পাকিস্তানের ক্রিকেটে ‘চাচা’ নামে পরিচিত ইফতিখার আহমেদ বর্তমানে খেলছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা এই ৩২ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান কিছুদিন আগেই পেয়েছেন তার প্রথম টি-টোয়েন্টি শতক। ক্রিকবাজকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন তার ডাকনাম, টেস্ট ও ওয়ানডেতে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়া, আদর্শ মিসবাহ-উল-হক এবং তার কোচ আবদুর রহমানের ব্যাপারে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার ব্যাপারে আপনি বেশ অভিজ্ঞ। আপনার চোখে বিপিএলের অবস্থান কোথায়?
আমি দারুণভাবে বিপিএল উপভোগ করছি। এখানে ক্রিকেটের মান অনেক ভালো; যতই বলে বোঝাতে চাই না কেন, কম মনে হবে। এর আগে আমার দুটো লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে (পিএসএল এবং এসএলপিএল)। যদিও প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলছি, তবুও আমি দারুণভাবে এটা অনুভব করছি।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ভালো করতে হলে একটা দলের কী কী প্রয়োজন?
টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আপনার টিম ম্যানেজমেন্ট কতটা শক্তিশালী, আপনার অধিনায়ক কতটা দক্ষতার সাথে দলের পরিবেশ বজায় রাখতে পারছেন, এগুলোর ওপর সবকিছু নির্ভর করে। দেখুন, আমরা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয়েছিলাম, কিন্তু আমি এখনো মনে করতে পারি ঐ ম্যাচের পরে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কী বলেছিলেন। সাকিব বলেছিলেন,
“আমাদের দলটা টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল। এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে এই ম্যাচে পরাজয়ের মাধ্যমে আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। আমরা ভালো দল, এবং আমাদের শেষটাও ভালোভাবেই হবে।”
– Shakib Al Hasan, Captain, Fortune Barishal
আমার মতে, মোমেন্টাম অর্জনের ক্ষেত্রে দলের অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটা পরিবার হিসেবে খেলতে পারছি, এবং এই কারণেই আমরা সাফল্য পাচ্ছি।
আপনি সম্প্রতি আপনার প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পেয়েছেন…
হ্যাঁ। এটা বিশেষ একটা মুহূর্ত ছিল আমার জন্য। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সেঞ্চুরি করার ইচ্ছাটা সবসময়ই পোষণ করতাম।
একজন লোয়ার-মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের জন্য টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পাওয়াটা খুব সহজ কোনো কাজ নয়। সাধারণত এমন ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা ভিন্ন থাকে, খেলার জন্য খুব বেশি বলও তাঁরা পান না।
দেখুন, এ পর্যন্ত আমি ৪৩টা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি, এবং আমার মতে, আমি পনেরো বা ষোলটি ম্যাচে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছি। বাকি ম্যাচগুলোতে আমি ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পাইনি, অথবা নেমেছি খুব কম সময়ের জন্য, দুই-তিন বলের জন্য। তবে আমি সবসময়ই সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, যদি দুটো বলও খেলতে পারি, তাতেই দলের জন্য অবদান রাখার।
