পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার আব্দুল কাদিরের বোলিং স্টাইল, অ্যাকশনে একটা মাধুর্য ছিল। ওদিকে শেন ওয়ার্নের লেগ স্পিনে মিশে ছিল অলস সৌন্দর্য্য – বোলিং মার্ক থেকে পপিং ক্রিজ পুরোটা জায়গা হেঁটে হেঁটেই যেতেন। কব্জির মোচড়ে বেরিয়ে যেত একেকটা দুর্দান্ত ফ্লিপার কিংবা গুগলি। সবই যেন হতো সিনেম্যাটিক স্টাইলে, একটু রহস্য রেখে। অনিল কুম্বলে লাফিয়ে লাফিয়ে লেগ স্পিন করতেন। তার বোলিংয়ের ধরন একটু আলাদাই ছিল।
তবে ভগবত সুব্রমানিয়া চন্দ্রশেখরের রানআপ, বোলিং অ্যাকশন কিংবা ডেলিভারি দেখে আপনার চোখে ধন্দ্ব লাগবেই। মনে হবে, কোনো মিডিয়াম পেসার বল করছেন। কিন্তু চমকটা তখনই পাবেন, যখন দেখবেন তার হাত থেকে বেরোচ্ছে দারুণ গতির কিছু গুগলি, টপস্পিন কিংবা শার্প টার্ন নেয়া লেগস্পিন! অথচ মাঝারি দৈর্ঘ্যের রানআপ, বোলিং অ্যাকশন, ফলো-থ্রু দেখে তাকে মিডিয়াম পেসারের কাতারে ফেলে দেয়াটাই স্বাভাবিক। শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণেই এমনটা করতে হতো তাকে। সেই সীমাবদ্ধতাকে জয় করেছেন চন্দ্রশেখর, হয়েছেন বিদেশের মাটিতে ভারতের সবচেয়ে বড় ম্যাচ উইনার। ঠিক সেই সময়টা, যখন দেশের বাইরে টেস্ট জেতা ভারতের কাছে স্বপ্নের মতোই ছিল।
ভারতের ভক্তদের সেই স্বপ্নপূরণের সবচেয়ে বড় সারথি ছিলেন চন্দ্রশেখরই। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে আরেকটু স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে। ৫৮ টেস্টে নিয়েছেন ২৪২ উইকেট, যার মধ্যে ১০০টিই বিদেশ সফরে। সেই ১০০ উইকেট নিয়েছেন বিদেশে ২৬ টেস্ট খেলে। ঘরের মাঠে ৩২ টেস্টে ১২৪ উইকেট। ভারতের ১৪ জয়ে তার আছে সরাসরি অবদান, সেই ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৯৮ উইকেট। এর মধ্যেই আছে ৮ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট, একবার ম্যাচে দশ উইকেট। সেই ১৪ জয়ের পাঁচটিই বিদেশের মাটিতে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, চন্দ্রশেখর হচ্ছেন সেই বিরল টেস্ট ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন, যাদের উইকেট সংখ্যা তাদের করা রানের চেয়ে বেশি। ৫৮ টেস্টে ১৬৭ রান করেছেন চন্দ্র।
গুগলি-টপস্পিনে পরাস্ত পোলিও
জন্ম ১৭ই মে, ১৯৪৫। বয়স যখন পাঁচ, আঘাত হানলো পোলিও। চন্দ্রশেখর ডানহাতের সকল অনুভূতি হারালেন। অথচ সেই ডানহাতের জাদুতেই ভারতকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। ডানহাত বলা চলে অচলই, তাই ভরসা বাম হাত। টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন বাম হাত দিয়েই। তবে ডান হাতের অনুভূতি, শক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন ম্যাসাজ, থেরাপি নিয়েছেন। কিন্তু ওভাবে কাজে আসেনি তা।
চন্দ্রশেখরের পরিবার তখন মাইসোর থেকে বেঙ্গালুরুতে পাড়ি জমিয়েছে। সেখানেই তার ক্রিকেটের শুরু, সিটি ক্রিকেটারস ক্লাবের হয়ে। ক্রিকেটের প্রথম সুফলটা পেল তার ডানহাত। রাবারের বল ধীরেসুস্থে গ্রিপ করতে শুরু করলেন চন্দ্র। শুধু তাই না, দারুণ গতিতে ব্যাটসম্যানের দিকে ছুঁড়তেও পারলেন। সেভাবেই শুরু। যদিও স্কুল ক্রিকেটে ওপেনার ছিলেন, করতেন উইকেটকিপিংও, মাঝেমধ্যে মিডিয়াম পেসেও হাত ঘুরাতেন।
