দুঃখ-কষ্ট, ব্যর্থতা মানুষের ভেতরকে নাড়িয়ে দিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত করে। আবার এই দুঃখ-কষ্ট, ব্যর্থতা অনেক সময় আগামীতে বিপুল বিক্রমে লড়াইয়ের শক্তি যোগায়। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ইমরুল কায়েস, তাসকিন আহমেদের ক্ষেত্রে প্রথমটিকে গুরুত্ব দেয়ার সুযোগ কম। দ্বিতীয়টিকে অবলম্বন করাই তাদের জন্য শ্রেয়।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে ঠাঁই হয়নি এই দুই ক্রিকেটারের। আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোপ পড়েছে তাদের উপরই। দু’জন ভিন্ন ভিন্ন কারণে বাদ পড়েছেন। বাদ পড়াদের খাতায় নাম থাকায় দিনশেষে তারা একই সুতোয় গাঁথা। অলৌকিক কিছু না ঘটলে স্বপ্ন-সাধের বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না তাদের। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের পর প্রয়োজনে দল পরিবর্তনের কথা বলেছেন কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সেই সম্ভাবনা খুবই কম।
২০১৮ সালে একের পর এক চোটে পড়েছিলেন তাসকিন। বিপিএলে ফিরেছিলেন স্বরূপে। বল হাতে দারুণ ছন্দে থাকা এই পেসার ২২ উইকেট নিয়েছিলেন। নিউ জিল্যান্ড সফরের টেস্ট, ওয়ানডে দলেও ডাক পান। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কোপানলে পড়েন বিপিএলের নিজ দলের শেষ ম্যাচে। বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করতে গিয়ে পায়ের ইনজুরিতে পড়েন। সেই ইনজুরিতে ছিটকে পড়েন নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে। রিহ্যাব শেষে মাঠে ফিরলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচে বিবর্ণ ছিলেন বল হাতে। সেখানেই নির্বাচকদের বিবেচনা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
ইমরুল মূলত ‘দুর্ভাগা’। অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে তার ক্যারিয়ার। দলের প্রয়োজনে সবসময়ই নিবেদিতপ্রাণ তিনি। গত বছর জিম্বাবুয়ে বিরুদ্ধে ‘রেকর্ড’ তিন ম্যাচে ৩৪৯ রান করেও দলে টিকে থাকতে পারেননি। নিউ জিল্যান্ড সফরে রাখা হয়নি তাকে। এবার বিশ্বকাপ দলেও উপেক্ষিত এই অভিজ্ঞ ওপেনার।
বিশ্বকাপ দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে তাসকিনের বাদ নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছিলেন,
‘আমরা ওকে নিয়ে অনেকদিন থেকেই চিন্তা করছি। সে কিন্তু ২০১৭ সালের ২২শে অক্টোবর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ (ওয়ানডে) খেলেছে বাংলাদেশের হয়ে। ওটার পর কিন্তু আমরা যখন ওকে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য চিন্তাভাবনা করেছিলাম, তখন আবার ইনজুরিতে পড়ে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত সে পুরোপুরি ফিট না। সেই হিসেবে আমরা তাকে ‘স্কিল ফিট’ হিসেবে চাচ্ছি না। সে ঘরোয়া লিগে একটি ম্যাচে খেলেছে ‘স্কিল ফিট’ হিসেবে, কিন্তু তার ফিটনেস শতভাগ নয়। তবে এখনও সময় আছে। আয়ারল্যান্ড সফরে আমাদের ১৭ জন সদস্য যাচ্ছে। এর মধ্যে ও যদি পুরো ফিট হয়ে যায় এবং দরকার হয়, তাহলে ওকে আমরা ব্যাকআপ হিসেবে রাখবো।’
ইমরুলের ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচকের ভাষ্য, ওপেনিংয়ে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন রাখতে চেষ্টা করেছেন তারা। তিনি বলেছেন,
‘আমাদের যে ২০ জনের পুল আছে, সেখানে ও আছে। টিম ম্যানেজমেন্ট একটি কম্বিনেশন চাচ্ছিল ডান এবং বাঁহাতি টপ-অর্ডারের।’
