২০০৫ সালে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেরিন কোরে’র মেজর মাইকেল প্রোসার তার মাস্টার্স থিসিসের জন্য ‘Memetics – A Growth Industry in US Military Operations’ নামক একটি নিবন্ধ জমা দেন। এই নিবন্ধে তিনি মত প্রকাশ করেন যে, বিশ্বব্যাপী মার্কিন সামরিক কার্যক্রমকে ন্যায়সঙ্গত হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য মার্কিন সরকারের উচিত এই সংক্রান্ত মিম (meme) কৌশলগতভাবে ব্যবহার করা। সহজ ভাষায়, প্রোসার চেয়েছিলেন, মার্কিন সরকার বিশ্বব্যাপী (বিশেষত ইরাক ও আফগানিস্তানে) তাদের সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে ইতিবাচক জনমত সৃষ্টির জন্য ভুয়া তথ্য সংবলিত মিম ব্যবহার করুক। এই উদ্দেশ্যে তিনি একটি ‘মিম যুদ্ধ কেন্দ্র’ (meme warfare center) সৃষ্টি করারও প্রস্তাব দেন। কিন্তু হয় প্রোসারের প্রস্তাব গৃহীত হয়নি, কিংবা গৃহীত হলেও এবং মার্কিন সরকার সেই মোতাবেক কাজ করলেও সেই বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।
এর ছয় বছর পর ২০১১ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ‘ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রোজেক্টস এজেন্সি’ (DARPA, ‘ডারপা’) কৌশলগত যোগাযোগের (strategic communications) ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে গবেষণার জন্য ৪ কোটি ২০ লক্ষ (বা ৪২ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে। এর উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলো বৈশ্বিক ও যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ জনমতকে প্রভাবিত করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে যেভাবে ব্যবহার করছে সেটি প্রতিহত করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মার্কিনবিরোধী যেসব মিম ছড়িয়ে পড়েছে, সেগুলোর প্রভাব বিশ্লেষণ করাও ছিল এর উদ্দেশ্য। কিন্তু ‘এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ’য়ে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুযায়ী, ডারপার গবেষণা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে, কারণ ২০১৬ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রুশ সাইবার হস্তক্ষেপ (এবং মিমের ব্যবহার) তারা আটকাতে পারেনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের জন্য ‘মিম’ একটি অতিপরিচিত বিষয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন, অথচ কোনো মিম চোখে পড়েনি, এরকম ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয় বললেই চলে। প্রচলিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, মিম (meme) হচ্ছে সাধারণভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া কোনো ছবি বা ভিডিও, যেটির উপরে কোনোকিছু লেখা থাকে, যেগুলো তৈরি করা হয় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া বা ‘ভাইরাল’ (viral) করার উদ্দেশ্যে, এবং যেগুলো প্রায়শই হাস্যরসাত্মক হয়ে থাকে। একজন নারী একটি বিড়ালের দিকে নির্দেশ করে চেঁচামেচি করছেন, কিংবা খেলার মাঠে একজন টাক মাথাবিশিষ্ট দর্শক হতাশ হয়ে কোমরে দুই হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন– এই মিমগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। সম্প্রতি একজোড়া দস্তানা পরিহিত অবস্থায় তোলা মার্কিন রাজনীতিবিদ বার্নি স্যান্ডার্সের একটি ছবিও ব্যাপকভাবে মিম হিসেবে প্রচারিত হয়েছে।
এসব ক্ষেত্রে এই মিমগুলো প্রচার করার উদ্দেশ্য মূলত বিনোদনমূলক। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে মিম প্রচার করার উদ্দেশ্য এতটা সরল হয় না। এটি উল্লেখ্য যে, মিমের কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফটো এডিটিং সফটওয়্যারগুলো সহজলভ্য হওয়ায় মিম বর্তমানে সর্বব্যাপী হয়ে পড়েছে এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মিমগুলো সাধারণত অতি দ্রুত ইন্টারনেট জগতে ছড়িয়ে পড়ে, বিপুল সংখ্যক মানুষ এ ধরনের মিম দেখে ও শেয়ার করে এবং এই মিমগুলো কে প্রথম ছড়িয়েছে, সেটি খুঁজে বের করা খুবই কঠিন কাজ। এর ফলে কেউ যদি চায়, খুব সহজেই মিম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারে। সহজ ভাষায়, বর্তমান বিশ্বে মিমকে একধরনের হাতিয়ারে পরিণত করা সম্ভব। এবং এই বিষয়টি এখন অহরহই ঘটছে।