দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেও পৃথিবীর বড় একটা অংশ ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছিল ইউরোপীয় শক্তিগুলোর উপনিবেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে উপনিবেশ শাসনের অধীনে থাকা দেশগুলোতে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ে, স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার হয় বিভিন্ন ঘরানার রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাত ধরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে, খুব দ্রুতই বাড়তে থাকে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের সংখ্যা। এই সময়ে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে কমেছে রাষ্ট্রের আকার। উপনিবেশ শাসনের অধীন থেকে স্বাধীন হওয়া রাষ্ট্রগুলোও আবার খণ্ড-বিখণ্ড হয়েছে, তৈরি হয়েছে আরো নতুন নতুন রাষ্ট্র। অনেক ক্ষেত্রে আবার ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র নির্মাণের প্রচেষ্টা। রাষ্ট্র নির্মাণের একই রকম সাফল্য আর ব্যর্থতার গল্প আছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ক্ষেত্রেও।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর স্বাধীনতা
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ট্যুরিজমের জন্য বিখ্যাত আন্টিগুয়া এন্ড বারবোডা, ট্যুরিস্টদের প্রিয় গন্তব্যের একটি বাহামাসও। বাহামাসের ৭০০ দ্বীপের বড় একটা অংশ অবসবাসযোগ্য হলেও টুরিস্টদের মুগ্ধ করার মতো সমুদ্রসৈকত, কোরাল প্রাচীর আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সবই আছে। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলদের যেসব দেশ ক্রিকেটের জন্য বিখ্যাত, বার্বাডোস তার একটি। ক্রিকেটের পাশাপাশি সৈকত আর রামের জন্য বিখ্যাত এই দেশের অর্থনীতিও পর্যটন আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল। শান্তিপূর্ণ উপায়ে বার্বাডোস লেবার পার্টি আর ডেমোক্রেটিক লেবার পার্টির যৌথ নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করে বার্বাডোস, ব্রিটিশ উপনিবেশ শাসকেরা বার্বাডোস ছেড়ে যায় ১৯৬৬ সালে।
পাঠকদের কাছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সবচেয়ে পরিচিত দেশ সম্ভবত কিউবা। ফিদেল কাস্ত্রোর দেশ কিউবা কমিউনিজমের পাশাপাশি বিখ্যাত চিনি, টোব্যাকো আর কফির রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে। গান, সৃজনশীল শিল্পকর্ম আর সিগারের জন্য পরিচিত এই দেশ স্বাধীনতা লাভ করে সালে ১৯৫৯ সালে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারকে সরিয়ে। কিউবার বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার মতো এর স্বাধীনতা আন্দোলনও কৌতূহল জাগানিয়া, উনবিংশ শতাব্দীতেই শুরু হয় কিউবার স্বাধীনতা আন্দোলন। সর্বশেষ, এই স্বাধীনতা আন্দোলন এসে পূর্ণতা পায় ফিদেল কাস্ত্রো আর চে গুয়েভারার হাত ধরে, কিউবাতে প্রতিষ্ঠিত হয় কমিউনিজম।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দুটি দেশ হলো ডমিনিকা আর ডমিনিকান রিপাবলিক। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দুটি দেশেই কৃষিনির্ভর অর্থনীতি রয়েছে, কলা, চিনি আর কফি রপ্তানি করে এই দুটি দেশ। ডমিনিকান রিপাবলিক উপনিবেশ ছিল স্পেনের, উনবিংশ আর বিংশ শতাব্দীতে সহিংস স্বাধীনতা আন্দোলন করেছে এদেশের স্বাধীনতাকামীরা। ডমিনিকান রিপাবলিক স্বাধীনতা পায় ১৮২১ সালে, তিনশো বছরের উপনিবেশ শাসনের শেষে। এরপর এটি চলে যায় হাইতির অধীনে, সেখান থেকে মুক্ত হয় ১৮৪৪ সালে। ১৮৬১ সালে স্পেন আবারো দখল করে ডমিনিকা রিপাবলিক, যুক্তরাষ্ট্রের উপনিবেশ শাসনের অধীনে যায় ১৯১৬ সালে। ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় থার্ড রিপাবলিক, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফোর্থ রিপাবলিক। ১১ মিলিয়নের এই দেশে মাথাপিছু আয় ১০ হাজার ডলারের বেশি।
ডমিনিকান রিপাবলিকানের সাথে হিস্পানিওলা দ্বীপের একাংশ নিয়ে গড়ে উঠেছে হাইতি, যেটি পৃথিবীর প্রথম দাসরাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। মসলার জন্য বিখ্যাত গ্রানাডা, যদিও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতোই এর অর্থনীতিও কৃষি আর পর্যটন-নির্ভর।