চন্দ্র তার ডানহাতের শক্তি পুরোপুরি কখনোই ফিরে পাননি, নিয়ন্ত্রণটাও আসেনি। তাই মিডিয়াম পেসার-সুলভ রানআপ, দ্রুতগতির অ্যাকশনে বল করার সময় হাত সজোরে ঘুরে যেত। ফলে একেকটা ডেলিভারি ছুটে যেত প্রথাগত স্পিনারদের চেয়ে বেশি জোরে। গুগলি কিংবা টপ স্পিন প্রায় পেস বোলারের গতিতে ব্যাটে যেত।
সেটা নিয়ে ক্রিকইনফোর কাছে চন্দ্রশেখরের ভাষ্য,
‘আমি বল গ্রিপ করতাম মিডিয়াম পেসারের মতো। সিমের নরম জায়গাটাতে। স্পিনারদের মতো আড়াআড়ি করে ধরতাম না। সেটাই আমার জন্য স্বাভাবিক মনে হতো। ডেলিভারিতে যে বাউন্স পেতাম, সেটা অমন গ্রিপের জন্যই। কোনো কোচই তার লেগ স্পিনারকে এভাবে বল গ্রিপ করতে দিতেন না বোধহয় এখন।’
এক সাক্ষাতকারে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অরুন লাল বলেছিলেন, বাতাস কেটে কীভাবে চন্দ্রশেখরের গুগলি, টপ স্পিন ডেলিভারিগুলো আওয়াজ তুলতো।
‘রহস্য স্পিনার’ শব্দটা তখনও ক্রিকেটে আমদানি না হলেও চন্দ্রশেখর তার বোলিং দিয়ে ঠিকই রহস্যের জাল বুনে যাচ্ছিলেন। কিছু গুজব ছিল, চন্দ্রশেখর কেবল জোরের ওপর বল করে যান, বাকিটা যা করার বলই করে দেবে। কিন্তু ২০১১ সালে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দেন চন্দ্রশেখর নিজেই। ‘দ্য এজ‘কে সাবেক এই ভারতীয় স্পিনার বলেন,
‘আমার একমাত্র সমস্যা ছিল পোলিও আক্রান্ত হাত, যেটা এখনো দুর্বল। লোকজন ভাবতো, আমি কেবল বলের পর বলই করে যাই। এমনিতেই হয়তো উইকেট আসে। এটা অদ্ভুত একটা ভাবনা। আমি জানতাম, আমি কী ধরনের বল করছি।’
স্পিন চতুষ্টয়ের আনপ্রেডিক্টেবল টার্ন
১৯৬৪-তে অভিষেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। রঞ্জি ট্রফিতে মাত্র চার ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে অভিষেক টেস্টেই পান চার উইকেট। এরপর খেলেছেন ১৬ বছর। সেই ১৬ বছরের টাইম স্প্যানে তিনি ছিলেন ভারতের বিখ্যাত স্পিন কোয়ার্ট্রেটের অপরিহার্য অংশ। বিষেন সিং বেদি, ইরাপল্লি প্রসন্ন, শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাঘবন ও চন্দ্রশেখরকে নিয়ে স্পিন ভেলকি দেখিয়েছিল ভারত।
একটা সময় ছিল, যখন সুনীল গাভাস্কার ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও ওপেন করতেন। উদ্দেশ্য একটাই, যত দ্রুত সম্ভব বলের শাইন নষ্ট করে দিয়ে স্পিনারদের অ্যাটাকে আনা। দলে অমন চারটা স্পিনার থাকায় পেসারদের ওপর ভরসার হাতটা একটু কমই রেখেছিলেন অধিনায়ক।
সেই চার স্পিনারের মধ্যে চন্দ্রশেখরই ব্যাটসম্যানদের কাছে ছিলেন বেশি আনপ্রেডিক্টেবল। হুট করেই দেখা যেত, বোলিংয়ের ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন, গুলিয়ে ফেলেছেন লাইন-লেংথ। আবার যখন ছন্দে থেকেছেন, তখন ব্যাটসম্যানদের জন্য হাজির হয়েছেন মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে।
সেটা নিয়ে খুব ভালো ধারণা ছিল চন্দ্রশেখরের নিজেরও,
‘আমার কেবল দুটো ফিল্ডার লাগতো – একটা স্লিপ, একটা শর্ট লেগ। আর যদি ভালো বল করতাম, তাহলে কাউকেই দরকার হতো না। কিন্তু যেদিন বাজে বল করেছি, সেদিন ২২ জন ফিল্ডার হলেও কাজ হতো না।’
