ভ্রমণের অসংখ্য ইতিবাচক দিক রয়েছে, আর সেগুলো কারোরই অজানা নয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ ভ্রমণের নেতিবাচক দিকের সংখ্যাও প্রায় একই হারে বেড়ে চলেছে। পরিবেশ দূষণ, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল বিনষ্ট, বন্যপ্রাণীর প্রজননে বিঘ্ন, ঐতিহসিক নিদর্শন ধ্বংস, ছিনতাই, ধর্ষণ, হত্যা, প্রতারণাসহ কোনো কিছুই বাদ নেই। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নির্মম হচ্ছে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য মানুষের দ্বারা প্রশিক্ষিত ও ব্যবহৃত প্রাণীদের মানবেতর জীবনযাপন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য হাতি, ডলফিন, তিমি, বানর, বাঘ, ভালুক, শ্লথ, সাপ, উটসহ প্রায় সব ধরনের প্রাণীকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। পর্যটকেরাও এই ব্যবস্থায় যারপরনাই আগ্রহী ও আনন্দিত। সপরিবারে বাঘের সাথে ছবি তোলা, বাঘের বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো, ডলফিনের বিনোদন, ডলফিনকে মাছ খাওয়ানো, হাতির পিঠে চড়া, হাতির সাথে কাদাপানিতে গোসল করা, হাতির আঁকা ছবি সংগ্রহ, বানরের নাচ দেখা, শ্লথ কোলে নিয়ে ছবি তোলা- এসবই পর্যটকদের জন্য ‘কোয়ালিটি টাইম’, ‘গ্রেট হলিডে’ ইত্যাদি কোটা পূরণের সবচেয়ে ভাল উপায়। আর সার্কাসের কথা তো বলাই বাহুল্য। বাচ্চাদের স্মার্টফোন, কম্পিউটার গেমস্ থেকে দূরে রেখে ‘প্রকৃতির’ সান্নিধ্যে, বন্যপ্রাণীর সংস্পর্শে আসার সুযোগ করে দেওয়াটা নিঃসন্দেহে বাবা-মায়ের জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু আসলেই কি এই ধরনের পর্যটনে অংশগ্রহণ করে ততটা গর্বিত হওয়া যায়?
২০১৯ সালের জুন মাসে ‘ন্যাশনার জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন’ এর স্টাফ রাইটার ও সম্পাদক নাতাশা ডালি এবং নিউ ইয়র্কের ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার কার্স্টেন লুস, প্রায় বছরখানেক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ ও গবেষণার মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও ফলাফলের উপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এই রিপোর্ট থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ‘ওয়াইল্ডলাইফ ট্যুরিজম’ এর নামে বন্যপ্রাণীদের যে কী ধরনের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় তার অত্যন্ত নিষ্ঠুর বাস্তবতা সম্পর্কে জানা যায়। এই রিপোর্ট তৈরির জন্য তাদেরকে বেশ খানিকটা গোয়েন্দাগিরিও করতে হয়েছে বৈকি!
থাইল্যাণ্ডের উত্তরাঞ্চলের চিয়াং মাই প্রদেশে অবস্থিত ‘ম্যাটাম্যান এলিফ্যান্ট অ্যাডভেঞ্চার’, বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বিনোদন কেন্দ্র। বাসে করে নেমে আসা অসংখ্য পর্যটক প্রতিদিন এখানে এসে হাতির পিঠে চেপে, শুঁড় ধরে হাওয়ায় ভেসে বেড়িয়ে ছবি তুলে নিজেদের ভ্রমণকে পরিপূর্ণ করে তোলে। এছাড়াও হাতির আঁকা ছবি, হাতির দ্বারা অতিরিক্ত বড় সাইজের বল ছোঁড়াছুড়ি দেখা, বাজনার তালে হাতির লাফানোসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য। কিন্তু এসব করানোর জন্য প্রত্যেক মাহুতই ধাতব কাঁটাযুক্ত একধরনের লাঠি দ্বারা নিজ নিজ হাতিদের আঘাত বা ভয় দেখানোর মাধ্যমে কাজ হাসিল করে থাকে। এমনকি বাচ্চা হাতিদের দু’পায়ে দাঁড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তাদের পায়ে এই ধরনের রিং পরিয়ে রাখা হয়, যাতে তারা কোনোরকম ‘বেয়াড়াপনা’ করলে নিজেরাই নিজেদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মোটামুটি কয়েক মাস বয়স থেকেই এই হাতিদের এসকল বিনোদনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই হাতিগুলো বছর দশেক পর্যন্ত এই ধরনের বিনোদনের খোরাক যোগানোর কাজ করে যায়। তারপর, অর্থাৎ দশ বছর পেরোনোর পরে তারা পর্যটকদের নিজেদের পিঠে চড়িয়ে আনন্দ দিয়ে থাকে। এভাবেই কেটে যায় তাদের জীবনের বেশিরভাগ সময়। মোটামুটি ৫৫ বা ৭৫ বছর বয়সে এই হাতিগুলো কাজ থেকে অবসর পায়। তারপরে হয় মৃত্যু, আর না হয় ভাগ্য সহায় হলে জীবনের শেষ সময়টা মুক্তভাবে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ ঘটতেও পারে। থাইল্যাণ্ডের ‘বান থা ক্ল্যাঙ্গ’ গ্রাম থেকেই সারা দেশে বিনোদনের জন্য হাতি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আর ‘ফাজাং’ নামক পদ্ধতিতে ঐ সকল অমানবিক উপায়ে হাতিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।
সচেতন মানুষ হিসেবে এই ধরনের বিনোদনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সন্তানদের ঠিক কী শিক্ষা দিচ্ছেন বাবা-মায়েরা? আর শুধু সপরিবারেই তো নয়, বরং সেলফিপ্রেমী পর্যটকেরা নিজেদের সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইলটিকে অনুসারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য, কোনো কিছু বিবেচনা না করেই, এসকল কর্মকাণ্ডে নিয়মিত যোগ দিচ্ছে। যে স্থানের ছবিতে যত বেশি ‘লাইক’, ঐ স্থানের প্রচারণাও তত বেশি। ফলস্বরূপ ঐসকল নিষ্ঠুর বিনোদনের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। আর চাহিদা থাকলে যোগানও দিতেই হবে। সুতরাং, বন্যপ্রাণীদের ওপর এই নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড আরও উৎসাহের সাথেই চলেতে থাকে।
এখানে পর্যটকদের দোষ একটাই- তারা পর্যাপ্ত খোঁজখবর না নিয়েই এসকল কর্মকাণ্ডকে উৎসাহ দিয়ে থাকে। প্রাণীদের প্রতি তাদের ভালবাসার কারণেই তারা এই বিনোদনের আনন্দ নিলেও, অজান্তেই তারা তাদের প্রিয় এই প্রাণীগুলোর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আফসোস এই যে, বাস্তব জানা সত্ত্বেও অনেক পর্যটক এই বিনোদনে অংশগ্রহণ করে থাকে। তবে এখানে মজার ব্যাপার এই যে, এই ধরনের পর্যটকদের পাশাপাশি সচেতন পর্যটকদের জন্যও রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা। ম্যাটাম্যানের আরেকটি সংস্থা ‘ইকো ভ্যালী’তে সচেতন পর্যটকেরা দেখতে পায় যে হাতিরা মহা আনন্দে কাদামাটিতে গোসল করছে। কিন্তু এই একই হাতিরা, ভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে এই দুটি পার্কেই দায়িত্ব পালন করে থাকে। অর্থাৎ, পর্যটকের ধরন ভিন্ন হলেও বন্যপ্রাণীর দুর্ভোগে কোনো ভিন্নতা নেই।
এরকম অসংখ্য উদাহরণ নাতাশা ও কার্স্টেনের এই গবেষণা রিপোর্টে দেখা যায়। তারের বেড়া মুখের চারপাশে আটকানো অবস্থায় বরফ ঢাকা পাটাতনের উপরে মেরু ভালুকের নাচানাচি দেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে রাশিয়ান সার্কাসে। আমাজনে রয়েছে শ্লথের সাথে পর্যটকদের সেলফি তোলার ব্যবস্থা। বন থেকে ধরে আনার পরে পর্যটকদের বিনোদন প্রদানের জন্য শ্লথেরা পর্যাপ্তভাবে ঘুমোতে পারে না, শ্লথেদের দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমের প্রয়োজন হয়। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঐ শ্লথেরা মৃত্যুবরণ করে।
