ফুটবলের মতো ক্রিকেট কখনোই ঠিক সেভাবে বিশ্ব-আকাশে ডানা মেলতে পারেনি। বরাবরই ক্রিকেট থাকতে চেয়েছে ‘এলিট ক্লাব’-এ। অন্যদিকে ফুটবল ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের সর্বত্র। এখনো ক্রিকেটকে খেলা হয় কমনওয়েলথ স্পোর্টস হিসেবে। প্রাক্তন ব্রিটিশ কলোনিগুলো ছাড়া যেন খেলাটি আর ছড়াতে রাজি নয়। তবে ক্রিকেট সেভাবে না ছড়ালেও সারা বিশ্বে ক্রিকেটের মতো নানা খেলা ছড়িয়ে গেছে ঠিকই।
ক্রিকেট ভালোবাসে না, অন্তত সামান্যতম খোঁজটাও রাখে না, এমন মানুষ বাংলাদেশে পাওয়া ভার। যেকোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ, বিশেষ করে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোতে তো চারদিকে রীতিমতো উৎসব শুরু হয়। কিন্তু ক্রিকেটের জাতভাই, তথা প্রায় একইরকম কিছু প্রজাতির খেলা সম্পর্কে কতটুকুই বা জানার পরিধি আমাদের? ক্রিকেট সদৃশ কিছু খেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করা হলো এখানে।
কিরিকিটি/কিলিকিটি
সামোয়া নামের দেশটির কথা শুনে থাকবেন হয়তো অনেকেই। তবে ক্রিকেটে সামোয়া? ক্রিকেটের সঙ্গে যে সামোয়ার খুব একটা ভালো সম্পর্ক, তা দাবি করা চলে না। তবে ক্রিকেটসদৃশ একটি খেলা সামোয়াতে নিয়মিত হয়ে থাকে। বলা যায়, সামোয়ার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী খেলা এটি। তবে এখন আর কেবলই সামোয়া নয়, বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে তুভালু নামের আরেকটি ছোট্ট দেশে এবং প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা অর্জন করে চলেছে নিউজিল্যান্ডে।
বলছিলাম কিরিকিটি, মতান্তরে কিলিকিটির কথা। নামের সাথে এই খেলাটিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামেও বিস্তর মিল ক্রিকেটের সঙ্গে। এ খেলাতেও ব্যাট, বল ও স্ট্যাম্পের ব্যবহার হয়। এমনকি ক্রিকেটের মতো এ খেলাতেও অনুরূপ পরিধেয় রয়েছে। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে এটি হুবহু মিলে যায়, তা দাবি করা যাবে না।
- ব্যাট: এই খেলাতে ব্যাট আকারে অনেকটা বেসবলের মতোই। তিন ধারবিশিষ্ট এবং ক্রিকেট ব্যাটের তুলনায় বেশ লম্বা। ব্যাটগুলো লাপাপা নামক একধরনের সামোয়ান ওয়ার ক্লাবের অনুকরণে তৈরি করা হয়।
- বল: বেশিরভাগ বলের মতোই এ খেলাতেও বলের আকার গোল, তবে ক্রিকেট বলের তুলনায় বেশ নরম। বলটি মূলত দৃঢ় রাবার দিয়ে তৈরি। কেয়াপাতা দিয়ে আবৃত থাকে এটি। তবে ক্রিকেটের মতো এতে প্রোটেক্টিভ গিয়ারের ব্যবহার নেই।
- স্ট্যাম্প: ক্রিকেট স্ট্যাম্পের তুলনায় বেশ লম্বা, তবে স্ট্যাম্পের উপর কোনো বেইলের ব্যবহার নেই।
- পরিধেয়: খেলোয়াড়েরা ঠিক সে অর্থে প্যাড-গ্লাভস বা হেলমেট ব্যবহার করেন না। পলিনেশীয় অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র পরিধান করেই খেলাটিতে অংশগ্রহণ করেন খেলোয়াড়রা।
শুধু কি তা-ই? ক্রিকেটের অতি সাম্প্রতিক সংযোজন চিয়ারলিডারের সামোয়ান সংস্করণ রয়েছে কিরিকিটিতে। একে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় লাপে। নিউজিল্যান্ডে সামোয়ান কিরিকিটি চালু হওয়ার আগপর্যন্ত ঠিক বাঁধাধরা কোনো নিয়ম ছিল না এ খেলার জন্য। তবে নিউজিল্যান্ড কিরিকিটি অ্যাসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে এখন লিখিত বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। অনেকটা ক্রিকেটের মতোই নিয়মকানুন এ খেলাটিতে। তবে বড় একটি পার্থক্য হলো এ খেলায় দুজন উইকেটরক্ষক থাকেন।
খো খো
এটি ভারত উপমহাদেশীয় একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। কীভাবে এই খেলার ব্যুৎপত্তি, তা জানা শক্ত। তবে জনপ্রিয় মতবাদ এই যে, খেলাটি আসলে দাড়িয়াবান্ধারই একটি পরিবর্তিত সংস্করণ। ভারতের মহারাষ্ট্রে উদ্ভাবিত এ খেলাতে আগে অংশগ্রহণ করতেন রাঠেরা, তাই খেলাটিতে শারীরিক সামর্থ্য এবং কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খেলাটির প্রাথমিক নিয়মকানুন প্রবর্তন হয় বিংশ শতাব্দীতে। জিমখানা পুনাতে ১৯১৪ সালে একটি কমিটি গঠন করে মূল নিয়মকাঠামো দাঁড় করানো হয়। এই নিয়ম প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে জিমখানা বারোদায়। এরপর লম্বা বিরতির পর ১৯৫৯-৬০ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় খো-খো চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা হয় অন্ধ্র প্রদেশে। তবে এরপরও খো খো সেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি কোনো এক অজানা কারণে।
খেলাটির সঙ্গে ক্রিকেটের মিল কোথায়? সত্যি বলতে, একটিমাত্র জায়গা ছাড়া খুব একটা নেই। টেস্ট ক্রিকেট যেমন দুই ইনিংসে সম্পন্ন হয়, খো-খো খেলাটিও অনুষ্ঠিত হয় দুই ইনিংসে। তবে ক্রিকেটের মতো এখানে ঠিক ব্যাটে-বলে যুদ্ধটা নেই, বরং ফিটনেস, শক্তিমত্তা, গতি এবং অদম্য মানসিক শক্তির লড়াই।
খেলার নিয়ম
- প্রতি দলে ১২ জন করে খেলোয়াড় থাকে। এদের মধ্যে নয়জন করে খেলতে পারেন একটি ম্যাচে।
- ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় আয়তাকার একটি কোর্টে। কোর্টের মাঝ বরাবর একটি রেখা টানা হয়। রেখাটির দুই প্রান্তে দুটো পোল থাকে।
- দুটি দল এ খেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। একটি দলকে বলা হয় চেজিং টিম, অপর দলটিকে বলা হয় ডিফেন্ডিং টিম। স্থান, কাল ও পাত্রভেদে নামের পার্থক্য থাকতে পারে।
- পোল দুটির মধ্যে রেখার উপর সমান দূরত্বে আঁকানো আটটি বর্গাকৃতি ঘরে আটজন খেলোয়াড় বসেন। প্রত্যেকেই চেজিং টিমের সদস্য। নবম সদস্যকে বলা হয় চেজার, যিনি দাঁড়িয়ে থাকেন পোলের ঠিক পাশে।
- এরপর কোর্টে প্রবেশ করে ডিফেন্ডিং টিমের তিনজন সদস্য, যাদের একজনকে ছুঁলেই সেই সদস্য তৎক্ষণাৎ খেলা থেকে ছিটকে যাবেন। এভাবে তিনজনই ধরা পড়ে গেলে পরবর্তীতে আসবেন আরো তিনজন, এরপর আরো তিনজন। প্রতি ক্ষেত্রে সময়টা কোনোভাবেই সাত মিনিটের বেশি হতে পারবে না।
- একজন ডিফেন্ডার তিনভাবে ধরা পড়তে পারেন- ১) যদি প্রতিপক্ষ দলের চেজার কোনোমতে তাকে হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিতে পারেন; ২) যদি কোনো ডিফেন্ডার সীমারেখার বাইরে চলে যান এবং ৩) যদি কোনো ডিফেন্ডার সীমারেখার মধ্যে নির্দিষ্ট সময়সীমায় প্রবেশ করতে না পারেন।