জ্যামাইকা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বড় দেশগুলোর একটি, পর্বত, রেইন ফরেস্ট আর নয়নাভিরাম সৈকতের এই দেশ পাঠকদের কাছে পরিচিত ক্রিস গেইলের সূত্রে। আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম বিজ্ঞাপন ক্রিস গেইলের দেশ জ্যামাইকা, পর্যটন আর কৃষির বাইরে এদেশে বিকশিত হয়েছে ম্যানুফেকচারিং খাত। সাংস্কৃতিকভাবে খুবই সমৃদ্ধ এই দেশ, বিখ্যাত সংগীতের জন্যও। জ্যামাইকান লেবার পার্টি আর পিপলস লেবার পার্টি নেতৃত্ব দেয় জ্যামাইকার স্বাধীনতা আন্দোলনে, ব্রিটিশদের কাছ থেকে জ্যামাইকা স্বাধীনতা অর্জন করে ১৯৬২ সালে।
এর বাইরে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আছে সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো ইত্যাদি। প্রায় সবগুলো দেশই কৃষি আর পর্যটন নির্ভর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ছিল বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তির উপনিবেশ শাসনের অধীনে। ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে ১৯৬২ সালের আগস্টে, স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় পিপলস ন্যাশনাল মুভমেন্ট (পিএনএম)। পিএনএমের হাত ধরে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর ঘটে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোতে।
কেন সফল হয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলন?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে স্বাধীন রাষ্ট্রের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়েছে, বেড়েছে স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনের সংখ্যাও। স্বাধীনতার দাবিতে তৈরি হওয়ার আন্দোনলগুলো রাজনৈতিক যৌক্তিকতা পায় দুটি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে।
প্রথমত, কালচারালিস্ট থিওরির আলোকে বলা হয়, একটি জাতিরাষ্ট্রের জন্য জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উত্থান ঘটে বিভিন্ন সাংস্কৃতি পরিচয়ের ভিন্নতা, বৈচিত্র্য ও বৈষম্যের জায়গা থেকে। পরিচয়ের ধারণাটি ভাষাকেন্দ্রিক হতে পারে, হতে পারে নৃগোষ্ঠীকেন্দ্রিক কিংবা ধর্মীয়ও। পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা স্বাধীনতা আন্দোলনের অহরহ ঘটনা আছে পৃথিবীজুড়ে, এসব আন্দোলনের বৈধতা আসে প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক বৈষম্যের উদাহরণ থেকে, বৈধতা তৈরিতে ভূমিকা রাখে সুশীল সমাজের ভূমিকাও।
দ্বিতীয়ত, র্যাশনালিস্ট থিওরির আলোকে বলা হয়, মানুষ সবসময় সিদ্ধান্ত নেয় প্রাপ্ত তথ্যের মধ্যে তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানকে বিবেচনা করে। অর্থাৎ, একটি রাজনৈতিক শক্তি তখনই স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেয়, যখন স্বাধীনতা অর্জন তাঁর জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করবে। সাধারণত, প্রত্যেক রাষ্ট্রেই একটি কোর ও পেরিফেরির ধারণা তৈরি হয়। কোরে থাকা গ্রুপগুলো তুলনামূলক অধিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা পায়, আবার পেরিফেরিতে থাকা গ্রুপগুলোর মুখোমুখি হতে হয় উল্টো অভিজ্ঞতার। ফলে, একটা সময় পেরিফেরিতে থাকা রাজনৈতিক শক্তিগুলো স্বাধীনতা অর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক পরিচয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে ধারণ করে।
তৃতীয়ত, মানুষ স্বভাবগতভাবেই স্বাধীন। উপনিবেশ শাসন প্রায় কোনো দেশেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে নেয় না। বরং, উপনিবেশ শাসনের বিরুদ্ধে মানুষ বারবার রাজনৈতিক সংগ্রামে যুক্ত হয়, যুক্ত হয় উপনিবেশ শাসন থেকে মুক্ত করার প্রচেষ্টায়। উপনিবেশ শাসকেরা আবার নিজেদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে অধীনে থাকা অঞ্চলগুলো ত্যাগ করতে চান না। এমন প্রেক্ষাপটে প্রায় সব দেশেই উপনিবেশ শাসকদের সাথে স্বাধীনতাকামীদের সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
আবার, উপনিবেশ শাসকেরা সবসময় চেষ্টা করে, যাতে কোথাও স্বাধীনতার আন্দোলন দানা বাধতে না পারে। সেজন্য একটি নিপীড়নমূলক রাষ্ট্রকাঠামো সবসময় তৈরি করে রাখেন উপনিবেশ শাসকেরা, সেই নিপীড়নের শিকার হন সর্বস্তরের জনগণ। নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতেও স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হয় মানুষ।
