- গুগলের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য ক্লাউড সেবা নিচ্ছে অ্যাপল। তবে এটি কেবল তথ্য জমা রাখার জন্যেই।
- মাইক্রোসফট এবং আমাজনের কথা বললেও ইতিপূর্বে অ্যাপল কখনোই গুগলের কথা উল্লেখ করেনি।
গতমাসে অ্যাপলের ওয়েবসাইটে আপলোড করা এক ফাইল অনুসারে অবশেষে অ্যাপল স্বীকার করে নিয়েছে যে, তারা নিজেদের আইক্লাউড সেবার তথ্য ভাণ্ডার হিসেবে গুগল ক্লাউডের উপরে নির্ভর করছে। এটি ছিল গুগলকে দেয়া এমন খোলাখুলিভাবে অ্যাপলের প্রথম কোনো স্বীকৃতি।
ক্লাউড পরিকাঠামোগত ব্যবসায় মাইক্রোসফট এবং অ্যামাজনের সাথে পাল্লা দিয়ে সামনে এগোতে সক্ষম হচ্ছে গুগল, এটি তারই নিদর্শন। ২০১৬ সালে অনেক মিডিয়াতেই গুগল ক্লাউড বেশ ভালো করছে তার স্বীকৃতি দিলেও, অ্যাপল সেই স্বীকৃতি কখনোই দেয়নি। নির্দিষ্ট সময় পরপর একটি আইওএস সিকিউরিটি গাইড প্রকাশ করে প্রতি বছর অ্যাপল। এর আগে সেখানে অ্যাপল নিজের আইক্লাউডের তথ্য জমা রাখার জন্য জন্য মাইক্রোসফট অ্যাজুর এবং অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সাহায্য নিচ্ছে বলে উল্লেখ করে।
সম্প্রতি এর নতুন প্রকাশনায় মাইক্রোসফটের স্থান নিয়ে নিয়েছে গুগল ক্লাউড। এই জানুয়ারিতে প্রকাশনাকে আপডেট করেছে অ্যাপল। এর আগে শেষ গত মার্চে চালিয়েছিল তারা এই কার্যক্রম। তবে এই প্রকাশনায় ছবি ও ভিডিও জমা রাখার ব্যাপার ছাড়া গুগল ক্লাউডের আর কোনো সেবা অ্যাপল ব্যবহার করছে কিনা তা উল্লেখ করেনি। এছাড়াও, এতে অ্যাপল কবে থেকে গুগল ক্লাউডে তথ্য জমা করা শুরু করে সেটাও জানানো হয়নি। এই বিষয়ে মাইক্রোসফট কোনো কথা বলতে রাজী হয়নি। অ্যাপলও কিছু বলতে চাইছে না এখনই।
এর আগে এই মাসের শুরুতেই গুগল জানায় যে, পাবলিক ক্লাউড এবং ক্লাউড সংক্রান্ত উৎপাদনশীলতা অ্যাপের জি-স্যুট লাইনের মাধ্যমে বছরের এক-চতুর্থাংশে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার আয় হয় তাদের। চতুর্থ অংশে অবশ্য এইদিক দিয়ে বাজারে সবচাইতে এগিয়ে থাকা অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস আয় করেছে ৫.১১ বিলিয়ন ডলার। অ্যাপল ছাড়াও গুগলের সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে আছে পেপাল, স্পটিফাই, স্ন্যাপ ইত্যাদি।
ফিচার ইমেজ: Fortune