফর্মে থাকবেন, সে কথাও তো জোর দিয়ে বলা যায় না। বয়স এমন এক জিনিস, যার কাছে হার মানতে হয় সকলকেই। তারপরেও নামটা রোনালদো বলেই এত সহজে তাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া যায় না। অফফর্ম যাবে, কাটিয়ে উঠবেন; পিছিয়ে পড়বেন, ফিরে আসবেন; গোলের পর গোল করবেন আর জানিয়ে দেবেন তিনিই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো!