শহীদুল জহিরের লেখা মূলত চরিত্রনির্ভর, প্লটনির্ভর নয়; সেই চরিত্র হতে পারে ব্যক্তির বা কোনো স্থানের। প্লটনির্ভর না হওয়ায় তার লেখার মূল আকর্ষণ হলো ঘটনাপ্রবাহ আর বর্ণনাশৈলী। শহীদুল জহির তার লেখায় প্রায় সবসময়ই অনিশ্চয়তার ছোয়া রেখে দেন যা পাঠককে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।
কোনো স্থান বা জায়গার যে একটা ‘ভাইব’ থাকে সেটা শহীদুল জহির তার লেখায় খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন, সেটা তার পুরান ঢাকার চিত্রায়ন বা কল্পিত সুহাসিনী গ্রামের চিত্রায়নে বোঝা যায়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়কে তার লেখায় এক ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন- মুক্তিযুদ্ধকালীন পুরান ঢাকা, ঢাকার জনগণের উপর রাজনীতির প্রভাব বেশ গভীরভাবেই তার লেখায় এসেছে।
শহীদুল জহির নিজেকে ‘ডিমান্ডিং লেখক’ হিসেবে দাবী করেছেন, তিনি তার পাঠকের কাছে পূর্ণ মনোযোগ চান, পাঠককে ভাবাতে চান। তার লেখা খুব সহজ নয় এবং বেশিরভাগ সময়েই ভাষা ও অনিশ্চয়তাসূচক শব্দের প্রয়োগে লেখা আরো জটিল হয়ে ওঠে, তার সাথে আছে নন লিনিয়ার স্টোরিটেলিং; তিনি সময়ের স্বাভাবিক প্রবাহকে ভেঙ্গে ফেলেন। তার লেখনী, ভাষার ব্যবহার ও জাদুবাস্তবতার সূক্ষ্ম প্রয়োগ তাকে অনন্য করে তোলে। তবে, তার লেখায় শক্তিশালী নারী চরিত্রের অভাব লক্ষ্যণীয়। তিনি চতুর ও বুদ্ধিদীপ্ত নারী চরিত্রের চিত্রায়ন করলেও শক্তিশালী কোনো নারী চরিত্র তৈরি করেননি।
শহীদুল জহিরের পূর্বে প্রকাশিত চারটি উপন্যাস ও ২০১৮ সালে সংগৃহীত দুটি অপ্রকাশিত উপন্যাস নিয়ে পাঠক সমাবেশ প্রকাশ করেছে ‘শহীদুল জহির উপন্যাসসমগ্র‘। বইটির দুটি সংস্করণ রয়েছে- একটি রয়্যাল হার্ডবাউন্ড সংস্করণ, এবং অপরটি সুলভ পেপারব্যাক। বইটির ছাপা, বাঁধাই সবকিছুই ভালো, মুদ্রণপ্রমাদ একেবারেই কম।
এই উপন্যাস সমগ্রের ও শহীদুল জহিরের প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস হচ্ছে ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা ‘। উপন্যাসটি জহীদুল জহিরের অন্যতম সেরা কাজ। প্রথম লাইন থেকেই পরিণত শহীদুল জহিরের স্বাদ পাওয়া যায়, যা পুরো উপন্যাসে বিদ্যমান থাকে। উপন্যাসটি আকারে ছোট হলেও এর ব্যপ্তি বিশাল। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে এটি অবশ্যই আলাদা একটা জায়গা করে নেবে।
উপন্যাসটিতে দুটি টাইমলাইন- একাত্তর ও যুদ্ধ-পরবর্তী সময়। এই গল্পে আমরা দেখি আবদুল মজিদের ভাই থেকে বাবায় রূপান্তরিত হবার যাত্রা। একাত্তরে সে বদু মাওলানাদের হাত থেকে তার বোনকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। সে দেখে বদু মাওলানারা কীভাবে বারে বারে ফিরে আসে সময়ের সাথে। সে ঝুঁকি নিতে যায় না, সে চায় না তার মেয়ের পরিণতি তার বোনের মতো হোক। সে তার মেয়েকে নিয়ে চলে যায় বদু মাওলানাদের থেকে দূরে। আবদুল মজিদের টিকে থাকা ও পালিয়ে যাওয়ার মাঝের সময়কে শহীদুল জহির তুলে ধরেছেন নিপুণভাবে। পুরোটা এক অনুচ্ছেদে এই উপন্যাসের ভাষাশৈলী, চরিত্রগঠন সবকিছু যেন একদম খাপে খাপে মিলে যায়; পাঠককে নিয়ে যায় অন্য এক জগতে।
