ক্রিকেটাররা পইপই করে বলে আসছিলেন। সংবাদমাধ্যমেও যার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে অগুণতি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তারাও গুরুত্ব অনুভব করেছেন, বছরান্তে অন্তত একবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বাস্তবে যার প্রয়োগ আসলে হয়ে উঠেনি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টির বাইরে দেশীয় ক্রিকেটারদের জন্য এই ফরম্যাটের আরেকটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের আলোচনা গত কয়েক বছর ধরেই অব্যাহত ছিল। প্রতিবারই বিপিএলে দেখা যায়, স্থানীয় ক্রিকেটাররা কোণঠাসা হয়ে থাকেন বিদেশিদের পারফরম্যান্সের মিছিলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো বিপিএলকে ‘বিদেশি প্রিমিয়ার লিগ’ অ্যাখ্যা দিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। কার্যত এই তীর্যক বান পুরোপুরি অসত্য নয়।
চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে স্থানীয় ক্রিকেটাররা যখন বিপিএলে জ্বলে উঠতে শুরু করেন, ততক্ষণে টুর্নামেন্ট চলে যায় শেষের দুয়ারে। অবশ্য তাদের জন্য বিপিএলে পারফর্ম করা কঠিন কর্মই বটে। কারণ বছরে টি-টোয়েন্টি চর্চার সুযোগ যে শুধু ওই এক বিপিএলই। তাও বছরে একবার, এক মাস জুড়ে। বাকি ১১ মাসে তিন ঘন্টার ‘শো’ টি-টোয়েন্টির সংশ্রবে থাকেন না দেশীয় ক্রিকেটাররা। যার প্রভাবই বিরাজমান থাকে বিপিএলে তাদের পারফরম্যান্সে। ম্রিয়মান পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচনা, অক্ষমতার গুঞ্জনাও শুনতে হয়। আবার এর প্রভাব টের পাওয়া যায় জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে। কারণ এই ফরম্যাটে এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ২০ ওভারের এই ক্রিকেটে আছে স্কিল, মেধা, পরিকল্পনা, সাহসের প্রয়োগ। দরকার হয় পাওয়ার ক্রিকেটের। তাই আর্বিভাবের পর যতটা ভাবা হয়েছিলো, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ততটা সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ।
অবশেষে বোধোদয় হয়েছে বিসিবির। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের মূল ওয়ানডে আসরের আগে ১২টি ক্লাব নিয়ে আয়োজন করা হয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আট দিনের (গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ) সংক্ষিপ্ত সময়ে আয়োজিত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বলা চলে চোখ খুলে দিয়েছে সবার। প্রিমিয়ার লিগের ১২টি ক্লাবের অংশগ্রহণে সদ্য সমাপ্ত টুর্নামেন্টটা জাগিয়েছে অনেক সম্ভাবনার দুয়ার। যেখানে অন্তত দু’টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে ক্লাবগুলো।
জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই খেলা হয়েছে। তারপরও গোটা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই টুর্নামেন্ট। ফতুল্লা ও মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ১৫ ম্যাচের টুর্নামেন্টের সফলতা সবার দৃষ্টি কেড়েছে। কী ছিল না এই টুর্নামেন্টে! বড় স্কোর হয়েছে, পাওয়ার হিটিং ফিরেছে ঘরে, রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার সমাপ্তিও ছিল নিয়মিত, সুপার ওভারের রোমাঞ্চ ছিল, সর্বোপরি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝ রমরমা ছিল। গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়েছিলো ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে বড় দল আবাহনী ক্রীড়াচক্র, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
বিপুল সংখ্যক দর্শকের হর্ষধ্বনির মাঝে গত ৪ মার্চ ফাইনালে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে ২৪ রানে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ক্রিকেটে শেখ জামালের এটি প্রথম ট্রফি। নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে ফরহাদ রেজার প্রতিরোধ টপকে চ্যাম্পিয়ন হয় শেখ জামাল। এবং বলা বাহুল্য, ক্লাবটি অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স সমাচার
টুর্নামেন্টে দলীয় সর্বোচ্চ রান (১৯২/৪) করেছিলো শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, মোহামেডানের বিপক্ষে। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার রুবেল মিয়া (৫৬ বলে ৭৬)। তিন ম্যাচে ১২৯ রান করে আসরের সেরা ব্যাটসম্যানও তিনি। একশো’র বেশি রান করেছেন ছয় ব্যাটসম্যান। নুরুল হাসান সোহান ১২৪, শুভাগত হোম ১২১, ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ১১০, ফরহাদ রেজা ১১০ এবং সাইফ হাসান ১০৫ রান করেছেন।
