মেয়ে যখন মায়ের পিঠে মালিশ করে দিচ্ছিল, মা স্পষ্ট আকাঙ্ক্ষা ভরা অথচ কোমল কণ্ঠে বলছিলেন, “তোমাকে খুব ভাল করে পড়াশোনা করতে হবে। কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়া যাবে না। তবেই একমাত্র তুমি সম্মান অর্জন করতে পারবে। এবং রাস্তার বিলবোর্ডে লেখা ইংরেজি শব্দগুলো উচ্চারণ করতে পারবে।” এরপর আরো বলছিলেন, বুকের মাঝে বই ধরে স্কুলে যাবার কথা। সেই কথা বলতে গিয়ে মায়ের চোখে-মুখে কী এক দ্যুতিই না দেখা গিয়েছিল ক্ষণিকের জন্য! মুখটা প্রশস্ত হয়েছিল ঠোঁটের দু’পাশের হাসির রেখাকে জায়গা করে দিতে। না, প্রমথ চৌধুরীর সেই ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের “আমাদের ধারণা, শিক্ষা আমাদের চোখের জ্বালা, মনের জ্বালা দুই-ই দূর করবে” শ্লেষপূর্ণ উক্তির কোনো সিরিয়াস রূপ সিনেমার ওই দৃশ্যে মায়ের মনোলগে প্রতিফলিত হয় না। তেমনটা মনে হলেও, আসলে তা না।
বিষয়টা আরো গভীর— নারীর সম্মানের। শিক্ষার ওই সম্মান আসলে একজন নারী হিসেবে ভবিষ্যতে মেয়েকে সম্মান পাওয়ানোর জায়গা থেকে মায়ের বলা। ইংরেজি পড়তে পারাটাও সেই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। এখানে বক্তব্য দক্ষিণ কোরিয়ার সেই সমাজে নারীর সম্মান নিয়ে। লেখাপড়া না জানলে কোনো ভালো চাকরি জোটানো সম্ভব না। আর চাকরি না জুটলে ন্যূনতম সম্মানও আর পাওয়া হবে না। এই মা সারাদিন বাইরে গতর খেটে, বাসায় এসে রান্না করে সবার পেট শান্ত করেও সেই সম্মান পান না। যেন, এতে আবার সম্মানের কী আছে? এ তো তাদেরই কাজ। একমাত্র চাকরির ক্ষেত্রে গেলেই তখন চোখ ঘুরিয়ে দেখা হয়। সম্মানের দৃষ্টিতে আপসে না হোক, বাধ্য হয়ে হলেও, তাকাতে হয়। সেসব ভেবেই তো তরুণী মেয়ে ইয়ুন হিকে মায়ের ওই কথাগুলো বলা।
তবে ‘হাউজ অব হামিংবার্ড’-কে দৃঢ়চেতা নারী এবং নারীবাদের গল্প হিসেবে ধরে নেওয়াটা ঠিক হবে না। মূল চরিত্রের ইয়ুন হি এক তরুণী। এবং অবশ্যই সংবেদনশীল তরুণী। কিন্তু তার সংবেদনশীলতার প্রকৃতি সে ঠিকঠাক বুঝতে পারেনি এখনও। প্রকোষ্ঠে ভাগ করতে পারেনি। সবেই তো সে বেড়ে উঠছে। আর দ্বিতীয়টি, নারীবাদের গল্প কিনা। ভারী, স্থূল, একমাত্রিক; কোনোপ্রকার নারীবাদের গল্পই এটি নয়। এখানকার শেকড় বরং আরো গভীরে। ইয়ুন হি যখন তার একাডেমিতে গিয়ে একটা বই তুলে নেয়, যে বই ফেমিনিজম বা নারীবাদ সম্পর্কিত, তাতেই দৃষ্টিকোণ স্পষ্ট হয়। কিন্তু তাই বলে ইয়ুন হি তার মাঝে সেই সত্ত্বা নিয়ে জেগে উঠেছে; তেমনটি মোটেও নয়।
