ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩,০০০ এর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, তখনও অনেকেই দাবি করছিলেন, এই ভাইরাসকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই সাধারণ একটা ভাইরাস। এবং এতে মৃত্যুর হারও খুবই কম, ‘মাত্র’ ২%।
এ ধরনের কথা শুধু সাধারণ মানুষ না, অনেক চিকিৎসক, বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং সরকার প্রধান, এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলছিলেন। তারা বিভিন্ন পরিসংখ্যান দেখিয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিলেন, সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা সড়ক দুর্ঘটনাতেও এর চেয়ে অনেক বেশি মানুষ মারা যায়। কাজেই এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটা খুবই সাধারণ একটা ভাইরাস। গণমাধ্যম এটা নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছে।
বলা বাহুল্য, তাদের বক্তব্য মারাত্মকভাবে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটি গতকাল (মার্চ ২৪) পর্যন্ত আক্রান্ত করেছে বিশ্বের ১৯৬টি দেশের প্রায় চার লাখ মানুষকে। সেই সাথে সংহার করেছে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ। এবং এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের এবং মৃতের সংখ্যা গুণোত্তর হারে বেড়েই চলছে।
শুরুতে যারা করোনাভাইরাসকে হালকা করে দেখছিলেন, তাদের অনেকেই অবশ্য এতদিনে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। বিশেষ করে ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল তাদেরকে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু যে প্রশ্নটা তারা রেখে গেছেন সেটা হচ্ছে, তাদের মতো জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিরা এতো বড় ভুল কেন করেছিলেন? তাদের পরিসংখ্যান কি মিথ্যা ছিল? নাকি ভুল ছিল তাদের ব্যাখ্যায়?
এককথায় বলতে গেলে বলতে হয়, মোটের উপর তাদের পরিসংখ্যান সঠিকই ছিল, কিন্তু তারা সেটাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করেননি। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত, যেভাবেই হোক, তারা সেটা নিয়ে রাজনীতি করেছেন।
প্রথমেই ধরা যাক ২% মৃত্যুর দাবিটির কথা। এ কথা সত্য, করোনাভাইরাস যখন প্রধানত চীনের মধ্যে আবদ্ধ ছিল, তখন সেখানে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ২% থেকে ৩% এর মধ্যে। অনেকেই তখন বলতে চেয়েছেন, ১০০ জন আক্রান্ত হলে যেহেতু ৯৮ জনই সুস্থ হয়ে ফিরে যাবে, মাত্র ২ জন মৃত্যুবরণ করবে, তাই এই ভাইরাসকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। কিন্তু যে ব্যাপারটা তারা এড়িয়ে গেছেন সেটা হচ্ছে, এ ধরনের ভাইরাস অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করতে পারে এবং খুব দ্রুত এটাকে দমন করতে না পারলে যে বিশাল জনগোষ্ঠী এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাতে ২ শতাংশ মোটেও অবহেলা করার মতো কোনো বিষয় না।
যেমন ধরুন, একটা রোগে মৃত্যুর হার ৫০%, অন্য একটা রোগে মৃত্যুর হার ১০%। শুনতে প্রথমটাকে ভয়াবহ এবং দ্বিতীয়টাকে স্বাভাবিক মনে হতে পারে। কিন্তু প্রথমটার তুলনায় দ্বিতীয়টার সংক্রমণের হার যদি অনেক বেশি হয়, তাহলে সমীকরণ একদম পাল্টে যেতে পারে। যেমন ধরুন, যদি প্রথমটা জনসংখ্যার মাত্র ১০% মানুষকে আক্রান্ত করে, তাহলে তার কারণে ১০ কোটি মানুষের একটা দেশে মারা যাবে মোট ৫০ লক্ষ মানুষ। অন্যদিকে দ্বিতীয়টা যদি ৮০% মানুষকে আক্রান্ত করে, তাহলে তার কারণে সেই দেশে মারা যেতে পারে ৮০ লক্ষ মানুষ!