সর্বোচ্চ ১১টি ছক্কা মেরেছেন শুভাগত হোম, ১০টি ফরহাদ রেজা। চার ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে বোলারদের শীর্ষে ফরহাদ রেজা ও শহীদুল ইসলাম। ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইনিংসে সেরা বোলিংও ফরহাদ রেজার। টুর্নামেন্টের প্রথম দিনেই (২৫ ফেব্রুয়ারি) ফতুল্লায় বিকেএসপির বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছেন প্রাইম দোলেশ্বরের তরুণ ডানহাতি পেসার মানিক খান। ওই ম্যাচে ১২ রানে চার উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
আবার ওই ম্যাচেই দর্শকরা দেখেছিলেন সুপার ওভারের রোমাঞ্চ। প্রাইম দোলেশ্বরের ৯ উইকেটে ১১১ রানের জবাবে বিকেএসপিও নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১১ রানে অলআউট হয়। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। আগে ব্যাট করে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারে ঠাসা বিকেএসপি করেছিলো ৬ রান। বিকেএসপি’র তরুণ সুমন খান এই রানটাই রুখে দিয়েছেন। প্রাইম দোলেশ্বর ৭ রান তুলতে পারেনি, তারা ৪ রান করতে সমর্থ হয়। সুপার ওভারে ২ রানের অবিশ্বাস্য জয় পায় বিকেএসপি।
অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মধ্যে ফরহাদ রেজা, শুভাগত হোম, ইমতিয়াজ হোসেন তান্না, নুরুল হাসান সোহানরা নিজেদের কার্যকারিতা তুলে ধরেছেন। বিস্ফোরক ব্যাটিংটা নতুন করে দেখিয়েছেন শুভাগত হোম, ফরহাদ রেজা, জিয়াউর রহমান। সেমিফাইনালে শাইনপুকুরের বিরুদ্ধে ২৯ বলে অপরাজিত ৭২ রানের (৪ চার, ৭ ছয়) খেলেছেন হার্ডহিটার হিসেবে পরিচিত জিয়া। শুভাগত ১৮ বলে অপরাজিত ৫৮, ১০ বলে ৩২ রানের চোখ-ধাঁধানো ইনিংস উপহার দিয়েছেন। অভিজ্ঞ ফরহাদ রেজা কার্যকর বোলিংয়ের পাশাপাশি লোয়ার অর্ডারে নেমে ব্যাটিংয়ে বেশ কয়েকটি ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। টুর্নামেন্টের শেষ তিন ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরের দু’টি জয়ের মূল রসদ ফরহাদ রেজার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ব্যাটিংয়ে ১০৭ রান ও বোলিংয়ে ১১ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।
তবে ভিন্ন রকম অর্জনে ভাস্বর হয়েছে ইমতিয়াজ হোসেন তান্না। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সাথে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সর্বপ্রথম হয়েছিলো ২০১৬ সালে। সেবার ফাইনালে আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, তামিম ইকবালদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো মোহামেডান। ওই ফাইনালে ৫০ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন ইমতিয়াজ। ১৩ বছর পর আবার ফাইনালে হাফ সেঞ্চুরি পেলেন তান্না। এবার ৪৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
রুবেল মিয়া ছাড়াও বেশ কয়েকজন তরুণ ব্যাটিংয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। শাইনপুকুরে হয়ে আফিফ হোসেন ধ্রুব, সাব্বির হোসেন (ডানহাতি ওপেনার), প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে সাইফ হাসান, মোহাম্মদ আরাফাতরা (বাঁহাতি ওপেনার) ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন। শেখ জামালের বাঁহাতি ওপেনার ফারদিন হোসেন নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন। আরিফুল হক, নাজমুল মিলনরা ছোটখাটো ইনিংস খেললেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি এনামুল হক বিজয়, নাসির হোসেনদের ব্যাট।
৬৫ ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টি অভিষেক
প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নানাভাবেই নজর কেড়েছে। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির অনভ্যস্ততার জাল ভাঙার মঞ্চ এই টুর্নামেন্ট। আটদিনের টুর্নামেন্টে ৬৫ জন ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টি অভিষেকই বলে দেয়, এই ফরম্যাটটার চর্চা আমাদের তৃণমূলেও কতটা অপ্রতুল। অভিষিক্তদের তালিকায় অনেক পরিচিত নাম রয়েছে, যারা কয়েক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন।
