টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দর্শকপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়তে থাকলেও টেস্ট ম্যাচ এখনও ক্রিকেট ভক্তদের প্রথম পছন্দ হিসেবে রয়েছে। টি-টোয়েন্টির উত্তাপে টেস্ট ম্যাচ কিছুটা জৌলুস হারালেও ২০১৮ সালে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো টেস্ট ক্রিকেটকে বেশ গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। ভারত বনাম ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ভারত- এসব সিরিজে দর্শকদের উদ্দীপনা ছিলো আশা জাগানিয়া। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের সিরিজ জয়, শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করে ইংল্যান্ডের সিরিজ জেতা। সবকিছুর মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেট নতুন রূপে ফিরে এসেছে। ২০১৮ সালে দুই সহযোগী দেশ আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলার গৌরব অর্জন করে।
২০১৮ সালে ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ মোট ৪৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে ৪৩টি টেস্ট ম্যাচেই ফলাফল এসেছে। মাত্র পাঁচটি টেস্ট অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিলো। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে ভারত। তারা ২০১৮ সালে ১৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৭টিতে জয় পেয়েছে এবং ৭টিতে পরাজিত হয়েছে। এছাড়া ইংল্যান্ড ১৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৮টি টেস্টে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ১০টি টেস্টের মধ্যে ৬টিতে জয় পেয়েছে। ২০১৮ সালে নতুন দুই দল আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড ছাড়া বাকি দশটি টেস্ট খেলুড়ে দেশ কমপক্ষে একটি করে টেস্ট ম্যাচ জিতেছে।
বছর শেষে এখন সময় হয়েছে বর্ষসেরা টেস্ট একাদশ নির্বাচন করার। দুর্দান্ত সব ক্রিকেটার বছর জুড়ে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন। তাদের মধ্য থেকে রোর বাংলার দৃষ্টিতে সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন বছর জুড়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করা এগারো ক্রিকেটার।
২০১৮ সালের টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনারদের খুব বেশি ভালো সময় কাটেনি। শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুণারত্নে বছরের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে রানের দেখা পেলেও তার সঙ্গী হিসাবে কাউকে পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত বছরের শেষ দুই টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের ওপেনার টম ল্যাথাম দুর্দান্ত ব্যাটিং করে বর্ষসেরা টেস্ট দলে ওপেনার হিসেবে জায়গা করে নেন।
তিন নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে চেতেশ্বর পূজারা ইংল্যান্ডের মাটিতে একটি এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুটি শতক হাঁকান। বাংলাদেশের মুমিনুল হক, শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিসও তিন নাম্বার পজিশনে রানের দেখা পেয়েছেন। তবে নিউ জিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন গত বছর ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন। চার নাম্বারে বিরাট কোহলির প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো ব্যাটসম্যান নেই। তিনি ২০১৮ সালে ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়াতেও রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন।
মিডল অর্ডারে বাবর আজম, জো রুট, এবি ডি ভিলিয়ার্স, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, হেনরি নিকোলস সবাই-ই অনবদ্য ব্যাটিং করেছিলেন বছর জুড়ে। কিন্তু তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে ঋষভ পান্ত, জনি বেয়ারস্টো রানের দেখা পেলেও জস বাটলার ছিলেন ধারাবাহিক। তিনি টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন।
অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার নিজের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন। গত বছর পেসার, স্পিনার দুই রকমের বোলাররাই সফলতা পেয়েছে। পেসারদের মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহ, কাগিসো রাবাদা, প্যাট কামিন্সদের পাশাপাশি মোহাম্মদ আব্বাস, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, জেমস অ্যান্ডারসন, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল এবং বোল্ট, সাউদিরা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। বিশেষ করে মোহাম্মদ আব্বাস আরব আমিরাতের মতো স্পিন স্বর্গেও নিয়মিত উইকেট শিকার করে সবার নজর কেড়েছেন। তবে তার থেকেও গত বছর কামিন্স, রাবাদা এবং বুমরাহ দলের জয়ে বেশি অবদান রেখে সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন।
স্পিনারদের মধ্যে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন শ্রীলঙ্কার দিলরুয়ান পেরেরা। তিনি ১১ ম্যাচে ৫০ উইকেট শিকার করেছেন। তবে পেস সহায়ক উইকেটে ১০ ম্যাচে ৪৯ উইকেট শিকার করে বর্ষসেরা টেস্ট একাদশে জায়গা পাওয়ার অন্যতম দাবীদার অস্ট্রেলিয়ার নাথান লায়ন। এছাড়া ২০১৮ সালে বাংলাদেশের দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে তারা নিয়মিত উইকেট শিকার করেছেন। পাকিস্তানের ইয়াসির শাহও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন।
১. টম ল্যাথাম
নিউ জিল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম ২০১৮ সালে সাতটি টেস্ট ম্যাচে দুটি শতক এবং দুটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫৯.৮১ ব্যাটিং গড়ে ৬৫৮ রান সংগ্রহ করেন। তিনি বছরের শুরুতে ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচটি টেস্টে মাত্র দুটি অর্ধশত রানের ইনিংস খেললেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ২৬৪ রান এবং ১৭৬ রানের দুটি অনবদ্য ইনিংস খেলে বছরটি দারুণভাবে শেষ করেন।
২. দিমুথ করুণারত্নে
২০১৮ সালের ওপেনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করেছেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে। তিনি নয় ম্যাচে ৪৬.৪৩ ব্যাটিং গড়ে ৭৪৩ রান সংগ্রহ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গল টেস্টে শুরু থেকে শেষপর্যন্ত ব্যাটিং করে তিনি অপরাজিত ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, যা ২০১৮ সালে তার একমাত্র শতক। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিনটি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি এবং নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি সহ মোট সাতটি অর্ধশতক হাঁকান এই বাঁহাতি ওপেনার।
৩. কেন উইলিয়ামসন
নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ২০১৮ সালে শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে রানের দেখা পেয়েছেন। বছরের শুরুটা করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০২ রানের ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পরেও পুরো সিরিজ জুড়েই অনবদ্য ব্যাটিং করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। তার অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জেতে নিউ জিল্যান্ড। উইলিয়ামসন পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ম টেস্টে ৬৩ এবং ৩৭ রানের দুটি কার্যকরী ইনিংস খেলার পর তৃতীয় টেস্টে ৮৯ এবং ১৩৯ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন। তিনি ২০১৮ সালে ৭ ম্যাচে দুটি শতক এবং তিনটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫৯.১৮ ব্যাটিং গড়ে ৬৫১ রান সংগ্রহ করেছেন।
৪. বিরাট কোহলি
২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি পাঁচটি শতক হাঁকিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি ২০১৮ সালে খেলা সবকটি টেস্ট সিরিজেই শতক হাঁকান। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিকূল পরিবেশে ব্যাটিং করে নিজের ব্যাটিং সক্ষমতার প্রমাণ রাখেন সময়ের সেরা এই ব্যাটসম্যান।
তিনি ২০১৮ সালে ১৩টি টেস্ট ম্যাচে পাঁচটি শতক এবং পাঁচটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫৫.০৮ ব্যাটিং গড়ে ১,৩২২ রান সংগ্রহ করেছেন।
৫. জো রুট (অধিনায়ক)
২০১৮ সালে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি আটটি টেস্ট ম্যাচ জেতেন জো রুট। তার নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতেও শ্রীলঙ্কার মাটিতে শতক হাঁকান তিনি। তিনি ২০১৮ সালে ব্যাট হাতে ১৩টি টেস্টের ২৪ ইনিংস ব্যাটিং করে দুটি শতক এবং ছয়টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪১.২১ ব্যাটিং গড়ে ৯৪৮ রান সংগ্রহ করেন। তার নামের পাশে শতকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো, যদি না তিনি দুবার আশির ঘরে আউট হতেন।
