আপনি টানা পাঁচদিন টেস্ট ম্যাচ দেখেন না। প্রথম দেড়দিন, আর শেষদিন; এই আপনার টেস্ট। তো এভাবেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন, কিন্তু পঞ্চম দিন টিভি খুলে দেখলেন কিচ্ছু নেই। মানে কী! ম্যাচ কি তাহলে তিনদিনেই শেষ! নাকি চারদিনে! অবাক তখন হলেন, যখন দেখলেন পাঁচদিন বলে আসলে কিছু রাখাই হয়নি। বছরের পর বছর ক্রিকেটের সম্ভ্রান্ত ফরম্যাট সাদা পোশাকের টেস্ট। আর সেই টেস্ট ক্রিকেটের দৈর্ঘ্য কমিয়ে যখন পাঁচদিন থেকে চারদিনে আনার পরিকল্পনার ‘গালগল্প’ শুনবেন, তখন এমন অদ্ভুত অনুভূতিই মনে হবে।
আর যেভাবে এ নিয়ে আলোচনা উদ্যোগ শুরু হয়েছে, তাতে ব্যাপারটা আর সত্যিই ‘গালগল্প’তে থেমে নেই। চারদিনের টেস্ট পরিকল্পনা এখন শতভাগ সত্যি। আর এই উদ্যোগ নিয়েছে ক্রিকেটেরই অভিভাবক সংস্থা স্বয়ং আইসিসি! তথ্যটা সবার আগে আসে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সিইও কেভিন রবার্টসের কাছ থেকে। গেল বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে একটি রেডিওতে প্রথম এ কথা জানান তিনি। আইসিসির ক্রিকেট কমিটির অনুমোদন পেলে নাকি ২০২৩ সাল থেকেই প্রস্তাবিত ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় সংস্করণে নতুন এই নিয়ম চালু হতে পারে।
কেভিন রবার্টসের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশিরভাগ ম্যাচই শেষ হচ্ছে চারদিনের মধ্যে। এছাড়া অর্থনৈতিক ব্যাপার তো রয়েছেই। মাঠে দর্শক টেনে আনা, টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাকে পুনরুদ্ধার করাসহ বিভিন্ন কারণেই আইসিসি টেস্টের দৈর্ঘ্য পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সাল থেকে গেল দুই বছরে চারদিনের মধ্যে শেষ হয়েছে চারদিনের মধ্যে। সে কারণেই আইসিসি নতুন করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তাদের ব্যাখ্যা, বাড়তি একদিন ছেঁটে ফেলতে পারলে ক্রিকেটের সূচীকে ঢেলে সাজানো যাবে।
আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি আন্তর্জাতিক কাঠামো তৈরি করা যা টেস্ট, ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি; এই তিন ধরনের ক্রিকেটকেই অর্থবহ করতে পারবে। আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে টেস্ট ক্রিকেটের টিকে থাকা নিয়ে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে। চারদিনের টেস্ট কি এমন একটা কিছু হয়ে উঠতে পারবে যা মানুষকে আরো আগ্রহী করে তুলবে? এর উত্তর জানতে হলে আমাদের পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এই ভাবনা থেকেই দিন-রাতের টেস্ট, গোলাপি বল, এবং নানা রকম প্রযুক্তি ব্যবহার করা শুরু হয়েছে।
তবে, নতুন এই ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন ক্রিকেটাররাই। সবচেয়ে বড় কারণ, টেস্ট ক্রিকেট পাঁচদিন থেকে চারদিনে আনলে প্রথম শ্রেণীর সাথে টেস্টের মর্যাদার পার্থক্য থাকব না। মুকুট হারাবে ক্রিকেটের ঐতিহ্য। অনেকে আবার পক্ষেও লড়ছেন। সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটাররা কী ভাবছেন, তা নিয়েই এই লেখা।