উপন্যাসের নামকরণও সম্পূর্ণ সার্থক। এই উপন্যাসে আমরা সেই সময়ের চিত্র দেখতে পাই যখন রাজনীতি ও রাজনীতিবিদেরা বড় হয়ে উঠেছিল জীবনের চেয়েও। রাজনীতির স্বার্থে কত কিছুই তো ত্যাগ করতে হয়, কিন্তু মজিদের তা মাথায় ঢোকে না, সে দেখে তার বোনের ক্ষতবিক্ষত লাশ, সে এসব রাজনীতি বোঝে না সে দেখে জীবনকে। তাই তাকে পালিয়ে যেতে হয়।
‘সে রাতে পূর্ণিমা ছিল‘ আকারের দিক দিয়ে শহীদুল জহিরের সর্ববৃহৎ উপন্যাস। অনেক ঢাউস আকারের উপন্যাস আছে যেগুলো শুধু পৃষ্ঠাসংখ্যাতেই বড়, কলেবরে নয়। এই উপন্যাস তেমন নয়। এতে চারটি টাইমলাইনে কয়েকটি সাবপ্লট রয়েছে, যার প্রতিটি আলাদা উপন্যাস হবার যোগ্যতা রাখে।
শহীদুল জহির এই উপন্যাসে যেন টাইমফ্রেম নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন, তিনি চারটি টাইমলাইনকে একদম মিশিয়ে এক করে ফেলেছেন। উপন্যাসের শুরু ও শেষ দুটোই হয় পূর্ণিমা দিয়ে, যা পুরো উপন্যাসে এক অদ্ভুত প্রতিসাম্য তৈরি করে। আমরা মফিজুদ্দিনের উত্থান, তার দুই পুত্রের ভালোবাসা, অবশেষে সপরিবারে মফিজুদ্দিনের মৃত্যু এই চারটি আলাদা সময়কে একই সাথে এগিয়ে অথবা পিছিয়ে যেতে দেখি। এরই মাঝে আছে শহীদুল জহিরের জাদুবাস্তবতার মিশেল। লেখক ধীরে ধীরে উন্মোচন করেন- মফিজুদ্দিনের জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে পরাবাস্তবতা, তার বিয়ে থেকে শুরু করে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা, এমনকি তার জন্মেও আমরা দেখি এক রহস্যময় পরাবাস্তবতার ছোঁয়া।
তবে, সবকিছু ছাপিয়ে বড় হয়ে ওঠে শহীদুল জহিরের বর্ণনাভঙ্গি। তিনি এই উপন্যাসে বড় বড় অনুচ্ছেদে মফিজুদ্দিনের জীবন, তার দুই ছেলের ভালোবাসা সব কিছু এমনভাবে তুলে ধরেছেন যে পাঠক এটি পড়ার সময় মফিজুদ্দিনের জীবনের সাথে একদম মিশে যাবে। নন লিনিয়ারিটি, কঠিন ভাষাশৈলী ও জাদুবাস্তবতার সূক্ষ্ম প্রয়োগের পরেও এত সাবলীল লেখা শহীদুল জহির কীভাবে লিখতে পারলেন ভাবলে অবাক হতে হয়। কিশোরী দুলালির সরল প্রেম থেকে আলোকজানের প্রতি চিত্রশিল্পী আবু বকরের ভালোবাসা এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তার শিল্পী সত্ত্বা থেকে মানুষ সত্ত্বার বড় হয়ে ওঠা, রফিকের বিপ্লবী হতে চাওয়া সবকিছুই লেখক এঁকেছেন খুবই সূচারুভাবে। এত সাবপ্লটের সমাবেশের পরেও একবারও মনে হয় না উপন্যাসটি টানা হচ্ছে বা কোথাও ঝুলে যাচ্ছে। কয়েক দশক বিস্তৃত এই কাহিনী লেখক যেভাবে এঁকেছেন তা এককথায় অসাধারণ।
‘মুখের দিকে দেখি‘ এই উপন্যাসে লেখক পাঠককে সবসময় এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখেছেন যা ঘটে গেছে তা আসলেই ঘটেছে কিনা কিংবা, যা ঘটমান আছে তা ঘটছে কিনা এমন অসংখ্য পরিস্থিতি তিনি সৃষ্টি করেছেন। বানরের দুধ খেয়ে বড় হওয়া চান মিয়া থেকে মামুন বা খরকোসের রূপান্তর অথবা দুজনেরই ভিন্ন এক সত্ত্বর টানপোড়ন নিয়েই এগিয়ে যায় উপন্যাসটি। শহীদুল জহিরের পূর্বের দুটি উপন্যাসের মতো এতেও কোনো বাধাধরা টাইমলাইন নেই, লেখক তার নিজের মতো করে সময়ের বাধন ছিন্ন করেছেন।
একইসাথে দুই জায়গায় একই মামুনের বড় হয়ে ওঠা এবং পরিস্থিতির ভিন্নতায় তাদের মধ্যের বৈপরীত্য উপস্থাপন করে শহীদুল জহির তার ট্রেডমার্ক সূক্ষ্ম জাদুবাস্তবতা প্রয়োগ করেছেন। খুবই সামান্য হলেও সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব সংকটের সন্ধান পাওয়া যায়, একইসাথে দেখা যায় মুক্তিযুদ্ধের কিছু দৃশ্যপট আর এ সবকিছুই ঘটতে থাকে নির্দিষ্ট কোনো কনটেক্সট বা লিনিয়ারিটি ছাড়া। পুরো উপন্যাসের মতো এর সমাপ্তিও চমকপ্রদ। বহুমাত্রিক এই উপন্যাসে লেখক অনেক পটভূমি ও দৃশ্যকল্পের অবতারণা করেছেন এবং তার সবগুলোই নিপুণ দক্ষতার সাথে বর্ণনা করেছেন, পাঠককে নিয়ে গিয়েছেন এক চিরন্তন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যা বোধহয় জীবনেরই রূপক। লেখার গুণে, এত চরিত্র, সাবপ্লটের ছড়াছড়ির পরেও কোথাও উপন্যাস ঝুলে যায় না বা বিরক্তির উদ্রেক করে না। জটিল হলেও সুখপাঠ্য একটি উপন্যাস।
‘আবু ইব্রাহিমের মৃত্যু’ এই উপন্যাসের আবু ইব্রাহীম এক সরকারি কর্মকর্তা, যাকে আপাতজীবনে সুখী, সংসারী মানুষ মনে হলেও আদতে তিনি অসুখী। তার জীবনে আছে অনেক অপূর্ণতা, চাওয়া। তিনি সেই মানুষদের একজন যারা সৎ থাকতে চায় না, আবার অসৎ হতেও পারে না, সবসময় এক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যায়।
পড়তে পড়তে আবু ইব্রাহীমের টানাপোড়েন পাঠককেও ছুঁয়ে যায়। আবু ইব্রাহীম হয়তো একজন দুর্বল মানুষ যিনি সাবেক প্রেমিকাকে উপেক্ষার স্বাদ পাওয়াতে চান, কিন্তু ব্যর্থ হন। স্বামী হিসেবেও তিনি নিজেকে পরাজিতই ভাবেন, যিনি অভাবে থাকেন, কিন্তু দুর্নীতি করতে ভয় পান। এই উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো আবু ইব্রাহীম খুবই সাধারণ এক চরিত্র। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই হয়তো একেকজন আবু ইব্রাহীম। এই সাধারণ মানুষের জীবনই শহীদুল জহিরের কলমের কবলে পরে ভাষার অপূর্ব ব্যবহারে অসাধরণ হয়ে ওঠে। এই শব্দগুলোর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার করে জহির আবু ইব্রাহীমের জীবনকে অনিশ্চিত এক রূপ দান করেছেন; তবে পড়ার সময় কিছু ক্ষেত্রে এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বিরক্তির উদ্রেক করে। পড়ার সময় আবু ইব্রাহীমের ভেতরের অন্তর্দাহ পাঠককেও স্পর্শ করে। ছোট একটি উপন্যাস, কিন্তু সুদুর প্রভাববিস্তারী।
‘চন্দনবনে ‘ উপন্যাস আবর্তিত হয় রফিক নামের এক সরকারি কর্মকর্তাকে ঘিরে, যাকে বিষাক্ত পুরুষতন্ত্রের ধারকবাহক হিসেবেই লেখক তুলে ধরেছেন। আমরা তার দুটি বৈবাহিক অবস্থা ও তার মাঝের সময়কে তিনটি আলাদা পর্বে দেখি। তার দুই স্ত্রীর স্বভাবে অনেক বৈপরীত্য থাকলেও সে কারো সাথেই সুখী হতে পারে না নিজের ‘নার্সিসিজমের’ কারণে। তার প্রথম স্ত্রীর উচ্ছলতা, চপলতা তার ভালো লাগে না। সে ওই সংসারে সুখী হতে পারে না, আবার দ্বিতীয় স্ত্রীর নমনীয় স্বভাবেও সে সুখী হয় না, আসক্ত হয় পরনারীতে। রফিক এক বিষাক্ত পুরুষের চরিত্র যারা সবসময় নিজের কথাই ভাবে। এই উপন্যাসে লেখক শহীদুল জহির নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে রফিককে চিত্রিত করেছেন। রফিককে কোথাও অবদমন না করা হলেও ভাষার গুণে তার প্রতি ঘৃণার উদ্রেক হয়। উপন্যাসের শেষাংশে দীপুর অবস্থান ও পদক্ষেপ উপন্যাসকে পূর্ণতা দিয়েছে।
