- পিএসএল খেলতে যাওয়া চার বাংলাদেশি ক্রিকেটারই গতকাল নিজ নিজ দলের মূল একাদশে ছিলেন।
- কোয়েটার হয়ে এবারের আসরে প্রথমবারের মতো ব্যাট হাতে নেমে ১৫ রান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
- তামিমের অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে দশ উইকেটে জয় পায় পেশোয়ার জালমি।
- পিএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি মোস্তাফিজের লাহোর কালান্দার্স।
- কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে নয় উইকেটে হারিয়েছে মুলতান সুলতানস।
- লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে দশ উইকেটের জয় পেয়েছে পেশোয়ার জালমি।
পাকিস্তান সুপার লিগে গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে নয় উইকেটে হারিয়েছে মুলতান সুলতানস। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কোয়েটা। ৬৯ রানে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান হারানোর পর সরফরাজ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করানোর ইঙ্গিত মিলছিলো।
আসরে প্রথমবারের মতো ব্যাট করতে নামা রিয়াদ ১৩ বলে এক ছয়ের সাহায্যে ১৫ রান করে ফিরে গেলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় কোয়েটার ইনিংস। ১ রানের ব্যবধানে শেষ পাঁচ উইকেট হারায় তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির তার তৃতীয় ওভারে হাসান খান, জন হ্যাস্টিং এবং রাহাত আলিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে কোয়েটাকে ১০২ রানে গুটিয়ে দেন। এর আগে কোয়েটার টপ অর্ডারে ধস নামান সোহেল তানভীর এবং জুনায়েদ খান। ম্যাচসেরা তানভীর শিকার করেন তিন উইকেট।
কোয়েটার দেওয়া ১০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সহজ জয় তুলে নেয় মুলতান সুলতানস। কুমার সাঙ্গাকারার ৫৭* রান, আহমেদ শেহজাদ এবং শোয়েব মাকসুদের ২৬* রানের উপর ভর করে ২২ বল এবং নয় উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় শোয়েব মালিকের মুলতান।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম, সাব্বিরের পেশোয়ারের মুখোমুখি হয় মোস্তাফিজের লাহোর। এবারের আসরে এখনও জয়ের মুখ না দেখা লাহোর টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত চার ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও উড়ন্ত সূচনার পর ব্যাটসম্যানরা ড্রেসিংরুমের প্রেমে পড়ে যায়। মাঠের চেয়ে ড্রেসিংরুমেই বেশি সময় থাকে লাহোরের ব্যাটসম্যানরা।
ফখর জামানের ১৭ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ের মারে ৩০ রান এবং দুটি ছয়ের মারে ম্যাককালামের ১৫ রানের ইনিংসে পাওয়ার প্লে শেষে লাহোরের রান ছিলো এক উইকেটে ৫৩ রান। দুর্দান্ত শুরুর পর মাত্র ৪৩ রানে শেষ নয় উইকেট হারায় লাহোর। পেশোয়ারের হয়ে ম্যাচসেরা লিয়াম ডাওসন এবং হাসান আলি তিনটি করে উইকেট শিকার করেন।
কোনো উইকেট না হারিয়েই লাহোরের দেওয়া ১০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা টপকে যায় পেশোয়ার। কামরান আকমলের ৫৭* রান এবং তামিম ইকবালের ৩৭* রানের উপর ভর করে ৩৮ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় পেশোয়ার জালমি। সোহেল খান, সালমান এরশাদ এবং সুনীল নারিনের খরুচে বোলিংয়ের দরুন মোস্তাফিজ মাত্র দুই ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। দুই ওভারে দশ রান দিয়ে দলের মতো তিনিও ছিলেন উইকেটশূন্য।
ফিচার ইমেজ: PCB/PSL