একজন ব্যাটসম্যানের স্বাভাবিক মনস্তত্ব অনুসারে, আমি যত বল খেলব তত বেশি সেট হবো, এবং পারফর্ম করবো। কিন্তু আমি যখন ব্যাট হাতে অনুশীলনে যাই, এমন একটা অবস্থা মনে মনে ভেবে নিই, যেখানে আমার দলের তিন-চারটি উইকেট পড়ে গেছে, এবং আমাকে এখন আমার কাজটা করতে হবে। পাশাপাশি আমি মাথায় রাখার চেষ্টা করি যে আমার দল দ্রুত দুটো উইকেট হারিয়ে ফেলেছে, এখন আমি কীভাবে উইকেটে সেট হবো এবং সিঙ্গেলস-ডাবলসের মাধ্যমে দলের রানকে বাড়িয়ে নিব। উইকেটে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পরে তো আমাকে বাউন্ডারি আদায় করতে হবে, এবং আমি সেই চেষ্টাটাই করি। এরপরে আমি নিজেকে একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তা করি, এবং ইনিংসের শেষ অবধি ব্যাট করে খেলা শেষ করে আসার চেষ্টা করি। এভাবেই আমি অনুশীলন করি এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাকে আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেন।
এই মুহূর্তে আপনার বয়স ৩২ এবং আপনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো করছেন। তবে পৃথিবীর এই প্রান্তে, টি-টোয়েন্টি দলে তারুণ্যের বাড়তি চাহিদা দেখা যায়। এই ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
দেখুন, ক্রিকেটের সাথে সম্পর্কটা বয়সের নয়, পারফরম্যান্সের। আপনি যদি উনিশ বছর বয়সী ছেলেদের দলে চান, তাহলে অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে খেলোয়াড় আনুন। কিন্তু আপনি আপনার দলে অনূর্ধ্ব-১৯ বা অনূর্ধ্ব-১৬ এর কয়জন খেলোয়াড়কে চান? পুরো পাকিস্তানই তো তরুণ খেলোয়াড়ে ভর্তি। আপনাকে এমন খেলোয়াড় বেছে নিতে হবে যে দলের জন্য পারফর্ম করবে, এবং আপনাকে ম্যাচ জেতাবে। দেখুন, বিশ্বের অনেক দেশেই, বিশেষত ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিশোর্ধ্ব খেলোয়াড়দের নিঃসংকোচে দলে ভেড়ানো হয়। কেন? কারণ, ত্রিশ পেরোনোর পরে খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে পরিপক্ব হয় এবং পারফর্ম করতে শুরু করে। তাই লোকের কথায় সবসময় কান দিলে চলবে না।
কিন্তু পাকিস্তান যে সবসময়ই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বদলে দলে তরুণদেরকে চেয়ে এসেছে, এটা তো নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়…
হ্যাঁ, আমি এটা জানি, এবং একজন মানুষ হিসেবে এটা আমাকে কষ্ট দেয়। আমি জানি মানুষ কী বলতে চায়, কিন্তু তবুও আমি আমার মনোযোগটা ক্রিকেটেই রাখার চেষ্টা করি। লোকের কথা শুনলে দশ বছর আগেই আমাকে ক্রিকেট ছাড়তে হতো।
আমি আপনাকে উদাহরণ দেখাতে পারি। শোয়েব মালিক, মিসবাহ ভাই (মিসবাহ-উল-হক), ইউনিস ভাই (ইউনিস খান), অথবা বিশ্বের সব বড় বড় খেলোয়াড়রা, তারা ত্রিশের পরে কীভাবে এত কিছু অর্জন করেছে? এর কারণটা লুকিয়ে আছে তাদের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেসে। যদি সবকিছু লোকের কথায় চলতো, তাহলে পৃথিবীতে কোন কিছুই থাকত না।
কখনো কি মনে হয় যে লিস্ট-এ এবং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ভালো গড় (যথাক্রমে ৪৮.৬৫ এবং ৪০.৪৬) থাকা সত্ত্বেও আপনি ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন? পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপও কি হয় কখনো কখনো?
দেখুন, আপনি যদি আমার ওয়ানডে ক্যারিয়ার এবং পরিসংখ্যান নিয়ে কথা বলেন, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে বেশিরভাগ মানুষই আসলে খুব বেশি কিছু না বুঝেই বলে যে আমি ওয়ানডেতে পারফর্ম করতে পারিনি। আমি মূলত মিডল অর্ডারে খেলেছি, এবং আপনি দেখবেন যে বেশিরভাগ ইনিংসেই আমাকে নামতে হয়েছে যখন খুব অল্পসংখ্যক বল বাকি ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, আমি যখনই সুযোগ পেয়েছি, দলের জন্য খেলেছি এবং দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছি। প্রথম সাতটা ওয়ানডের মধ্যে চারটা ম্যাচ আমি জিতিয়েছি এবং এর মধ্যে দুটোতে আমি ছিলাম ম্যান অব দ্য ম্যাচ। তো, পারফর্ম করতে পারিনি, এই কথাটা ভুল।
আপনার টেস্ট ক্যারিয়ারের ব্যাপারে কী বলবেন?
