ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেছে। এর মাঝে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড়, দেউলিয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা, আইপিএলের দল আট থেকে বেড়ে হয়েছে দশ — তবুও বিরাট কোহলির একখানা সেঞ্চুরি পাওয়া আর হয়নি। নামটা বিরাট কোহলি বলেই এত সব আলোচনার ঝড় উঠছে। বিশেষ করে তার আগ অব্দি তিন ফরম্যাটেই যে দোর্দণ্ড প্রতাপের সাথে রান করে চলতেন তিনি, তার সাথে অন্তত এখনকার দ্রুতই প্যাভিলিয়নে পাড়ি জমানো কোহলিকে মেলানো যায় না।
কিন্তু বিরাট কোহলির হয়েছেটা কী? অ্যাথলেট হিসেবে তিনি এখনও ফিট, রিফ্লেক্সের হিসেবে তাকে এখনও লেটার মার্কই দিতে হবে, নিজেকে অনুপ্রাণিত করার ব্যাপারেও কোহলি এখনও সাড়ে ষোল আনা। তাহলে সমস্যাটা লুকিয়ে কোন সিন্দুকে? অন্তত এক সময়ের তিন ফরম্যাটেই সেরা তিনে থাকা কোহলির সাথে এখনকার কোহলিকে তো মেলানো যায় না!
সবাই বলছে, ক্রিকেট থেকে একটা ছুটি নিলে হয়তো আবার নিজের রূপে ফিরে আসবেন কোহলি। কিন্তু আসলেই কি তাই? টেকনিক্যাল ব্যবচ্ছেদে যাওয়ার আগে আমরা বরং ঘুরে আসি কোহলির পরিসংখ্যানে।
পরিসংখ্যান
১লা জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ অব্দি বিরাট কোহলির পারফরম্যান্সের দিকে নজর দেওয়া যাক।
এই সময়ে টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে কোহলি ছিলেন ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। এমনকি টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের হয়ে তার রানের সংখ্যাটা ছিল একদম তিন নম্বরে, কোহলির আগে ছিলেন কেবল শিখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা। তবে রোহিত এবং ধাওয়ানের চাইতে কোহলির রান কম থাকলেও গড় কিন্তু বেশিই ছিল। এই সময়ে টি-টোয়েন্টিতে রোহিত আর ধাওয়ানের গড় যেখানে ছিল যথাক্রমে ৩২.৫৩ এবং ৩২.০০, সেখানে কোহলির গড় ছিল ৪৬.৪৭! আর স্ট্রাইক রেট? সেটাও আকাশচুম্বী — ১৪২.৬৯!
আবার এই একই সময়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে যদি আপনি কোহলির পরিসংখ্যান দেখেন, সেখানেও আপনাকে অবাক হতে হবে।
২০১৭ সালের কথাই ধরুন। টুর্নামেন্টের শুরুতে তিনি ছিলেন ইনজুরিতে। অথচ টুর্নামেন্ট শেষে দেখা গেল নিজ দলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের একজন তিনি। আবার এর পরের কয়েক বছরেও তিনি সমানে রান করেছেন বেশ উঁচু স্ট্রাইক রেটের সাথেই।
এখন একটা ব্যাপার লক্ষ্য করুন। এই তিন বছরে ভারতীয় দলের শিডিউল ছিল দারুণ ব্যস্ততার; আর এর সাথে যদি আইপিএল যোগ করেন, তাহলে কোহলির রীতিমতো দম ফেলার ফুরসত নেই। কিন্তু এর মধ্যেও কোহলি বিশেষ কোনো ম্যাচ মিসই করেননি, উপরন্তু তিন ফরম্যাটেই পারফর্ম করেছেন দোর্দণ্ড প্রতাপের সাথে।
এবার সময়ের ফ্রেমটা বদলানো যাক। দেখা যাক ১লা জানুয়ারি, ২০২০ থেকে আসলে কী ঘটছে।
২০২০-এর আইপিএলটা কোহলির খারাপ কেটেছিল এমন দাবি করা যাবে না। কিন্তু রানের খাতায় কমতি না থাকলেও স্ট্রাইক রেটে বড়সড় একটা পতন ঘটেছিল কোহলির; অন্তত ২০১৭-২০১৯ সময়ের স্ট্রাইক রেট থেকে তো বটেই। আর সেই যে স্ট্রাইক রেটের পতন ঘটে গেল, এখন অব্দি তা পুনরোদ্ধার করতে পারেননি কোহলি। আর এই স্ট্রাইক রেটের পতন হওয়াটা কোহলির এই পারফরম্যান্সের পতনের সাথে বেশ ভালভাবেই যোগসাজশ রাখে।
আবার ২০২০ থেকে যদি আপনি কোহলির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিসংখ্যানের দিকেও চোখ রাখেন, তাহলে সেখানেও একটা পতন আপনার চোখ এড়াবে না। বিশেষ করে টেস্ট আর ওয়ানডেতে কোহলির পারফরম্যান্স ২০১৭-২০১৯ এর সময় থেকে বেশ ভালোভাবেই নিচে নেমে গেছে। টি-টোয়েন্টিতে বিশাল একটা গড় আগের মতো ধরে রাখলেও টি-টোয়েন্টির প্রাণ যে স্ট্রাইক রেট, সেখানে কোহলি কিন্তু আইপিএলের মতোই নিচের দিকেই একটা লাফ দিয়েছেন।
এখন ২০১৭-২০১৯ আর ২০২০ এর পরে খেলা ম্যাচের সংখ্যার দিকে তাকানো যাক। পরের পিরিয়ডেই বরং কম ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। এছাড়াও এটা ভুলে গেলে চলবে না, ২০২০ সালে কোভিড মহামারির জন্যে বিরাট কোহলি লম্বা একটা ব্রেক পেয়েছেন, যেটা কি না শুধু কোহলি নয়, সব খেলোয়াড়কেই ব্যস্ত শিডিউল থেকে সতেজ হয়ে ফিরে আসতে একটা ছুটিই দিয়েছে। আর সে কারণেই, যারা মনে করছেন ক্রমাগত ম্যাচ খেলাই কোহলির জন্যে চাপ হয়ে যাচ্ছে কিংবা একটা ছুটিই পারে কোহলিকে আবার ফিরিয়ে আনতে, সেই তত্ত্বটা আসলে খুব একটা যুৎসই হচ্ছে না।
তাহলে কোহলির সমস্যাটা কোথায়?
১লা জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ অব্দি সিমারদের বিপক্ষে কোহলির পারফরম্যান্সের একটি বিশ্লেষণ ছক নিচে দেওয়া হলো:
আবার ১লা জানুয়ারি, ২০২০ থেকে হিসেব করা সেই একই রকম একটি ছক নিচে দেওয়া হলো:
উপরের ছকের এই তুলনাটার দিকে ভালভাবে লক্ষ্য করুন। প্রথমত, কোহলির শক্তির জায়গা যে ড্রাইভ, সেখানেই ২০২০ পরবর্তী সময়টায় ব্যাপক ঘাটতি দেখা গেছে। এছাড়াও স্ট্রোকপ্লে, মিস পার্সেন্টেজ আর নিয়ন্ত্রণের হিসেবেও কোহলি আগের চাইতে অনেক বেশি জড়তায় ভুগছেন। এই বছর কয়েক আগেও কোহলি অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ শটে কত কত রান করেছেন, আর এখন সেই জায়গাটাতেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। আর এই ড্রাইভ শটের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলাটাও কোহলির সেঞ্চুরি না পাওয়ার একটা বড় কারণ হতে পারে।
পুরনো কথায় ফিরে আসি। মানসিক অবসাদ কিংবা শট সিলেকশন কোনোটাই আসলে কোহলির পারফরম্যান্স ব্যার্থতার কারণ বলে মনে হচ্ছে না। আমরা কোহলির ক্যারিয়ারের সেরা সময়েও অফ সাইডে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হতে দেখেছি। কিন্তু কোহলি তখন এতটা হতাশ হতেন না, কারণ তিনি জানতেন অফ সাইডে কভার ড্রাইভটা তার শক্তির জায়গা, তার মতো আর কেউ পারে না। কোহলি কি এখনও আগের মতোই ভাবেন? কোহলির কভার ড্রাইভটা কি আগের মতোই স্বচ্ছন্দ্য আছে?
