ক্রিকেট। কারো জন্য এটা স্রেফ খেলা, কারো জন্য প্যাশন। কেউ আরো এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে দাবি করেন, এটাই নাকি তাদের বেঁচে থাকার মাধ্যম।
তবে বিশ্বাস করুন, যারা এমন ভাবেন, তারাই কিন্তু খেলাটির ওপর সবচেয়ে বেশি অধিকার রাখেন না। ক্রিকেটের ওপর তারাই সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখতে পেরেছেন, যারা একে ব্যবসার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পেরেছেন।
ব্যবসা ও আর খেলার দুনিয়া – দুই জায়গাতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় তীব্র। তবে, খেলাধুলায় যেখানে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে অংশগ্রহণটাই মূল ব্যাপার, সেখানে ব্যবসায়ীরা বোঝেন কেবলই জয়, মানে লাভ। আর তাদের সেই লাভের হাতিয়ার অনেকবারই হয়েছে ক্রিকেট।
শুরুটা অবশ্যই করেন ক্যারি প্যাকার, অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া টাইকুন। ১৯৭৬ সালে তার চ্যানেল নাইন নেটওয়ার্ক অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচের সম্প্রচারস্বত্ব পেতে ব্যর্থ হয়। তাতে প্যাকার এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে, নিজেই রীতিমতো একটা ক্রিকেট আসর খুলে বসেন।
ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেট (ডব্লিউএসসি) কিংবা ক্যারি প্যাকার সিরিজ নামে পরিচিত সেই আসরে বসেছিল তারার মেলা। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড, ইংলিশ অধিনায়ক টনি গ্রেগ ও পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক ইমরান খানরা ছিলেন সেই আসরে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যে আয়োজিত দু’টি আসর ক্রিকেটের ভবিষ্যৎকেই আমূল পাল্টে দেয়।
ক্রিকেটের এক বিরাট বিপ্লব এই শতকেও হয়েছিল। তার নাম ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ (আইসিএল)। ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেট দিয়ে যদি ওয়ানডে ক্রিকেটের আধুনিকায়ন হয়, তাহলে বলতেই হয়, আইসিএল দিয়ে চূড়ান্ত আধুনিক রূপ পেয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। তবে আইসিএলের সুবাদে বেশ কয়েকদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গন বেশ বড় একটা সংকটে ভুগেছে, অস্তিত্বের সংকট। তার রেশ লেগেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটেও।
দিনটা ছিল ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৮। সুন্দর এক সকাল। আর দশটা দিনের মতোই অনেক সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছিল। কিন্তু, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সেই সকালটা ছিল অন্ধকারে মোড়ানো।
সেদিনই দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও বিতর্কিত ‘বিদ্রোহ’-এর সূত্রপাত হয়। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগের (আইসিএল) নবম দল হিসেবে যোগ হওয়া ঢাকা ওয়ারিয়র্সে যোগ দেওয়ার খবরটা সেদিনই প্রথম জানা যায়। আনুষ্ঠানিকতা হয় দু’দিন বাদে।
১৪ জনের সেই দলের ১২ জনই কোনো না কোনো সময় খেলেছেন জাতীয় দলে। কিছুদিন আগেই অধিনায়কত্ব ছাড়া হাবিবুল বাশার সুমন ছিলেন অধিনায়ক।
আফতাব আহমেদ, মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন, শাহরিয়ার নাফিস, অলক কাপালি, ধীমান ঘোষ, মোশাররফ হোসেন রুবেল, ফরহাদ রেজাদের মতো প্রতিভাবানরা জাতীয় দল ছেড়ে চলে এসেছিলেন। এসেছিলেন মোহাম্মদ রফিক ও মঞ্জুরুল ইসলামের মতো সাবেকরা। গোলাম মাবুদ কিংবা মাহবুবুল করিমের মতো প্রতিভাবানরাও বিসর্জন দিয়েছিলেন নিজেদের ঘরোয়া ক্যারিয়ার।
কী এমন ছিল সেই আইসিএলে? সেই ইতিহাসটা জানতে আরো একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যাত্রা শুরু ২০০৫ সালে। ইংলিশ কাউন্টির দেখাদেখি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরীক্ষামূলকভাবে এটা চালু হয়। সফল সেই যাত্রার পর ২০০৭ সালে হয় ক্রিকেটের নতুন আর সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটের প্রথম বিশ্বকাপ।