এই টুর্নামেন্টে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হওয়া ক্রিকেটাররা হলেন; সালাউদ্দিন পাপ্পু, সাব্বির হোসেন, মোহাম্মদ রাকিব, সুজন হাওলাদার, টিপু সুলতান, রবিউল ইসলাম রবি, সাদিকুর রহমান, মইনুল ইসলাম, মাসুম খান, রাফসান আল মাহমুদ, অমিত মজুমদার, রিশাদ হোসেন, ইরফান হোসেন, ফারদিন হোসেন, শাহবাজ চৌহান, সালাউদ্দিন শাকিল, ফাহাদ আহমেদ, রাতুল খান, পারভেজ হোসেন ইমন, আমিনুল ইসলাম, শামীম হোসেন, আকবর আলী, আব্দুল কাইয়ুম, নওশাদ ইকবাল, সুমন খান, মুকিদুল ইসলাম, হাসান মুরাদ, মোহাম্মদ আরাফাত, সাইফ হাসান, মানিক খান, মুনিম শাহরিয়ার, জাহিদ জাবেদ, শাকিল হোসেন, আরিফুল হাসান, শরীফুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন, রনি হোসেন, মেহেদী হাসান, সাদমান রহমান, ওয়ালিউল করিম, সাজ্জাদুল হক, তৌহিদ তারেক, রায়হান উদ্দিন, অভিষেক মিত্র, মোসাদ্দেক ইফতেখার, তানজিদ হাসান, আনিসুল ইসলাম ইমন, জনি তালুকদার, মোহিমিনুল খান, মিনহাজ খান, শাকির হোসেন শুভ্র, নাইমুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, সোহেল রানা, সাজ্জাদ হোসেন, নাহিদ হাসান, জাহিদুজ্জামান, রুবেল মিয়া, মিনহাজুল আবেদীন, আসাদুজ্জামান পায়েল, জাকারিয়া ইসলাম, আজমীর আহমেদ, মিনহাজুর রহমান, রুহেল আহমেদ, আসলাম হোসেন।
টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা এখন সবার প্রত্যাশা
প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের বয়স যত বেড়েছে, দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে ততই আলোচনা বেড়েছে, এই টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা ধরা রাখার বিষয় নিয়ে। ক্রিকেটার, কোচ, কর্মকর্তা সবার চাওয়া বছরে অন্তত একবার আয়োজন হোক এমন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, যেখানে শুধু দেশীয় ক্রিকেটাররা খেলবেন।
ফতুল্লা, মিরপুরে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো দেখেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সেই অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন,
‘খুব ভালো টুর্নামেন্ট হয়েছে। আমাদের দেশের ক্রিকেটারদের জন্য খুব ভালো প্ল্যাটফর্ম। এখন প্রতি বছর আয়োজন করতে পারলে ভালো হবে।’
টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান নির্বাচক আরও বলেছেন,
‘ধারাবাহিকতা কিন্তু পুরোপুরি দরকার। কারণ এই ফরম্যাটে তো আমাদের ওইরকম ভালো প্লেয়ার নেই। তারপর আমাদের পারফরম্যান্সও কিন্তু আহামরি না। যেটা আমরা বিপিএলে চাই, আমাদের প্লেয়াররা বিশেষ করে তরুণরা আরও ভালো করুক। এই টুর্নামেন্ট যদি কয়েকবার করা যায়, দেখবেন আমরা এই ফরম্যাটের জন্য ১০-১২টা প্লেয়ার পেয়ে যাব।’
প্রতি বছরই হবে এই টুর্নামেন্ট: বিসিবি সভাপতি
ফাইনালে মিরপুরে হাজির ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গ্যালারিতে বিপুলসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই দেখে বিমোহিত তিনি। ফাইনালের পরই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন, প্রতি বছরই আয়োজন করা হবে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।
টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছেন,
‘এটা প্রিমিয়ার লিগের সাথেই থাকবে, প্রিমিয়ার লিগ না হলেও এটা হবে। মানে এটা প্রতি বছর থাকবে, এটাই হলো কথা। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকুক বা না থাকুক, এই আসর হবেই ঘরোয়াতে। যেহেতু এটার সাথে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের থাকা বা না থাকার পার্থক্য নাই, সেহেতু আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এটা চালু হয়েছে এবং এটা থাকবে।’
জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার, বিদেশি ক্রিকেটারদের ছাড়াই টুর্নামেন্টের এমন সফলতা মনে ধরেছে বোর্ড সভাপতির। নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন,
‘সবচেয়ে ভালো লেগেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটার বা বিদেশী ক্রিকেটার ছাড়া একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসর হতে পারে, যেটায় বাংলাদেশের মানুষের খুব আগ্রহ আছে। এটা ভালো লেগেছে।’
এই টুর্নামেন্ট থেকেও জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার পাওয়া সম্ভব। বোর্ড সভাপতির বিশ্বাস,
‘বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার আছে যারা প্রতিভাবান, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এরা ভবিষ্যতে জাতীয় দলেও আসতে পারে।’
টুর্নামেন্টে খেলেছেন এবং শেষ দিকে ধারাভাষ্যও দিয়েছেন শাহরিয়ার নাফীস। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের পরামর্শ ছিল, আগামীতে দু’টি গ্রুপে ভাগ করা হোক ক্লাবগুলোকে। যেন প্রতিটি দল অন্তত ৫টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। শাহরিয়ার নাফিসের মতে, এটি আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য আশার আলো। টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা থাকলে অচিরেই এর সুফল পাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।