একটি সিনেমা নির্মাণের সাথে জড়িয়ে থাকে একজন পরিচালক আর কলাকুশলীদের শত ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং অক্লান্ত পরিশ্রম। সেই ফিল্ম জার্নির পেছনে লুকিয়ে থাকে হাজারো অবর্ণনীয় গল্প। সিনেমা নির্মাণের পর শত বাধা পেরিয়ে তা দর্শকের সামনে আবেদন নিয়ে হাজির হয়, আবার কিছু সিনেমা কখনো প্রদর্শিত হবার সুযোগ পায় না। রয়ে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে। প্রায় প্রত্যেকটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই এমন বহু ফিল্মের সাক্ষী, যেগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পূর্বেই তার সম্ভাবনা অঙ্কুরে বিনাশ হয়েছে। ভারতে এমন কিছু সিনেমা নির্মাণের কথা ছিল, যা তৈরি হলে হয়তো তা ভারতীয় মুভি ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকত, বা খানিকটা হলেও পাল্টে যেত সিনেপাড়ার চালচিত্র। অসমাপ্ত এমন কিছু ভারতীয় ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ মুভি নিয়েই এই লেখা সাজানো।
টাইম মেশিন
টাইম মেশিন নামক এক বলিউড সিনেমা ১৯৯২ সালের দিকে নির্মাণাধীন ছিল। সিনেমার পরিচালক ছিলেন শেখর কাপুর, যিনি এর আগে বক্স অফিসে মিস্টার ইন্ডিয়ার মতো হিট মুভি উপহার দিয়েছেন। মূল চরিত্রে মিস্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত আমির খানের পাশাপাশি ছিলেন রেখা, রাভিনা ট্যান্ডন, নাসিরউদ্দিন শাহ, গুলশান গ্রোভার, অমরেশ পুরি এবং বিজয় আনন্দের মতো যশস্বী অভিনেতারা। ৭৫% শুটিং শেষ হবার পর আর্থিক টানাপোড়েনের কবলে পড়ে এই সিনেমা আর সামনে এগোতে পারেনি।
২০০৮ সালে শেখর কাপুর জানান, সিনেমাটির জন্য তিনি আবার নতুন করে অভিনেতা কাস্ট করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর হয়ে ওঠেনি। এই ফিল্মের কাহিনি সাজানো হয়েছিল ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউডের বিখ্যাত টাইম-ট্র্যাভেল ফিল্ম ‘ব্যাক টু দ্য ফিউচার’কে ভিত্তি করে। যেখানে মূল চরিত্র (আমির খান) ১৯৯০ এর দশক থেকে সময় পরিভ্রমণ করে ১৯৬০ এর দশকে চলে যাবে। সেখানে তার জন্মদাতা বাবা-মায়ের (নাসিরউদ্দিন শাহ, রেখা) সাথে তার সাক্ষাৎ হবে। টাইম মেশিন আবিষ্কার করা বিজ্ঞানীর চরিত্রে কাস্ট করা হয়েছিল বিজয় আনন্দকে। আর প্রেমিকা হিসেবে রাভিনা ট্যান্ডন।
ফিল্মের কিছু অনসেট ভিডিও থেকে ধারণা পাওয়া যায়, ১৯৯২ সালের বলিউডের সময়ের হিসেবে সিনেমাটি ছিল অনন্য। বেশ কয়েক বছরের খাটনির ফসল ছিল এই সিনেমার স্ক্রিপ্ট। শুটিং শেষ করে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলে হয়তো বলিউডের জন্য এটি গেম চেঞ্জিং সিনেমা হতে পারত।
অ্যালভিন কালিচরণ
গ্যাংস অব ওয়াসিপুর সিনেমার পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ ২০০৭ সালে ‘অ্যালভিন কালিচরণ‘ নামে একটি ডার্ক ক্রাইম থ্রিলার ফিল্ম নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। সিনেমায় নেওয়া হয়েছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা অনিল কাপুরকে। অনিল কাপুরের দুর্ধর্ষ লুক দেখিয়ে সিনেমার একটি পোস্টারও মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
সব কিছু ঠিকভাবেই এগোচ্ছিল। কিন্তু কাজে বাগড়া দিলেন অনিল কাপুর নিজেই। তিনি শুটিংয়ের প্রথম দিনেই ভোল পাল্টে ফেললেন। অনুরাগ তখন থেকে অনিলকে নানাভাবে অনুরোধ করতে থাকেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি আদতে। ২০০৭ সালে ইন্ডিয়া টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনুরাগ জানান,
অ্যালভিন কালিচরণ মুভিটা ভণ্ডুল হয়েছে শুধুমাত্র অনিল কাপুরের জন্য। প্রথমে তিনি সিনেমার স্ক্রিপ্ট পছন্দ করলেও, অন্য অভিনেতাদের রোল দেখে বেশ ইতস্তত বোধ করছিলেন। কিন্তু আমাকে এসে সরাসরি বলার সাহস হয়নি তার। তিনি ক্রমশ শুটিংয়ের তারিখ পিছিয়েই যাচ্ছিলেন। একসময় আমি তার এই চালাকি বুঝতে পেরে এই সিনেমার কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দিই। অনেক ভুগেছি আমি। অনিল কাপুরের সাথে আর কখনো কাজ করব না। আমি তাকে সবসময় প্রাধান্য দিলেও তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যেত না।
তাদের এই কাহিনি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই নির্মিত হয়েছে নেটফ্লিক্সের সিনেমা AK vs AK. এই সিনেমায় অনিল কাপুর ও অনুরাগ কাশ্যপকে পরস্পরের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায়।
ব্যাটল অব সারাগারহি
রাজকুমার সন্তোষীর পরিচালনায় ব্যাটল অব সারাগারহি ছিল মেথড অ্যাক্টর রণদীপ হুদার জীবনের অন্যতম সেরা ড্রিম প্রজেক্ট। দীর্ঘ দুই বছরের পরিশ্রমে নিজেকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন এই সিনেমার মুখ্য চরিত্র ‘ঈশার সিং’-এর ভূমিকায়। আয়ত্ত করেছিলেন মার্শাল আর্ট,
হাতকে বানিয়েছিলেন সহসা তলোয়ার চালানোর উপযুক্ত। প্রেস কনফারেন্সে এসে সিনেমার ব্যাপক ঢাকঢোল পেটানোর পাশাপাশি ওখানে রণদীপ ঈশার সিংয়ের অবয়বে হাজির হয়েছিলেন। সিনেমা মুক্তির কথা ছিল ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে। কিন্তু প্রোডাকশনজনিত বিভিন্ন ঝামেলার কারণে ফিল্মের শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে ‘ধর্ম প্রোডাকশন’ অক্ষয় কুমারের কেসারি মুভির ঘোষণা দিয়েছিল, যার গল্প ছিল ব্যাটল অব সারাগারহির উপর ভিত্তি করেই।
পরবর্তীতে আর শুটিংই হয়নি এই মুভির। তাই প্রজেক্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। রনদীপ এতে অনেক বেশি আবেগাপ্লুত হয়ে যান। প্রজেক্ট বন্ধ হবার পরও তিনি এই অবয়বের আদলেই নিজেকে ঢেকে রেখেছিলেন। কারণ, তার বিশ্বাস ছিল, আবারও শুরু হবে এই সিনেমার শুটিং। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রনদীপ হুদা বলেন,
“ব্যাটল অব সারাগারহি প্রজেক্টে বিচিত্র এবং দুর্দান্ত কিছু অভিনেতা ও কলাকুশলীর সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি নিজেকে গড়ে-পিটে তৈরি করছিলাম। তিন বছর ধরে আমি চুল-দাড়ি লম্বা করেছি। স্বর্ণ-মন্দিরে আমি কসম কেটেছিলাম যে, মুভি পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার চুল-দাড়ি কাটব না।”
অক্ষয়ের কেসারি সিনেমার পর তিনি মন্তব্য করেন, সারাগারহি যুদ্ধের কাহিনির আরও ভালো একটি সিনেমা প্রাপ্য। সিনেমাটি রনদীপ হুদার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারত। কারণ, নিজের চরিত্রগুলো এত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলার পরও তিনি লাইমলাইটের আড়ালেই থেকে যান।
মুন্না ভাই চালে আমেরিকা
বলিউড পাড়ায় সঞ্জয়-হিরানী জুটির মুন্না ভাই ফ্র্যাঞ্চাইজি বেশ জনপ্রিয়। ব্যাক-টু-ব্যাক মুন্না ভাই সিরিজে টানা দুটি হিট ফিল্ম উপহার দেওয়ার পর ২০০৭ সালের দিকে তৃতীয় সিনেমা আনার সকল আয়োজন প্রস্তুত ছিল। ফিল্মের কাহিনি সাজানো হয়েছিল মুন্না ভাই আর সার্কিটের ইংরেজি শিখে আমেরিকায় যাওয়া নিয়ে। ‘মুন্না ভাই চালে আমেরিকা‘ টাইটেলে আসতে যাওয়া এই সিনেমার পোস্টার এবং ছোট একটি টিজারও প্রকাশ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মুন্না ভাই চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জয় দত্তকে গ্রেফতার করা হলে, বন্ধ করে দিতে হয় এই সিনেমার কাজকর্ম। এছাড়াও, এক সাক্ষাৎকারে রাজকুমার হিরানী জানান, মুন্না ভাই চালে আমেরিকার সাথে শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান‘ সিনেমার কাহিনির অনেকটা মিল ছিল। যেমন, সিনেমায় সার্কিটের সাথে এক মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। ওই মেয়ের মা-বাবা যখন জানতে পারে সার্কিটের মা-বাবা মুসলিম, তখন তারা এই বিয়ে ভেঙে দিতে চায়। ‘মুসলিমরা জঙ্গি নয়’- এরকম একটা সামাজিক বার্তা সিনেমার মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাজকুমার হিরানী। কিন্তু কাহিনি অনেকটা একরকম হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে এই সিনেমা থেকে পিছিয়ে আসেন তিনি। তবে, বলিউড পাড়ায় গুঞ্জন আছে, মুন্না ভাই ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ইনস্টলমেন্টের ঘোষণা শীঘ্রই আসবে।
খবরদার
তেলুগু ফিল্ম ডিরেক্টর রামা রাও, বলিউড ও কলিউডের দুই খ্যাতনামা অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন এবং কমল হাসানকে এক ছাদের তলায় নিয়ে এসেছিলেন। ‘খবরদার‘ নামের এক সিনেমায় দুজনের অভিনয়ের কথা ছিল। এছাড়াও, নায়িকা হিসেবে ছিলেন তৎকালীন বলিউড হার্টথ্রব শ্রীদেবী।ফিল্মের কাহিনি বানানো হয়েছিল একজন চিকিৎসক ও একজন রোগীকে নিয়ে। রোগীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কমল হাসান। তিনি বেঁচে থাকার সকল আশাই হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাই চিকিৎসককে (অমিতাভ) প্রতিনিয়ত অনুরোধ করতেন, তাকে মেরে ফেলে এই জীবন-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। ১৯৮৪ সালের তুলনায় এই সিনেমার প্লট ছিল বেশ ইউনিক। মাত্র ১৬ রিল শুট হবার পর বন্ধ হয়ে যায় শুটিংয়ের কার্যক্রম। কোনো কোনো তথ্যমতে, সিনেমা বন্ধ হবার কারণ ছিলেন প্রযোজক নিজেই। আবার কোথাও বলা হয়, নেতিবাচক ভূমিকায় অমিতাভ নিজেকে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে চাননি। এসব সমালোচনার জের ধরেই আর আলোর মুখ দেখেনি সিনেমাটি।
চান্দা মামা দূর কে