প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালেই মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল শেষে বিশ্বকাপের শিরোপা হাতে নেয় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। সেই ম্যাচটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উজ্জ্বল আগামীর ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছিল। যদিও তখন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধারণা একদমই ছিল না। টি-টোয়েন্টি দিয়েই যে একটা আলাদা লিগ চালু হতে পারে, সেই ধারণাও ছিল না।
এমন সময়ে দৃশ্যপটে আসলেন সুভাষ চন্দ্র, ভারতের জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী। তিনি ক্যারি প্যাক্যারের বাতলে দেওয়া কৌশলটাই বেছে নিলেন। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় পরবর্তী অবস্থাকে কাজে লাগাতে তিনি ভারতের ইতিহাসে প্রথম টি-টোয়েন্টি লিগ – আইসিএলের ধারণা দিলেন।
জি এন্টারটেইনমেন্ট এর আগেও বেশ কয়েকবার ভারতের আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বত্ত্ব পাওয়ার জন্য দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কাছে ধর্ণা দিয়েছিল। তবে কোনো লাভ হয়নি। কখনো টেন স্পোর্টস, কখনো বা স্টার স্পোর্টসের কাছে তিনি হেরে যাচ্ছিলেন। ফলে, সুভাষ বুঝতে পারছিলেন, ক্রমেই তার ক্রিকেট নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
সুভাষ এবার বিসিসিআইকে এর মধ্যেই আনলেন না। তিনি ভারতের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বড় কয়েকজন তারকাকে সাইন করলেন তাঁর এসেল গ্রুপে। আর এর জন্য তিনি শতাব্দী-প্রাচীন অস্ত্রটাই ব্যবহার করলেন, অর্থ! বিসিসিআই সাফ জানিয়ে দিল, আইসিএলে যারাই যোগ দেবে, তারাই বিদ্রোহী। বিসিসিআইয়ের মতো তাই বাদবাকি বেশিরভাগ ক্রিকেটীয় দেশগুলোও তাই বিসিসিআইয়ের চাপের মুখে আইসিএলে যোগ দেওয়াদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো।
অনেক চড়াই-উৎরাই পেরোনোর পর ২০০৭ সালের নভেম্বরে মাঠে গড়ালো আইসিএলের প্রথম আসর। গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান করা হলো ভারতের বিশ্বকাপজয়ী প্রথম অধিনায়ক কপিল দেবকে। কপিল তখন ভারতের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান। আইসিএলে যোগ দেওয়ায় বিসিসিআই তাকে বরখাস্ত করে। সাবেক উইকেটরক্ষক ও বিসিসিআইয়ের নির্বাচক কিরণ মোরে ও অস্ট্রেলিয়ার ডিন জোন্সও ছিলেন কার্যনির্বাহী পর্ষদে।
স্থানীয় ছয়টি দল অংশ নেয় প্রথম আসরে। সাথে একটা বিশ্ব সিরিজও হয়, যাতে ছিল ভারত, পাকিস্তান ও অবশিষ্ট বিশ্ব। দলগুলোতে ছিল তারকার ছড়াছড়ি। ব্রায়ান লারা, শেন বন্ড, সাকলায়েন মুশতাক, ল্যান্স ক্লুজনার, ক্রিস কেয়ার্নস, ইনজামাম-উল হক, পল নিক্সন, স্টুয়ার্ট ল, আব্দুল রাজ্জাক, বিক্রম সোলাঙ্কি, ক্রেইগ ম্যাকমিলান, ক্রিস হ্যারিস, তৌফিক উমর, নাথান অ্যাস্টল, ইমরান ফারহাত, দীনেশ মঙ্গিয়া, আজহার মেহমুদ, রোহান গাভাস্কার, উপুল চন্দনা, দীপ দাশগুপ্ত, বয়েড র্যানকিন, আম্বাতি রায়ুডু, রাসেল আর্নল্ড, ইয়ান হার্ভি, স্টুয়ার্ট বিনি, অ্যান্ড্রু হল – অনেকেই ছিলেন।
২০০৮ সালে দলের সংখ্যা বেড়ে হয় নয়টি। সেবারই প্রথমবারের মতো দু’টি বিদেশি দল যোগ হয়। লাহোর বাদশাহসের সাথে আসে ঢাকা ওয়ারিয়র্স।
বড় একটা ঝড় যে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আসতে চলেছে, তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কারণ, সেবারই ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন ছয় ক্রিকেটার – হাবিবুল বাশার, আফতাব আহমেদ, শাহরিয়ার নাফীস, ফরহাদ রেজা, ধীমান ঘোষ ও মোশাররফ হোসেন রুবেল। তখনই আইসিএলে যাওয়ার সন্দেহ করেছিল গণমাধ্যম, ১৬ সেপ্টেম্বর এর সত্যতা মেলে। ১৭ সেপ্টেম্বর আইসিএলে অংশ নিতে যাওয়া ১৪ বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবি।
কোচ করা হয় ভারতের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার বালবিন্দর সান্ধুকে। ২০০৮ সালের ১১ অক্টোবর আইসিএলের অভিষেক হয় ওয়ারিয়র্সের। অভিষেক ম্যাচে চেন্নাই সুপারস্টার্সের বিপক্ষে ছয় উইকেটে হারে দলটি। চারদিন বাদে হায়দরাবাদ হিরোজের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচটাও হারে হাবিবুল বাশারের দল। তবে, এই ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে। কারণ, ম্যাচে ৬০ বলে ১০০ রান করেন অলক কাপালি। এটাই ছিল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি।