চতুর্থত, প্রত্যেকটি জাতিই কিছু মৌলিক মূল্যবোধকে সঙ্গী করে গড়ে ওঠে, প্রত্যেক জাতিরই থাকে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। এজন্য পৃথিবীর ১৩০টিরও অধিক দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রত্যেকটি দেশ নিজেদের মতো করে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে সাজিয়ে নিয়েছে।
শাসনতান্ত্রিক মূল্যবোধের বৈচিত্র্য সব দেশেই থাকে, সেখান থেকেই সংঘাত তৈরি হয় উপনিবেশ শাসকদের সাথে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত ভাষাকেন্দ্রিক ইস্যুতে তৈরি হয়েছে, তৈরি হয়েছে সম্পদের ন্যায্য হিস্যার দাবিতেও। আবার, ধর্মীয় বিভিন্ন ইস্যুতে ভিন্ন ঘরানার অবস্থানও সংঘাত তৈরি করে দুই কমিউনিটির মধ্যে। বিভিন্ন ইস্যুতে এমন অবস্থানও স্বাধীনতার দাবিকে প্রাসঙ্গিক করে তোলে।
পঞ্চমত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির চরিত্র বদলেছে, বদলেছে এক দেশের রাজনীতিতে অন্য দেশের হস্তক্ষেপের ধরন। আবার, একই দেশে একাধিক পরাশক্তির প্রভাব বিস্তারের ঘটনা নিয়মিত ঘটে, প্রভাব বিস্তার নিয়ে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ঘটে নিয়মিত দ্বন্দ্বও। স্বাধীনতা অর্জন আর উপনিবেশ শাসনের অধীনে থাকার দুটি পরিস্থিতির মধ্যে মাঝে মাঝে চলে পরাশক্তিদের লড়াই, এই লড়াইয়ের ফলেও অনেক সময় অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
আঞ্চলিক রাজনীতির সমীকরণও অনেক সময় স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণী ভূমিকা পালন করে। একটি বৃহৎ রাষ্ট্রকে ভেঙে দিতে পারলে কিংবা একটি উপনিবেশ শক্তিকে বিতাড়ন করতে পারলে সেখানকার বিবাদমান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর জন্য সুবিধাজন অবস্থা তৈরি হবে।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের যেসব দেশ স্বাধীনতা পায়নি
এখনও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অন্তত ১৭টি অঞ্চল স্বাধীনতা পায়নি, রয়ে গেছে উপনিবেশ শাসনের অধীনেই। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে এখনো নিজেদের অবস্থান ধরে রাখা দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র।
একসময়ের পরাক্রমশালী উপনিবেশ শাসক ছিলো যুক্তরাজ্য, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলেও ছিল তাদের বিশাল উপনিবেশ শাসন। এসব অঞ্চলের মধ্যে অনেকগুলো স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করলেও, এখন যুক্তরাজ্যের অধীনে আছে অ্যাঙ্গোলা, বারমুডা, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, মন্টসেরাত, কেম্যান আইসল্যান্ড, তুর্কস এন্ড সাইকাস আইল্যান্ড। এশিয়া আর প্যাসিফিক অঞ্চলে একসময় কর্তৃত্ব করা নেদারল্যান্ডের অধীনে আছে বোনাইর, কুরাকাউ, সাবা, সেইন্ট মার্টিন, সেইন্ট ইসুটাটিস ও আরুবা। আফ্রিকায় বর্বরতম উপনিবেশ শাসন চালানো ফ্রান্সের অধীনে আছে গোয়াদেলপ, মার্টিনিক, সেইন্ট বার্থিলিমি, ও সেইন্ট মার্টিন। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে আছে পুয়ের্তো রিকো।
কেন স্বাধীনতা পায়নি এসব অঞ্চল?
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের স্বাধীনতা না পাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে অধিকাংশ অঞ্চলেই স্থানীয় বাসিন্দা কম, বেশ কয়েকটি দ্বীপ ব্যবহৃত হয় কেবলই সামরিক প্রয়োজনে। বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলো ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে এসব জায়গায় নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ধরে রেখেছে, নিজেদের উপস্থিতির বৈধতা তৈরিতে ব্যবহার করছে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক যুক্তি ও প্রভাব। এসব অঞ্চলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির সুষম বিকাশ হয়নি, যেটি স্বাধীনতা আন্দোলনের সফলতার জন্য অনেক বেশি জরুরি। এখনকার এলিটরাও স্বাধীনতার পক্ষে শক্ত অবস্থান নেননি, আদর্শিকভাবে শুদ্ধ অবস্থান নেই স্থানীয় সুশীল সমাজেরও। এসব কারণেই স্বাধীনতা পায়নি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এসব জায়গা।