লিটন-সৌম্যদের সম্ভাবনার ‘বলি’ ইমরুল
ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের স্থানটা বাংলাদেশ দলে পাকা। তার সঙ্গী হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে ঘুরে ফিরে খেলছেন ইমরুল, বিজয়, সৌম্য, লিটন। তবে তিন তরুণের তুলনায় নিয়মিত সুযোগ পাননি অভিজ্ঞ ইমরুল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যখনই দলের বিপদে ডাক পড়েছে, এই ওপেনারের ব্যাট কথা বলেছে আপন আলোয়। এশিয়া কাপের মাঝপথে তাকে উড়িয়ে নেয়া হয় দুবাই। সকালে দুবাই নেমে, দুপুরের মাঝে আবুধাবি গিয়েছেন। দুপুরের পর ম্যাচে নেমে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচজয়ী অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন। আফগান লেগস্পিনার রশিদ খানকে থামাতে ইমরুলের অভিজ্ঞতা ব্যবহারের চেষ্টায় সফল হয়ে টিম ম্যানেজমেন্টও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে তামিম-সাকিব নেই, ব্যাট হাতে আস্থার ছত্রছায়া নিয়ে হাজির ৩২ বছর বয়সী ইমরুল। দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের অভাবটাই টের পেতে দেননি। ঈর্ষণীয় ধারাবাহিকতায় তিন ম্যাচে ৩৪৯ রান (১৪৪, ৯০, ১১৫) করেছেন, যা তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। পরের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচ ব্যর্থ হওয়ায় ছুঁড়ে ফেলা হয় ইমরুলকে, যারা ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপ দলেও রাখা হয়নি তাকে।
ক্রাইসিসম্যান, কিংবা দলের বিপদের ত্রাতা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও বাঁহাতি এই ওপেনার বারবার অবহেলার শিকার হয়েছেন। ইমরুল বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েছেন দলে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারকে রাখায়। ব্যাটিংয়ে তাদের ধারাবাহিকতা, ফর্ম সবসময়ই দলের চিন্তার কারণ। তারপরও তাদেরকে জায়গা হওয়ার কারণ রয়েছে।
ওয়ানডে দলে এখন তামিমের দায়িত্ব লম্বা ইনিংস খেলা, অন্তত ৪০ ওভার। আর এখন আগের মতো মারকুটে ব্যাটিংটা করেন না তামিম। সেক্ষেত্রে আরেকপ্রান্তে কাউকে থাকতে হয়, যে কিনা দ্রুতগতিতে রান তুলবেন। এই বিবেচনায় লিটন-সৌম্যকে এগিয়ে রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
দল গঠন সংশ্লিষ্ট এক সিনিয়র ক্রিকেটারের ভাষ্য এমন, ইমরুল-তামিম একই স্টাইলের ব্যাটসম্যান। তামিমকে আপনি লম্বা ইনিংস খেলতে বলবেন এবং মারতে বলবেন, তা হবে না। তাই সৌম্য-লিটন; ওদের দায়িত্ব থাকবে শুরুতে আক্রমণ করা।
কিন্তু কার্যকারিতার দিক থেকে ইমরুলের অভিজ্ঞতাই এগিয়ে। পরিসংখ্যান অন্তত তাই বলে। গত দুই বছরে (১৮ এপ্রিল ২০১৭ থেকে ১৮ এপ্রিল ২০১৯) ১৩ ম্যাচ খেলে ৪৬.৭৫ গড়ে ৫৬১ রান করেছেন ইমরুল। একই সময়ে সৌম্য ১৮ ম্যাচে ২৯.৫২ গড়ে ৫০২ রান, লিটন দাস ১৮ ম্যাচে ২১.৩৩ গড়ে ৩৮৪ রান করেছেন। হিসেবটা এক বছরে নামিয়ে আনলে ইমরুল আরও এগিয়ে থাকছেন।
ওয়ানডেতে ৭৮ ম্যাচ খেলে ৩২.০২ গড়ে ২ হাজার ৪৩৪ রান করেছেন ইমরুল। ৪১ ম্যাচে ৩৪.৪৩ গড়ে ১ হাজার ২৭৪ রান করেছেন সৌম্য। ২৭ ম্যাচে ১৯.৫৩ গড়ে লিটন দাসের রান ৫০৮। ওয়ানডেতে সৌম্যর দর্শনীয় বেশ কিছু ইনিংস রয়েছে। কিন্তু লিটন নিজেকে এখনও সেভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। ২৭ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি, একটি হাফসেঞ্চুরির বাইরে ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলতে পেরেছেন মাত্র চারবার!
আলোচনায় ছিল আক্রমণাত্মক ব্যাটিং, মানে স্ট্রাইকরেটের কথা। লিটনের স্ট্রাইকরেট ৭৯.৭৪, সৌম্যর ৯৮.৬০, ইমরুলের ৭১.১০। সৌম্য এগিয়ে থাকলে ইমরুল-লিটনের মাঝে খুব বেশি দূরত্ব নয়। তবে অভিজ্ঞতা, ফর্ম বিবেচনায় ইমরুল এগিয়ে থাকাই স্বাভাবিক ছিল। যদিও জাতীয় দলের এক শীর্ষ ক্রিকেটার বলেছেন, এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে লিটনের খেলা ১২১ রানের ইনিংসটাই সব বদলে দিয়েছে। ম্যাচে লিটনের আগ্রাসী ব্যাটিং মন কেড়েছে সবার। এই ইনিংসের পর ডানহাতি এই তরুণ ওপেনারকে আরও বেশি সুযোগ দিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেটা ওয়ানডেতে তার ফর্ম যেমনই থাকুক।
বিশ্বকাপে খেলার আশা করেছিলেন ইমরুলও। তাই তো গত কয়েক বছরে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন। বাদ পড়ার পর হতাশাজড়িত কন্ঠে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বলছিলেন,
‘সবসময় চেষ্টা করছি ভালো খেলার। জাতীয় দলে যখনই সুযোগ পেয়েছি রান করার চেষ্টা করেছি। মাথায় এটা ছিল যে, ভালো না খেললে বিশ্বকাপে থাকবো না। আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু দলে নেয়নি। এটা কিছু করার নাই। এসব আমার নিয়ন্ত্রণে নাই।’
তবে হাল ছাড়বেন না ইমরুল। তিনি বলেছেন,
‘আমি সবসময় প্রস্তুত। গত বিশ্বকাপেও পরে গিয়ে খেলেছি। আমি সুযোগের অপেক্ষায় আছি। নিজেকে প্রস্তুত রাখবো।’
বিশ্বকাপ দলে না থাকায় অবসরে যাবেন তিনি, এমন গুঞ্জনও উঠেছিল। ইমরুল ভিডিও বার্তায় অকপটে বলেছেন, লড়াইটা চালিয়ে যাবেন তিনি। এখনই অবসরের কোনো চিন্তাই নেই তার মনে।
ফিট তাসকিনের অপেক্ষা করলেন না নির্বাচকরা
২০১১ সালে বিশ্বকাপ দল ঘোষণার দিন কেঁদেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলে সুযোগ হয়নি এক মাস আগে ইনজুরিতে পড়া মাশরাফির। ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ দল ঘোষণার দিন কাঁদলেন তাসকিন। দুই মাস আগে ইনজুরিতে পড়েছিলেন এই তরুণও।
তবে এই কান্নার চিত্র দিয়ে দু’জনকে একবিন্দুতে আনার চেষ্টা করছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দুই সময়ের ছবি এক করে ছাড়ছেন সমর্থকরা। কিন্তু আবেগের কারণে দুই সময়ের পার্থক্য চোখে পড়ছে না কারও।
২০১১ সালে মাশরাফি ছিলেন দেশের সেরা পেসার এবং জাতীয় দলের অধিনায়ক। বিশ্বকাপ ছিল ঘরের মাঠে, তাই তার বাদ পড়াটা চরম হতাশারই ছিল।
এই সময়ে তাসকিন নিশ্চিতভাবেই দেশের সেরা পেসার নন। তবে বিশ্বকাপ খেলতে না পারার হতাশা কোনো অংশেই কম নয় কোনো ক্রিকেটারের কাছে। তবে দু’জনকে একবিন্দুতে আনার একটা রাস্তা অবশ্যই আছে। তা হলো, ফিটনেস ইস্যু।
২০১১ সালে মাশরাফিকে দলে রাখাই যেত। কারণ প্রথম কয়েকটা ম্যাচ না পারলেও শেষের দিকে ঠিকই খেলার মতো ফিট হয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফি। সেদিকে কর্ণপাত করেননি ওই সময়ের প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলম।