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত মনে করা হতো, ‘ডিপফেইক’ (deepfake) হচ্ছে ইন্টারনেট জগতে সত্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এমন কোনো ছবি বা ভিডিও, যেটিকে এডিট করা হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেটি ‘ডিপফেইক’ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সত্যের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে মিম। কারণ ডিপফেইকের তুলনায় মিম তৈরি করা খুবই সহজ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (artificial intelligence) মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিম নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন কাজ।
ভুয়া তথ্যের উৎস নির্ণয়কারী সংস্থা ‘কিনজেন’–এর সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান শেইন ক্রিভির মতে, ডিপফেইকের উৎস শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রযুক্তি রয়েছে, এজন্য এটি তুলনামূলকভাবে কম বিপজ্জনক। কিন্তু মিমের উৎপত্তিস্থল নির্ণয়ে সক্ষম এমন কোনো প্রযুক্তি এখনো আবিষ্কৃত হয়েছে বলে তার জানা নেই। এজন্য কেউ যদি কোনো ভুয়া তথ্য সংবলিত মিম তৈরি করে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দেয় এবং সেটি ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তাকে খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণের ভয় বা পক্ষপাতিত্বকে ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক বা অন্য কোনো ধরনের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য বেশকিছু মানুষ বিভ্রান্তিকর তথ্য সংবলিত মিম ছড়িয়ে দিচ্ছে।
মিডিয়া ইন্টেলিজেন্স ফার্ম ‘জিগনাল ল্যাবস’–এর করা একটি নতুন গবেষণা অনুযায়ী, কোভিড–১৯ এর টিকা সম্পর্কে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে মিম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যেমন: ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত একটি মিম ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এই মিমটিতে দাবি করা হয়, কোভিড–১৯ টিকার সঙ্গে পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তির (5th-generation technology, ‘5G technology’) সম্পর্ক রয়েছে (এবং এই টিকা নিলে গ্রহীতার ওপর নজরদারি করা সম্ভব হবে)। এই মিমে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটিকে একটি ‘5G’ চিপের ডায়াগ্রাম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’টি (conspiracy theory) দ্রুত ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে এবং হাজার হাজার মানুষ এই তত্ত্বটিকে উল্লেখ করে। কিন্তু কার্যত যে ছবিটিকে একটি 5G ডায়াগ্রামের ছবি হিসেবে দাবি করা হচ্ছিল, সেটি মূলত গিটারে ব্যবহৃত একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটের ডায়াগ্রাম!
সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড–১৯ টিকা সংক্রান্ত মিথ্যা প্রচারণার কারণে টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের সংখ্যা কমপক্ষে ৬% হ্রাস পেয়েছে। বস্তুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ কোভিড–১৯ টিকা নিতে অনাগ্রহী, এর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর মিমগুলো অন্তত আংশিকভাবে দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, পুরোপুরি মিথ্যা তথ্যের চেয়ে আংশিক সত্য ও আংশিক মিথ্যার মিশ্রণে উদ্ভূত ভুয়া তথ্য মানুষের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে, এবং ঠিক এভাবেই মিম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
কেবল কোভিড–১৯ টিকার ক্ষেত্রেই নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও মিমের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। যেমন: ২০০৭ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি প্রার্থী জন ম্যাককেইনকে নিয়ে একটি মিম ছড়িয়ে পড়ে। ম্যাককেইন একজন কট্টর ইরানবিরোধী ও যুদ্ধবাজ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত, এবং তিনি এ সময় ‘বিচ বয়েজ’ ব্যান্ডের জনপ্রিয় গান ‘বার্বারা অ্যান’–এর সুরে ‘বম্ব বম্ব বম্ব, বম্ব বম্ব ইরান’ এই লাইনটি গেয়েছিলেন। তার এই কাণ্ড নিয়ে তৈরি একটি মিম ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে, এবং এর ফলে ম্যাককেইন সম্পর্কে জনমানসে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্বভাবতই এর ফলে ম্যাককেইনের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী বারাক ওবামা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হন।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এরকম ‘মিম যুদ্ধ’ ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া, চীন ও হংকং, ভারত ও পাকিস্তান, ইসরায়েল ও গাজা– এদের প্রত্যেকের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্বেই ‘মিম যুদ্ধ’ বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের মিম যুদ্ধে সাধারণত বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকে, এবং সেজন্য এই মিমগুলোর মধ্য দিয়ে ভুয়া তথ্য চিহ্নিত করা আরো কঠিন একটি কাজ। এমনকি, মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, ২০১৬ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় রুশদের চালানো ‘মিম যুদ্ধ’ মার্কিন জনমতকে উল্লেখযোগ্য হারে প্রভাবিত করেছে, এবং নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে ভূমিকা রেখেছে! অর্থাৎ, মিম এবং মিমের মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া তথ্য বর্তমানে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিমের মাধ্যমে ভুয়া তথ্যের বিস্তার রোধ করা বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই কঠিন। কারণ, কোনো বাক্য বা ছবি আলাদাভাবে ব্যবহার করে যদি ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়, সেগুলোকে শনাক্ত করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের পক্ষে সহজ। কিন্তু মিমে সাধারণত কোনো ছবি বা ভিডিওর উপরে কোনো বাক্য সংযোজন করে দেয়া হয়, এবং এর মধ্য থেকে ঠিক–ভুল যাচাই করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য খুবই কঠিন। তদুপরি, বিভিন্ন মিম তৈরির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট কাজ করে, এবং প্রযুক্তির বর্তমান অবস্থায় এআইয়ের পক্ষে সেগুলো অনুধাবন করা সম্ভব নয়।
এআই বিশেষজ্ঞ এবং ‘ভিকারিয়াস এআই’–এর প্রতিষ্ঠাতা দিলীপ জর্জের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভুয়া তথ্য ছড়ানো মিম শনাক্ত করার জন্য এআই প্রযুক্তিকে ব্যাপকভাবে অগ্রসর হতে হবে। এক্ষেত্রে এমন ধরনের এআই সিস্টেম তৈরি করতে হবে, যেগুলো মানব মস্তিষ্ক যে নীতিগুলোর ভিত্তিতে কাজ করে সেগুলো অনুধাবন করতে সক্ষম এবং যেগুলো কোনো মিমের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট অনুধাবন করতে পারবে।
তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভুয়া তথ্য ছড়ানো মিম শনাক্ত করার উদ্দেশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশি সংখ্যক মানুষকে মডারেটর হিসেবে নিযুক্ত করতে হবে। ইতোমধ্যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ঘৃণাসূচক মিম চিহ্নিত করার জন্য ‘Hateful Memes Challenge’ নামক একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছে। অনুরূপভাবে, টুইটার কর্তৃপক্ষও ভুয়া তথ্য চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে ‘বার্ডওয়াচ’ নামক ক্রাউডসোর্সড একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পটির লক্ষ্য হচ্ছে, কোনো টুইটে ভুয়া তথ্য থাকলে সেটিকে চিহ্নিত করা এবং সেখানে সঠিক তথ্য প্রদান করে একটি নোট সংযুক্ত করে দেওয়া।
বর্তমানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী নানা ধরনের মিম দেখছে এবং শেয়ার দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো মিম শেয়ার করার সময় তারা সেই মিমে যদি কোনো তথ্য থাকে, সেটি সত্যি না মিথ্যা, তা যাচাই না করেই শেয়ার করছে। এর মধ্য দিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট জগৎ জুড়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এখনো এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিশেষ সচেতনতার সৃষ্টি হয়নি। কারণ, উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিক ফ্ল্যানের মতে, অধিকাংশ মানুষই এটা বিশ্বাস করতে অনিচ্ছুক যে, তারা যা চাচ্ছে প্রকৃতপক্ষে সেটা তাদের চাওয়া নয়, বরং সেটা তাদেরকে দিয়ে চাওয়ানো হচ্ছে।