থাইল্যাণ্ডে রয়েছে বাঘকে আলিঙ্গন করে ছবি তোলার ব্যবস্থা। এই ধরনের ছবির জন্য প্রস্তুত করানোর জন্য বাঘগুলোর নখ তুলে ফেলা হয় ও অবসন্নতার ওষুধ খাওয়ানো হয়। আরও ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এই ধরনের ছবি যেসকল বাঘের সাথে তোলা হয়, সেগুলো বস্তুত বাঘের বাচ্চা। অতি অল্প বয়সেই এই সকল বাচ্চা-বাঘেদের ‘স্পিড ব্রিডিং’ তথা সময়ের আগে প্রজননের মাধ্যমে নতুন বাচ্চা প্রসব করানো হয়। রাশিয়াতে একটি ভাল্লুকের ছবি তোলার জন্য ইনস্টাগ্র্যামের উঠতি ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ ফটোগ্রাফাররা টাকা পর্যন্ত খরচ করে থাকে।
আমেরিকা, রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশে সমুদ্র থেকে তিমি ও ডলফিন ধরে এনে বিভিন্ন ওয়াটার পার্কে দর্শকদের বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসকল ক্ষেত্রে এই প্রাণীদের কর্মস্থল একটি ছোট চৌবাচ্চা বা পুকুরের চেয়ে বড় কিছু হয় না। সুতরাং ভোগান্তিটা সহজেই অনুমেয়। এই ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থায় শিশু সন্তানদের আনন্দ-উল্লাসে বাবা-মায়েরা যথেষ্টই সন্তুষ্ট বোধ করেন। রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো আরও কিছু দেশে ভ্রাম্যমাণ ‘ওসানারিয়াম’ অর্থাৎ চলতে-ফিরতে থাকা সমুদ্র দর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থায় একটি বাক্সের মধ্যে পানি ভরে তিমি ও ডলফিনকে বন্দী করে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে জীবনে কখনো সমু্দ্র দেখতে না পাওয়া মানুষেরা যারপরনাই আপ্লুত। কিন্তু অসীম সমুদ্র চষে বেড়ানো প্রাণীটি একটি বাক্সে বন্দী হওয়ার পরে তার মানসিক ও শারীরিক দুরবস্থার কথা চিন্তা করার জন্য খুব বেশি বুদ্ধিমত্তারও প্রয়োজন নেই।
এই ধরনের ‘প্রশিক্ষণ’ ও বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হতে গিয়ে এসকল প্রাণীদের শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও যথেষ্ট কষ্টভোগ করতে হয়। এর ফলে তারা সব সময়ই বিষাদগ্রস্থ হয়েই কাটায়। এমনকি এসকল কাজে ব্যবহৃত প্রাণীদের অসুস্থতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয় না। নাতাশার রিপোর্টে দেখা গেছে থাইল্যাণ্ডের একটি বিনোদন কেন্দ্রে একটি বাঘের দাঁতের গোড়ায় পচনের কারণে মাড়ি ফুলে উঠেছে। কিন্তু চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থাই নেই। প্রায় একই রকম অবস্থাতেই দেখা যায় একটি হাতিকে যার মাথায় ছিল আঘাতের ফলে সৃষ্ট দগদগে ঘা, আর ছিল ইনফেকশনের কারণে ফুলে ওঠা পা।
বিভিন্ন দেশে সরকারিভাবে ডলফিন ও তিমিসহ অন্যান্য প্রাণী শিকার ও বন্দী করার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনের প্রচলন ও বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেই সাথে বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত প্রাণীদের সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্যও আইন রয়েছে। সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সবচেয়ে বড় পার্কে পর্যটনের অংশ হিসেবে হাতির পিঠে চড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতারক ও চোরাকারবারী এবং সর্বোপরি অসচেতন পর্যটকদের কারণে এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন নজরে আসেনি।
এই ধরনের অসচেতনতা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে, সংশ্লিষ্ট বন্যপ্রাণীর বিলুপ্তির জন্যও দায়ী। সম্প্রতি ‘কণ্ডে নাস্ট ট্রাভেলার ইণ্ডিয়া’তে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, গত ৪৫ বছরে মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে পৃথিবীর প্রায় ৬০ শতাংশ বন্যপ্রাণী নিহত হয়েছে। কিন্তু এভাবে যদি মানুষের আগ্রহের বা বিনোদনের খোরাক যোগাতে গিয়ে বন্যপ্রাণী বিলুপ্তই হয়ে যায়, তাহলে মানুষ বন্যপ্রাণীর সম্পর্কে জানবে কী করে আর নিজের ও বন্যপ্রাণীর সুরক্ষাই বা করবে কী করে?