ঠিক এ কারণেই করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পূর্ববর্তী রোগ সার্স (SERS) এর মৃত্যুর হার ৯.৬% হওয়া সত্ত্বেও তাতে মারা গিয়েছিল ৭৭৪ জন। মার্স (MERS) এর মৃত্যুর হার ৩৪% হলেও তাতে মারা গিয়েছিল ৫২৭ জন।
আর ২০১৪-২১৬ সালের ইবোলার মৃত্যুহার ৫০% হলেও তাতে মারা গিয়েছিল ১১,৩২৫ জন। বলা বাহুল্য, নভেল করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুহার এর প্রতিটির চেয়ে কম হওয়া সত্ত্বেও যেহেতু এর সংক্রমণের হার অনেক বেশি, এবং যেহেতু এর কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কৃত হয়নি, তাই এর কারণে মৃত্যুর সংখ্যা এর প্রতিটিকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে।
কোভিড-১৯ এর মৃত্যুর হার এই মুহূর্তে ঠিক কত, সেটা অবশ্য এখনও পরিষ্কার না। বিভিন্ন দেশে এই হার বিভিন্ন। যেমন সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গড়ে পুরো বিশ্বে এই রোগে মৃত্যুহার ৪.৩৩%। কিন্তু শুধু ইতালিতে এই হার ৯.৫%, অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়াতে এই হার মাত্র ১.৩৩%। বিভিন্ন কারণেই এই হার ভিন্ন হতে পারে। যেহেতু কোভিড-১৯ বয়স্কদের জন্য বেশি মারাত্মক, তাই ইতালির মতো যেসব দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশের বয়স পঞ্চাশোর্ধ, তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার বেশি হতে পারে। এছাড়া সময় মতো উদ্যোগ গ্রহণ না করার কারণেও এই হার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ইতালির মতো ইউরোপের উন্নত একটা রাষ্ট্রে যেহেতু এই হার প্রায় ১০% পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পেরেছে, তাই এ ধরনের নতুন কোনো সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে শুরুতে মৃত্যুহার “মাত্র ২%” বলে অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। অনুন্নত স্বাস্থ্যখাতের কোনো দেশ যদি যথাসময়ে এই ভাইরাস মোকাবেলায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাদের জনগণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কম হয়, জনগণের একটা বড় অংশ যদি বয়স্ক হয়, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এই হার আরো অনেক বেশি হতে পারে।
২% মৃত্যুহারের কথা উল্লেখ করে কোনো রোগকে হালকা করে দেখার মধ্যে আরেকটা বড় সমস্যা আছে। সেটা হচ্ছে মৃত্যুই একমাত্র সমস্যা না। মৃত্যুবরণ না করেও বিপুল সংখ্যক মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে, তাদের মধ্যে অনেককে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার দরকার হতে পারে। এবং এই সংখ্যা যদি অনেক বেশি হয়, তাহলে দেশের স্বাস্থ্যখাত ভেঙে পড়তে পারে। ফলে এমন অনেক রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে, যাদেরকে হয়তো সঠিক চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানো সম্ভব ছিল। ঠিক সেটাই হয়েছে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে ইতালি, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে।
এক্ষেত্রেই চলে আসে ইনফ্লুয়েঞ্জার সাথে করোনাভাইরাসের তুলনার ব্যাপারটা। অনেকেই দাবি করেছিলেন, করোনাভাইরাস সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই। তারা দেখাতে চেষ্টা করেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আড়াই থেকে পাঁচ লাখের মতো মানুষ মারা যায়। সে তুলনায় করোনাভাইরাসের কারণে এখন পর্যন্ত মোট মারা গিয়েছে মাত্র ১৮,০০০ মানুষ। তারা যখন এই তুলনা করছিলেন, তখন এই সংখ্যা ছিল অনেক কম। মাত্র তিন হাজার। সে কারণে তাদের যুক্তি অনুযায়ী ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে করোনাভাইরাসকে বেশি গুরুত্ব দেওয়াটা ভুল।
গভীরভাবে চিন্তা না করলে এ ধরনের তথ্যে বিভ্রান্ত হওয়ার বেশ ভালো সুযোগ থাকে। ৫ লাখ আসলেই বিশাল একটা সংখ্যা। সেই তুলনায় ৩,০০০ একেবারেই নগণ্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দুটো সম্পূর্ণ দুই ধরনের রোগ। একদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা গত দুই হাজার বছর ধরে আমাদের পরিচিত রোগ। এই রোগে এখনও বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে সত্য, কিন্তু সেটা পুরো মৌসুমজুড়ে, পুরো বিশ্বব্যাপী ঘটছে। মাত্র একমাসের মধ্যে কোনো একটা এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে স্বাস্থ্যখাতকে অচল করে দিচ্ছে না। তাছাড়া বাজারে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিনও আছে। মানুষ একটু সচেতন হলেই এই মৃত্যুহার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব, যা কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে এখনও সম্ভব না।