৬. জস বাটলার (উইকেটরক্ষক)
পুনরায় ইংল্যান্ড টেস্ট দলে জায়গা পেয়ে সুযোগটা দুই হাতেই কাজে লাগান জস বাটলার। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেশ কয়েক মৌসুম ধরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা জস বাটলার ২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেটেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করে টেল-এন্ডারদের সাথে জুটি বেঁধে দলকে বেশ কয়েকবার লজ্জার হাত থেকে বাঁচান তিনি। ২০১৮-তে দশটি টেস্ট ম্যাচ খেলে একটি শতক এবং ছয়টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪৪.৭০ ব্যাটিং গড়ে তিনি ৭৬০ রান সংগ্রহ করেছেন। ব্যাট হাতে ২০১৮ সালে তিন ফরম্যাটেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন এই হার্ড-হিটার ব্যাটসম্যান।
৭. জেসন হোল্ডার
২০১৮ সালে ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার বেশ কয়েক ম্যাচে দলের বাইরে ছিলেন। তবে মাত্র ছয়টি টেস্ট ম্যাচ খেলেই নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। গড়পড়তা ব্যাটসম্যান এবং বোলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা হোল্ডার ২০১৮ সালে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন। ব্যাট হাতে তিনি ছয় ম্যাচে দুটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৩৭.৩৩ ব্যাটিং গড়ে ৩৩৬ রান সংগ্রহ করেছেন।
বোলার হিসাবে তার পারফর্ম্যান্স আরও বেশি উজ্জ্বল। মাত্র ছয় ম্যাচে ইনিংসে চারবার পাঁচ উইকেট এবং ম্যাচে একবার দশ উইকেট শিকার সহ মাত্র ১২.৩৯ বোলিং গড়ে ও ২৭.৩ স্ট্রাইক রেটে ৩৩ উইকেট শিকার করেছেন হোল্ডার।
৮. প্যাট কামিন্স
২০১৮ সালে দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সময়টা খুব একটা ভালো কাটেনি। মাঠ এবং মাঠের বাইরে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত ছিলো তারা। তবে এতকিছুর পরেও প্যাট কামিন্সের নৈপুণ্য ছিলো উল্লেখযোগ্য। ২০১৮ সালে তিনি আট টেস্টে মাত্র ১৯.৯৭ বোলিং গড়ে এবং ৪২.৮ স্ট্রাইক রেটে ৪৪ উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া দলের বিপর্যয়ের মুখে তিনি বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। ২০১৮ সালে কামিন্স ১৫ ইনিংস ব্যাট করে দুটি অর্ধশতকের সাহায্যে ১৭.৯২ ব্যাটিং গড়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করেছেন। তিনি এই রান সংগ্রহ করতে ৬৭৩ বল মোকাবেলা করেছিলেন।
৯. কাগিসো রাবাদা
২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। অভিষেকের পর থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করে আসা এই দ্রুতগতিসম্পন্ন পেসার ২০১৮ সালে দশটি টেস্ট ম্যাচ খেলে ২০.০৭ বোলিং গড়ে এবং ৩৮.২ স্ট্রাইক রেটে ৫২ উইকেট শিকার করেছেন।
১০. নাথান লায়ন
নাথান লায়ন বেশিরভাগ ম্যাচ খেলেন পেসারদের স্বর্গে কিংবা ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে। সেখান থেকে বাড়তি কোনো সুযোগ সুবিধা না পাওয়া সত্ত্বেও প্রতি ম্যাচেই দুর্দান্ত বোলিং করে যাচ্ছেন তিনি। ২০১৮ সালেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। দশ ম্যাচ খেলে ৩৪.০২ বোলিং গড়ে তিনি শিকার করেছেন ৪৯ উইকেট। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে অ্যাডিলেড এবং পার্থে শিকার করেছেন ১৬ উইকেট।
১১. জাসপ্রিত বুমরাহ
২০১৮ সালের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জাসপ্রিত বুমরাহর। তখন অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলো তার টেস্ট ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য নিয়ে। তবে মাঠে নামার পরেই সব সন্দেহ দূর করে দুর্দান্ত বোলিং করতে থাকেন তিনি। বছর শেষে তার নামের পাশে উইকেট সংখ্যা ৪৮টি। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জয়ের ক্ষেত্রে তার অবদান অপরিসীম। ২০১৮ সালে তিনি মাত্র নয়টি টেস্ট ম্যাচে মাত্র ২১.০২ বোলিং গড়ে এবং ৪৭.৪ স্ট্রাইক রেটে ৪৮ উইকেট শিকার করেছেন।
ক্রিকেট সম্পর্কে আরও জানতে পড়ে নিন এই বইগুলো
১) শচীন রূপকথা
২) নায়ক
৩) সাকিব আল হাসান – আপন চোখে ভিন্ন চোখে