ইয়ুন হি সেই তরুণী, ভাইয়ের হাতে অকারণে প্রহারের শিকার হয়েও যে চুপ করে থাকে এই ভেবে যে— এই দিনগুলো একদিন শেষ হবে। সেই জায়াগাগুলোতেই এই সিনেমার নারীবাদী দৃষ্টিকোণ কাজ করে। সূক্ষ্ম একারণেই বলেছি, এখানে কোনো ভারী গলা করে কিংবা আলাদাভাবে সেই অধিকারের কথা আসেনি। আলাদা বক্তব্যের মতো আসেনি। এসেছে শেকড়জাতভাবে। ওই সম্মান, ওই অধিকার তার প্রাপ্য। ওটুকু নিয়েই সে মানুষ হয়ে পৃথিবীতে এসেছে। বিপরীত লিঙ্গের বলে সে বৈষম্যের শিকার হতে পারে না কোনোক্রমেই। এই কথাগুলোই অনুক্ত থেকে বারবার উচ্চারিত হয়েছে, যখন ইয়ুন হির বাবা সন্তানরা বখে যাওয়ার জন্য মাকে দোষারোপ করেন; যখন বাবার কথাই হয় শেষ কথা; যখন ভাইয়ের মারধরের শিকার হয় ইয়ুন হি। নারীর অধিকার, নারীর সম্মানের কথা একদম অন্তর্জাতভাবেই এখানে এসেছে।
শুধু তা-ই নয়, ‘হাউজ অব হামিংবার্ড’ ধরেছে চলমান সমাজব্যবস্থার আরো অনেক কিছুকেই। আসলে কোনো নির্দিষ্ট গল্পের সিনেমা তো এটি নয়। এবং সেই না হওয়াটা এক্ষেত্রে কাজ করেছে আশীর্বাদের ন্যায়। এটা বয়ঃসন্ধিকালের গল্প। তরুণী ইয়ুন হির গল্প। পুরোটাই একটা চরিত্রনির্ভর ড্রামা। উপরের চিত্র ছাড়াও ছোট ছোট আকারে আরো কত কিছুর সন্নিবেশ যে এই সিনেমা ঘটিয়েছে! চাইনিজ ক্যালিগ্রাফি শেখানোর সেই শিক্ষিকার সাথে ইয়ুন হির রাতের বেলা পদচাপে ক্লান্ত এক রাস্তায় হাঁটার দৃশ্যটার কথাই ধরা যাক।
সেদিন ইয়ুন হির কাছের বান্ধবী নিজের গা বাঁচাতে চুরির দায় তার কপালে সেঁটে দেয়। ইয়ুন হি বিমর্ষ হয়ে পড়েছিল। তার চেয়েও বেশি হয়েছিল ভীত, বাড়ি ফেরবার কথা ভেবে। ক্যালিগ্রাফির শিক্ষিকার সাথে যখন রাস্তায় হাঁটছিল, শিক্ষিকাকে রাস্তার পাশের ওই অর্ধমৃত; জীর্ণ বাড়িগুলো আর দেয়ালের গায়ে মলিনতাকে আঁকড়ে সেঁটে থাকা পোস্টারগুলো নিয়ে প্রশ্ন করছিল। শিক্ষিকা তখন বলছিলেন, এই জায়গার মানুষগুলোকে উপরের ক্ষমতাবানেরা উচ্ছেদ করতে চায়। তখন ইয়ুন হির সরল জিজ্ঞাসা, “কেন?” যার কোনো উত্তর শিক্ষিকা দেয়নি। এই যে, এই ছোট্ট ব্যাপারটি দিয়েই শ্রেণী সংগ্রাম, বৈষম্য, ক্ষমতার দুর্নীতির কথা বলা যায়। আবার ইয়ুন হির সরল প্রশ্নে শিক্ষিকা যখন নীরব রইলেন, তখন? শুধু বাস্তবতার কাছে নতি স্বীকার।
এই সকল গূঢ় বক্তব্য; বিষয়াদি এতটা সূক্ষ্মভাবে চিত্রনাট্যে এসেছে, তা উল্লেখের মাঝেই এক কমনীয়তা কাজ করে। বক্তব্যগুলো কখনো আলাদা হয়ে সামনে আসেনি। গল্পের ভেতর দিয়ে, সঠিক করে বললে, ঘটনার ভেতর দিয়ে চিকন কিন্তু স্পষ্ট একটা সুরে সেসব প্রতিধ্বনিত হয়েছে। চেপে বসেনি, কিন্তু তাদের অস্তিত্ব সচেতন দৃষ্টিতে নিবদ্ধ না হওয়াটাই অসম্ভব। তাই বলেই তো এতসব কিছু নিয়েও ‘হাউজ অব হামিংবার্ড’ ঠিকই ইয়ুন হির বেড়ে ওঠার এক সময়কে গল্প আকারে বর্ণনা করতে পেরেছে। তার রোজকার জীবন একটা ধরাবাঁধা ছকেই আবদ্ধ। স্কুলে গিয়ে চুপচাপ এককোণে বসে থাকা, সহপাঠীদের দ্বারা হেয় প্রতিপন্নের শিকার হওয়া। তারপর সেখান থেকে ক্যালিগ্রাফি শেখার কোচিং সেন্টারে যাওয়া। প্রিয় বান্ধবীর সাথে সেখানে কিছুটা ভালোমন্দ কথা বলা যায়। নতুন একজন শিক্ষিকা এসে তো তার একা, অবসাদময় জীবনে কিছুটা বাড়তি ভালো সময়ও যোগ করেছেন। নাহয় তো রোজ রোজ সেই পুরনো একঘেয়েমি।