এবার দল ঘোষণার সময় নির্বাচকরা বলেছেন, তাসকিন পুরো ফিট নন। যদিও ইনজুরি কাটিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন এই তরুণ পেসার। খুব ভালো না করলেও উন্নতি তার হচ্ছিল, এটা স্পষ্ট। বিশ্বকাপ আরও দেড় মাস দূরে। এর মাঝে তাসকিন পুরোপুরি ফিট হতেন, তাতে সন্দেহ হয়তো কম লোকেরই আছে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও পারতেন তাসকিনকে ফিট হওয়ার সময় দিতে, দলে রেখে আত্মবিশ্বাস যোগাতে। কারণ, বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে তার মতো দ্রুতগতির বোলার দরকার ছিল বাংলাদেশের।
গত ১৭ এপ্রিল জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন বলেছেন, ইংল্যান্ডে গতিময় পেসার লাগবে। বোলিংয়ে গতি থাকতে হবে। অভিজ্ঞ এই পেসার বলেছিলেন,
‘ঐ ধরণের কন্ডিশনে জোরে বোলিং করা একটি ফ্যাক্ট। কারণ জোরে বোলার দরকার হয়। তবে আমি নিজের কাছে নিজেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেই সবসময়।’
বাংলাদেশে হাল সময়ে দ্রুতগতিতে বোলিং করা পেসারদের অন্যতম রুবেল ও তাসকিন। বিশ্বকাপে তাসকিন না থাকায় বল হাতে গতির ঝড় তোলার দায়িত্বটা তাই রুবেলের উপরই বেশি থাকবে।
গত বিশ্বকাপ, তথা ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ছিলেন তাসকিন, ৯ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। বাদ পড়ার পর নিজের আদর্শ মাশরাফিকে ফোন করেছিলেন তাসকিন। বলেছেন,
‘মাশরাফি ভাইরে ফোন দিছিলাম। বলছে পর্যাপ্ত ফিট না, তাই রাখে নাই।’
বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ না হওয়া বিমর্ষ এই তরুণ। তিনি বলেছেন,
‘এখন দেশের জন্য যেটা ভালো হয়েছে, সেটাই করেছে তারা। স্বপ্ন ছিল, স্বপ্নপূরণ হয়নি আর কি।’
তবে হাল ছাড়তে নারাজ তাসকিন। ফেরার লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। বলেছেন,
‘আসলে চেষ্টা করে যাব, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। এছাড়া আর কিছু তো করার নাই। আমি ক্রিকেট ভালোবাসি, ক্রিকেট খেলবো।’
ইমরুল সবসময় বলেন, তার একটা কিট ব্যাগ সবসময় গোছানো থাকে। যখনই ডাক আসবে, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে সর্বদা প্রস্তুত এই বাঁহাতি ওপেনার। তাসকিনের জন্য ২২ গজে নিজেকে আবার প্রমাণ করা ব্যতীত কোনো সুযোগ নেই।
গত বিশ্বকাপেও তারা দু’জন খেলেছেন। তাসকিন ছিলেন অটোমেটিক চয়েস। আর এনামুল হক বিজয়ের ইনজুরির কারণে সুযোগ পেয়েছিলেন ইমরুল। এবার তাদের বিশ্বকাপ ভাগ্য খুলবে কি না, বলা কঠিন। তবে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার যেই মনোবল তারা দেখিয়েছেন, তাতে খুব শিগগিরই জাতীয় দলের জার্সিতে তাদের খেলতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।