- ডিফেন্ডাররা যেকোনো মুহূর্তে পোল দুটির মধ্যবর্তী রেখাটি অতিক্রম করতে পারে, তবে চেজার সে ক্ষমতা রাখেন না। তবে তিনি তার দলের অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের সাথে নিজের অবস্থান বিনিময় করে নিতে পারেন। পেছন থেকে এসে হাতের তালু দিয়ে ছুঁয়ে ‘খো’ শব্দটি সশব্দে উচ্চারণ করলেই চেজারের ক্ষমতা দলের অন্য সেই সদস্যের কাছে হস্তান্তর হয়ে যায়।
- এভাবে চলতে থাকে। নয়জন ডিফেন্ডার ধরা পড়ে গেলে প্রথম ইনিংস সমাপ্ত হয়। এরপর শুরু হয় দ্বিতীয় ইনিংস; একই নিয়মে সম্পন্ন হয় গোটা ম্যাচটি।
- খেলাটির সামগ্রিক স্থায়িত্বকাল সর্বোচ্চ ৩৭ মিনিট।
ইউটিউব থেকে এ খেলার সামগ্রিক নিয়মকানুন জানতে হলে এখানে ঘুরে আসতে পারেন। দেশীয় খেলা হলেও এ খেলাটি এখন প্রবল অযত্ন ও অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে। খেলাটিকে পুনরায় উজ্জীবিত করার জন্য প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা ও সুদৃঢ় আগ্রহ। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ খেলার মতোই এ খেলাতেও খুব একটা আগ্রহ কিংবা পৃষ্ঠপোষকতা দেখা যায় না। বাংলাদেশেও কিন্তু খো খো ফেডারেশনও আছে। বেশ কিছু টুর্নামেন্টে দারুণ কিছু পারফরম্যান্সও আছে বাংলাদেশের।
নাইউইয়ান ক্রিকেট
নিউজিল্যান্ডের ২,৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ছোট্ট একটা দ্বীপরাষ্ট্র। নাম শুনলে ক্রিকেটের সঙ্গে ঠিক মেলাতে পারবেন না অনেকেই। আসলে নামটার সঙ্গে কোনো কিছুই ঠিক সেভাবে মিলিয়ে উঠতে পারবে না অনেকে। কিন্তু তাই বলে তো আর ক্রিকেটের মাধুর্য্যভরা স্বাদ থেকে দূরে থাকা চলে না।
নাইউইয়ান ভাষায় খেলাধুলাকে বলা হয় ‘কিলিকিকি’। এদেশে খেলাধুলার সংস্কৃতিতে ক্রিকেট বড় একটা জায়গা জুড়ে রয়েছে। এ অঞ্চলের ভাষায় ক্রিকেট সংক্রান্ত কিছু শব্দের বেশ কিছু আঞ্চলিক পরিভাষাও রয়েছে। পুনিপুনি (ডিফেন্ড করা), উকা (ড্র), পামু (ফুলটস), টেকা (বল করা), ওলো (উইকেট), মাতে ওলো (বোল্ড আউট হওয়া), ফাইমোয়া (ডাক মারা), গোই (স্ট্যাম্পিং করা), টুলিপোলো (ফিল্ডিং করা) ইত্যাদি আরো অনেক।
এ খেলার নিয়মটাও বড্ড বিচিত্র। ২০০৬ সালে উইজডেনে প্রকাশিত টনি মুনরোর একটি লেখাতে নাইউইয়ান ক্রিকেটের বর্ণনা এসেছে অনেকটা এরকম,
“নারিকেল গাছের উপরে উঠে বসে থাকা এক ফিল্ডার বল ছোঁড়ে মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা ৩৯ জন সতীর্থদের একজন বরাবর। লক্ষ্য একটাই, যেকোনো প্রকারেই হোক না কেন, প্রতিপক্ষ দলকে রান নেওয়া থেকে বিরত রাখা।”
অর্থাৎ, এ খেলাতে নারিকেল গাছ রীতিমতো অবিচ্ছেদ্য অংশ! যা যা বলা হলো, তাতে তো কোনোক্রমেই চিরায়ত ক্রিকেটের সঙ্গে কিছু মিলছে না। একেক দলে চল্লিশজন করে ব্যাটসম্যান, চল্লিশজন করে ফিল্ডার, মাঠে তো ‘তিল ঠাই আর নাই রে’ অবস্থা হওয়ার কথা। সেটাই হয় সাধারণত, নাইউইয়ান ক্রিকেটের আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ফেস্টিভ্যাল কিংবা বাৎসরিক কোনো উৎসবে।
“ক্রিকেটে এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো খ্রিষ্টীয় ধর্ম তথা চার্চের ধর্মগুরুদের মাধ্যমে ঐতিহ্যগতভাবেই চলে এসেছে। আমরা উপলব্ধি করেছি, নাইউতে যুবসমাজকে নাইউ’র ক্রিকেট ঐতিহ্য সম্পর্কে জানানোর জন্য ক্রিকেটকে আরেকবার জাগিয়ে তুলতে হবে আমাদেরকে।” নাইউ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তোহোভাকা ২০১১ সালে নাইউইয়ান ক্রিকেটের সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু ক্রিকেটের সঙ্গে খ্রিষ্টীয় ধর্মের মিলখানা কোথায়, সেটা খুঁজে পেতে হলে আসলে মূল নিয়মটা একবার ফিরে দেখা জরুরী।