ঘরে ঢুকলেই দেখা যায়, বাবা-মায়ের সেই একই বাকবিতণ্ডা। বাবার মাকে দোষারোপ। সন্তানদের নিয়ে হতাশা প্রকাশ। বোন মাঝে মাঝে নিজের প্রেমিককে নিয়ে ইয়ুন হির রুমে আসে লুকিয়ে। ইয়ুন হি ওপাশ ফিরে চোখ বুজে পড়ে থাকে আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তারও প্রেমিক আছে। মন দিয়ে সেভাবে প্রেম করার সুযোগ হয় না। শরতের প্রথম বিকেলে তারা একসাথে হাঁটে।
ওই ক্যালিগ্রাফির শিক্ষিকাকে যখন জিজ্ঞেস করছিল, “আচ্ছা, আপনার কি মাঝে মাঝে আত্মহত্যা করার ইচ্ছা জাগে?” সেই জিজ্ঞাসাতেই প্রবলভাবে তার বিষণ্নতা, একাকিত্ব, ভরসা না পাবার আক্ষেপ প্রকাশ পাচ্ছিল। এই শিক্ষিকাই অবশ্য সেই ভরসা হতে পেরেছে। তাকে বুঝিয়েছে অনেক কিছু। একসাথে বসে ওলং চা খেয়েছে তারা। ভেতরের অনেক কিছুই শিক্ষিকাকে বলতে পেরেছিল ইয়ুন হি।
এভাবেই ধীরে ধীরে সিনেমা এগিয়ে যায় শেষের দিকে। ১৯৯৪ এর সিউলকে তুলে ধরে এই সিনেমা। এবং সেই সময়েরই এক মর্মান্তিক ঘটনাকে ইয়ুন হির জীবনের সাথে মেশায় এই গল্প। সেই ঘটনা দাগ রেখে যায়। তবে ইয়ুন হি হয় পরিণত। বুকে বই ধরে মেয়ে কলেজ যাবে, মায়ের সেই চাওয়াই তখন বাস্তবে রূপ নিতে উপস্থিত হয়।
বোরা কিমের এই চিত্রনাট্য কতখানি বিবরণীয় এবং অন্তর্ভেদী হয়েছে তা তো বিষয়াদি, বক্তব্যের কথাতে এসেই গেল। তবে কমনীয়তার পাশাপাশি এই চিত্রনাট্যের বুদ্ধিদীপ্ততার কথাও আরেকবার স্পষ্টাকারে উল্লেখ করতে হয়। এই যে, ইয়ুন হির জীবনের বাঁধাধরা ছকের মধ্য দিয়েই সিনেমা এগিয়ে যায়, তাতে সহজভাবেই রিপিটেশন বা পুনরাবৃত্তির কথা এসেই যায়। যেহেতু প্রধান চরিত্রের নিরানন্দতাসহ আসা-যাওয়ার মাঝে সকল কিছুকেই ধরছে চিত্রনাট্য। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার, দেখতে গিয়ে সেই পুনরাবৃত্তির কথা মগজে একটিবারও টোকা দেয় না। কোনোরকম ক্লেশ জাগায় না।
কারণ বোরা কিম সেই একই স্কুল, একই রাস্তা, একই কোচিংকে প্রতিদিন দেখালেও সেটাকে নিজের সাথে খুব অন্তরঙ্গ একটা সম্পর্কের আদলে দেখিয়েছেন। দর্শক প্রতিদিন একটু বেশি করে জানছে ইয়ুন হিকে। তার নিরানন্দতা, নিগূঢ় হতাশা সবকিছুকেই একদম আপন করে প্রতিটা এগিয়ে আসা দিনে বুঝছে দর্শক। চোখের সামনে একটা জীবনকে দেখছে। নিজেদের উঠতি বয়সের ছাপ ব্যগ্র হয়ে খুঁজছে সেখানে। তাই এই সিনেমা দিয়ে অভিষিক্ত বোরা কিমের বুদ্ধিদীপ্ততা; সূক্ষ্ম কিন্তু মোহনীয় আবেশের কাহিনির স্তুতিপাঠ করতেই হয়।