স্যার ভিভ রিচার্ডস, সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। হেলমেট ছাড়া ব্যাট করতেন, চুইংগাম চিবিয়ে অনায়াসে পেটাতেন নামীদামী সব পেস বোলারকে। কিন্তু চন্দ্রশেখরের বিপক্ষে বেশ ভুগেছেন ভিভ। ১৯৭৪ সালে নিজের অভিষেক টেস্টে চন্দ্রশেখরের বলেই আউট হয়েছিলেন তিনি। সেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েন চন্দ্রশেখর। ভিভও ব্যাট হাতে দারুণ সময় পার করেন তখন, ২০ চার ও সাত ছক্কায় খেলেন ১৯২ রানের ইনিংস। বাকি তিন টেস্টের সবক’টিতেই খেলেন চন্দ্রশেখর, সেই তিন টেস্টে ২৩ গড়ে মাত্র ১৬১ রান করেন ভিভ।
সেই সময়টা ভিভ মনে করেছেন এভাবে,
‘চন্দ্রই একমাত্র বোলার, যিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন। বুঝতেই পারতাম না, আমি খেলার চার্জে আছি নাকি নেই। এটাই ছিল তার গ্রেটনেস। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে দেখাতেন একটা, হতো অন্য কিছু। এমন এক বোলারকে কীভাবে দমিয়ে রাখবে ব্যাটসম্যানরা!’
ওভালের নায়ক চন্দ্রশেখর
১৯৭১ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারানোর স্মৃতিচারণ এভাবেই করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক ইঞ্জিনিয়ার। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম জয় সেটি। কারণ, তখন বিদেশের মাঠে টেস্ট জেতার স্বাদ অমৃতসমান ছিল ভারতের কাছে। লেখার শুরুতেই জানিয়েছিলাম, বিদেশের মাটিতে ভারতের ম্যাচ উইনার ছিলেন চন্দ্রশেখর। এই অংশে সেই ম্যাচ উইনারের দেখা পাওয়া যাবে।
সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট ভেসে গেছিল বৃষ্টিতে। কাজেই তৃতীয় টেস্ট রূপ নিল অঘোষিত এক ফাইনালে। টস জিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে স্বাগতিকরা করে ৩৫৫ রান। দুই উইকেট নেন চন্দ্রশেখর। স্পিনাররা সুবিধা করতে পারেনি খুব বেশি সেই ইনিংসে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা বন্ধ থাকে বৃষ্টিতে। ওদিকে ইংলিশ মিডিয়া ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জিতিয়েই দিচ্ছিল প্রায়। তা নজর এড়ায়নি অজিত ওয়াদেকার-সুনীল গাভাস্কারদের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৮৪ করে ভারত।
৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০১ রানে গুটিয়ে যায় তারা। লেগ স্পিনে ভেলকি দেখান চন্দ্রশেখর। জন জেমসনকে রান আউট করে শুরু। তবে লেগ স্পিনের আসল সৌন্দর্য দেখান জন এডরিখের উইকেট নিয়ে। দারুণ গতির একটা গুগলিতে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেন এডরিখ। সেই ডিফেন্স ভেদ করে চন্দ্রশেখরের গুগলি। ব্যাট-প্যাড হয়ে বল জমা পড়ে শর্ট লেগে একনাথ সোলকারের হাতে। সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন সোলকার। এরপর একে একে তুলে নান কিথ ফ্লেচার, অ্যালান নট, রিচার্ড ইলিংওর্থ, জন স্নো ও জন প্রাইসের উইকেট। ৩৮ রানে ছয় উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে একাই গুড়িয়ে দেন চন্দ্রশেখর।
ইতিহাস গড়তে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৩ রান। অধিনায়ক ওয়াদেকার, দিলীপ সারদেসাই, ফারুক ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাটিংশৈলিতে চার উইকেটের জয় পায় ভারত। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়!
