কল্পনা করুন তো, আপনি পরীক্ষার হলে বসে আছেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে দেয়া সব প্রশ্নই আপনার পরিচিত এবং সেই সাথে উত্তরগুলোও। তো লিখতে লিখতে হঠাৎ দেখা গেলো কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর কিংবা সেই উত্তরের কোনো একটি অংশ আপনার মনেই পড়ছে না। আপনার পেটে আসছে কিন্তু কলমের মাথায় আর আসছে না। আমাদের শিক্ষাজীবনে এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। অনেকের আবার এমনও মনে হয় যে, তিনি হয়তো অনেক খারাপ ছাত্র হওয়ার কারণে কিছু মনে রাখতে পারেন না। কিন্তু কেবল ছাত্রজীবনেই নয়, বরং পুরো জীবন জুড়েই এরকম ভুলে যাওয়ার প্রবণতা আমাদের স্বভাবজাত।
বিখ্যাত দার্শনিক কনফুসিয়াস বলেছিলেন, “I hear and I forgot, I see and I remember, I do and I understand”। এই যে ভুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি, সেটি প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই বর্তমান। এমনকি যদি মানুষের বাইরেও চিন্তা করতে হয় তাহলে সকল পশুপাখির মধ্যেও এই প্রবণতা আছে। কিন্তু যেহেতু মানুষের মনস্তাত্ত্বিক কার্যক্রম নিয়েই আমাদের আলোচনা এবং মানুষই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, কাজেই আমরা মানুষের ভুলে যাওয়া-না যাওয়া নিয়েই বেশি চিন্তিত।
প্রথমত, ‘ভুলে যাওয়ার অর্থ কী এবং কেন আমরা ভুলে যাই?’ এই বিষয়ে আলোকপাত করা যাক।
ভুলে যাওয়া কী এবং এর কারণ
বিজ্ঞানের ভাষায় ভুলে যাওয়া (Forgetting) বলতে বোঝায় যে, বর্তমান সময়ে অর্থাৎ এই মুহূর্তে, সজ্ঞানে-সচেতনতায় যদি পূর্বের কোনো স্মৃতি আমরা মনে করতে না পারি। এক্ষেত্রে মনে করার ক্ষেত্রে Recall এবং Retain শব্দ দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ Recall বলতে বোঝায় কোনো স্মৃতির পুরোটাই মনে করতে পারা, কিন্তু Retain বলতে বোঝায় যদি কোনো স্মৃতির আংশিক অংশ বা প্রায় সম্পূর্ণ অংশ মনে করা।
এ নিয়ে দ্বন্দ্ব-বিরোধে আমরা বরং না যাই। আমাদের অতীতের প্রতিটি ঘটনা কিংবা অভিজ্ঞতা আমাদের মস্তিষ্কে ছাপ ফেলে। অর্থাৎ আমাদের মস্তিষ্ক সেই ঘটনা বা অভিজ্ঞতার ছবি ধারণ করে (ঠিক যেভাবে আমরা কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে কোনো ফাইল সেভ করে রাখি)। এখন, কোনো এক সময়ে যদি আমরা এই ঘটনা বা অভিজ্ঞতার স্মৃতি পুনরায় স্মরণ করতে না পারি, সেটিই আদতে ভুলে যাওয়াকে সংজ্ঞায়িত করে।
তো বিভিন্ন কারণেই কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক থেকে আস্তে আস্তে এসব স্মৃতি মুছে যেতে পারে। আসলে প্রাথমিক অবস্থায় যেসব ঘটনা বা অভিজ্ঞতা আমাদের মস্তিষ্কে ছাপ ফেলে, সেসব স্মৃতির ছাপ সময়ের সাথে সাথে দুর্বল হতে শুরু করে। এমনকি ঘটনা বা অভিজ্ঞতাটি গুরুত্বপূর্ণ না হলে সেটি একেবারে মুছেও যেতে পারে। এই কারণেই প্রয়োজনের মুহূর্তে হয়তো আমাদের সঠিক স্মৃতিটি পুরোটা মনে পড়ে না কিংবা আমরা সেটি একেবারেই ভুলে যাই। আবার নিত্যনতুন ঘটনা কিংবা অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের কারণে এসব পুরাতন স্মৃতি বিলীন হয়ে যেতে পারে। আবার আমরা নিজেরাও অতীতে সুখকর ছিলো না কিংবা গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন স্মৃতিকে ইচ্ছাকৃতভাবেই ভুলে যেতে চেষ্টা করি।
বাস্তবে কম্পিউটারে যেমন র্যাম ও হার্ডডিস্ক থাকে, আমাদের মস্তিষ্কেও তেমনি দু’ধরনের স্মৃতি থাকে। একটি হচ্ছে ক্রিয়াশীল স্মৃতি (যাকে কিনা বলা যায় Working memory বা Short-term memory) এবং অন্যটি হচ্ছে স্থায়ী স্মৃতি (বা Long-term memory)। আমাদের ভুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ক্রিয়াশীল স্মৃতি থেকে স্থায়ী স্মৃতিতে তথ্যের প্রেরণ সঠিকভাবে না হওয়া। অর্থাৎ, যদি ক্রিয়াশীল স্মৃতি থেকে স্থায়ী স্মৃতিতে তথ্য প্রেরণে ত্রুটি হয়, তবে সেক্ষেত্রে আমরা সেই তথ্য ভুলে যেতে পারি। আবার স্থায়ী স্মৃতি অংশে সংরক্ষিত স্মৃতিকে পুনরায় অনুস্মরণ করতে পারার অক্ষমতার কারণেও আমরা ভুলে যেতে পারি।
এভাবে দেখা যায়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের স্মৃতিকে স্মরণ করতে পারি। অন্যথায় সেটা আমাদের পক্ষে স্মরণ করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন, পাশের বাসার কুকুরটি যেকোনো সময়ে কামড়াতে পারে এটা আমাদের খুব ভালোভাবে মনে থাকলেও কুকুরটির নাম কী তা আমরা ভুলে যেতেই পারি।
তো আমাদের অর্থাৎ মানুষের স্মৃতি বিস্মরণের প্রক্রিয়া নিয়ে জার্মানির মনস্তাত্ত্বিক হারম্যান এবিংহাউস বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে একটি সূত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এখন চলুন এই সূত্র সম্বন্ধে জানা যাক।
এবিংহাউস ফর্গেটিং কার্ভ
মূলত এবিংহাউস ফর্গেটিং কার্ভ সময়ের সাথে সাথে সঞ্চিত তথ্যের পুনঃস্মরণের জন্য আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতার হ্রাসকে বিবৃত করে। অর্থাৎ, সময়ের সাথে সাথে যে আমাদের মস্তিষ্ক ভুলে যেতে শুরু করে সেই তথ্যটির গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রদান করে এই রেখা।
১৮৮৫ সালে জার্মানির একজন মনস্তাত্ত্বিক হারম্যান এবিংহাউস বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন, যা আগেই বলা হয়েছে। তিনি এসকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল ও পর্যবেক্ষণ থেকে একটি সূত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তার এই প্রকল্পকে আমরা কিভাবে শিখি, কিভাবে মনে রাখি এবং সময়ের সাথে কিভাবে আবার সেটি ভুলে যাই, এই সম্পর্কিত একটি সাধারণ সূত্র হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
এবিংহাউসের এই সূত্রটি মূলত একটি গাণিতিক সূত্র। এই সূত্রকে যখন গ্রাফ কাগজে স্থাপন করা হয় তখন একটি বিশেষ ধরনের বক্ররেখা পাওয়া যায় যা নির্দেশ করে আমরা কিভাবে ভুলে যাই। মূলত গ্রাফ কাগজে এবিংহাউসের পর্যবেক্ষণের ফলাফলকে প্রতিস্থাপন করেই এই সূত্র প্রতিপাদন করা হয়েছে। এই প্রতিস্থাপিত রেখাকেই বলা হয় এবিংহাউস ফরগেটিং কার্ভ। কোনো কোনো ব্যক্তি হয়তো বাকিদের থেকে কোনো ব্যাপারে অনেক ভালো মনে রাখতে পারেন। কেউ কেউ আবার খুব সহজে ভুলে যান। বাস্তবে সকলের ক্ষেত্রেই কিন্তু এই সাধারণ সূত্রের খুব কম এদিক-ওদিক হয়ে থাকে। অর্থাৎ, মোটামুটিভাবে একে সার্বজনীন হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
