পাকিস্তানের ‘কোয়েটা’ শহরের একটি চার্চে আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৮ জন নিহত এবং ৪৫ জন আহত হয়েছেন। চার হামলাকারীর একজন নিজের ছোঁড়া বোমায় ও অপরজন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এবং অন্য দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি জানান, রবিবার সকালে চার্চের কাজ শুরু হওয়া মাত্রই বিস্ফোরক ভর্তি সুইসাইড ভেস্ট পরিহিত হামলাকারীরা আক্রমণ করে বসে। তারা একটি ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং প্রার্থনারতদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে।
প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান মোয়াজ্জেম আনসারি জানান, হামলাকারীরা চার্চের মূল অংশে প্রবেশের আগেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ তাদের দিকে গুলি চালায়। চার্চের ভেতরে প্রায় চারশ’ মানুষ ছিল। দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হওয়ায় তারা আর ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। আক্রমণের ১৬ মিনিটের ভেতরেই স্থানটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।
বেথেল মেমোরিয়াল মেথডিস্ট চার্চ নামের এই চার্চটি আগে থেকেই পুলিশের কড়া নজরদারিতে ছিল বলে জানান মোয়াজ্জেম। এর আগেও এই চার্চটি জঙ্গীদের হামলার শিকার হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “গোলাগুলির শব্দে লোকজন চার্চের এদিক-সেদিক পালানোর চেষ্টা করছিল। এটি এতই আকস্মিকভাবে ঘটেছিল যে, আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।”
এর আগে ২০১৪ সালে পেশোয়ার স্কুলে জঙ্গীদের আক্রমণে প্রায় ১৫০ জন নিহত হয়েছিল, যার অধিকাংশ ছিল স্কুল ছাত্র-ছাত্রী। ঘটনার ৩ বছরপূর্তিতে পুনরায় এমন হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল।
সাম্প্রতিক সময়ে বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় বেশ কয়েকবার জঙ্গি হামলা হয়েছে। গতমাসে আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপর একটি আত্মঘাতী হামলায় ৪ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হন। গত চার মাসে জঙ্গি হামলায় নিহত হন চার পুলিশ অফিসার। এছাড়াও অক্টোবর মাসে একটি বোমা হামলায় ৭ জন পুলিশ নিহত হন।
ফিচার ইমেজ- aljazeera.com