চন্দ্রশেখরের ঘূর্ণিজাদুতে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। বল হাতে ইন্দ্রজাল তৈরি করেছিলেন তিনি। ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। সাবেক অধিনায়ক অজিত ওয়াদেকারের স্মৃতিচারণ,
‘চন্দ্রশেখর সেদিন রীতিমতো ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সম্মোহিত করে ফেলেছিল। এজন্যই তাকে দিয়ে টানা বল করিয়েছিলাম, এবং সে দারুণ ফল এনে দিচ্ছিল।’
ওভাল টেস্টের উন্মাদনা, উত্তেজনা ছুঁয়ে যায় চন্দ্রশেখরকে এখনো। বিশেষ করে জন এডরিখকে আউট করার ডেলিভারিটা। সেই ডেলিভারি নিয়েও আছে ছোট্ট একটা গল্প।
‘মিল রিফ ডেলিভারি’
১৯৭১ সালের শুরুর দিকে মিল রিফ নামের একটা ঘোড়া বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল ইংল্যান্ডে। ঘোড়দৌড়ের এপসম ডার্বি জিতেছিল দ্রুতগামী ঘোড়াটি। এর মাস তিনেক আগে প্যারিসের বিখ্যাত ‘প্রিক্স ডে আর্ক ডে ট্রিম্ফো’ রেসটাও জিতেছিল। সেই ঘোড়ার খোঁজ খবর রাখতেন চন্দ্রশেখর ও দিলীপ সারদেসাই। চন্দ্রশেখরের গুগলি ডেলিভারিটাও ছিল গতিময়। সেখান থেকেই দিলীপ গুগলির নামকরণ করেন, ‘মিল রিফ’।
এ নিয়ে চন্দ্রশেখর বলেন,
‘পত্রিকাগুলোতে সেদিন একটা ভুল তথ্য গিয়েছিল। তারা যেটাকে গুগলি বলেছিল, সেটা পুরোপুরি গুগলি ছিল না। ছিল বিখ্যাত মিল রিফ বল।’
তখন এডরিখ ব্যাট করছেন ওভালে। দিলীপ এগিয়ে যান চন্দ্রশেখরের কাছে। গিয়ে বলেন, ‘মিল রিফ করো।’ যেই ভাবা সেই কাজ। দিলীপের কথা শুনে চন্দ্রশেখরের হাত থেকে ছুটে যায় দারুণ গতির এক গুগলি। ব্যস! শুরু হয় তার তাণ্ডবলীলা।
স্পিনার হিসেবে দুর্দান্ত ছিলেন নিঃসন্দেহে, ম্যাচ উইনার হিসেবে তার চেয়েও ঢের এগিয়ে। মানুষ হিসেবেও দারুণ হাসিখুশি আর রসিক। পোলিওর কারণে সৃষ্টি হওয়া শারীরিক সীমাবদ্ধতা তাকে আটকে রাখতে পারেনি। সেই অবশ হয়ে যাওয়া ডানহাত দিয়েই করেছেন কতশত গুগলি, ফ্লিপার আর গতিময় মিল রিফ ডেলিভারি। পোলিও আক্রান্ত হাতকে বানিয়েছেন অস্ত্র। সেই অস্ত্রের সামনে নাকানিচুবানি খেয়েছেন অনেক নামীদামী ব্যাটসম্যান। মুখোমুখি হয়েছেন ভিভ রিচার্ডস, এডরিখ, জহির আব্বাসদের মতো ব্যাটসম্যানদের। ভারতের স্পিন কোয়ার্ট্রেটের হয়ে মোহাবিষ্ট করেছেন ক্রিকেটবিশ্বকে।
ভগবত সুব্রমানিয়া চন্দ্রশেখর। মাইসোরের সেই বালক ব্যাট-প্যাড তুলে রেখেছেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিনার হিসেবে। ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন অন্তঃপ্রাণ। লম্বা ক্যারিয়ারে নিজের সবটুকুই ঢেলে দিয়েছেন ক্রিকেট মাঠে। ক্রিকেটও তাকে প্রতিদান দিয়েছে দু’হাত ভরেই। টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, হিরো হয়েছেন ইংল্যান্ডকে হারিয়েই। তার এই বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতিও টেনেছেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যেই।