ডেনিস কম্পটন ক্রিকেটার, নাকি ফুটবলার? উত্তর- দুটোই। কিন্তু ক্রিকেটার হিসাবেই তার বেশি পরিচিতি। ফুটবলার হিসেবেও কম যাননি তিনি। খেলেছিলেন ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের হয়ে।
ব্যাটসম্যান, বোলার কিংবা অলরাউন্ডারদের বিশেষত্ব আমরা জানি। ডেনিস কম্পটনের ব্যাপারটা ছিল একেবারে আলাদা। তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। বোলিং করতেন বাঁহাতি চায়নাম্যান। খেলেছিলেন ক্রিকেট, ফুটবল দুটোই। সুদর্শন চেহারার জন্যও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন নারীভক্তদের কাছে। সত্যিকারের অলরাউন্ডারের তকমাটা বোধহয় তার নামের পাশেই মানায়।
হ্যারি ও জেসি কম্পটনের ঘর আলোকিত করে ডেনিস চার্লস স্কট কম্পটন ১৯১৮ সালের ২৩ মে মিডলসেক্সের হেন্ডেনে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবকাল থেকেই ক্রিকেট এবং ফুটবল দুই বিভাগেই সমানভাবে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩৩ সালে নুনহেডের হয়ে ইয়ুথ ফুটবল দিয়ে নিজের প্রফেশনাল স্পোর্টস ক্যারিয়ার শুরু করেন।
১৯৩৬ সালে আর্সেনালের ক্লাব পর্যায়ের ফুটবল ম্যাচ খেলেন কম্পটন। কিন্তু তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ যে ক্রিকেটে সেটা বুঝতে দেরি হয়নি। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯৩৬ সালেই মিডলসেক্সের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ডেনিস কম্পটনের। পরের বছরেই ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ চলে আসে তার। সেসময়ে আর্সেনালের হয়ে ফার্স্ট ডিভিশন টুর্নামেন্ট খেলেন। আসরের মাঝপথেই চলে আসেন তিনি। সে আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল আর্সেনাল। মাত্র ১৯ বছর ৮৩ দিনে ইংল্যান্ড জাতীয় দলে ডাক পান তিনি। অভিষেক ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তুলে নেন অর্ধশতক। রান আউট হয়ে না ফিরলে নিজের অভিষেক ইনিংসটাকে হয়ত আরো বড় করতে পারতেন কম্পটন।
অভিষেক ইনিংসে রান আউটে কাটা পড়ে শতক থেকে বঞ্চিত হলেও নিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই শতক হাঁকান ডেনিস কম্পটন। ডন ব্রাডম্যানের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন ১৭৩ বলে ১০২ রানের ইনিংস। কম্পটন শতক হাঁকিয়ে যতটা না নজর কেড়েছেন, তার চেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই। লর্ডসে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৭৬* রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মুগ্ধ করেন ডন ব্রাডম্যানকেও।
ডেনিস কম্পটন ১৯৩৯ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ২,৪৬৮ রান করেছিলেন। তার মধ্যে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২০ রানের ইনিংসটিও ছিল। ১৯৩৯ সালের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। লর্ডসে সেদিন তিনি ১২০ রানের ইনিংস খেলে অনার্স বোর্ডে নাম লেখান। তার সমসাময়িক অন্য ক্রিকেটারদের মতো তার ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কালো ছায়া পড়ে। যার কারণে প্রায় অর্ধযুগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাকে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের পর কম্পটন ফিরলেন আরো ভয়ংকর রূপে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার তাদের ক্যারিয়ারের বড় একটি অংশ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তার মধ্যে ডেনিস কম্পটনও একজন। ১৯৪৬ সালে আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে ফিরে। লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ডেনিস কম্পটন তার ক্যারিয়ার পুনরায় শুরু করেন। প্রথম ম্যাচের স্মৃতি খুব একটা সুখকর ছিল না। প্রথম ইনিংসে প্রথম বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার আগেই ইংল্যান্ড জিতে যায়।
নিজেকে ফিরে পেতে খুব বেশি সময় নেননি কম্পটন। পরের টেস্টেই ভারতের বিপক্ষে জোড়া অর্ধশতক হাঁকান। ১৯৪৬ সালে ভালো মন্দে কাটিয়ে দেন কম্পটন। এরপর থেকেই শুরু হয় তার ক্যারিয়ারের স্বর্ণযুগ। ১৯৪৭ সালের শুরুতেই অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যায় ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেডে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে জোড়া শতক হাঁকান ডেনিস কম্পটন। অ্যাশেজের পর বছরের মাঝামাঝি সময়ে ক্রিকেটের ভরা মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা ডেনিস কম্পটনের সামনে রীতিমত অসহায় ছিল। সিরিজের প্রথম টেস্টে নটিংহ্যামে ৬৫ ও ১৬৩ রানের ইনিংস খেলার পর লর্ডসে পরের টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক তুলে নিয়ে ২০৮ রানের ইনিংস খেলেন।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। টানা তৃতীয় ইনিংসে শতক তুলে নেন ম্যানচেস্টারে ১১৫ রানের ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে। সিরিজের শেষ টেস্টে ‘দ্য ওভালে’ ৫৩ এবং ১১৩ রানের ইনিংস খেলে সিরিজ শেষ করেন তিনি। পুরো মৌসুম জুড়েই তিনি বোলারদেরকে ব্যাট হাতে শাসন করে গেছেন। ১৯৪৭ সালে তিনি ৩,৮১৬ রান করেছিলেন। যা এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এই রান সংগ্রহ করতে তিনি ১৮টি শতক হাঁকিয়েছিলেন। এটাও বিশ্বরেকর্ড। স্যার জ্যাক হবসের ১৬টি শতকের রেকর্ড ভেঙ্গে এই রেকর্ড গড়েন তিনি।
আগের মৌসুমে রেকর্ডের খাতাকে নতুনভাবে লেখানোর পর পরের মৌসুমও শুরু করেন আগের মতো করেই। ১৯৪৮ সালে নটিংহ্যাম টেস্টে ডন ব্রাডম্যানের অপরাজেয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একাই লড়ে যান ডেনিস কম্পটন। কিথ মিলারের বলে ভারসাম্য হারিয়ে ‘হিট উইকেটে’ আউট হওয়ার আগে করেন ১৮৪ রান। তার অনবদ্য ইনিংসের কল্যাণে ইনিংস হার এড়াতে সক্ষম হয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু অপরাজেয় অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঠিকই বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের।
লর্ডসে পরের টেস্টে অর্ধশতক হাঁকানোর পর ম্যানচেস্টার টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪৫* রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ঐ ইনিংসে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক করেছিলেন ৩৭ রান! মিলার, জন্সটন এবং লিন্ডওয়ালদের সামনে ইংল্যান্ডের হয়ে একাই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ডেনিস কম্পটন ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থ ইস্টার্ন ট্রান্সভাল ক্লাবের বিপক্ষে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে মাত্র ১৮১ মিনিটে ৩০০ রানের ইনিংস খেলেন, যা সময়ের দিক দিয়ে এখনো প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের দ্রুততম ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড। তিনি প্রথম শতক হাঁকাতে সময় নিয়েছিলেন ৬৬ মিনিট। এরপর দিন শেষ হয়ে যায়। পুনরায় পরের দিন তার ইনিংস শুরু করেন এবং পরবর্তী শত রান পূর্ণ করার জন্য সময় নেন ৭৮ মিনিট এবং শেষ শত রান করতে মাত্র ৩৭ মিনিট সময় নেন তিনি!
ডেনিস কম্পটন তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন পহেলা জুলাই, ১৯৫৪ সালে। নটিংহ্যামে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি মাত্র ২৮৭ মিনিট ক্রিজে থেকে ৩৪টি চার এবং ১টি ছয়ের মারে ২৭৮ রান করেন। দিনের দ্বিতীয় সেশনে তিনি ১৭৩ রান যোগ করেছিলেন, যা এখন পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় সেশনে সর্বাধিক ব্যক্তিগত সংগ্রহ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডেনিস কম্পটন তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ১৯৫৭ সালে। মার্চের ১ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। ইংল্যান্ডের হয়ে ৭৮টি টেস্টে ৫০.০৬ ব্যাটিং গড়ে ৫,৮০৭ রান করেছিলেন কম্পটন। ১৭টি শতক এবং ২৮টি অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেছিলেন তার ক্যারিয়ারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত বোলিং না করলেও ৬৬ ইনিংস বোলিং করে শিকার করেছেন ২৫টি উইকেট।
শতকের শতক হাঁকানোদের একজন ডেনিস কম্পটনের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ১৯৩৬ সালে। ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। ২৮ বছরের প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারে তিনি হাঁকিয়েছেন ১২৩টি শতক। এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৫ জন ক্রিকেটার শতকের শতক হাঁকাতে পেরেছেন।
মিডলসেক্সের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলা ডেনিস কম্পটন তার ক্যারিয়ারে ৫১৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৫১.৮৫ ব্যাটিং গড়ে ৩৮,৯৪২ রান করেছিলেন, হাঁকিয়েছেন ১২৩টি শতক এবং ১৮৩টি অর্ধশতক। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বল হাতে বেশ কার্যকরী ছিলেন তিনি। এই ফরম্যাটে তার শিকার সংখ্যা ৬২২টি।
ডেনিস কম্পটনের ফুটবল ক্যারিয়ার
বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য তাকে সবাই ক্রিকেটার হিসাবেই বেশি চিনেন। কিন্তু ফুটবলেও তিনি কম যাননি। ১৯৩২ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে আর্সেনালের জুনিয়র ক্লাবে যোগদান করেন। ১৯৩৬ সালে আর্সেনালের হয়ে ক্লাব পর্যায়ে খেলেন। ফুটবলে লেফট উইঙ্গার হিসাবে খেলতেন তিনি।
ক্রিকেটে যেমন ত্রিশ বছর বয়সের পরেও দিব্যি খেলা যায় ফুটবলে ঠিক তেমনটা পারা যায় না। ফুটবলে দ্রুতগতিতে দৌড়ানোর একটা ব্যাপার আছে, যা বয়সের সাথে সাথে হ্রাস পায়। তার ফুটবল ক্যারিয়ারের সিংহভাগ সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাথে হারিয়ে গেছে। সেসময়ে তিনি ১২০টি ক্লাব পর্যায়ের ম্যাচ খেলে ৭৪টি গোল করেছিলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ১২টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এসব কিছুই রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিতে পারেনি। আর্সেনালের হয়ে ১৯৪৮ সালে লীগ শিরোপা এবং ১৯৫০ সালে এফএ কাপ জিতেন তিনি। ক্লাব পর্যায়ে আর্সেনালের হয়ে ৫৪ ম্যাচে ১৫টি গোল করেছিলেন।
ডেনিস কম্পটনের বংশধর
ডেনিস কম্পটন থেকে নিক কম্পটন। পারিবারিকভাবে ক্রিকেটের প্রতি কম্পটন পরিবারের একটা রক্তের সম্পর্ক আছে।
ডেনিস কম্পটনের বড় ভাই লেসলি কম্পটনও মিডলসেক্সের হয়ে ২৭৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি তার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক ম্যাচ বন্ধ না থাকলে সে আশাও হয়তো পূরণ হয়ে যেত। ছোটভাইয়ের মতো লেসলিও আর্সেনালের হয়ে ফুটবল খেলেছিলেন। ডেনিস কম্পটন তিন বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে ভূমিষ্ঠ হয় প্যাট্রিক এবং রিচার্ড নামের দুই পুত্র সন্তান। তার দুই ছেলে প্যাট্রিক এবং রিচার্ড নাটালের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন। দুইজনই খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি।
রিচার্ড কম্পটনের ছেলে নিক কম্পটন ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। সাউথ আফ্রিকার ডারবানে জন্মগ্রহণ করলেও ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬টি টেস্ট ম্যাচে ২টি শতক এবং ২টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৭৭৫ রান করেছেন নিক কম্পটন।
তার প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারও বেশ সমৃদ্ধ। মিডলসেক্সের এই ব্যাটসম্যান ১৭৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪০.৯৮ ব্যাটিং গড়ে ১১,২৭০ রান করেছেন। ২৫টি শতক এবং ৫৫টি অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেছেন তার ক্যারিয়ারে। নিক কম্পটনের বড় গুণ বাইশ গজে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা। আধুনিক যুগের ব্যাটসম্যান হলেও ব্যাট করেন নিখুঁত টেস্ট মেজাজে।
নিক কম্পটন ২০১৩ সালে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া ২০০১, ২০০২ এবং ২০০৬ সালে ডেনিস কম্পটন ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড পান।
ডেনিস কম্পটনের বিদায়
‘২৩’ সংখ্যাটির সাথে ডেনিস কম্পটনের নিশ্চয় কোনো না কোনো যোগসূত্র আছে। ১৯১৮ সালের ‘২৩’ মে জন্মগ্রহণ করা ডেনিস কম্পটন তার ৭৯তম জন্মদিনের ঠিক এক মাস আগে ১৯৯৭ সালের ‘২৩’ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। তার প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারেও শতকের সংখ্যা ১২৩টি।
তার জীবনের সাথে আরো একটি কাকতালীয় সংখ্যা হলো ‘৭৮’। ইংল্যান্ডের হয়ে ৭৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলা ডেনিস কম্পটন এই পৃথিবীর আলো বাতাস দেখেছেন ৭৮ বছর! ১৯৯৩ সালে তিনি হার্টফোর্ডশায়ারের শেনলি ক্রিকেট সেন্টারে অবস্থিত প্রধান ক্রিকেট মাঠটি উদ্বোধন করেন। তারপর তার সম্মানার্থে মাঠটির নাম পরিবর্তন করে ‘ডেনিস কম্পটন’ ওভাল নামে নামকরণ করা হয়। এছাড়া লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডেও তার নামে একটি স্ট্যান্ড রয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে অ্যাশেজের ম্যান অব দ্য সিরিজকে কম্পটন-মিলার পদক দেওয়া হয়। এই দুই ক্রিকেটারের বন্ধুত্বকে সম্মান দিয়েই এই পদকের নামকরণ করা হয়। ডেনিস কম্পটন ২০০৯ সালে আইসিসি ক্রিকেট হল অফ ফেমে জায়গা করে নেন। রিচি বেনো, গ্রাহাম গুচ, ফ্রাঙ্ক ওলি, হ্যারল্ড লারউডের সাথে তাকেও এই সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
সুদর্শন চেহারা, ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলার পাশাপাশি বিখ্যাত ‘Brylcreem’ প্রোডাক্টের পোস্টার বয়ও ছিলেন তিনি। প্রকৃত অলরাউন্ডার তো তাকেই বলা যায়।
তথ্যসূত্র
১. espncricinfo.com/ci/content/player/10777.html
২. en.m.wikipedia.org/wiki/Denis_Compton
৩. arsenal.com/history/profiles/142/denis-compton
৪. espncricinfo.com/england/content/player/11718.html