তো গ্রাফ কাগজে এই রেখা পাওয়া যায় মূলত সময়ের বিপরীতে কতটুকু স্মৃতি আমরা স্মরণ করতে পারি তার শতকরা হিসেবে। এই রেখা ও সূত্রের ক্ষেত্রে দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। একটি খারাপ দিক এবং অপরটি ভালো দিক। খারাপ বৈশিষ্ট্যটি হচ্ছে এই যে, এই রেখাটি আমরা যতটা প্রত্যাশা করি তার থেকে বেশি খাড়া। ফলে প্রাথমিক অবস্থায় আমরা খুব কম সময়ে অধিক তথ্য ভুলে যাই। অপরদিকে ভালো দিকটি হচ্ছে, কিছু কৌশল অবলম্বন করে আমরা আমাদের মনে রাখার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে পারি। প্রকৃতপক্ষে যদি পুরনো স্মৃতিকে পুনঃপুনঃ স্মরণ করা না হয় তাহলে আমরা ভুলে যেতেই থাকি।
এবিংহাউসের সূত্র অনুযায়ী আমরা যখন কোনো জিনিস শিখি, তারপর একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে আমাদের সেই স্মৃতিকে স্মরণ করার সক্ষমতা প্রধানত দুটি জিনিসের উপর নির্ভর করে; প্রথমত মস্তিষ্কে সেই স্মৃতির শক্তিমত্তা এবং দ্বিতীয়ত শেখার পর কতটা সময় প্রবাহিত হয়েছে সেই সময়ের উপর। এবিংহাউসের সূত্রকে তাই নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা হয়।
Retention = e-(Time/Strength of memory)
অর্থাৎ, এই সূত্র থেকে সময় এবং স্মৃতির আপেক্ষিক শক্তিমত্তা থেকে নির্দিষ্ট সময় পরে আমরা কতটুকু স্মৃতি স্মরণ করতে পারি, সেই সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এই সমীকরণকে গ্রাফে স্থাপন করলেই নিচের মতো বক্ররেখা পাওয়া যায়, যা কিনা এবিংহাউস ফরগেটিং কার্ভ বা রিটেনশন কার্ভ হিসেবে পরিচিত।
তো এবিংহাউস এই সূত্র প্রতিপাদনের জন্য নিজের উপরই কয়েকটি পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষা পরিচালনা করেন। পারতপক্ষে এই পরীক্ষা ছিলো মূলত কিছু অর্থহীন বর্ণসমষ্টি মনে রাখা এবং ভুলে যাওয়ার পরীক্ষা। প্রথমে এবিংহাউস তিনটি অর্থহীন শব্দ ‘WID’, ‘ZOF’ এবং ‘KAF’ মুখস্ত করেন। এরপর তিনি নিজের উপর পরীক্ষা শুরু করেন যে, ঠিক কত সময়, কত দিন কিংবা কত সপ্তাহ-মাস পরে এই তিনটি শব্দের কতটা মনে রাখতে পারেন কিংবা কতটা ভুলে যাচ্ছেন বা গেছেন। এই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করেই তিনি তার সূত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
এবিংহাউস দেখেন, তার সূত্রানুযায়ী প্লটকৃত রেখাটি এক্সপোনেন্সিয়াল বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। একদম শুরুতে অর্থাৎ যখন আমরা কোনো কিছু শিখি তখন আমাদের স্মৃতিশক্তি ১০০%। দেখা যায়, কয়েকদিনের মধ্যেই সেটি খুব দ্রুত ৪০% এ নেমে এসেছে এবং গ্রাফ কাগজে অংকিত রেখার এই অংশটি অপেক্ষাকৃত বেশি খাড়া। এরপর থেকে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার পরিমাণ কমে যায় এবং প্রক্রিয়াটি ধীরগতিপ্রাপ্ত হয়।
