তীব্র শীতে কাতর আয়ারল্যান্ড

ইউরোপে চলছে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ। উত্তর ইউরোপের অন্যতম দেশ আয়ারল্যান্ড এতে ভুগছে প্রচন্ডভাবে। তুষারঝড়ের কারণে দেশটি অধিকাংশ ফ্লাইট আর নৌপথ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ফলে কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আয়ারল্যান্ড।

সাইবেরিয়া থেকে আগত এই শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপে অন্তত ৫৫ জন মারা গিয়েছে। ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম এই শৈত্যপ্রবাহকে প্রাচ্যের দানব, সাইবেরীয় ভাল্লুক কিংবা তুষার কামান হিসেবে অভিহিত করছে। ঘূর্ণিঝড় এমার কারণে এই শৈত্যপ্রবাহের দাপট বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বিশেষত যুক্তরাজ্য প্রবল শীতের আক্রমণে জবুথবু হয়ে পড়েছে।

আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে বাড়ি থেকে নিতান্ত দরকার ছাড়া বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। লন্ডন, প্যারিস, ব্রাসেলস সহ অনেকগুলো প্রধান ইউরোপীয় শহরের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানা যায় বিবিসি এর বরাতে।

এদিকে বাড়ছে মৃত্যুর হার। তাপমাত্রা হিমাংকের ১৫ ডিগ্রী নিচে নেমে যাওয়ার গৃহহীন লোকেরা বিপদে পড়েছেন। অনেকেই উষ্ণতার আশায় বেহিসেবী মদ্যপান করছেন যাতে বিপদ আরো বাড়ছে। এখন পর্যন্ত শুধু পোল্যান্ডেই মারা গিয়েছেন ২১ জন। স্লোভাকিয়ায় সাতজন এবং চেক প্রজাতন্ত্রে ছয়জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। লিথুনিয়া, ফ্রান্স, সার্বিয়া, ইতালি, স্পেন আর যুক্তরাজ্যেও শীতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

অবশ্য আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সামনের দুই দিনের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং ইউরোপের পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে যুক্তরাজ্য, বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ফিচার ইমেজ: Longford Leader

Related Articles

Exit mobile version