১.
ভদ্রলোকের শরীরটা ঠিক খেলোয়ারদের মতো নয়। হ্যাঁ, উচ্চতা নেহাত কম নয়, ঝাড়া ছয় ফুট তিন ইঞ্চি। কিন্তু দৈর্ঘ্যে যেমন, প্রস্থেও প্রায় তেমনই। ভুঁড়িটা এক হাত বের হয়ে আছে সামনের দিকে। এই বিশাল আকৃতির কারণে তাকে ডাকা হয় ‘দ্য বিগ শিপ’ (বিশাল জাহাজ)। কিন্তু তিনি একজন ক্রিকেটার, আরও ভালো করে বললে অলরাউন্ডার। ব্যাট তো ভালো করেনই, বলটাও নেহাত মন্দ করেন না। ভদ্রলোকের নাম ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং।
“ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং? নীল আর্মস্ট্রং এর নাম তো শুনেছি, কিন্তু ইনি আবার কে ভাই? নীল সাহেবের কোনো আত্মীয় নাকি?” এ প্রশ্ন পাঠক করতেই পারেন। এমনিতে দুজন দুই দেশের বাসিন্দা ছিলেন, রক্তের সম্পর্ক থাকার প্রশ্ন তাই ছিল না বললেই চলে। তবে একটা জায়গায় মিল আছে অবশ্যই। দুজনেই দুই ক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এমন কিছু অর্জন করে গেছেন যা অমর করে রেখেছে তাদেরকে।
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদের বুকে পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং, মানবজাতির ইতিহাসে বিশাল একটা ঘটনা ছিল সেটি। অন্যদিকে ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং ছিলেন পুরোদস্তুর ক্রিকেটার। ক্রিকেটের সাথে চন্দ্রাভিযানের যে কোনো সম্পর্ক নেই, তা বলাই বাহুল্য। তবে ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং যা করে গেছেন, তা-ও নেহাত কম নয়।
অ্যাশেজ সিরিজে এখন পর্যন্ত হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তিনবার, তিনবারই ধবলধোলাই হওয়া দলটির নাম ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় আর তৃতীয়বারের ঘটনাটা একেবারেই সাম্প্রতিক। ২০০৬/০৭ মৌসুমে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল রিকি পন্টিং এর দল, আর ২০১৩/১৪ মৌসুমের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন ছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। তাহলে সবার প্রথমে কে? সবার প্রথমে ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং। ১৯২০/২১ মৌসুমে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তাই অ্যাশেজ নামের চন্দ্র প্রথম তিনিই জয় করে গেছেন, এমনটা ক্রিকেটামোদীরা দাবি করলে খুব একটা অত্যুক্তি করা বোধহয় হবে না।
২.
ওয়ারউইক আর্মস্ট্রঙের জন্ম হয়েছিল ১৮৭৯ সালের ২২ মে, অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়াতে। তার পুরো নাম ওয়ারউইক উইনরিজ আর্মস্ট্রং। ওজন ছিল ১৩৩ কেজি, জুতা পরতেন ১২ সাইজের। কিন্তু এই শরীর নিয়েও চমৎকার ক্রিকেট খেলতেন তিনি, ব্যাটিং-বোলিং তো বটেই, ফিল্ডিঙেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। যে কারণে তিনি মোটা হলেও কখনো কেউ মোটা বলেনি তাকে, বলেছে বিশাল।
পাঠকের হয়তো মনে আছে, ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বারমুডার একজন খেলোয়াড় ছিল ডোয়াইন লেভেরক নামে। ভারতের সাথে খেলায় স্লিপের ডান পাশে ঝাঁপিয়ে নিয়েছিলেন রবিন উথাপ্পার ক্যাচ। ডোয়াইন লেভেরকের ওজন ছিল ১২৭ কেজি। আর ওয়ারউইক আর্মস্ট্রঙের ওজন ছিল ১৩৩ কেজি। সর্বকালের সবচেয়ে বেশি ওজনদার ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। ছিলেন বলতেই হচ্ছে, কারণ গত আগস্ট মাসে রাকিম কর্নওয়াল নামের একজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারের অভিষেক হয়েছে। রাকিমের ওজন ১৪০ কেজি।
উনিশ বছর বয়সে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে অভিষেক হয় আর্মস্ট্রঙের, শেফিল্ড শিল্ডের একই ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং ডাবল সেঞ্চুরি করার প্রথম কৃতিত্ব তার। অভিষেকের তিন বছরের মাথায় জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যান তিনি। সেই সিরিজে তেমন কিছু করতে পারলেন না, পারলেন না তার পরের সিরিজেও। তবে এরপরে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে পেয়ে গেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। সময়টা ১৯০২ সাল। তিনি তখনো জানেন না, পরের সেঞ্চুরিটা পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হবে ৬ বছর।
১৯০৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজের কথা বলা যাক। স্বভাবে আর্মস্ট্রং ছিলেন খুবই ডাকাবুকো, দলের জয়টাই তার কাছে ছিল মুখ্য। নিয়মের মধ্যে থেকে যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন তিনি। এই সিরিজটা আর্মস্ট্রঙের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল, কারণ তিনি যে একদিন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হবেন, এই ধারণার বীজ বপন হয়েছিল এই সিরিজেই।
সেই সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হলো লিডসে। একটা করে জেতার কারণে সিরিজে তখন ১-১ এ সমতা। খেলার একপর্যায়ে রান নিতে গিয়ে আছাড় খেলেন জ্যাক হবস, আর পড়লেনও একদম বলের উপরে। ব্যাপারটা যে দুর্ঘটনা, সে ব্যাপারে কারোরই কোনো সন্দেহ ছিল না। ঝামেলাটা লাগাল অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ডাররা। ফিল্ডিংয়ে বাধার অভিযোগ তুলে হবসের আউটের জন্য আম্পায়ারের কাছে বারংবার আবেদন জানাতে লাগল তারা। তাদের নেতার নাম? অবশ্যই ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং! তবে তাদের আবেদনে সাড়া দিলেন না আম্পায়ার, দিলে নিশ্চিতভাবেই গন্ডগোল বাড়তে পারত আরও।
জ্যাক হবসকে মনে করা হয়, ক্রিকেটের ইতিহাসে যতজন পুরোদস্তুর ভদ্রলোক এসেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে। সেই তিনি পর্যন্ত লিখেছেন,
অস্ট্রেলিয়ানরা খুব গণ্ডগোল করছিল মাঠের মধ্যে, পালের গোদা ছিল আর্মস্ট্রং। কুৎসিত এবং অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করছিল সে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিল। খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম আমি। এর দুই বল পরে একটা বল না খেলে ছেড়ে দিই আমি, তাতেই বোল্ড হয়ে যাই। আর্মস্ট্রঙের কাণ্ডটা আমি এখনো মনে রেখেছি।
জ্যাক হবসের মতো নিপাট ভদ্রলোকও যখন এমন কথা লেখেন, বুঝতেই হয়, ব্যাপারটা কোন পর্যায়ে গিয়েছিল।
সিরিজের শেষ টেস্ট ছিল ওভালে, এখানে আরেক কাণ্ড ঘটান আর্মস্ট্রং। সেই টেস্টেই ডেব্যু হয় ইংলিশ গ্রেট ফ্রাঙ্ক উলির। অনেক সময় দেখা যায়, বল শুরু করার আগে একটা কি দুটো ট্রায়াল বল করেন বোলার। উলি ক্রিজে আসার পরে বল হাতে নিলেন আর্মস্ট্রং, তারপরে শুরু করলেন ট্রায়াল বল করা। সে সময় কতগুলো ট্রায়াল বল করা যাবে, সেই ব্যাপারে নির্দেশনা ছিল না কোনো। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুল হলো না আর্মস্ট্রঙের। ঝাড়া ১৯ মিনিট ধরে ট্রায়াল বল করলেন তিনি (জ্বি পাঠক, ঠিকই পড়েছেন। ১৯ মিনিটই!), কী হচ্ছে বুঝতে না পেরে ততক্ষণে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছেন টেস্ট ক্রিকেটের আঙিনায় নতুন আগত উলি। এরপরে মাত্র ৮ রান করেই আউট হয়ে যান তিনি।
স্টিফেন পটার তার ‘দ্য থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস অফ গেমসম্যানশিপ’ প্রবন্ধে একে আখ্যায়িত করেছেন, ‘দ্য আর্ট অফ উইনিং উইদাউট অ্যাকচুয়ালি চিটিং (প্রতারণা না করেও জয়ের শিল্প)’ হিসেবে।
আর্মস্ট্রঙের এই কাণ্ডে নড়েচড়ে বসে এমসিসি, আইন পাল্টাতে বাধ্য হয় তারা। ইচ্ছেমতো ট্রায়াল বল করার ক্ষেত্রে আসে নিষেধাজ্ঞা।
তবে আইন করা হলেও এরকম কাজ আরেকবার করার চেষ্টা করেন আর্মস্ট্রং। ১৯১২/১৩ মৌসুমে ওয়েলিংটনের এক ম্যাচে আবার ট্রায়াল বল করার চেষ্টা নেন তিনি। আম্পায়ার তাকে সতর্ক করলে তিনি নির্বিকার মুখে জিজ্ঞেস করেন, “করলে কী জরিমানা হবে, বলুন তো?“
ইঙ্গিত পরিষ্কার। “জরিমানা করলে করুন, আমার কাজ আমি করবই।” তবে আম্পায়ারও ছিলেন ঘড়েল লোক। তিনিও জানিয়ে দিলেন, “আপনি কাজটা বন্ধ না করলে ম্যাচটা হয়তো আবার প্রথম থেকেই শুরু করতে হবে আমাকে।“
৩.
অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন ১৯১৪ সালেই। কিন্তু মাঠে অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ আসে প্রায় ৬ বছর পরে, ১৯২০ সালে। মাঝের ছয়টা মূল্যবান বছর খেয়ে নেয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত যখন মাঠে নামতে পারলেন, তখন তার বয়স পেরিয়েছে চল্লিশের কোটা। কিন্তু বয়স যে একটা সংখ্যামাত্র, সেটা প্রমাণ করে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেন তিনি। শুধু অধিনায়কত্বই নয়, ব্যাট হাতেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আর্মস্ট্রং। ৫ টেস্টের ৮ ইনিংসে করেন ৪৬৪ রান।
অধিনায়কত্ব তার কাছে যে চাপ ছিল না, তা বোঝা যায় আর্মস্ট্রঙের ক্যারিয়ার দেখলেই। তিনি মোট টেস্ট খেলেছেন ৫০টি, তার মধ্যে অধিনায়কত্ব করেছেন ১০টিতে। সেই ১০ ম্যাচে ৫৬ গড়ে করেছেন ৬১৬ রান, এর মধ্যে আছে ৩টা সেঞ্চুরিও। অধিনায়ক হিসেবে বাকি ৪০ ম্যাচে তার গড় মাত্র ৩৫.৬৭।
নিজেদের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পরের বছরেই দল নিয়ে ইংল্যান্ডে যান আর্মস্ট্রং। সেই সিরিজেও প্রথম ৩ টেস্ট জিতে নেন অনায়াসে, সেই সাথে জিতে নেন সিরিজও। ইংল্যান্ড আবার হোয়াইটওয়াশ হবে, আগের বছরের লজ্জার পুনরাবৃত্তি হবে, এমনটাই যখন ভাবছে সবাই, তখনই বিপত্তি ঘটে গেল। ড্র হয়ে গেল শেষ দুই টেস্ট। তবে এখানে ইংল্যান্ড দলের বিন্দুমাত্র ভূমিকাও নেই। স্বাগতিক দলকে সে যাত্রা বাঁচিয়ে দিল বৃষ্টি। টানা ৮টা টেস্ট জিতলেন আর্মস্ট্রং, সেই সময়ে একটানা ৮ টেস্ট জয় ছিল একটা রেকর্ডের ব্যাপারও।
সেই সিরিজের শেষ টেস্ট ছিল আর্মস্ট্রঙের ক্যারিয়ারেরও শেষ টেস্ট।
চতুর্থ টেস্টে এমন একটা ঘটনা ঘটে, যেটা পাঠকদের জানানোর লোভ সামলানো যাচ্ছে না। তিনদিনের টেস্ট ছিল সেটা, ‘রেস্ট ডে’ মিলিয়ে চারদিন। এর মধ্যে প্রথমদিনের খেলা ধুয়ে যায় বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় দিনটা দখল করে নেয় ‘রেস্ট ডে’। তৃতীয়দিন খেলা শুরু হলে প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকে ইংলিশ ব্যাটসম্যানেরা, ৪ উইকেটে ৩৪১ রান জোগাড় করে ফেলে তারা। দিনের খেলার তখন ঘণ্টা দেড়েকের কিছু বেশি বাকি। প্রতিপক্ষকে ব্যাট করানোর জন্য ইনিংস ঘোষণা করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক লর্ড লিওনেল টেনিসন। আর এখানেই শুরু হলো আর্মস্ট্রঙের খেল!
