নিউ সাউথ ওয়েলস এবং অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার ডগ বলিঞ্জার সবধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে শেষ মৌসুমে মাত্র তিনটি ওডিআই এবং সিডনি সিক্সার্সের হয়ে বিগ ব্যাশে দুটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন বাঁহাতি এই গতি তারকা।৩৬ বছর বয়সী ডগ বলিঞ্জার বিদায় বেলায় বলেন, নিউ সাউথ ওয়েলসে আমার প্রথম অধিনায়ক ছিলো স্টিভ ওয়াহ, যা ছিল অবিশ্বাস্য। আমি নিউ সাউথ ওয়েলস এবং অস্ট্রেলিয়ায় দুর্দান্ত সব অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলেছি, যার মধ্যে স্টিভ ওয়াহ, রিকি পন্টিং এবং মাইকেল ক্লার্কও ছিলো।
আমার ঘরের মাঠ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ১৫ বা ১৬ মৌসুম খেলতে পারা অসাধারণ ব্যাপার। এটা অসাধারণ সফর ছিলো। আমি অনেক চমৎকার ব্যক্তিত্বের দেখা পেয়েছি এবং আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি। ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলসের অসাধারণ সব কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যারা আমার পথচলায় সাহায্য করেছেন। “এখন সময় হয়েছে আমার সহধর্মিণী টেগান এবং সন্তান স্কাই ও লিয়ামকে সাথে নিয়ে জীবনের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার। তাদের ছাড়া আমি সবকিছু অর্জন করতে পারতাম না।”
২০০৯ সালের জানুয়ারির ৩ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডগ বলিঞ্জারের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের ৩ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন তিনি। এরপর আর ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ পরে মাঠে নামা হয়নি তার। প্রায় দুই বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১২টি টেস্টে ৫০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ২০০৯-১০ মৌসুমে সাতটি টেস্টে ৩৭ উইকেট এবং ১৭টি ওডিআইতে ২৮ উইকেট শিকার করে আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ও ওডিআই দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ডগ বলিঞ্জার মাত্র ৩৯টি ওডিআইতে ৬২ উইকেট এবং নয়টি টি-টুয়েন্টিতে নয় উইকেট শিকার করেছেন।
২০০২/০৩ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এবং লিস্ট-এ ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে বলিঞ্জারের। তিনি ১২৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪১১ উইকেট। ১৩৪টি লিস্ট-এ ম্যাচে ২০৩ উইকেট এবং ১২৯টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে ১৩৯ উইকেট শিকার করেছেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে তিনি তিনটি হ্যাটট্রিক সহ ২৯০ উইকেট শিকার করেছেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারদের তালিকায় তিনি তৃতীয় স্থানে আছেন।
ফিচার ইমেজ – Zimbio.com