এবার ২০১৮ থেকে ২০২২ অব্দি কোহলির ব্যাটিংয়ের টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলির দিকে চোখ দেওয়া যাক। এই টেকনিক্যাল ব্যবচ্ছেদে আমরা একই রকম পরিবেশ ও একই রকম ডেলিভারিতে দু’টি ভিন্ন সময়ে কোহলির ব্যাটিংয়ের যে পরিবর্তন এসেছে, সেটি দেখার চেষ্টা করব।
টেকনিক্যাল ব্যবচ্ছেদ
ব্যাটিং স্ট্যান্স — ২০১৮ বনাম ২০২২
ছবিগুলির দিকে তাকানো যাক। প্রথম ছবিটা কোহলির ২০১৮ সালের ব্যাটিং স্ট্যান্সের, আর দ্বিতীয় ছবিটা ২০২২ এর ব্যাটিং স্ট্যান্সের।
২০১৮ সালের দিকে কোহলির পায়ের দিকে লক্ষ্য করা যাক। এখানে পা দুটো পরস্পর সমান্তরালে রাখা আছে, বাম কনুইটা তাক করা আছে একদম সোজা সামনের দিকে। কিন্তু কোহলির ২০২২ সালের স্ট্যান্সে একটা পরিবর্তন এসেছে। এখানে পা দুটো আর আগের মতো সমান্তরাল অবস্থায় নেই, বরং ফ্রন্ট ফুট অর্থাৎ সামনের পা বোলারের কাছে অনেক বেশি উন্মুক্ত হয়ে আছে। আর কনুইয়ের দিকেও যদি আপনি লক্ষ্য রাখেন, তাহলে দেখবেন ২০২২ এর স্ট্যান্সের কনুই সোজা মিড-অনের দিকে তাক করা, এটা আর সোজা তাক করা নেই।
ব্যাক প্রেসের পর অবস্থান
ব্যাকফুটে শট খেলার সময়ে দুটো ভিন্ন সময়ে কোহলির দুটো ভিন্ন টেকনিক দেখা যায়। ২০১৮ সালের দিকে কোহলির ব্যাকফুটে শট খেলার সময় পেছনের পা ছিল সোজা, কিন্তু ২০২০ সালে এসে সেই একই পরিস্থিতিতে পেছনের পা আছে বাঁকা হয়ে। এতে কী হয়েছে? এতে করে কোহলি পেছনের পায়ে আগের চেয়ে কম প্রেসিং পাচ্ছেন, কেননা ২০১৮ সালে যখন পা সোজা ছিল, তখন ব্যাকফুটে বেশি ওজন কাজ করত; এতে করে ব্যাকফুটে বোলারকে প্রেস করা সহজ হত। যেটা কি না কোহলির বর্তমান টেকনিকে সম্ভব হচ্ছে না।
ফ্রন্ট প্রেসের পর অবস্থান
প্রথম ছবির দিকে তাকানো যাক। ফ্রন্ট ফুটে শট খেলার সময় কোহলি পা এগিয়ে দিচ্ছেন তখন, যখন বোলার ডেলিভারি ছুঁড়ে দিয়েছে। এরপর কোহলির বাম কাঁধ একদম বোলারের দিকে সোজা বরাবর আছে আর ফ্রন্ট ফুট তার ব্যাকফুটকে সামনে আড়াল করছে — যেটা কি না আদর্শ। কিন্তু দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যায়, কোহলি তখনই ফ্রন্ট ফুটকে সামনে নিয়ে আসছেন যখন বল বোলারের হাতে রয়ে গেছে। আবার ফ্রন্ট ফুট আগে যেভাবে ব্যাকফুটকে নির্ভরতা দিত, সে ব্যাপারও এখন অনুপস্থিত রয়েছে। এমনকি কোহলির বাম কাঁধও আগের মতো বোলারের দিকে তাক করা নেই, এটা অনেকটা উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। মূলত কোহলি যে এখন অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলগুলি আগের মতো খেলতে পারেন না, তার কারণ এটাই।
বল পিচে পড়ার পর
দুটো ছবিতেই আপনি দেখতে পাবেন, ডেলিভারি দুটো একদম একই ধরনের। কিন্তু আপনি প্রথম ছবির দিকে একবার তাকান। কোহলির ব্যাট, ফ্রন্টফুট আর পা একদম বলের সাথে একই লাইন বরাবর আছে। কিন্তু দ্বিতীয় ছবিতে কোহলির টেকনিক কিন্তু মোটেও এমন অবস্থায় নেই। বরং সেখানে কোহলির ফ্রন্টফুট আছে একদম সোজা, কিন্তু কাঁধ আছে বলের সাথে একই লাইনে। আবার ব্যাটকেও তিনি বলের লাইনে আনতে পারছেন না। এই দ্বিতীয় ছবির ব্যাটিংয়ে বলকে ব্যাটের সাথে সংযোগ করাটা আসলে অনেক বেশি কঠিন।
খেলার সময়
প্রথম ছবির দিকে লক্ষ্য করা যাক। কোহলি যখন বলটাকে পুশ করেন, সেই সময়ে প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বল আর ব্যাটের মধ্যে দূরত্বটা খুব বেশি নেই। এমন অবস্থায় আসলে কভার ড্রাইভ খেলাটা ব্যাটারের জন্যে অনেক সহজ হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বল পুশ করার সময়েও কোহলির ব্যাট অনেক দূরে আছে। এমন দূর থেকে বলকে চার্জ করতে হলে ব্যাটারকে অনেক জোরে পুশ করতে হয়। বেশিরভাগ সময়ে এসব ক্ষেত্রে টাইমিংয়ে গণ্ডগোল হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
