১
ওয়াদি আল-জজ; পূর্ব জেরুজালেমের একটি এলাকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৫০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই এলাকায় রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ফিলিস্তিনির বসবাস। এর বাংলা অর্থও বেশ চমৎকার- ‘আখরোটের উপত্যকা’!
প্রায় তিন দশক আগে এই উপত্যকাতেই খাইরি-রানা দম্পতির ঘর আলো করে আসে এক পুত্রসন্তান, নাম রাখা হয় ইয়াদ আল হাল্লাক্ব। ধীরে ধীরে ইয়াদ বড় হতে থাকে, তাকে ঘিরে মা রানা আর বাবা খাইরিও মনে মনে বুনে যেতে থাকেন হরেক রকম স্বপ্ন। কিন্তু একসময় তারা দেখলেন, তাদের সন্তানের আচরণ কেমন যেন স্বাভাবিক ঠেকছে না, সমবয়সী অন্যান্য শিশুর যেমন আচরণ করার কথা, সে ঠিক সেভাবে বেড়ে উঠছে না।
দুশ্চিন্তা নিয়েই ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেন তারা, এবং জানতে পারলেন যে তাদের আদরের ইয়াদ একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, যে কিনা অটিজমে আক্রান্ত। যেকোনো মা-বাবার জন্য এমন পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়াই স্বাভাবিক। কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন তারাও। কিন্তু এরপরই সন্তানকে আরও বেশি ভালবাসতে শুরু করলেন রানা। মায়ের মন কেবলই বলত, এই ছেলে আল্লাহ্র এক বিশেষ রহমত হিসেবেই এসেছে আমাদের কাছে, আমাদের রক্ষা করবে নানা ঝড়ঝঞ্চা থেকে, ঠিক তার নামের অর্থের মতোই।
লোকজনের সাথে ঠিকমতো কথা বলতে পারত না ইয়াদ, অপছন্দ করত মানুষজনের ভিড়ও। এক অদ্ভুত স্বভাব ছিল তার। একটু পরপর হাত পরিষ্কার না করলে তার ভাল লাগত না। আবার চুপচাপ অলসভাবে বসে থাকাও পছন্দ ছিল না। তাই তো ঘরের ভেতর বিভিন্ন কাজে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকত ইয়াদ; মাকে রান্নাবান্নায় সাহায্য করা, বিভিন্ন জিনিসপত্র আনা-নেয়াসহ আরও অনেক কাজ করতে করতে সে যেন মায়ের ডান হাতই হয়ে উঠেছিল।
ঘরে বসে মা-ছেলে একসাথে সারাদিন বিভিন্ন রকম খুনসুটিতে মেতে উঠত, চলত হরেক রকম খেলাধুলাও। আবার বিকেলে রোর একটু কমে এলে তারা চলে যেত বাসার সামনের সিড়িতে। সেখানে বসে রানা ইয়াদকে শেখাতেন ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ সম্পর্কে। ইয়াদ মস্তিষ্ক কতটুকু বুঝত তা বোঝার উপায় ছিল না, তবে তা সত্ত্বেও মায়ের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। তিনি দেখতেন, কোনো কাজের শেষে ছেলের প্রশংসা করলে সে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারলেও মানুষের চোখের ভাষা সে ঠিকই পড়তে পারত। তাই তো লোকে যখন তার দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাত, সেটা তাকে আরও ক্ষেপিয়ে তুলত।
২
শারীরিকভাবে ইয়াদ বেড়ে উঠেছিল ঠিকই, কিন্তু মানসিকভাবে সে একেবারে শিশুটিই রয়ে গিয়েছিল। একসময় রানা বুঝলেন যে ঘরে রেখে ছেলেকে তিনি নানা রকম জিনিস শেখাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু এই কাজ আরও সুচারুরূপে করতে গেলে, ইয়াদের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করতে গেলে স্কুলের কোনো বিকল্প নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে এমন একটি স্কুলের সন্ধান তিনি পেয়েও যান, নাম আলউইন, যেখানে ইয়াদের মতোই এমন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষেরাই কেবল পড়ালেখা করে।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো স্কুলের আঙিনায় পা রাখে ইয়াদ। শুনতে অবাক লাগলেও সত্য যে তার বয়স ততদিনে ২৫ বছর ছাড়িয়ে গেছে! কিন্তু ইয়াদের তাতে বয়েই গেছে। জীবনের প্রথম স্কুল, নতুন পরিবেশ, নানা রকম নতুন জিনিস শেখার সাথে খুব সহজেই সে নিজেকে মানিয়ে নেয়। নিজের যত্ন নেয়া, রান্নাবান্না করা, গাছের যত্ন নেয়ার মতো নানাবিধ বিষয়ই ইয়াদ শেখে আলউইনে গিয়ে।
তবে সে সবচেয়ে ভালবাসত রান্না করতে। আগেই বাসায় মাকে ঘরের নানা রকম কাজে সাহায্যের অভিজ্ঞতা ছিল তার। স্কুলে গিয়ে তাই সবজি কাটা, খোসা ছাড়ানোর মতো কাজগুলো নিয়মিতই করত সে, চিনত সব রকমের মসলাই।
প্রতিদিনই তাই স্কুল খোলার সাথে সাথেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতো ইয়াদ। একটু পরেই উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে সহপাঠীদের সাথে রান্নাবানার কাজ শুরু করে দিত তারা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এই রন্ধনযজ্ঞের মাধ্যমে জেরুজালেমের আরও পাঁচটি স্কুলে খাবার সরবরাহ করা হতো। এভাবে প্রতিদিন সেখান থেকে ১,৩০০ জনের খাবার তৈরি হতো।
শুরুর দিকে ইয়াদকে তো রানা একা একা ছাড়তেই চাইতেন না। দোকানপাট, মসজিদ, রাস্তাঘাট- সব জায়গায় মা-ই ছিল তার একমাত্র সঙ্গী। পরবর্তীতে তার জন্য একজনের ব্যবস্থা করা হয় যে তাকে রাস্তায় চলাফেরার বিভিন্ন নিয়মকানুন ধীরে ধীরে শিখিয়ে দেয়। এভাবে চলে দু’বছরেরও বেশি সময়। এরপর যখন পরিবারের লোকেরা মনে করল যে ইয়াদ নিজে নিজে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবে, কেবলমাত্র তখনই তারা রানাকে অনেক বলে-কয়ে রাজি করাতে পারে।
৩
২০২০ সালের শুরুর দিককার কথা। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল করোনাভাইরাস মহামারি, স্থবির হয়ে পড়ল মানবসভ্যতার চাকা, বন্ধ হলো যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। আলউইনও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু ইয়াদ তা মানতে চাইত না, স্কুলে সে যাবেই। মাঝে তো এমনও হয়েছে যে লকডাউন একটু শিথিল হলে রানা তাকে দুবার স্কুলে নিয়ে গেছেন শুধু এটা দেখাতে যে স্কুল আসলেই বন্ধ!
অবশেষে এলো সেই দিন, মে মাসের ৩০ তারিখ, যে দিনটির কথা মৃত্যুর আগপর্যন্ত ভুলতে পারবেন না রানা। সবকিছু ঠিকমতো চললে, স্কুল বন্ধ না হলে আসলে ইয়াদের ট্রেনিং আরও কয়েক মাস আগেই শেষ হয়ে যেত। লকডাউনের কারণেই এই অনাকাঙ্ক্ষিত দেরি হয়ে গেল। তারপরও ইয়াদ খুশি, কারণ তার স্কুলের প্রিন্সিপাল মানার জামামির জানিয়েছেন যে আর কিছুদিন পরই তার ট্রেনিং শেষ হয়ে যাবে। এরপর তিনি নিজে ইয়াদের জন্য একটি রেস্টুরেন্টে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন, যেখানে সে নিজের পছন্দের কাজ করেই অর্থোপার্জন করতে পারবে।
ভোর ছ’টায় স্কুল খুলত। সেই অনুযায়ীই প্রতিদিন বেরিয়ে যেত ইয়াদ। সেদিনও এর ব্যতিক্রম হলো না। তার মা-বাবা তখন ঘুমাচ্ছিলেন। বাসা থেকে স্কুল অবশ্য খুব বেশি দূরেও না। হেঁটে যেতে মাত্র পনের মিনিট সময় লাগে।
ইয়াদ পুলিশ দেখে অভ্যস্ত ছিল। তবে যেহেতু সে স্বাভাবিক আর অন্য আট-দশজনের মতো না, তাই তার সাথে সবসময়ই তিনটি আইডি কার্ড থাকত, যার মাঝে দুটি সাক্ষ্য দিত যে সে অটিজমে আক্রান্ত। ফলে পুলিশ খুব কম সময়ই তার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলেও যখনই তা চেয়েছে, তার সেই আইডি কার্ডগুলো দেখালেই হয়ে যেত।
সেদিনও আপনমনে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল ইয়াদ। হুট করেই তাকে থামতে বলে কিছু পুলিশ সদস্য। তাদের মারমুখী ভঙ্গিতে বেশ ভড়কে যায় ছেলেটি, এবং সেটাই স্বাভাবিক। কারণ শারীরিকভাবে তার বয়স ততদিনে বত্রিশ ছুঁই ছুঁই করলেও মানসিকভাবে তা মাত্র আটের কাছাকাছি ছিল। ফলে এমন পরিস্থিতিতে কী করবে বুঝতে না পেরে সে দৌড়াতে শুরু করে।
একটু সামনেই ছিলেন ওয়ার্দাহ, ইয়াদের স্কুলেরই একজন শিক্ষিকা। তিনি দেখতে পেলেন যে ইয়াদ দৌড়ে আসছে, আর তাকে ধাওয়া করছে কয়েকজন ইসরায়েলি পুলিশ সদস্য। তিনি তাদের কিছু বলতে যাবেন, এমন সময়ই গুলির শব্দ শোনা গেল! ইয়াদকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল সেই পুলিশ সদস্যরা। ওয়ার্দাহ চিৎকার করে বলতে চাইলেন যে ছেলেটি মানসিকভাবে সুস্থ না, কিন্তু তারা তার কথা শুনতেই চাইল না।
পাশেই ময়লা পরিষ্কারের কাজ করছিল এক লোক। তিনি দ্রুত ওয়ার্দাহকে ময়লা জমা রাখা হয় এমন এক রুমে নিয়ে ঢোকালেন যেন গুলি অন্তত তার গায়ে না লাগে। একটু পর ইয়াদও টলতে টলতে সেই রুমে প্রবেশ করল। তার দিকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে দুই রাউন্ড গুলি করে পুলিশ, যার অন্তত একটি সরাসরি তার পায়ে গিয়ে লাগে। রুমে ঢুকেই পড়ে গেল সে, রক্তে ভেসে যাচ্ছিল তার পা, গোটা মেঝে।
অল্প সময়ের ভেতরেই এক পুলিশ সদস্য এসে সেই রুমে ঢোকে। চিৎকার করে ইয়াদের কাছ থেকে বন্দুক খুঁজতে শুরু করে। ওয়ার্দাহ যতই বলছিলেন যে ছেলেটা মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ না, তা-ও লোকটি সেই কথা কানে তুলছিল না। কয়েক মুহূর্ত পরই মাত্র কয়েক হাত দূর থেকে ঠান্ডা মাথায় ইয়াদের দেহ লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে সে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ইয়াদ।
নিরপরাধ ইয়াদকে ফাঁসাতে, সে যে আসলেই একজন অপরাধী এটা প্রমাণে ইসরায়েলি পুলিশের চেষ্টার শেষ ছিল না। তারা জানায়, সেদিন তাদের কাছে তথ্য ছিল যে অস্ত্রধারী একজন সন্ত্রাসী নাকি জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে প্রবেশ করেছে। ওদিকে ইয়াদকে যখন তারা দেখতে পেল, মনে হলো তার কাছে ‘বন্দুকের মতো’ কিছু একটা আছে, তাই তাকে ধাওয়া করা হয়। পরে তো প্রাণটাই গেল নিরপরাধ এই মানুষটির।
তাকে গুলি করার পরপরই ওয়ার্দাহ চিৎকার দিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল মানার জামামিকে ডাক দেন, যিনি তখন স্কুলে থাকলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। ইয়াদকে হত্যার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওয়ার্দাহকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে। ওদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া মানার পুলিশের কাছে বারবার অনুরোধ করছিলেন একটা অ্যাম্বুলেন্স ডাকবার। কিন্তু পাষাণদের মন সেই অশ্রুতে গলেনি। তারা চেয়েছে ইয়াদ যেন তাদের চোখের সামনেই ধুঁকে ধুঁকে মরে, আর সেটাই করে ছেড়েছে, কারণ দিনশেষে ফিলিস্তিনিদের জীবনের দু’পয়সা মূল্যও নেই ইসরায়েলিদের কাছে।
