মোদী সরকার হজ যাত্রার জন্য আর ভর্তুকি দেবে না বলে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংরক্ষিত তহবিল সংখ্যালঘুদের শিক্ষা, বিশেষত মেয়েদের শিক্ষায় খরচ করবে ভারত সরকার। গত মঙ্গলবার ভারত সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি গণমাধ্যমকে বলেন, “এই বছর থেকে হজ্বের জন্য কোনো ভর্তুকি থাকবে না।”
বিজেপি সদরদপ্তরে তিনি আরও জানান, সংখ্যালঘুদের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিজেপির মতে, মুসলিমদের জন্য ব্যবহৃত এ তহবিল আরও ভালো উদ্দেশ্যে খরচ করা যাবে। তাই এ সিদ্ধান্ত একটি রাজনৈতিক সংকেতও বটে।
কংগ্রেস এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেনি। সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে এ বিপক্ষে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। নাকভি জানান, ভর্তুকি তুলে নিলেও এ বছর প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মুসলিম হজে যাবেন। তার মতে, স্বাধীনতার পরে এটিই সর্বাধিক সংখ্যা।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার গত বছর সৌদি আরবে হজে যাওয়ার জন্য ২৫০ কোটির উপর ভারতীয় রুপি ভর্তুকি হিসেবে খরচ করে। যাত্রীদের নিকটস্থ এয়ারপোর্ট থেকেই প্লেন যাত্রা করতে হবে এমন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় হজ যাত্রার খরচ আরও কমবে বলে মনে করেন তিনি। জাহাজে করে ভ্রমণ করলে যাত্রার খরচ অনেক কম পড়বে বলে জানান নাকভি। যেমন- গয়া থেকে যাত্রা করলে এক লক্ষ রুপি খরচ হবে, কিন্তু কলকাতা থেকে খরচ পড়বে ৭০ হাজার রুপি। অনুরূপভাবে শ্রীনগর থেকে খরচ পড়বে ১ লক্ষ ১০ হাজার রুপি, কিন্তু দিল্লী থেকে তা ৬০ হাজার রুপি।
সৌদি সরকার ভারতীয় হজ যাত্রীদের সমুদ্রপথে যাত্রার অনুমতি দিয়েছে বলে জানান তিনি। এই যাত্রাপথের বিভিন্ন বিষয়ে দু’দেশ মিলে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও জানান, এবছর ১,৩০০ নারী যাত্রী ‘মাহরাম’ ছাড়াই হজ্বে যাবেন। নারী হজ সহযোগীরা তাদের সঙ্গ দেবেন। সরকার সৌদি আরবে এই সহযোগীদের থাকার ব্যবস্থা করেছে।
২০১২ সালে হজ ভর্তুকি বন্ধের রায়ের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন থেকে হজ খাতে ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমিয়ে এখন বন্ধ করে দেওয়া হলো।
ফিচার ইমেজ: DNA India