পয়েন্ট অফ কনট্যাক্ট
প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কোহলি বলটিকে দুর্দান্ত এক কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ছবিতে একই রকম ডেলিভারিতে কোহলি বলের লাইন মিস করে আউট হয়ে গেছেন।
এই লেখার শুরুতে নিজের ব্যাটিংয়ের উপর কোহলির নিয়ন্ত্রণের যে অভাব আমরা ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে দেখতে পেয়েছি, তাতে করে এই ছবিগুলি শুধুই নিছক একটি ডেলিভারির গল্প নয়। আমরা যে একই রকম ডেলিভারিতে দুটো ভিন্ন বছরে কোহলির দুই ভিন্ন রকম টেকনিক দেখলাম, এটাই বরং কোহলির দিনের পর দিন অফ ফর্মের একটা বড় কারণ। এখন ক্রিকেটে রাজত্ব করছে প্রযুক্তি, একজন ক্রিকেটারের দুর্বলতা থেকে শুরু করে শক্তির জায়গা সবই প্রতিপক্ষের কাছে আতশ কাঁচের নিচে রেখে পর্যালোচনার সুযোগ আছে।
যেমন, একজন ব্যাটারের আউট হওয়ার ডেলিভারিগুলোর ৬০% যদি একই রকম হয়, তাহলে সেটা ভিন্ন একটা বার্তাই দেয়। উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরা যাক, কোনো একজন ব্যাটার ফোর্থ স্ট্যাম্পের ওপর পিচ করা এবং গুড লেংথের বেরিয়ে যাওয়া বলে বারবার আউট হয়ে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে ব্যাটার হিসেবে আপনি দুটো বার্তা পেতে পারেন — প্রথমত, আপনার টেকনিক্যাল দুর্বলতা আছে; আর দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষ আপনাকে নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া করেছে।
২০২০ এর জানুয়ারি থেকে এই অব্দি , সাদা পোশাকে কোহলি যে ১৪ বার আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেছেন তার মধ্যে ১২ বারই তিনি আউট হয়েছেন কোন এক সিমারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। তাই এখানেই বোঝা যায়, কোহলির আসলে সমস্যাটা কোথায়। তাই যারা বিশ্রামের কথা বলছেন, তারা কোহলিকে মোটেও ঠিক কোন বার্তা দিচ্ছেন না। একজন ক্রিকেটার যখন ফর্মের চূড়ায় থাকেন তখন তাকে কিছুদিন বিশ্রাম নিতে বলা যায়। এতে করে সে আরো সতেজ হয়ে ফিরে আসতে পারে। কিন্তু যখন একজন ক্রিকেটার ভাল পারফর্ম করছেন না, তখন তাকে ক্রিকেট থেকে দূরে পাঠালে তিনি সেই একই টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়েই বিশ্রাম শেষে ক্রিকেটে ফিরে আসবেন। আর ফলাফলে থাকবে সেই একই ব্যর্থতা। তাই কোহলি যদি ম্যাচ থেকে বিরত থাকতেই চান, সেটা হতে পারে তিনি নিজের টেকনিক্যাল এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে একটা বিরতি নিচ্ছেন।
সব তো বোঝা গেল। এই লেখাটা শেষ করব কোহলিকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষক প্রসন্ন অগোরামের উক্তি দিয়ে:
“দক্ষিণ আফ্রিকার মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের সাথে কাজ করার সুবাদে আমি দেখেছি, অনেক বড় ক্রিকেটারই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়। সেসব ক্ষেত্রে আমি তাদের উপদেশ দিয়েছি সেসব কিছু নিয়েই কাজ করতে যেটা তাকে আগের মতো পারফর্ম করতে দিচ্ছে না। সেটা খুঁজে বের করে কাজ করলে প্রায় সবাই ভালো ফল পেয়েছে। আশা করছি, কোহলি নিজেও সেসব ফ্যাক্টর খুঁজে পাবেন, যা তার স্কোরিং প্যাটার্নকে বদলে দিয়েছে; আর সেসব শুধরে আগের মতো অবস্থায় ফিরে আসবেন।”
* সকল তথ্য ২৫শে মে, ২০২২ অব্দি