এই যে ইয়াদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে খুন করা হলো, এরপরও নিজেদের ভুল স্বীকার করতে চায়নি ইসরায়েলি বাহিনী। বরং শুরুতে তার বাবা-মাকেও সন্তানের লাশ দেখতে দেয়া হয়নি। তাদের বাড়ি চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে ইসরায়েলি পুলিশ ও স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা। পুরো ঘর তন্ন তন্ন করে তল্লাশী চালাতে থাকে তারা, একটামাত্র প্রমাণ বের করতে যার মাধ্যমে ইয়াদকে একজন ‘ভয়ংকর সন্ত্রাসী’ হিসেবে দেখানো যায়।
একদিকে ভাই হারানোর শোক, অন্যদিকে নিজেদের ঘরবাড়ি এভাবে তছনছ হওয়া- এসব সহ্য করতে না পেরে তাদের বাধা দিতে এগিয়ে যায় ইয়াদের দুই বোন জুমানা ও দিয়ানা। দুজনের গায়েই হাত তোলে তারা। রানা তাদেরকে বাঁচাতে গেলে তাকে মাটির সাথে চেপে ধরা হয়। সেই সাথে পুরো পরিবারের উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য গালিগালাজ তো চলছিলই। শেষপর্যন্ত কোনো প্রমাণ না পেয়ে খালি হাতেই ফেরত যেতে হয় ইসরায়েলি সেনাদের।
৪
নিরপরাধ ইয়াদকে হত্যা করে নিজেদের পক্ষে সাফাই গাইতে কার্পণ্য করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। তাই তো তারা ওল্ড সিটিতে “একজন ‘অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’ প্রবেশের তথ্য আছে” শীর্ষক নাটকের অবতারণা করে। অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে ইয়াদের মৃত্যুর অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাটি সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নিজেদের অপরাধ ঢাকতে চিরকাল তারা যে ‘সেলফ ডিফেন্স’ তত্ত্ব ব্যবহার করে এসেছে, তেমন কোনো মুখরোচক শব্দ আর এ যাত্রায় ব্যবহার করতে পারেনি।
বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচনা হয়েছে, লোকদেখানো দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও। কিন্তু দিন শেষে তারা যে কখনোই দুঃখিত হয় না, ইতিহাসই তার সাক্ষ্য দেয়। ঘটনার পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও চূড়ান্ত কোনো রায় আসেনি দোষী পুলিশ অফিসারের শাস্তির ব্যাপারে। আর ইসরায়েলি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যে নিজেদের লোকদের কোনো দোষ দেখে না, বরং সকল দোষ কেবলই ফিলিস্তিনিদের- তা তো দেখা যাচ্ছে দশকের পর দশক ধরেই।
২০১৪ সালের কথাই ধরা যাক। সেবছর নাদিম নুওয়ারা নামক এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে এক বেন দেরি নামে এক ইসরায়েলি পুলিশ অফিসার। শুরুতে তাকে ন’মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হলেও পরে সেটা দ্বিগুণ করে আঠারো মাস করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে এক বছরেরও কম সময়ে জেল থেকে মুক্তি পায় সে, কারণ হিসেবে দেখানো হয় কয়েদি হিসেবে তার ‘ভাল আচরণ’! ফলে ইয়াদের খুনেরও যে কতটা সুবিচার হবে তা অনুমানে পাঠকদের আশা করি বেগ পেতে হবে না।
ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি নির্যাতন এভাবে চলছে প্রতিনিয়তই। এমনই কিছু ভুক্তভোগী, ইসরায়েলিদের হাতে নির্যাতিত ফিলিস্তিনির সত্য কাহিনি তাদের নিজেদের মুখ থেকেই জানতে সংগ্রহ করতে পারেন এই বইটি:
বই: ফিলিস্তিনের আর্তনাদ – নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতা
অনুবাদক: মুহাইমিনুল ইসলাম অন্তিক
প্রকাশক: স্বরে অ
প্রকাশকাল: মার্চ ২০২১
মুদ্রিত মূল্য: ৩২০ টাকা