শেন ওয়ার্ন (অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি সাবেক লেগস্পিনার- ১৪৫ টেস্ট ম্যাচ)
কিংবদন্তি সাবেক লেগস্পিনার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন মনে করেন, চার দিনের টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের এখনই সময়। তবে, এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন তিনি।
বলেছেন,
আমি বলবো টেস্ট ম্যাচ চার দিনেরই হোক। প্রতিদিন ১০০ ওভার করে। ৪০ মিনিটের মধ্যাহ্নভোজের বিরতি আর ২০ মিনিটের চা পান বিরতি বাদ দিয়ে, আমার মনে হয় প্রতি ১০০ ওভারের মাঝে দুবার ৩০ মিনিটের বিরতি দিলে ভালো হয়।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে ৭০৮ উইকেট নেওয়া এই ক্রিকেটার আরও বলেন,
টেস্ট ক্রিকেটের নতুন এই ধারণাটা আরও বেশি দর্শকপ্রিয় হতে পারে। আমরা রোমাঞ্চকর ক্রিকেট দেখতে চাই। সেদিক থেকে বলতে গেলে, আওরা যদি ব্যাটে-বলে রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলতে না পারি, তাহলে টেস্ট ক্রিকেট খুব দ্রুতই তার মুকুট হারাবে।
গ্লেন ম্যাকগ্রা (অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি সাবেক ফাস্ট বোলার- ১২৪ টেস্ট ম্যাচ)
গ্লেন ম্যাকগ্রা টেস্টে ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজের নাম লিখে রেখেছেন কিংবদন্তির কাতারে। আইসিসির এমন ভাবনাকে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ক্রিকেটার একরকম ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেটের দৈর্ঘ্য ছোট হলে তিনি সহ্য করতে পারবেন না।
বলেছেন,
আমি টেস্ট ম্যাচকে যেভাবে দেখি, তাতে আমাকে খুব বেশি ঐতিহ্যবাদী মনে হবে। আমার কাছে পাঁচদিনের টেস্টই স্পেশাল। এটার দৈর্ঘ্য ছোট হলে ব্যাপারটাকে আমার চোখে ঘৃণার মনে হবে। ফরম্যাটকে এগিয়ে নিতে এবং আরও তরতাজা করতে গোলাপী বল, দিবারাত্রির টেস্ট; এগুলো দারুণ সিদ্ধান্ত। কিন্তু শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমি এটার একেবারেই বিরুদ্ধে।’
শচীন টেন্ডুলকার (ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তী – ২০০ টেস্ট)
টেস্ট ম্যাচকে পাঁচ দিন থেকে চার দিনে নিয়ে আসার পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তী এবং এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক ও সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক শচীন টেন্ডুলকার। তার মতে, যে উদ্দেশ্যে টেস্ট ক্রিকেটকে ছোট করতে চাওয়া হচ্ছে তা এভাবে সফল হবে না।
শচীন বলেন,
টেস্ট ক্রিকেটের একজন ভক্ত হিসেবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি, এভাবে আসলে ফরম্যাটটিকে (টেস্ট) মেরামত করা যাবে না। বছরের পর বছর ধরে যেভাবে টেস্ট খেলা হচ্ছে, সেভাবেই তা খেলা উচিত।
টেস্টে ৫১ সেঞ্চুরি ও ৬৮ হাফ সেঞ্চুরিতে মোট ১৫ হাজার ৯২১ রানের মালিক টেন্ডুলকার নিজের যুক্তির সহজ ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বলেছেন,
