ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনাল। তখনও ম্যাচের ৪৫ মিনিট অতিবাহিত হয়নি। গুইলের্মো স্টাবিলে দৌঁড়াচ্ছেন, ঠিক ডি বক্সের ডানপাশ ধরে। অপেক্ষায় আছেন কেউ তার উদ্দেশ্য বুঝে তার দিকে বল এগিয়ে দেবেন। একদম মোক্ষম মুহূর্তে বলটি তার পায়ে এসে পৌঁছালো। উরুগুয়ের কোনো খেলোয়াড় বুঝে ওঠার আগেই ডি বক্সের ডান প্রান্তে থাকা আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড স্টাবিলে বল তুলে মারলেন গোলবারের বামপাশে। প্রথমার্ধ শেষ হবার আগে ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালে ২-১ গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলো।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে উরুগুয়ের জালে বল জড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা। উরুগুয়েই উল্টো তাদের জালে ৩ গোল করে বসে। ফলে প্রথম বিশ্বকাপ জুলেরিমে ট্রফি আর্জেন্টিনা ঘরে তুলতে পারেনি। কিন্তু ফাইনালে ঐ ৩৭ মিনিটে গোল দিয়ে স্টাবিলে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল দিয়ে প্রথম বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন তিনি।
গুইলের্মো স্টাবিলের জন্ম বুয়েনস এইরেসে, ১৯০৫ সালের ১৭ জানুয়ারি। অল্প বয়স থেকে ফুটবলের সংস্পর্শে ছিলেন। স্থানীয় এক ক্লাব তার ফুটবল প্রতিভা দেখে তাকে প্রথমে দলে ভেড়ায়। ১৯২০ সালে অ্যাটলেটিকো উরাকানের মতো ক্লাবে খেলার সুযোগ হয় তার। মূল দলে জায়গা পান ১৯২৪ সালে। সেই বছর থেকে শুরু হয় স্টাবিলের উরাকান ক্লাবের হয়ে দীর্ঘ ছয় বছরের সুখস্মৃতির যাত্রার। ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে রাইট উইঙ্গার হিসেবে খেললেও পরে তিনি সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন।
আর্জেন্টিনারও তখন নিজেদের সেরা সময় পার করছে। দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় তারা ৪ বছরে তিনবার শিরোপা ঘরে তুলেছে। ওদিকে স্টাবিলের ক্লাব লিগে সফলতার পাশাপাশি তিনি নিজেও নিয়মিত গোল করছেন, কিন্তু জাতীয় দল থেকে কাঙ্ক্ষিত ডাক আসে না! অ্যাটলেটিকো উরাকানের হয়ে ৬ বছরের ক্যারিয়ারে স্টাবিলে ১১৯ ম্যাচে ১০২ গোল করে দর্শকদের প্রিয় পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। তার গোল করার বিশেষ দক্ষতার কারণে তাকে সমর্থকেরা ডাকত ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে। কিন্তু আর্জেন্টিনার সেরা সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা স্টাবিলেকে আর্জেন্টিনা উপেক্ষিতই রেখেছিলো।
১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হলে সেই প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনা দলে হুট করে ডাক পান স্টাবিলে। যদিও প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা কোচ তাকে মাঠে নামাননি। কিন্তু পরের ম্যাচে সুযোগটা ধরা দেয়। মেক্সিকোর বিপক্ষে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথমবার নেমে হ্যাটট্রিক তুলে নেন। পরবর্তীতে চিলি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও জোড়া গোল করেন তিনি। গোল পান বিশ্বকাপ ফাইনালেও। কিন্তু ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছালেও স্টাবিলে বিশ্বকাপ জয় করতে পারেননি। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৮ গোলের পুরস্কার হিসেবে ‘গোল্ডেন বুট’ নিয়ে তাকে খুশি থাকতে হয়। আর্জেন্টিনার হয়ে এই ৪ ম্যাচই খেলেছেন তিনি। ১৯৩০ সালে ফ্রান্সিসকো ওলাজার তাকে দলে না ডাকলে হয়তো বিশ্বকাপই খেলা হতো না।