কিন্তু তারচেয়েও তারচেয়েও বড় কথা, মৃত্যুহারই একমাত্র আশঙ্কার বিষয় না। মৃত্যুহারের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবং তাদের মধ্যে কত শতাংশের অবস্থা হাসপাতালে ভর্তি করানোর মতো গুরুতর, সে সংখ্যা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এই জায়গাতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে করোনাভাইরাস অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে কোনো রকম লক ডাউন ছাড়াই স্বাভাবিক অবস্থায় মোটামুটি বিশ্বের ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ জনগণ আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে অধিকাংশই খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়, হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় আক্রান্তদের মধ্যে ১% মানুষকে, আর মৃত্যুবরণ করে মোটামুটি ০.১% থেকে ০.২% মানুষ।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসে ঠিক কত শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়, সেটা এখনও পরিষ্কার না। ব্যাপারটা নির্ভর করে পরীক্ষার উপর। যেসব দেশ বেশি সংখ্যক জনগণের উপর পরীক্ষা করেছে, সেসব দেশে বেশি মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অন্যদিকে অনেক দেশ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে বেশি পরীক্ষা করতে পারেনি, কিংবা নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে ইচ্ছা করেই বেশি পরীক্ষা করেনি। ফলে তাদের ক্ষেত্রে আক্রান্তের সংখ্যা কম দেখাচ্ছে। কিন্তু এই ভাইরাসের যেহেতু কোনো ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কৃত হয়নি এবং এর সংক্রমণের হার যেহেতু অনেক দ্রুত, তাই গবেষকদের ধারণা, বিভিন্ন শহর লকডাউন না করলে, জনসমাগমের স্থানগুলো বন্ধ করে না দিলে এটি মোটামুটি ৫০%-৬০% মানুষকে আক্রান্ত করে ফেলত।
এখন যারা এই ভাইরাসকে ইনফ্লুয়েঞ্জার সাথে তুলনা করছিলেন, তাদের কথা মেনে কোনো দেশ যদি কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করত, তাহলে এখন পর্যন্ত যে তথ্য জানা যাচ্ছে, তা অনুযায়ী এই ভাইরাসের কারণে আক্রান্ত হতে পারত বিশ্বের প্রায় চার কোটি মানুষ, হাসপাতালে ভর্তি হতে হতো প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষকে, এবং মৃত্যুবরণ করত প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ, যে সংখ্যা ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এবং এটাও শুধুমাত্র গাণিতিক হিসাব। বাস্তবে এত বেশি মানুষ একসাথে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য গেলে চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা হতে পারত আরো অনেক অনেক বেশি।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ছাড়াও অনেকেই করোনাভাইরাসের সাথে সড়ক দুর্ঘটনার তুলনা করেছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৩ লাখ মানুষ মারা যায়। এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একইরকম। আমরা যদি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে নতুন কোনো ব্যবস্থা না করতাম, সেটাকে সাধারণ অসুখের মতো অবজ্ঞা করতাম, তাহলে বছর শেষে সেটার কারণে ১৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারত, যা সড়ক দুর্ঘটনাকেও ছাড়িয়ে যেত ।
শুধু এখানেই শেষ না, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় পুরো বছরব্যাপী, মোটামুটি সমান হারে। কিন্তু করোনাভাইরাস যেভাবে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে, তাতে কোনো ব্যবস্থা না নিলে মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ লাখ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারত। বাস্তবে অবশ্য আশা করা যায় যে করোনাভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা ১৭ লাখ পর্যন্ত পৌঁছাবে না। কারণ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রথমদিকে অবহেলা করলেও পরে ঠিকই এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে অকল্পনীয় রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নতুন কোনো ভাইরাস যখন ছড়ায়, তখন তার প্রকৃত চরিত্র বুঝে উঠতে কিছুটা সময় লেগে যায়। শেষপর্যন্ত হয়তো অনেক আশঙ্কাই বাস্তবায়িত হয় না, কিন্তু তারপরেও যদি কোনো ভাইরাসের মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাই সবদিক থেকে ভালো। মৃত্যুহার মাত্র ২% বলে অবজ্ঞা করলে, কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সড়ক দুর্ঘটনার সাথে তুলনা করে ব্যাপারটাকে অবহেলা করলে কী পরিণতি হতে পারে, সেটা আমরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। চীন, ইতালি, স্পেন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ যদি আরো আগেই এই ভাইরাসকে আরো গুরুত্বের সাথে নিত, তাহলে আরো অনেকগুলো মানুষের মূল্যবান প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হতো।