নতুন নিয়মে আপনি যখন দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ব্যাট করছেন, তখন আপনি জানেন ম্যাচের আর মাত্র আড়াই দিন আছে। এটা আপনার ক্রিকেটীয় পরিকল্পনায় অনেক পরিবর্তন আনবে। তাছাড়া টেস্টের প্রথম দিন হয় ফাস্ট বোলারের, পঞ্চম দিন স্পিনারের। সেক্ষেত্রে টেস্ট ম্যাচের পঞ্চম দিন বাদ দেওয়া মানে ফাস্ট বোলারের থেকে টেস্টের প্রথম দিন বাদ দেওয়া। পৃথিবীর এমন কোনো ফাস্ট বোলার নেই যে পাঁচদিনের উইকেটে বল করতে চায় না।
তিনি আরও বলেন,
টেস্টের পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে যেকোনো স্পিনার বল করতে চাইবে। কারণ প্রথম দিনের প্রথম সেশনে বল টার্ন করে না। উইকেট ভাঙতে সময় নেয়, যেটা আসলে পরিপূর্ণতা পায় পঞ্চম দিনে। এদিন টার্ন, বাউন্স সবকিছুই পাওয়া যায়। প্রথম দুদিনে এগুলোর কোনোকিছুই থাকে না। সেদিক থেকে বলতে গেলে, টেস্ট ম্যাচ চারদিনের হলে আমরা অনেক কিছু মিস করবো।
নাথান লায়ন, (অস্ট্রেলিয়ান অফস্পিনার- ৯৬ টেস্ট ম্যাচ)
অজি ক্রিকেটার নাথান লায়ন চারদিনের টেস্ট ভাবনাকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৯৬ টেস্ট ম্যাচে ৩৯০ উইকেট নেওয়া এই ক্রিকেটার বলেছেন,
আশা করি আইসিসি ভুলেও এটা নিয়ে ভাববে না।
তিনি বলেন,
হাস্যকর। আমি চারদিনের টেস্ট ম্যাচের ভক্ত নই। আমি বিশ্বাস করি টেস্ট ম্যাচকে চারদিনের দৈর্ঘ্যে নিয়ে এলে আমরা গাদাগাদা ড্র দেখতে পারবো, যেখানে পাঁচদিনের টেস্টের শেষদিনটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্যাপার হলো, আবহাওয়াতে বিভিন্ন উপাদান থাকে। কিন্তু অতীতের চেয়ে বর্তমানে উইকেট অনেক বেশি পাটা হয়ে যাচ্ছে, যেখানে যেকোনো দল বেশিক্ষণ ধরে ব্যাট করতে চাইবে; প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়াতে চাইবে। এক্ষেত্রে স্পিনার হিসেবে আপনাকে উইকেটে ভাঙন ধরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর এজন্য আরও একদিন, অর্থাৎ পাঁচদিন প্রয়োজন।
তবে পাঁচদিনের ক্রিকেট খেলার জন্য ফিটনেস খুব জরুরি বলে মনে করেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তার মতে,
এটা একধরনের চ্যালেঞ্জ (পাঁচদিনের), আপনি নিজেকে শারীরিক ও মানসিক; দুভাবেই চ্যালেঞ্জ করছেন। ব্যাপারটা পার্কে হেঁটে বেড়ানোর মতো না। পাঁচদিনের টেস্ট ম্যাচে কন্ডিশন আপনার অনুকূলে না হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে হয়। অবশ্যই আমি চারদিনের টেস্ট ম্যাচের ভাবনার বিপক্ষে।
রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক – ১৬৮ টেস্ট)
উপরের সবার মতোই অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই ভাবনারই বিরোধী।
বলেছেন,
আমি চারদিনের টেস্ট ম্যাচের ভাবনার বিরোধী। আবার একইসাথে, যারা এর পক্ষে তাদের কাছে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন,
গেল কয়েক বছরে অনেক টেস্ট চারদিনে ড্র হয়েছে, আমি তা জানি। আবার এটাও খেয়াল করেছি যে শেষ দশকে কতগুলো ম্যাচ ড্র হয়েছে। সে কারণেই চারদিনের টেস্ট ম্যাচের পরিকল্পনা বা ভাবনা দেখে আমি অবাক হচ্ছি। আমার মনে হয়, এই ব্যাপারটা কেউ দেখতে চাইছে না।
টেস্টের দৈর্ঘ্য ছোট করার পেছনে আর্থিক কারণ আছে তা বোঝেন পন্টিং। কিন্তু এটাই ম্যাচের দৈর্ঘ্য পরিবর্তনের জন্য মুখ্য নয়,
আমি টেস্ট ক্রিকেটের কমার্শিয়াল ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। সে কারণেই কি না বৃহস্পতিবারে শুরু করে রবিবারে ম্যাচ শেষ করতে চাইছে। আমি আসলে কারণ জানতে চাই। কী কারণে তারা এই ধরনের পরিকল্পনা করতে চাইছে আমি তা বুঝতে পারছি না। হতে পারে আমি অনেক বেশি ট্র্যাডিশনাল, যে জন্য যা একেবারে ভেঙে পড়েনি তা কেন ঠিক করা লাগবে বা পরিবর্তন করা লাগবে আমার তা বোধগম্য নয়।
ডেভিড হোয়াইট (নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের চীফ এক্সিকিউটিভ)
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সিইও টেস্ট ক্রিকেটের এই বদলে যাওয়া ভাবনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার মতে,
ভাবনাটা গুরুত্ব পাওয়ার দাবিদার। আইসিসির ওয়ার্ল্ড ইভেন্ট, দ্বিপাক্ষিক আয়োজন এবং ঘরোয়া লিগের ব্যস্ত সূচির এই দিনে চারদিনের টেস্ট এর পরিকল্পনা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।
কেশব মহারাজ, (দক্ষিণ আফ্রিকান বাঁহাতি স্পিনার- ৩০ টেস্ট)
দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ সাদা পোশাকের টেস্টে বরাবরই ঝলমলে। মাত্র ৩০ টেস্ট খেলেই ১১০ উইকেট নেওয়ার পরিসংখ্যান সেই প্রমাণই দেয়। ফরম্যটের দৈর্ঘ্য নিয়ে তার কোনো বাড়তি মাতামাতি নেই। পাঁচদিন হোক বা চারদিন, টেস্ট ফরম্যাট তার প্রিয়। আর এখানে নিয়মিত খেলতে পারলেই তিনি খুশি।
তাই তো বলেছেন,
আমি শুধু খেলতে চাই। পাঁচ দিন হলো, চারদিন হলো নাকি দুদিন; আমি শুধু জানি আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। আমি শুধু বল করতে চাই, ব্যাট হাতে কিছু রান পেতে চাই। টেস্ট ম্যাচের দৈর্ঘ্য নিয়ে আমার কোনো রকমের মাথা ব্যথা নেই, আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারলেই হচ্ছে।
ইয়ান বোথাম (কিংবদন্তি সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার- ১০২ টেস্ট)
জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার ইয়ান বোথাম, টেস্ট ক্রিকেটকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই, ঐতিহাসিকভাবে ম্যাচের পথচলাকে এগিয়ে নেওয়ারই পক্ষে তিনি। ১০২ টেস্টে ৩৮৩ উইকেট আর ৫,২০০ রান করা এই অলরাউন্ডার সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ খেয়াল করেছেন। সেখানে ইংল্যান্ড জয় পাওয়ার পর, চারদিনের টেস্ট ম্যাচের ভাবনাকে উড়িয়ে বর্তমান পদ্ধতিকেই ‘একা থাকতে’ দিতে বলেছেন।
ইংল্যান্ডের জয়ের প্রসংশা করে তিনি বলেছিলেন,
‘অসাধারণ খেলেছে ইংল্যান্ড। টেস্টের মজাই হলো পাঁচদিনে ম্যাচ শেষ হওয়া। ক্রিকেটের এই ফ্ল্যাগশিপকে একা থাকতে দিন, এটাই টেস্টের আসল রূপ। দক্ষতা, সাহস আর ধারাবাহিকতা… এটাই সত্যিকারের ক্রিকেট। যেমন আছে, তেমনই থাকতে দিন।’