নির্বিকার গলায় আম্পায়ারদেরকে জানালেন, এই ইনিংস ঘোষণা তিনি মানেন না, কারণ খেলার এই মুহূর্তে ইনিংস ঘোষণা করা অবৈধ!
অবৈধ!
ইনিংস ঘোষণা করা অবৈধ!
ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা তো বটেই, আর্মস্ট্রঙের কথা শুনে হতভম্ব গেছেন আম্পায়াররাও। সেই সময়ে ক্রিকেটের আইনের বই খুলে আর্মস্ট্রং দেখালেন,
প্রথম দিনের খেলা যদি বৃষ্টিতে ভেসে যায়, এবং তিনদিনের ম্যাচ যদি দুদিনের ম্যাচে পরিণত হয়, তবে দিনের খেলার শেষ ১০০ মিনিটের মধ্যে ইনিংস ঘোষণা করা যাবে না!
আর এক ঘণ্টা আগে হলেও ইনিংস ঘোষণাতে বাধা থাকত না কোনো।। ক্রিকেটার তো কতই খেলেছেন! তাদের মধ্যে ক্যাপ্টেনের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু খেলার আইনের খুঁটিনাটি, নাড়িনক্ষত্র জেনে খেলতে নেমেছেন, এরকমটা ঘটেছে কমই। এমনিতে ক্ষুরধার ক্রিকেটমস্তিষ্ক ছিল আর্মস্ট্রঙের, কিন্তু এই ঘটনা প্রমাণ করে, শুধু মাথাই নয়, পড়াশোনাও ব্যাপক ছিল তার।
বাধ্য হয়ে আবার ব্যাট করতে নামল ইংল্যান্ড। বল হাতে নিলেন আর্মস্ট্রং। আক্ষরিক অর্থেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইনিংস ঘোষণার আগে শেষ ওভার তিনি করেছিলেন। ঘোষণা বাতিল হওয়ার পরে প্রথম ওভারও তিনিই করলেন। এর ফলে পরপর দুই ওভার বল করা প্রথম বোলার হয়ে যান আর্মস্ট্রং।
কী বললেন, পাঠক? আম্পায়াররা কিছু বলেননি?
সেদিকে মনোযোগ দেয়ার অবস্থা আম্পায়ারদের থাকলে তো!
৪.
আর্মস্ট্রং মারা যান ১৯৪৭ সালে। মৃত্যুর আগপর্যন্ত একটা মদপ্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুর পরে তার সকল সম্পত্তি উত্তরাধিকারসূত্রে পায় একমাত্র সন্তান ওয়ারউইক জিওফ্রে। কেউ যদি কখনো মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের জাদুঘরে যান, তবে এখনো সেখানে আর্মস্ট্রঙের বিশাল জুতোজোড়া, তাঁবুর আকৃতির শার্ট আর চওড়া কোমরের প্যান্ট দেখতে পাবেন।
লেখাটা শেষ করা যেতে পারে ওয়ারউইক আর্মস্ট্রঙের একটা উক্তি দিয়ে।
আর্মস্ট্রং আসলে খুব ভালো ক্যাপ্টেন নন, নেহাতই একটা ভালো দল পেয়েছেন বলে এরকম পারফরম্যান্স দেখাতে পেরেছেন। সোজা কথায়, আর্মস্ট্রং ক্যাপ্টেন হিসেবে যতটা ভালো, তার চেয়েও বেশি ভাগ্যবান। অস্ট্রেলিয়ার এরকম জয়রথের পরে এমন একটা দাবি ওঠে ইংলিশ সাপোর্টারদের মধ্যে।
এই শুনে স্বভাবসুলভভাবে একগাল হেসে আর্মস্ট্রং বলেন,
ভালো ক্যাপ্টেন হওয়ার চেয়ে ভাগ্যবান ক্যাপ্টেন হওয়া ঢের ভালো।
খেলাধুলা সম্পর্কে আরও জানতে পড়তে পারেন এই বইগুলো: