শহীদ সান্ধুর ক্ষতি অপূরণীয়। তার বৈবাহিক জীবনে কোনো সুখ নেই; এটি কেবলই তাকে দুশ্চিন্তা আর একরাশ হতাশা উপহার দিয়েছে। পাকিস্তান ছেড়ে হংকংয়ে এসেছিলেন ২০১৩ সালে, স্ত্রীর সাথে থাকার জন্য। কিন্তু তা-ই যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো। স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবার শহীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে তখন থেকেই।
সপ্তাহের সাতদিন আট প্রহরই তারা একটি নির্মাণাধীন জায়গায় কাজ করতে বাধ্য করছে শহীদকে। দিনের বেলায় হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন সেখানে। রাতে তাকে ঘরে চাকরের মতো কাজ করতে হচ্ছে। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও তা বাদ যাচ্ছে না। তিনি তাতে দ্বিমত পোষণ করলেই কিংবা ক্লান্ত হলেই, তাকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। গালিগালাজ তো অতি পরিচিত ঘটনা। তার সব টাকাপয়সা তারা নিয়ে নিয়েছে, খাবারও ঠিকমতো দেয় না। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে তারা।
তিনি খুব ভালো করেই জানেন, তার সাথে অন্যায় হচ্ছে। এই সীমাহীন অত্যাচার তাকে ভেতর থেকে ভেঙে দিয়েছে। তার জীবন এখন দুঃস্বপ্নে ভরপুর, হতাশায় জর্জরিত। গ্লানিতে এসব নিয়ে এখন তিনি কথা বলতেও লজ্জিত। তার অবস্থা থেকে মনে হতে পারে, এটা কি মান্ধাতার আমলের কোনো ঘটনা? না, এটা আজকের পৃথিবীতেই হচ্ছে। আর পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত শহরগুলোর একটিতেই হচ্ছে- হংকংয়ে। আর এসব ঘটনার শিকার তিনিই একা নন।
এতদিন অনেকেই জানত যে, শুধু নারী আর শিশুকে বাইরে পাচার করা হয়। তবে তা আংশিক সত্য। পাকিস্তান এবং ভারতের সুবিধাবঞ্চিত পুরুষদের চিহ্নিত করে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের মাধ্যমে হংকংয়ে পাচার করা হচ্ছে। সেখানে তারা তাদের স্ত্রীর পরিবারের জন্য চুক্তিভিত্তিক দাস হিসেবে কাজ করছেন। এমন প্রতারণার শিকার হয়েও তারা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেন না লোকলজ্জার ভয়ে। আইনজীবী আর সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, এরকম আরো অনেককেই অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের মাধ্যমে প্রতারিত করে হংকংয়ে আনা হচ্ছে।
এরপর কনের পরিবার তাদেরকে চুক্তিভিত্তিক দাস হিসেবে কাজ করাচ্ছে। সাধারণত প্রতারক চক্র সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র পরিবারের পুরুষদেরকে চিহ্নিত করছে। তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে যে, উন্নত দেশগুলোতে কাজ করে তারা তাদের পরিবারের পেট চালাতেও সমর্থ হবেন।
হংকংয়ে আসার পর একাকিত্ব আর তাদের পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এরা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেন না। আর সমাজের তথাকথিত একধরনের লোকলজ্জা তো আছেই যে, পুরুষ হয়েও এসবের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। বেশিরভাগই মর্যাদাহানির ভয়ে, এসব জনসমক্ষে প্রকাশ না করে সেই দুর্বিষহ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে যান। এনজিও কর্মীরা এদের জন্য আলাদা নামও রেখেছেন- Slave Groom বা দাসবর।
‘ঘটক’ যখন হংকং নিবাসী পাকিস্তানি নারীর বিয়ের সম্বন্ধে নিয়ে আসলেন, শহীদ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি- তার সাথে এমন কিছু হবে। শহীদ পাঞ্জাবের কৃষক পরিবারের শিক্ষিত সন্তান। তিনি ব্যাংকে চাকরিও করতেন, কিন্তু খুব অল্প বেতনে। উন্নত জীবনের স্বপ্নে তিনি বিয়ে করেন সেই নারীকে। ভেবেছিলেন, পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষাও দিতে পারবেন। হংকংয়ে পাড়ি জমান ডিপেন্ডেন্ট ভিসা নিয়ে। বিয়ের পরই তার এতদিনের সব আশা-আকাঙ্খা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়৷
তার পাসপোর্ট আটকে দেয় তারা৷ একইসাথে স্ত্রী এবং স্ত্রীর পুরো পরিবারের জন্য আয় করার শর্তও জুড়ে দেয়। ঘরের কাজ তো প্রতিদিনই করা লাগত। যদি কখনো তিনি এতে নালিশ করতেন, তবে তার কপালে বকুনি আর মারধর জুটত।
তিনি একেবারেই ভেঙে পড়েন। নিজের ভাগ্যের কাছে হার মেনে নেন। তবু তিনি একজন অভিবাসন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের কাছে যেতে রাজি হননি কোনোভাবেই। অন্য সবার মতোই তিনি এর পরিণতি আর লজ্জার ভয়ে কাজটি করেছেন। কনের পরিবারের জন্য যন্ত্রমানবের মতো কাজ করে আয় করবেন- এই উদ্দেশ্যেই তাকে বিয়ে করে হংকংয়ে আনা হয়েছিল। উৎপীড়কেরা তাদের গতিবিধি দিনের ২৪ ঘণ্টাই নজরদারি করেন। আর এরকম চলতে থাকলেও ভুক্তভোগীরা লোকলজ্জার ভয়ে কখনো পুলিশের কাছে যান না।
কোনো কনসালটেন্ট বা আইনজীবী ছাড়াই কিছুটা গোপনে প্রতারক চক্র/কনের পরিবার এসব পুরুষের ভিসা তৈরি করে। স্ত্রী এবং তার পরিবারের জন্য কাজ করতে এদেরকে হংকংয়ে আনা হয়৷ ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই পাকিস্তানের পাঞ্জাব আর ভারত থেকে আসা, তবে কেউ কেউ নেপাল আর বাংলাদেশ থেকেও গিয়েছেন।
এখানে শহীদ সান্ধু একা নন। এমন আরো অনেককেই প্রতারিত করে এখানে এনে জোরপূর্বক কাজ করানো হয়। দরিদ্র পরিবারের নারী ও পুরুষদের বিয়ে করিয়ে হংকংয়ে আনা হয়। এসে তারা একধরনের প্রতারণার শিকার হন, যখন তারা নিজেদেরকে দাস-দাসী হিসেবে আবিষ্কার করেন। নারীরা প্রায়ই স্বামী ও শ্বশুর দ্বারা নির্যাতিত হন। এসব ঘটনা হৃদয়বিদারক।
পাচারকারীরা বিভিন্ন উপায়ে ভুক্তভোগীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করে যেন তারা মুখ বন্ধ রাখে। দেনা পরিশোধের দায়ে তাদের আটকে রাখে; প্রিয়জনের ক্ষতি করার হুমকিও দিয়ে থাকে। ১৮ ঘণ্টার শিফটে একটানা কাজ করে ক্ষুধার্ত শহীদ খাবার কিনতে যাওয়ায়ও তাকে তার শ্যালকের কাছ থেকে মার খেতে হয়েছে। তার অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও নেই। কারণ তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও তার স্ত্রীর দখলে। সে-ই সবকিছুর নজরদারি করছিল। সবকিছুর মধ্যে শহীদ খুব ভালোভাবেই ফেঁসে গিয়েছিলেন, যেখান থেকে পালাবার কোনো উপায় নেই।
এখানে উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী আপাতদৃষ্টিতে দুর্বল বলে তার এই দুরবস্থা হয়নি। দুর্বল হলে তো এরকম হাড়ভাঙা পরিশ্রমই তার সাধ্যে থাকতো না। ভয় আর হুমকি-ধমকি তাদেরকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞের মতামত। এটা ভাবতেও কষ্ট হয় যে, এই যুগে এসেও এমন কিছু সমাজে হচ্ছে। কিন্তু এদেরকে সুরক্ষা দিতে তেমন আইনি ব্যবস্থাও নেই।
সান্ধুর ঘটনার সাথে অনেকটাই মিলে যায় কারামজিত সিংয়ের গল্পটাও। হংকং নিবাসী মহিলার বিয়ের সম্বন্ধ আসে তার কাছে। পাত্রীপক্ষ খুব সহজেই কারামজিত আর তার বাবাকে কথা দিয়ে মুগ্ধ করে জালে আটকে ফেলে। উন্নত দেশে গিয়ে তিনি তার পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারবেন ভেবে পাড়ি জমান। স্বল্পশিক্ষিত আর একমাত্র সন্তান হওয়ায় প্রতারক চক্র তাকে টার্গেট করেছিল। সাধারণত প্রতারক চক্র এমন মানুষকেই বেছে নেয়, যাদের পরিবার কিছুটা অস্বচ্ছল- যেন খুব সহজেই তাকে একা করে দিতে পারে।