২০ অক্টোবর নিজেদের প্রথম জয় পায় ঢাকা। তারা ৬২ রানের বড় ব্যবধানে হারায় দিল্লি জায়ান্টসকে। যদিও পাঁচদিন বাদেই কলকাতার দল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার্সের বিপক্ষে আট উইকেটের বড় পরাজয় বরণ করতে হয় ঢাকাকে।
ঢাকা জয়ে ফেরে ২৭ অক্টোবর। এখান থেকেই তাদের বদলে যাওয়ার সূচনা হয়। মুম্বাই চ্যাম্পস এদিন পরাজিত হয় ছয় উইকেটের ব্যবধানে। সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখার জন্য এই জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না।
এরপর পরের দুই ম্যাচে তারা হারায় চণ্ডিগড় লায়ন্স ও আহমেদাবাদ রকেটসকে। জয়ের ব্যবধান যথাক্রমে আট উইকেট ও ১৩ রানের। টানা তিন জয়ে টেবিলের নিচ থেকে হুট করেই দুই নম্বরে চলে আসে ঢাকা।
তবে সাত নভেম্বরের শেষ লিগ ম্যাচে তারা পাঁচ উইকেটে হেরে যায় লাহোর বাদশাহসের বিপক্ষে। ফলে পঞ্চম স্থানে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাশার-নাফীসদের।
আইসিএলের ধাক্কায় দল গঠন করতেই যখন হিমশিম খাচ্ছিল বিসিবি, তখন একটা চমক দেখিয়েছিল জাতীয় দল। বিদ্রোহের পর প্রথম যেই আন্তর্জাতিক ম্যাচটা খেলে বাংলাদেশ, তাতেই হারিয়ে দেয় নিউ জিল্যান্ডকে! আইসিএল শুরু হয় ১০ অক্টেবর। আর এর ঠিক একদিন আগে তিন উইকেটের ব্যবধানে নিউ জিল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ। সেটাই যেকোনো ফরম্যাটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়। ৮৫ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক। ৪৪ রান দিয়ে চার উইকেট নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
মাঠের ক্রিকেট দিয়ে অবশ্য কখনোই আলোচিত হতে পারেনি আইসিএল। কারণ, তাদের তেমন সুযোগই দেয়নি বিসিসিআই। ভেন্যু ও অবকাঠামো ব্যবহারে এসেল গ্রুপকে যতভাবে আটকানো যায়, তার পুরোটাই খুব দক্ষতার সাথে করতে পেরেছে বিসিসিআই। বিশ্বজুড়ে সম্প্রচার বন্ধেও বিসিসিআই তৎপর ছিল। এমনকি বাংলাদেশ সরকারও ২০০৮ সালের নভেম্বরে আইসিএল দেখানোর ব্যাপারে বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল দিগন্ত টিভির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এত কিছুর মধ্যে বিশ্বজুড়ে তো দূরের কথা, গোটা ভারতেই পৌঁছাতে পারছিল না আইসিএল। ফলে, লাভের অভাবে ক্রিকেটারদের পাওনা আটকে যাচ্ছিল।
তবে বিসিসিআইকে সবচেয়ে বড় ‘মাইলেজ’টা এনে দেন ললিত মোদি। তার মস্তিষ্কেই সর্বপ্রথম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ধারণা আসে। ২০০৮ সালেই আইপিএল প্রথমবারের মতো চালু হয়। প্রথম আসরেই ‘হিট’ হয় আইপিএল। অল্প সময়ের মধ্যেই সবাই বুঝে ফেলল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এই আইপিএল!
২০০৮ সাল থেকেই খেলোয়াড় হারাতে শুরু করে আইসিএল। বিশেষ করে বিসিসিআই যখন বিদ্রোহী ক্রিকেটারদের ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করে ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ করে দেয়, তখন আইসিএলের টিকে থাকার আর কোনো পথ খোলা ছিল না। ফলে, ২০০৯ সালেই আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিএলের ইতি টানে এসেল গ্রুপ।
বিসিবি বলে, ২০০৯ সালের ১৫ জুনের মধ্যে যেসব বাংলাদেশি খেলোয়াড় এসেল গ্রুপের সাথে চুক্তি বাতিল করবে, তাদের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের দরজা খুলে দেওয়া হবে। ক্রিকেটাররা বিসিবির কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। ১৬ জুন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফিরে নাফীস, আফতাব, নাজিমউদ্দিন, রেজা, মোশাররফরা পরে জাতীয় দলেও ফিরেছেন। অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন তো এখন জাতীয় দলের নির্বাচক।
এখন আর আইসিএল নিয়ে কেউ আর আলাপ করে না। টুর্নামেন্টটির একটা ভিডিও ক্লিপ খুঁজে বের করাও বেশ ঝক্কির কাজ। টেলিভিশনের পর্দায় কোনো বিশ্লেষকের মুখে এই টুর্নামেন্টের কোনো প্রসঙ্গ টানেন না। আইসিএল ফেরতরাও না পারতে সেই টুর্নামেন্টের স্মৃতিচারণা করতে চান না। ভাবখানা এমন যে, আইসিএল বলতে কোনোদিন কিছু ছিলও না!