গাছের মগডাল থেকে ছোঁড়া বলটার প্রাপক পার্শ্বে থাকা দলটি ‘টাইম আউট’ ডাকতে পারে, তখন দলটি একটি কনফারেন্স ডাকে। সেখানে এমন কয়েকজন খেলোয়াড়কে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হয়, কেন সে কোনো স্কোর করতে ব্যর্থ হলো কিংবা দারুণ কোনো ক্যাচ ধরতে পারলো না। যারা এমন বিলক্ষণ কোনো কিছু করে বসেন, তাদের এহেন পারফরম্যান্সকে কোনো পাপ বা অপকর্মের কুফল হিসেবে দেখা হয়। এরপর তাদেরকে একের পর এক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে সে কোনো অপকর্মে আসলেই লিপ্ত হয়েছিলো কিনা। এমনকি এমন প্রশ্নও ওঠে, সে তারই কোনো সতীর্থের স্ত্রী’র সঙ্গে কোনোরূপ ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছিলেন কিনা!
ক্রিকেটের সাথে নাইউইয়ান ক্রিকেটের সামঞ্জস্য যে কেবল ব্যাটে-বলে আর কিছু সাধারণ টার্মেই সীমাবদ্ধ, সেটা বলা তাই তেমন অত্যুক্তি হয় না!
উল্লেখযোগ্য আরো কিছু খেলা
শিশুকাল কেটেছে গ্রামে, অথচ ডাঙ্গুলি বা গিলিডান্ডা খেলেননি কখনো, এমন মানুষ পাওয়া ভার। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, এমনকি কম্বোডিয়া, ইতালি, তুরষ্ক এবং সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ছড়িয়ে পড়া এই গ্রাম্য ঐতিহ্যবাহী খেলাটি সর্বাঞ্চলীয় এবং দারুণ জনপ্রিয়। একটি দেড় থেকে দুই ফুট লম্বা লাঠি এবং প্রায় দুই ইঞ্চি সাইজের দুইপাশই সূচালো একটি ছোট্ট লাঠি হলেই খেলাটি শুরু করে দেওয়া যায়। কম খরচে পয়সা উসুল বিনোদনের জন্য এককালে খেলাটি দারুণ জনপ্রিয় ছিলো, তবে ক্রিকেটের উত্তরোত্তর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং অসর্তকতার ফলে অঘটন ঘটার সম্ভাবনা অধিক হওয়ার ফলে ডাঙ্গুলি (তথা গিলিডান্ডা) হারিয়েছে এর চিরায়ত আবেদন।
বেসবল অবশ্য সে তুলনায় বাংলাদেশে একদমই প্রচলিত নয়। বিশ্বজুড়ে এই খেলা ঘিরে উন্মত্ততা আকাশছোঁয়া হলেও বাংলাদেশে খেলাটি সেভাবে প্রসার পায়নি। নয়জন খেলোয়াড়বিশিষ্ট দুটি দল ৯০ ফুট দৈর্ঘ্যের রম্বসাকৃতি মাঠে চার কোণায় চারটি বেস স্পর্শ করে রান নেয়ার মাধ্যমে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী দুটি দলের একটি দল ‘অফেন্স’ এবং একটি দল ‘ডিফেন্স’-এ নিয়োজিত থাকে। অফেন্সে খেলা দলটি ব্যাটিং ও বেসরানিং, অন্যদিকে ডিফেন্সে খেলা দলটি পিচিং ও ফিল্ডিংয়ে অংশগ্রহণ করে। মোট নয়টি ইনিংসে একটি ম্যাচ সম্পন্ন হয়, তাতে যে দল সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করতে পারে, তারাই জয়যুক্ত হয়। স্মার্ট এই খেলাটি বাংলাদেশে চর্চা শুরু হয় বেসবল-সফটবল এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে, সে-ও এক দশকের বেশি হয়ে গেলো; তবে অন্য খেলাগুলোর মতো এটাও সেভাবে আবেদন অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।
Featured Image Credit : icytales.com