১৯৩১-৩৩ এই সময়ে স্টাবিলে গুরুতর ইনজুরির সাথে লড়েছেন। প্রথম বিশ্বকাপের পর তিনি ইতালির ক্লাব জেনোয়াতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর জেনোয়াতে থাকলেও তিনি মাঠে নেমেছিলেন মাত্র ৪১ ম্যাচে। এরপর নাপোলিতে এক বছরের জন্য গেলেও ক্যারিয়ার আর তার হয়ে কথা বলেনি। ‘৩৪ বিশ্বকাপ ও আগের বছরে তার টিবিয়া ও ফিবুলার সমস্যার কারণে তিনি ফুটবল থেকে একদমই দূরে ছিলেন।
দারুণ এক বিশ্বকাপ কাটানোর পর স্টাবিলে দীর্ঘ ছয় বছরের মতো যুদ্ধ করেছেন ইনজুরির সাথেই। তবে একদম তিনি সময় নষ্ট করেননি। ক্যারিয়ারের এই দুর্দশার সময় তিনি ভবিষ্যতের কথা ভেবে ফুটবলের কোচিং সংক্রান্ত পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছিলেন। এমনকি খেলোয়াড় হয়েও জেনোয়াতে তার দ্বিতীয় মৌসুম কাটিয়েছিলেন সহকারী কোচ হিসেবে। ১৯৩০ বিশ্বকাপের পরেই স্টাবিলের খেলোয়াড়ি জীবন একরকম শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলকে বিদায় জানান ১৯৩৯ সালের দিকে। একইসাথে দায়িত্ব নেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও জেনোয়া ক্লাবের। অ্যাটলেটিকো উরাকান বা জেনোয়ার মতো ক্লাবেও তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন। তার হাত ধরে উঠে এসেছিলো অনেক তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়, যার ভেতর অন্যতম আলফ্রেড ডি স্টেফানোর মতো কিংবদন্তী। তবে তার ক্লাবের ম্যানেজার হয়ে সময় কাটানোর কথামালা আজ উহ্য থাক। কারণ, এই লেখাটি ৬টি কোপা আমেরিকা জেতার গল্প নিয়ে লেখা, যে কৃতিত্ব তাকে ফুটবল দুনিয়ায় মহান বানিয়ে রেখেছে।
১৯৩৯ সালে অ্যাঙ্গেল ফার্নান্দেজ রোকার পরিবর্তে আর্জেন্টিনার কোচের চেয়ারে বসেন গুইলের্মো স্টাবিলে। দীর্ঘ ১৯ বছর তিনি এই দলকে নিয়ন্ত্রণ করে গেছেন। আর্জেন্টিনার হয়ে কোচিং ক্যারিয়ারে প্রথম বড় সাফল্য পান ১৯৪১ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপে (বর্তমানে কোপা আমেরিকা)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শুরুর পর যে সময় পার্ল হারবার আক্রমণ হয়, তখন স্টাবিলে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম ট্রফি জেতেন। এই ১৯৪১ সাল রিভার প্লেট ক্লাবের জন্যও সফলতার বছর ছিলো। আয়োজক দেশ চিলি ও উরুগুয়ের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে সেবার আর্জেন্টিনা শিরোপা জিতে নেয়। স্টাবিলের ফুটবল দর্শনে সেই প্রতিযোগিতায় উত্থান ঘটেছিলো অ্যাটলেটিকো টাইগার্সের স্ট্রাইকার জুয়ান আন্দ্রেস মারভেজ্জির, যিনি ইকুয়েডরের বিপক্ষে ৫ গোল দিয়ে সেবারের দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন।
পরের বছরে শিরোপা অল্পের জন্য আর্জেন্টিনার ঘরে ওঠেনি। সে সময়ে কোপা আমেরিকার নিয়ম ছিলো বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগ বা লা লিগার মতো। একটি মাত্র গ্রুপে সব দল একে অন্যের বিপক্ষে খেলতো এবং শেষে যাদের পয়েন্ট সর্বোচ্চ থাকতো, তারা নির্বাচিত হতো চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। স্টাবিলের আর্জেন্টিনা শুধুমাত্র হেরেছিলো উরুগুয়ের বিপক্ষে। এই একমাত্র হারের জন্য উরুগুয়ের কাছে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ব্যবধান কমে যায়। তবে এই সংস্করণে আর্জেন্টিনা পেরুকে ১২-০ গোলে হারিয়েছিলো, যা এখনও এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল হবার রেকর্ড অক্ষুন্ন আছে।
এই প্রতিযোগিতার সময় স্টাবিলে অ্যাটলেটিকো উরাকানেরও কোচ ছিলেন। সেই ক্লাবে তিনি তৈরি করেছিলেন হেরমিনিয়ো মাসান্টোনিওর মতো স্ট্রাইকার, যিনি ১৯৪২ সালের দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। যদিও মাসান্টোনিওর সাথে জোসে ম্যানুয়েল মোরেনোও সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। জোসে মোরেনোকে বলা হয় আলফ্রেড ডি স্টেফানোর পর স্টাবিলের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। ১৯৪০-৫০ এর সময়ে আর্জেন্টিনার স্বর্ণযুগে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন জোসে মোরেনো। ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা আর্জেন্টিনা দলের সদস্য ফ্রান্সিসকো ভারাল্লো মোরেনো সম্পর্কে বলেছিলেন, “বর্তমানে মানুষ বলে, তারা ম্যারাডোনাকে দেখেছে। কিন্তু আমি বলবো, আমি মোরেনোকে দেখেছি। সে দুর্দান্ত ছিলো। আমার দেখা সেরা খেলোয়াড়, যার প্রশংসা আমি সবসময় করি।”
১৯৪১ সালের পর আবার দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়নসশিপ অনুষ্ঠিত হয় টানা তিন বছর। আর্জেন্টিনা দলে তখন একঝাঁক তারকা। কোচের দায়িত্বে তখনও স্টাবিলে। নরবের্তো মেন্ডেজ, কার্লোস মুনোজ ও ফেলিক্স লউস্তাও’রা এনে দেন ১৯৪৫ এর শিরোপা। ১৯৪৬ সালের আয়োজনে একটি ম্যাচও হারে না আর্জেন্টিনা। দেল না মাতা, লাবুর্না, রিনালদো মার্টিনো ও নর্বেতো মেন্ডেজের উপর ভর করে ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের মত দলের বিপক্ষে না হেরে শিরোপা জিতলো স্টাবিলের আর্জেন্টিনা। ১৯৪৭ সালে দেখা মিললো আরেক নায়কের আলফ্রেড ডি স্টেফানো। তিনি সেবারের আয়োজনে করলেন ৬ গোল, নর্বেতো মেন্ডেজও আবার করলেন ৬ গোল। আর্জেন্টিনা জিতলো টানা তিনটি কোপা আমেরিকার শিরোপা যা ১০১ বছরের ইতিহাসে এখনও অক্ষত।
টানা তিনটি শিরোপা জিততে আর্জেন্টিনা ৬৭ গোল দিয়েছিলো ১৮ ম্যাচে। এবং এই টানা তিন বছর আর্জেন্টিনা কোনো ম্যাচ হারেনি। স্টাবিলের ফুটবল কৌশলে আর্জেন্টিনার রক্ষণ, মধ্যমাঠ এবং আক্রমণভাগের সফলতা ছিলো অভাবনীয়। অথচ এই এই সাফল্যের পেছনে স্টাবিলের ট্যাকটিক্স বলতে তেমন কিছু ছিলো না। তিনি খুব সাধারণভাবে অসাধারণকে ছুঁতে পেরেছিলেন।
১৯৪৭ সালের পর ১৯৪৯ ও ১৯৫৩ সালে সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপে আর্জেন্টিনা অংশগ্রহণ করেনি। ১৯৫৫ সালে এই প্রতিযোগিতা আবার অনুষ্ঠিত হলে প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ায় ব্রাজিল, বলিভিয়া ও কলম্বিয়ার মতো দেশগুলো। পাঁচ দেশ নিয়ে সেবারের আয়োজনে খুব সহজেই চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। গোল্ডেন বুট জেতেন আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার রদোলফ মিচেল।
১৯৫৬ সালের আসরে আর্জেন্টিনার সেই দৃঢ় রক্ষণে চির ধরেছিলো। ফলে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ হেরে বসে তারা। শিরোপা জেতে পুরো টুর্নামেন্টে জয়ের বৃত্তে থাকা উরুগুয়ে। ১৯৫৭ এর আসরে আবার আর্জেন্টিনা স্বরূপে ফিরে আসে। হামবের্তো মাসচিও ও আন্তোনিও অ্যানজেলিনিওর মোট ১৭ গোলে আর্জেন্টিনা ১১ বারের মতো দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তোলে। আর গুইলের্মো স্টাবিলে কোচ হিসেবে সর্বোচ্চ ৬টি কোপা আমেরিকা জেতার রেকর্ড নিজের করে নেন।
১৯৫৯ সালের আসরেও আর্জেন্টিনা আবার শিরোপা জিতেছিলো। পেলে সেই আসরে ৮ টি গোল দিয়ে গোল্ডেন বুট জিতে নেন। ব্রাজিলের সাথে আর্জেন্টিনার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার কারণে আর্জেন্টিনাকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেই বছর আর্জেন্টিনার কোচের চেয়ারে স্টাবিলে ছিলেন না। কোপা আমেরিকায় এমন নিয়মিত সাফল্যের দেখা পেলেও বিশ্বকাপে স্টাবিলের দল খুব ভালো কিছু করতে পারেনি।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ৬-১ গোলে হেরে বসলে তিনি কোচের আসন ছেড়ে দেন। কিন্তু ১৯৬০ সালে আবার আর্জেন্টিনা বোর্ড তাকে ফিরিয়ে আনে। পুনরায় ১৯৬০ সালে কোচ হিসেবে ফিরে স্টাবিলে আর্জেন্টিনাকে প্যানামারিকান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতিয়ে দেন। তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যোগ হয় আরও একটি ট্রফি। সে বছর কোচের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে স্টাবিলে আর্জেন্টাইন ফুটবল পরিচালনার জাতীয় স্কুলের ডিরেক্টর পদে যোগদান করেন। ১৯৬৬ সালে মৃত্যুর আগপর্যন্ত এই পদেই ছিলেন তিনি।
একজন সফল কোচের ক্যারিয়ার ব্যাখ্যা করতে গেলে তার ফুটবল দর্শনকে তুলে ধরা হয়। গুইলের্মো স্টাবিলেকে ইতিহাস কখনোই একজন সেরা ট্যাকটিশিয়ান হিসেবে মনে রাখবে না। তার ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সেরা সময়ের কিছু খেলোয়াড়কে পেয়েছিলেন। তার পড়াশোনার সাহায্যে স্টাবিলে শুধু তাদের সঠিক ব্যবহার করেছিলেন। ইতিহাসবিদ জন প্রেস্তা তার সম্পর্কে বলেছেন, “স্টাবিলে ছিলেন একজন প্রেমিক, যিনি ফুটবলের ট্যাকটিক্স সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতেন না। শুধু সেরাদের বাছাই করে তাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানতেন।”
স্টাবিলের এই কৌশলে সেরাদের সেরা হয়ে উঠেছিলো রিনালদো মার্টিনো, নর্বেতো, লাবুর্না, লা মার্তা, জোসে মোরিনো এবং মারভেজ্জির মতো খেলোয়াড়েরা। স্টাবিলেকে ফুটবলপ্রেমী হিসেবে মনে রাখা উচিত; এমন একজন মানুষ, যিনি অসাধারণভাবে ফুটবলের জয়ের রেকর্ড ভেঙেছিলেন এই বিশ্বাসে যে, ফুটবল শুধু ইতিহাস রচনার জন্য নয়, ফুটবলকে ভালোবাসতে হয় ফুটবলের ভাষায়। তাহলে সাফল্য ও শিরোপা কখনও সোনার হরিণে পরিণত হয় না।