তো এবিংহাউস তার এই ফরগেটিং কার্ভ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আরো একটি বিষয় প্রত্যক্ষ করেন, যাকে বলা হয় ওভারলার্নিং (Overleaning)। তিনি বলেন, যদি কোনো কাজ পুনঃপুনঃ করা যায়, কিংবা কোনো একটি বিষয় সম্বন্ধে বারবার চর্চা করা হয় (অর্থাৎ, প্রয়োজনের অতিরিক্ত জ্ঞানচর্চা বা কর্মচর্চা) তাহলে সেই কাজ বা বিষয় সম্বন্ধে ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়। বারবার চর্চা করার মাধ্যমে এসব স্মৃতি তখন স্থায়ী স্মৃতিতে সংরক্ষিত হয়ে যায়।
তো এই ছিলো এবিংহাউসের করা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে তৈরী ফরগেটিং ফর্মুলা এবং ফরগেটিং কার্ভ। এখন চলুন জানা যাক কিভাবে আমরা এই ফরগেটিং কার্ভকে কাবু করে আমাদের স্মৃতিশক্তিকে বৃদ্ধি করতে পারি।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়
এবিংহাউস নিজেই পথ দেখিয়েছেন, কিভাবে পুনঃপুনঃ চর্চা করার মাধ্যমে এই ফরগেটিং কার্ভকে পরিবর্তন করা যেতে পারে। বাস্তবেও এই পদ্ধতির যথার্থতা রয়েছে। আর সেকারণেই ছাত্রজীবনে আমাদের উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে যে, পাঠ্যবিষয়টি বারবার অনুশীলন করার। ইংরেজী সেই প্রবাদটি ‘Practice makes a man perfect’ আসলে এই কথারই ইঙ্গিত বহন করে।
আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ; প্রথমটি হচ্ছে পুনরাবৃত্তিক ও পর্যায়বৃত্তিক অনুশীলন এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে কিভাবে তথ্যটি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
প্রথমত, পুনরাবৃত্তিক এবং পর্যায়বৃত্তিক অনুশীলনের ব্যাপারে আমরা সবাই কম বেশি ধারণা করতে পারছি ইতিমধ্যে। গবেষণায় দেখা যায় যে, বারবার চর্চা করার মাধ্যমে কোনো একটি বিষয় ভুলে যাওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে এবং সেই সাথে এটি লং-টার্ম মেমরিতে স্থায়ী হতে শুরু করে। পুনরাবৃত্তিক চর্চার ফলে এবিংহাউস ফরগেটিং কার্ভ যে পরিবর্তন হতে শুরু করে সেটা নিচের ছবিটি দেখলেই বোঝা যাবে।
দ্বিতীয়ত, আমাদের কোনো তথ্যকে কিরূপে প্রদর্শন করা হচ্ছে তার উপরও আমাদের স্মৃতিশক্তি নির্ভর করে থাকে। সহজ কথায় বলতে গেলে, যদি আমরা কোনো বিষয়ে জ্ঞান লাভ করি এবং সেই বিষয়কে বাস্তব কোনো বস্তুর সাথে সম্পর্কিত করতে পারি, তাহলে আমাদের মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যেমন, ছাত্রজীবনে আমরা সাধারণত কোনো বিষয়ে পড়ে যেটুকু বুঝি, ক্লাসে শিক্ষকের লেকচার শুনে তার থেকে আরো বেশিই বুঝি এবং সবশেষে যদি সেটি মাল্টিমিডিয়াতে বাস্তব চিত্রসহ দেখানো হয় তবে আমরা সবথেকে বেশি বুঝি। এই যে, একই তথ্য কিন্তু প্রদর্শন ভিন্নরকম হওয়ার কারণে আমাদের স্মৃতিতেই সেটি ভিন্নভাবে স্থায়ী হচ্ছে, এটাও একটা গবেষণার বিষয় বটে।
তো সবশেষে, আমাদের মস্তিষ্কের স্মৃতির সাথে কম্পিউটারের স্মৃতির অনেক মিল আছে। কিন্তু অমিল কেবল এখানেই যে, কম্পিউটারের ক্ষেত্রে কোনো এবিংহাউস ফরগেটিং কার্ভ কাজ করে না যা আমাদের জন্য করে। তথাপি আমাদের স্মৃতির খুব সামান্য অংশই আমরা কাজে লাগাই।
ফিচার ইমেজ: qz.com