সিনেমাটা সেভাবে তিন অংকের ব্যাকরণ ধরে এগোয়নি। প্রতিদিনকার ঘটনার মাঝ দিয়ে এগোনো ক্যারেক্টার ড্রামা যেহেতু, এখানে তাই গল্পের বাঁক, বিভঙ্গ নিয়ে উত্তেজিত, চিন্তিত হতে হয় না। একটা মেডিটেটিভ গতিতেই এগোয়। ছাপ রেখে যাওয়াতে, গভীরে প্রবেশ করাতেই সমস্ত নজর। এবং সেই কাজই করে গেছেন বোরা কিম। পরিচিত উপাদানের মধ্যেই বাড়ন্ত বয়সের এক মর্মভেদী চিত্র শিল্পিত আকারে উপস্থাপন করেছেন। সোফিয়া কপোলার ‘দ্য ভার্জিন সুইসাইডস’, বো বার্নহ্যামের ‘এইটথ গ্রেড’ এই সিনেমাগুলোর ধারাতে। আরো পারসোনাল আকারে। বোরা কিম নিজেও নারী হওয়ায় এবং সেই তরুণী বয়সটাও তো পার করেছেন, সেই সূত্রেই চিত্রটি এতটা অমোঘ হয়তো। তার ব্যক্তিজীবনের যোগ এতে থাকাটা অসম্ভব নয়।
বরং ‘পারসোনাল’ সিনেমা হয়েও চরিত্রের আবেগে, বিষয়ে মেলোড্রামাটিক না হয়েই, এতটা অনুনাদি হয়ে উঠেছে ‘হাউজ অব হামিংবার্ড’, সেটাই অবাক করার মতো। একটা নির্দিষ্ট বয়সের গল্পই যেহেতু বলছে। আর প্রধান চরিত্রে জি-হু পার্কের অভিনয় স্রেফ জাদুকরী! এই শব্দকে আরো কোনভাবেই ব্যাখ্যার বা ভাঙার প্রয়োজন নেই। তাহলে জাদুটাই নষ্ট হয়ে যাবে। তবে চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক বোরা কিম, বাকি চরিত্রগুলোকেও এমনভাবে লিখেছেন এবং পর্দায় এনেছেন যে তাদের প্রতিও কোনো না কোনো একটা পয়েন্টে সহমর্মিতা প্রকাশ করে দর্শক। ভুলত্রুটি মিলিয়েই যে মানুষ, যত্নের সাথে সেভাবেই তিনি এঁকেছেন।
ফিল্মমেকিংয়ে তার কাজটা হয়েছে একেবারেই সূক্ষ্ম আর দক্ষতায় পরিপূর্ণ। খুব বেশি এক্সপোজিশন ব্যবহার করেননি কিছুতেই। চরিত্র আর ছোটখাট প্রত্যেকটি বিবরণ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাঝেই তার কাজ। পরিণত ফিল্মমেকিং প্রথম কাজেই! ন্যাচারাল লাইটেই কাজ করেছেন। ক্যামেরাকে সবসময় স্ট্যাটিক রেখেছেন ধীরতা, স্থিরতা ধরতে। একজন লুকিয়ে থাকা দর্শকের মতোই ক্যামেরা ইয়ুন হির জীবনকে ধরেছে। খুব বেশি কাছে গিয়েছে কম সময়ই। কাটগুলোকে মনে হয় অদৃশ্য। সহসা কাট হয়নি। সম্পূর্ণটাকে ধরতেই যেন কাটগুলোর ধীরতা। তাতে প্রতিটি ফ্রেম আরো বেশি সময় পেয়েছে দর্শকের মনে অবস্থান গেঁড়ে নেওয়ার। সেকারণেই সিনেমার ২ ঘণ্টা ১৮ মিনিট দৈর্ঘ্য আদতে বেশি না। ধীরে ধীরেই আরো ভালোভাবে ইয়ুন হিকে বোঝা গিয়েছে।
হামিংবার্ড, সে তো ক্ষুদ্র এক পাখি। উড়ে বেড়ায় শুধু সুখের অন্বেষণে। যেখানে পায়, সেখানেই বসে পড়ে। একটু সুখ নেয়। একটুখানি সুখ চায়। ইয়ুন হিও তেমন। বিশাল সিউলের বুকে একা, ক্ষুদ্র, ভঙ্গুর এক তরুণী। পরিবারের উপেক্ষা পেয়ে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ায়, এর-ওর সাথে জড়াতে চেষ্টা করে একটু সুখের জন্য। কারো কাছে নিজেকে নির্দ্বিধায় প্রকাশ করবে সেই আশায়। ওই ছোট্ট রুমের অসহ্য নীরবতাকে ফেলে একটু কলকল রবে মিশবার আশায়। আরেকটু বড় হলে, এসব দিন শেষ হয়ে যাবার স্বপ্ন দেখতে থাকে। নতুন বসন্তের কোমল রোদ গায়ে মেখে বুকভরে শ্বাস নেবে একদিন সে। আরেক শরতে কারো হাতের উষ্ণ ছোঁয়ায় হামিংবার্ডের ছোট্ট ঘর হয়তো একটু বড় হবে।