যেখানে সমস্যা থাকে সেখানে সব সময়েই কিছু না কিছু সমাধানও থাকে। সবার আগে যেটা প্রয়োজন তা হলো নিজেদের স্বার্থপরতাকে দমিয়ে সচেতন নাগরিকের মতো আচরণ করা। সরকারের বিধানকৃত নিয়মাবলী নিজে মেনে চলার পাশাপাশি, কোথাও নিয়ম অমান্য হতে দেখলে তার প্রতিবাদ করা ও প্রতিহত করা, আগামী প্রজন্মকে বন্যপ্রাণী ও বনাঞ্চলের সুরক্ষা এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করাসহ একজন শিক্ষিত মানুষের পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব, যার দ্বারা এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হতে পারে। আর বন্যপ্রাণীর সংস্পর্শে আসতে চাইলে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে নিচের কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে:
১. বড় বড় ট্রাভেলিং ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সাফারি পার্ক বা এই জাতীয় বিনোদন কেন্দ্রের সম্পর্কে প্রকাশিত রিভিউ এর ক্ষেত্রে চার-পাঁচ তারকা রিভিউ এর চেয়ে এক-দুই তারকা সম্বলিত রিভিউকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ, কারণ সেক্ষেত্রে অনেক আপত্তিকর বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে।
২. এই ধরনের পার্কে প্রাণীদের কীভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে, যথাযথ খাবার-পানি-চিকিৎসা-বিশ্রামের ব্যবস্থা রয়েছে কি না সে সম্পর্কেও খোঁজ নিতে হবে।
৩. কোনো ধরনের বিনোদনমূলক কাজের জন্য কোনো বন্যপ্রাণীকে জোর করা হচ্ছে কি না, কোনো প্রাণীর শরীরে ক্ষতচিহ্ন আছে কি না ইত্যাদি সতর্কতার সাথে যাচাই করতে হবে।
৪. যে সকল পার্কে সাধারণত বেশি ভীড় তা এড়িয়ে চলতে হবে বা ভীড় যখন কম থাকে সে সময়ে যেতে হবে, এতে করে প্রাণীদের শারীরিক ও মানসিক দুই ধরনের প্রশান্তিই নিশ্চিত করা যাবে।
৫. সার্কাস বা পার্কের কৃত্রিম বিনোদনের চেয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে অর্থাৎ বন্য প্রাণীদের নিজস্ব স্বাভাবিক পরিবেশেই তাদের পরিদর্শন করা উচিৎ, তাতে করে বন্যপ্রাণীদের সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া যাবে।
পর্যটকেরা নিজেরা সচেতন হলেই ঐসকল নিষ্ঠুর কৃত্রিম বিনোদন এমনিতেই বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য। ছবি আঁকা, বল খেলা, ছবির জন্য মডেলিং করা, সার্কাসে নাচানাচি করা বা বাক্সে বন্দী হয়ে নিজেকে প্রদর্শিত করার জন্য বন্যপ্রাণীদের সৃষ্টি করা হয়নি। তাই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই ভ্রমণের আনন্দ নিন।