দেখুন, আমি প্রথম টেস্ট খেলেছিলাম ইংল্যান্ডে, ২০১৬ সালে। ঐ ম্যাচে আমি একটা ইনিংসে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি আমার পরের টেস্ট ইনিংস খেলেছি ২০২০ সালে, অস্ট্রেলিয়ায়। এরপরে আমার তৃতীয় ইনিংস খেলেছি ২০২২ সালে। বুঝতেই পারছেন, মাঝে কতটা বিরতি পড়ে গেছে। যদি আপনি একজন খেলোয়াড়ের উন্নতি ঘটাতে চান, তাহলে তাকে ক্রমাগত সুযোগ দিতে হবে। এরপর আপনি তার কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্সের আশা করতে পারেন। আমার শেষ ইনিংসে আমি ২০ বা ২২ রানে অপরাজিত ছিলাম, এবং এরপরে আমি একাদশ থেকে বাদ পড়ি। এই বিষয়টা দুঃখজনক। পরের দুই ম্যাচে আমি দলে থাকলেও একাদশে সুযোগ পাইনি। এই ছোট ছোট জিনিসগুলো দুঃখ দেয়।
আর হ্যাঁ, আমি অবশ্যই নিজেকে দুর্ভাগা মনে করি। টেস্ট, ওয়ানডে দুটো ফরম্যাটই আমার পছন্দের। আলহামদুলিল্লাহ, আমি যখনই সুযোগ পেয়েছি, যে অবস্থায় সুযোগ পেয়েছি, পারফর্ম করেছি। তবে টেস্ট ও ওয়ানডেতে যেভাবে সুযোগ পেয়েছি… দেখা যাক, ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে আমার জন্য। আমি আমার দেশের জন্য পারফর্ম করে যেতে চাই।
খেলার ধরন এবং ক্যারিয়ারের লেখচিত্রের দিক থেকে, আপনার এবং মিসবাহ-উল-হকের মধ্যে অনেক মিল দেখা যায়। আপনি কি তার দ্বারা কোনভাবে প্রভাবান্বিত হয়েছিলেন?
মিসবাহ ভাই আমার সিনিয়র। আমি তাকে একজন মানুষ এবং একজন খেলোয়াড় হিসেবে অনেক পছন্দ করি এবং তাকে অনুসরণ করি। এসএনজি অয়েল ডিপার্টমেন্টে তিনি আমার অধিনায়ক ছিলেন, তার সামনে আমি পারফর্ম করেছি। পরে তো তার সামনেই আমার টেস্ট আর ওয়ানডে অভিষেক হলো। আমি তাকে খুবই সম্মান করি, আর সত্যি বলতে, পাকিস্তানে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হচ্ছিল, এবং আমি নিজেকে তৈরি করছিলাম, মিসবাহ ভাই আমাকে অনেক সমর্থন করেছিলেন। তিনিই আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এনেছিলেন। তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমি তাকে আমার আইডল মনে করি।
পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রসঙ্গে আসি। আপনার নেতৃত্বে খাইবার-পাখতুনখাওয়া ফাইটার্স একটা শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কীভাবে এটা সম্ভব হলো? আর পাকিস্তানের ঐ অঞ্চল থেকে কীভাবে এত এত খেলোয়াড় উঠে আসছে?
আপনি যদি খাইবার-পাখতুনখাওয়ার ছেলেদের দেখেন, তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং এই কারণে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে খুবই শক্তিশালী। খেলোয়াড়রা মূলত গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন, এবং সেখানে সুযোগ-সুবিধা সীমিত, কিন্তু তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই পারফর্ম করতে পারছে। মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম, ফখর জামান, নাসিম শাহ, শাহীনশাহ আফ্রিদি – ওদের প্রত্যেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। আর আপনি যদি তাদের ফিটনেস দেখেন, আলহামদুলিল্লাহ…
আর খাইবার-পাখতুনখাওয়ার ছেলেরা একটা পরিবারের মতো খেলে। আমরা এমনভাবে খেলি যেন এটা আমাদের নিজস্ব ক্লাবের একটি খেলা এবং আমরা এজন্য আমরা আমাদের সর্বস্ব উজাড় করে দিই। সবাই একে অপরের জন্য প্রার্থনা করতে থাকি, যেন সে পারফর্ম করতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা এমন একটা পরিবেশ তৈরি করি যেখানে সবাই পারফর্ম করতে পারে। আর আমরা অবশ্যই আমাদের কোচ আবদুর রহমান সাহেবের প্রতি কৃতজ্ঞ। কেননা তিনি যখন ২০১২ সালে এসেছিলেন, তখন তিনি কোয়েটার কোচ ছিলেন এবং তিনি পেশোয়ারে এসেছিলেন। আমি তার অধীনে অভিষিক্ত হয়েছিলাম এবং তার অধীনে আমার সমস্ত ক্রিকেট খেলেছি। আলহামদুলিল্লাহ, তিনি আমাকে যেভাবে সমর্থন করেছেন, এটা আর কেউ করতে পারবে না। আমরা যারা পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করছি, তারা তাঁর অধীনে খেলেছি এবং তিনি আমাদের সবসময়েই সমর্থন করেছিলেন। তিনিই আমাদের বলেছিলেন যে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারি, এবং তিনিই আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত করেছেন।
এবার আপনার ডাকনাম সম্পর্কে কিছু বলুন। কেন আপনাকে সবাই ‘চাচা’ বলে ডাকে?
এর পিছনে একটি ছোট গল্প আছে। জিম্বাবুয়েতে যখন আমি ব্রেন্ডন টেলরের বিপক্ষে বোলিং করছিলাম, উইকেট থেকে আমি কিছুটা স্পিন পাচ্ছিলাম। আমি বাবরকে (অধিনায়ক বাবর আজম) মিড উইকেট সরিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে নিয়ে যেতে বলেছিলাম, কেননা টেলর মিড উইকেট দিয়ে বল মারতে চাইলে বলের স্পিনের কারণে সেটা স্কয়ার লেগে যেতে পারে। বাবর বলেছিলেন যে, “টেলর তোমাকে ছক্কা মারবে”। আমি তাকে বলেছিলাম, “এটা শুধুই একটা ডেলিভারির জন্য, বেশি কিছু হবে না”। পরে বাবর ফিল্ডার পরিবর্তন করেন এবং পরের ডেলিভারিতে টেলর শট খেলার পরে সেটা সরাসরি স্কয়ার লেগে চলে যায় এবং তিনি আউট হয়ে যান। বাবর খুশি হয়ে বললেন যে, “তুমি ‘চাচা-ই-ক্রিকেট’ কারণ তোমার মস্তিষ্ক খুব তীক্ষ্ণ”। এই কথাগুলো স্টাম্প মাইকে শোনা গিয়েছিল, এবং যখন আমি ম্যাচশেষে আমার রুমে ফিরে আসি, তখন সবাইকে ‘চাচা-ই-ক্রিকেট’, ‘চাচা-ই-ক্রিকেট’ বলতে শুনে আমি অবাক হয়েছিলাম। পরে আমার এক বন্ধু আমাকে বলেছিল যে বাবরের গলার আওয়াজ মাইক্রোফোনে শোনা গিয়েছিল। তবে আমি যেটা বলি, মানুষ একটা ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে লক্ষ-কোটি টাকা খরচ করে, কিন্তু আল্লাহ তা (চাচা-ই-ক্রিকেট) আমাকে বিনামূল্যে দিয়েছিলেন।