২০২০ সালে বলিউডের উঠতি সুপারস্টার সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রয়াণের পর তার কিছু অজানা প্রজেক্টের খবর সামনে উঠে আসে, যা কখনো সেলুলয়েডের পর্দায় চিত্রিত হয়নি। বিজ্ঞানের সাথে সুশান্তের সখ্য ছিল ছোটবেলা থেকেই। তুখোড় মেধাবী এক ছাত্র ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পুরো ভারতে মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেন। এরপর তিনি দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধীনে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ করা। ফলে তৃতীয় বর্ষে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেড়ে দেন। চলচ্চিত্রে প্রবেশের পরও বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা এতটুকু কমেনি সুশান্তের। তিনি বলিউডে একটি সায়েন্স ফিকশন সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন। সঞ্জয় পুরান সিংয়ের পরিচালনায় ‘চান্দা মামা দূর কে‘ নামক এই ফিল্মের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেখানে সুশান্তের নভোচারী চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল।
এজন্য তিনি নাসাতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু শুটিং শুরু হবার আগেই প্রযোজক সিনেমার প্রোডাকশন বন্ধ করে দেন। মহাকাশপ্রেমী সুশান্ত হাল ছাড়েননি। তিনি নিজে প্রযোজনার ভার হাতে নিলেও বিভিন্ন জটিলতায় সিনেমার প্লট আর শুটিং পর্যন্ত গড়ায়নি।
মহাকাশকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন সুশান্ত। ২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রূপি দিয়ে তিনি The Meade 14” LX -600 টেলিস্কোপ কেনেন, যা দিয়ে তিনি নিয়মিত মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করতেন।
দ্য এলিয়েন
সত্যজিৎ রায়, চলচ্চিত্র জগতের এক কিংবদন্তি। তিনি ‘দ্য এলিয়েন‘ নামে একটি সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন। তার পরিচালনায় এই ফিল্মের সহকারী প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে থাকার কথা ছিল কলম্বিয়া পিকচার্সের। সিনেমার প্লট সাজানো হয়েছিল ১৯৬৭ সালে তারই লেখা গল্প ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ থেকে। ১৯৬২ সালে সন্দেশ ম্যাগাজিনে ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ গল্পটি প্রকাশিত হয়।
ভারত-আমেরিকার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হতে যাওয়া এই সিনেমার মূল চরিত্রে পিটার সেলারস, মার্লন ব্র্যান্ডোর মতো খ্যাতনামা অভিনেতাদের অভিনয় করার কথা ছিল। সিনেমা নির্মাণে ভজকট পাকিয়েছিল মূলত সত্যজিৎ রায়ের হলিউড প্রতিনিধি মাইকেল উইলসন। স্ক্রিপ্টে কোনো অবদান না থাকা সত্ত্বেও তিনি সহকারী-লেখক হিসেবে নিজের নামে এর কপিরাইট করে রেখেছিলেন। মার্লন ব্র্যান্ডো পরবর্তীতে এই প্রজেক্ট থেকে সরে আসলে তার জায়গায় জেমস কোবার্নকে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মাইকেল উইলসনের প্রতারণায় দিশেহারা হয়ে কলকাতায় ফেরত আসেন সত্যজিৎ রায়। এরপর সিনেমাটি আর বানানো হয়ে ওঠেনি।
১৯৮২ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গ কর্তৃক পরিচালিত সিনেমা ‘E.T. the Extra-Terrestrial’ এর সাথে ‘দ্য এলিয়েন’ সিনেমার গল্পের মিল খুঁজে পাওয়া যায়- এমন অভিযোগ উঠে। স্পিলবার্গ তা অস্বীকার করলেও সত্যজিৎ দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন ই.টি. সিনেমার স্টোরি তার কাহিনি থেকেই অনুপ্রাণিত। সেই অভিযোগে সুর মিলিয়েছিলেন প্রখ্যাত পরিচালক মার্টিন স্কোরসেজিও।