জাঁকজমকপূর্ণ একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের পর ডিপেন্ডেন্ট ভিসা দিয়ে হংকংয়ে যান তিনি। রাতে তাকে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ আর দিনের বেলায় দুটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের কাজ দেওয়া হয়। কারামজিতকে মেয়েদের হাইহিলের জুতা দিয়ে মারা হতো। এভাবে তিনি মানসিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে গিয়েছিলেন। তারও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছিল না। তার শ্বশুর তার টাকাপয়সার ব্যাপার দেখাশোনা করতেন। এতকিছুর পরও তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হতে চাননি; ঠিক শহীদ সান্ধুর মতো।
পরিবার আর বিয়ের অধীনে হওয়া মানব পাচার আর দাসত্বের কেসগুলো পৃথিবীর কোথাও-ই সেভাবে নথিভুক্ত করা হয় না৷ হংকংয়ের অভিবাসন বিভাগেরও এসবের কোনো দাপ্তরিক নথিপত্র নেই। যা-ই হোক, জোরপূর্বক বিয়ে (ভুক্তভোগী নিজের সব অধিকার হারিয়ে ফেলে) অনেক দেশে অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য যেমন ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া। ব্রিটেনে দেখা গেছে যে জোরপূর্বক বিয়ের কেসগুলোর শতকরা ২০ ভাগ ঘটনায় পুরুষ ভুক্তভোগী। আর এসব ভুক্তভোগীর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি লোক পাকিস্তান, তারপর যথাক্রমে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে যায়।
এসব ঘটনা যেহেতু এখন আর হরহামেশাই হচ্ছে, তাই এসব মানব পাচারের জন্য একটি যথোপযুক্ত, কঠোর আইনি ব্যবস্থা থাকা জরুরি। এটি পাস হওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। আর এরকম অপরাধের সাথে জড়িত দালালদেরও সাজা হওয়া উচিত। এটি শুধু পুরুষদের সাথেই হচ্ছে না। অনেক নারীও এরকম প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক মূল্যবোধের জন্য তারা এসব নিয়ে কথা বলতে নারাজ। এখনো অনেকটা ট্যাবুর মতো।
আর এসব মানুষ নিজেদের বাড়িতেও ফিরে যেতে পারছেন না। কারণ, তাতে অনেক সামাজিক চাপের মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হবে। তাদের পরিবার তাদেরকে গ্রহণ করবে না, এ ভয়ও অনেকে পাচ্ছেন। এরকম পরিস্থিতি তাদের জন্য মুশকিল হয়ে পড়ছে।
এই ক্রীতদাস-দাসীরা আলাদা একধরনের মানসিক চাপে ভোগেন কিংবা কারো পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের লক্ষণও দেখা দিচ্ছে, তারা হতাশায় ভুগছেন। দক্ষিণ এশীয়, বিশেষ করে বাংলাদেশ আর পাকিস্তান থেকে যাওয়া এরকম লোকের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক। আর এখানে ভুক্তভোগীদের শনাক্ত করাও কঠিন কাজ, কারণ বেশিরভাগ নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অসচেতন আর উৎপীড়কদের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল।
এ ধরনের দাস-দাসীরা কী ধরনের চাপ আর লজ্জার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা বর্ণনাতীত। ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের জন্য তাদের মুখ ফুটে এসব বলতেও অপারগ। কারণ এরা সবাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ থেকে আসা। অনেকে এমনও আছেন, যারা নিজের দেশে ফেরত না গিয়ে হংকংয়েই দাস হিসেবে থেকে যেতে চেয়েছেন। কারণ, দেশে ফেরত গেলে তাদের অবর্ণনীয় লজ্জা আর গ্লানির মুখোমুখি হতে হবে। এদের অনেকেই আবার অশিক্ষিত এবং নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অসচেতন।
নিজেদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য তারা পাচ্ছেন না। তাদের ভাষা আর সামাজিক মূল্যবোধ না বুঝলে তাদের দুরবস্থার ঠাহর করা অসম্ভব। বেশিরভাগ অভিবাসন কর্মকর্তা, তদন্তকারী আর দোভাষীদেরও কিছু ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। তারা ভুক্তভোগীর দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন না। পুলিশের কাছে গিয়েও এরা খুব সাহায্য পান না৷ কারণ পুলিশ বেশিরভাগ সময়ই এসব ঘটনাকে ঘরোয়া কোন্দল, ঝগড়া-বিবাদ বলে চালিয়ে দেয়।
সান্ধু আর সিংয়ের মতোই আরেকজন, কাশি। তাকেও একটা সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে বিয়ে করে আনা হয়েছিল। কিন্তু আসার পরই তার পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়া হয়। বাইরের কারো সাথে কথা বলতে পারেননি। কিছু হলেই তাকে মারা হতো। কাশির মতে, তারা তাকে মানুষ ভাবেনি। অমানুষের মতো আচরণ করছে। কাশিকে তার শ্যালক ছুরিকাঘাতও করেছিল। এ ঘটনার পরই কাশি পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী যখন অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন বা তাকে চুক্তিভিত্তিক দাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তখন চাইলেও তিনি ভিসা পান না। অভিবাসন অফিসে স্পনসরশিপ ছাড়া কোনো কথা নেই। স্পনসর নেই মানে- ভিসাও পাওয়া যাবে না। তারা ভুক্তভোগীর মানসিক অবস্থাকে আমলে নেন না। এর একটা মীমাংসা হওয়া জরুরি। ভুক্তভোগী ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য এনজিওগুলো কিছুটা সাহায্য করে, কাউন্সেলিংও করে, সাময়িক সময়ের জন্য তাদের কোথাও থাকতে দেয়। তবে এটি অপ্রতুল।
আইনি ব্যবস্থা ছাড়াও আরো কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদেরকে সাহায্য করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ধারণা খুব কম। তাই জনসচেতনতা সৃষ্টি করলে এটি খুব ফলপ্রসূ হবে। যারা নীরবে এসব সয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে সাহায্য করা জরুরি। এছাড়াও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। বেশিরভাগই পিতৃতান্ত্রিক সমাজ থেকে এসেছেন। তাদের কাছে এসব নির্যাতনের কথা জনসমক্ষে বলা খুবই অপমানজনক। অনেকে ভয় পান, সমাজ তাদের কী চোখে দেখবে- যখন জানবে তিনি এসবের শিকার হয়েছেন!
এরকম দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হলে তারা সামনে এগিয়ে আসতে পারবেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রতারিত ব্যক্তি সামনে এগিয়ে আসলেও অভিবাসন তাদের কখনো দাস হিসেবে দেখে না৷ অভিবাসনের দাবি তারা সক্ষম ব্যক্তি আর নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারেন। তাই এরকম অবস্থারও পরিবর্তন জরুরি।
তারা নিজেদের নিয়ে অনেক লজ্জিত হলেও তাদের অনেকেই এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। নিজেদের গল্পটা মানুষের কাছে বলেছেন। এটাই তো অনেক জরুরি। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো গেলে তারা সামনে এগিয়ে গিয়ে সুন্দর নতুন একটি জীবন শুরু করতে পারবেন। জনসচেতনতা তৈরি হলে এই ফাঁদে অন্যরাও পা দেবেন না।