‘উড়াল‘ উপন্যাসে ছোট পদে চাকরি করা যুবক আবদুর রহমানের জীবনের একটি অংশ উঠে এসেছে। আবদুর রহমানেরা এমন মানুষ যারা ভীড়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাকিদের থেকে আলাদা হবার মতো কোনো বৈশিষ্ট্য তাদের থাকে না, পরিবারেও এদের খুব বেশি মূল্য থাকে না, বন্ধুদের মধ্যেও তেমন প্রভাব তাদের থাকে না। উড়াল উপন্যাসের আবদুর রহমান তেমনই এক চরিত্র। এটি তার লেখা প্রথম উপন্যাস হলেও জীবদ্দশায় এটি তিনি বই আকারে প্রকাশ করেননি। এই উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হলো রেণু। যদিও রেণুর ভূমিকা খুব বেশি বিস্তৃত নয়। আবদুর রহমান একসময় রেণুকে কামনা করে কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হয়। রেণুর পরিণতি ও আবদুর রহমানের বেঁচে থাকার মধ্য দিয়েই লেখক উপন্যাসের সমাপ্তি টানেন। আমরা জানতে পারি না আবদুর রহমানের ভাগ্যে কী ঘটে।
শহীদুল জহির কখনোই পাঠকপ্রিয় বা জনপ্রিয় সাহিত্যিক হতে চাননি। তিনি সবসময় পাঠককে ভাবাতে চেয়েছেন, চেয়েছেন পাঠকেরা তার লেখার গভীরে প্রবেশ করুক। একবার পড়ে শেলফে তুলে রেখে, ভুলে যাবার মতো লেখক তিনি নন। তার লেখার প্রভাব পাঠকের মস্তিষ্কে চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যায়। লেখায় তিনি খুবই সচেতন ভাবে জাদুবাস্তবতার ব্যবহার করেছেন, বাস্তবতাকে আড়াল করতে নয়, বরং আরো প্রকট করতে। বর্ণনাভঙ্গী, অনন্য ও স্বতন্ত্র ভাষাশৈলী তার লেখাকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে, গল্পগুলোতে খুব বেশি বৈচিত্র্য বা অবাক হবার মতো ব্যাপার না থাকলেও তিনি তা পুষিয়ে দিয়েছেন তার লেখার ধরন দিয়ে।
তার স্টাইল প্রথম প্রথম একটু জটিল মনে হলেও ক্রমে এটি পাঠককে গ্রাস করে ফেলে, অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয় ও ভাবাতে বাধ্য করে। বাংলাদেশের সাহিত্যে জাদুবাস্তবতার ব্যবহার তার চেয়ে বেশি অন্য কোনো লেখক করেননি, তবুও তার কোনো লেখাতেই জাদুবাস্তবতাকে আরোপিত মনে হয় না, যদিও মার্কেজের প্রভাব তার প্রতিটি লেখায় সুস্পষ্ট। তিনি যেভাবে সময়ের প্রবাহ নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন তার বেশিরভাগ লেখায়, সেটা প্রশংসার দাবীদার। শহীদুল জহির অব্যশই বাংলা সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক। তার লেখা অতীত, বর্তমান ছাপিয়ে ভবিষ্যতেও আরো অনেক কাল পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করবে। তিনি বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ধারার সৃষ্টি করেছেন যা ‘শহীদুল জহিরিয়‘ ধারা নামে পরিচিত। এই গুণী লেখকের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা।