কনভেনশন অফ পার্টিশন
৫ আগস্ট ১৭৭২ সালে এই কনভেনশনের মাধ্যমে অস্ট্রিয়া, প্রুশিয়া এবং রাশিয়া পুরো একটি দেশ ডাকাতি করে নেয়। তাদের খোঁড়া যুক্তি ছিল এর মাধ্যমে পোল্যান্ডের ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের অবসান হবে এবং রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। পরাজিত পোলিশ শক্তির এই পার্টিশনের বিরোধিতা করবার কোনো সুযোগ ছিল না। অস্ট্রো-রাশান-প্রুশিয়ান জোট বহু ডায়েট এবং সেইম সদস্যকে অর্থ দিয়ে কিনে রেখেছিল, এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ সীমান্তে সেনাশক্তি বাড়িয়ে প্রচ্ছন্নভাবে হুমকি জারি করে। ফলে বাধ্য হয়ে পোলিশ সেইম ১৭৭৩ এর ৩০ সেপ্টেম্বর পার্টিশনের প্রস্তাব অনুমোদন করে নেয়।
রাশিয়া পেল সবচেয়ে বেশি, ডাভাইনা আর নিপার (Dvina & Dniper) নদীর পূর্বে প্রায় ৮৮ হাজার বর্গ মাইল জায়গা। অস্ট্রিয়ার ভাগে পড়ল ৬৩ হাজার আর প্রুশিয়ার মাত্র ৯ হাজার বর্গমাইল। কিন্তু ভাগাভাগির মাত্র ৫ শতাংশ পেলেও ফ্রেডেরিক লাভ করেছিলেন অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকা। ডানজিগ (তৎকালীন গিদান্সক/Gdansk) ব্যতিরেকে রয়্যাল প্রুশিয়ার সম্পূর্ণ অংশ, নিকটবর্তী নেটজ এবং এর্মল্যান্ড অঞ্চল তাদের হস্তগত হয়। এর ফলে পোল্যান্ডের দিক থেকে বাল্টিক সাগরের দিকের রাস্তা পুরোটাই প্রুশিয়ার কব্জায় চলে আসে। অস্ট্রিয়া পেয়েছিল সবচেয়ে জনবহুল এলাকা, যার অন্তর্ভুক্ত ম্যালোপোলস্কা, ভিস্তুলা নদীর দক্ষিণ অংশ, পশ্চিম পোডোলিয়া এবং গ্যালিসিয়া অঞ্চল। রাশিয়া বিরাট অঞ্চল পেলেও এর অর্থনৈতিক মূল্য ছিল সামান্যই। এই বিভক্তির ফলে ফ্রান্সের থেকেও বড় আয়তনের পোল্যান্ড এক ধাক্কায় ছোট হয়ে যায়। এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হারিয়ে যায়, অর্ধেক মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে আবিষ্কার করল তাদের দেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে।
ফ্রেডেরিক তার নতুন প্রদেশের নাম দিলেন পশ্চিম প্রুশিয়া। তিনি এর উন্নয়নের জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করলেন। রাস্তাঘাট, খালবিল, শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। কৃষিকাজের জন্য উর্বর ভূমি আবাদ করা হলো। এখানকার জার্মান ভাষাভাষী প্রোটেস্ট্যান্ট জনগোষ্ঠী দ্রুতই নিজেদের মানিয়ে নেয়, কিন্তু ক্যাথলিকেরা ফ্রেডেরিক তাদের ধর্মকর্মে বাধা না দেবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুটা অসন্তুষ্ট ছিল। সবচেয়ে রাগান্বিত ছিল এখানকার পোলিশ ভাষাভাষী জনগণ, তারা ফ্রেডেরিককে নিজেদের নতুন রাজা ভাবতেই পারছিল না।
পোলিশ সংবিধান এবং দ্বিতীয় পার্টিশন
প্রথম পার্টিশনে কোনো পরাশক্তিই পোল্যান্ডের সমর্থনে এগিয়ে আসেনি। ইংল্যান্ডে দুই-একজন ছাড়া আর কারো এই ভাগাভাগি নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিল না। এদিকে দ্বিতীয় স্ট্যানিস্ল সংস্কারপন্থি কর্মসূচী বজায় রাখেন। শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়। প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য তিনি পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি নির্বাহী বিভাগ তৈরি করেন (Permanent Council)। ইউরোপের এ ধরনের নির্বাহী বিভাগ এটাই প্রথম।
বাল্টিকের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্ট্যানিস্ল কৃষ্ণসাগরকে কেন্দ্র করে নৌবাণিজ্য চালু করলেন। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াল। রাস্তাঘাট, দালানকোঠা, শিল্প কারখানা মিলিয়ে উন্নয়নের ঢেউ পোল্যান্ডে নতুন এক সময়ের সূচনা করে। সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের জন্য অধিকারের কথা উচ্চারিত হতে থাকে। কৃষকদের জন্য আলাদা করে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রচুর উৎকর্ষ হতে থাকে। প্রায় এক লাখ লোকের নগরী ওয়ারশ ইউরোপের অন্যতম একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়। তবে সব সংস্কার স্ট্যানিস্ল বাস্তবায়ন করতে পারছিলেন না। তিনি জানতেন রাশিয়ার বিরাগভাজন হলে কী হবে, তাদের সৈন্য তখনও পোল্যান্ডে মোতায়েন ছিল। ফলে যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব আগে স্ট্যানিস্ল রাশিয়ানদের থেকে পাশ করে তারপর সংসদে উত্থাপন করতেন। ক্যাথেরিনের ভেটোর ফলে বেশ কিছু আইনগত পরিবর্তন এবং সামাজিক সংস্কার কর্মসূচী থমকে যায়। তবে পোল্যান্ড হাতের মুঠোয় আছে ধরে নিয়ে ১৭৮০ সালে সেখান থেকে ক্যাথেরিন সেনা প্রত্যাহার করে নেন।
এদিকে সংসদে দুই পক্ষ ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছিল। একদল ছিল উদারপন্থী, যারা নিজেদের প্যাট্রিয়ট দল দাবি করত। এদের প্রতিপক্ষ গোঁড়া রক্ষণশীল গোষ্ঠী, যারা সবরকম পরিবর্তন এবং আধুনিকীকরণের বিরোধী। রাশিয়ার সাথে এদের দহরম-মহরমও বেশ। পোল্যান্ডের জন্য একটি সংবিধান প্রনয়ন নিয়ে দুই পক্ষের গোলমাল তুমুলে পৌঁছে। স্ট্যানিস্ল চাইছিলেন পোল্যান্ডকে সাংবিধানিকভাবে রাজতন্ত্রের আওতায় নিয়ে আসতে, অন্যদিকে প্যাট্রিয়টেরা প্রজাতন্ত্রের দাবি তোলে, যেখানে রাজতন্ত্র হবে আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। রক্ষণশীলের কিছুতেই প্রজাতন্ত্রের ধারণার সাথে সম্মত ছিল না। ১৭৮৮ সালে সংবিধান বিষয়ে তাই সেইমে প্রবল বিতর্ক শুরু হলো।
রাশিয়া ১৭৮৬ সাল থেকে নতুন করে অটোমানদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, ফলে পোল্যান্ডে কী হচ্ছে তা নিয়ে তাদের খুব বেশি মনোযোগ দেবার সময় ছিল না। ইতোমধ্যে প্রুশিয়াও ১৭৯০ সালে পোলিশদের সাথে মৈত্রীচুক্তি স্বাক্ষর করে, আবার অস্ট্রিয়ার নজর ছিল সংঘটিত ফরাসি বিপ্লবের দিকে। সবার বিভিন্ন দিকে ব্যস্ততার সুযোগে ১৭৯১ সালের মে-র ৩ তারিখ ইউরোপের ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান অনুমোদন করে পোলিশ সংসদ। রাজা স্ট্যানিস্ল প্যাট্রিয়টদের দাবি মোতাবেক প্রজাতন্ত্রের পক্ষে সায় দেন।
পোলিশ সংবিধান ছিল সেই সময়ের এক বৈপ্লবিক ঘটনা। রাজার বদলে রাজপরিবার নির্বাচনের কথা এখানে বলা হলো, পোলিশ নাগরিকের সামাজিক এবং রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে অনুচ্ছেদ লিপিবদ্ধ হয়। অর্থনৈতিক নীতিও এর অংশ ছিল। সকল ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের সুযোগ দিয়ে সাংসদদের ভেটো প্রদানের ক্ষমতা রহিত করা হলো। অঙ্গীকার করা হলো এক লাখ সদস্যের একটি সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠার, যারা পোল্যান্ডের নিরাপত্তার জন্য সদাজাগ্রত থাকবে।
রক্ষণশীলদের কাছে এই সংবিধান ছিল চক্ষুশূল। রাশিয়া আর প্রুশিয়াও নতুন এই সংবিধান দেখে শঙ্কিত হলো। পোল্যান্ড নতুন করে নিজেকে গুছিয়ে নিলে তারা হারিয়ে ফেলা জমি ফেরত চাইতে পারে, এই ভয়ে তারা স্ট্যানিস্লর বিরোধিতা করে। এদিকে রক্ষণশীলরা সেন্ট পিটার্সবার্গে টার্গোভিৎজা (Targowica) কনফেডারেশন গঠন করে সরাসরি পোলিশ রাজা এবং প্যাট্রিয়টদের বিপক্ষে দাঁড়ায়। সম্রাজ্ঞী ক্যাথেরিন এবং প্রুশিয়ার রাজা আদেশ করলেন এদের সাহায্যার্থে সেনা প্রেরণ করতে। ১৮ মে ১৭৯২ সালে ক্যাথেরিন দ্য গ্রেটের এক লাখ সৈন্য পোল্যান্ডে প্রবেশ করে। স্বল্পসংখ্যক পোলিশ সেনা অভিযানে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল। পোলিশ সৈন্যদের অন্যতম একজন নেতা ছিলে জেনারেল ট্যাডেউস (Tadeusz Kościuszko), যিনি আমেরিকান স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন নায়ক।
নতুন এই পরাজয়ে হতোদ্যম রাজা স্ট্যানিস্ল এবং অভিজাতবর্গ সংবিধান বাতিল করলেন। জেনারেল ট্যাডেউসসহ অনেক প্যাট্রিয়ট নেতাই দেশত্যাগ করেন। কিন্তু তাতে রাশিয়া বা প্রুশিয়ার কোনো ভাবান্তর হলো না। ২৩ জানুয়ারি, ১৭৯৩ সালে স্বাক্ষরিত সেন্ট পিটার্সবার্গ চুক্তির ভিত্তিতে তারা দ্বিতীয়বার নতুন করে পোল্যান্ডের অনেক এলাকা নিজেদের রাজ্যভুক্ত করে নেয় (সেকেন্ড পার্টিশন)। প্রুশিয়ার কপালে জুটল তাদের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ থর্ন ও ডাঞ্জিগ শহর এবং সিলিসিয়া আর পূর্ব প্রুশিয়ার মধ্যভাগের উর্বর জমি।ওয়ারশ’তে নতুন করে স্থাপিত হল রাশিয়ান গ্যারিসন।
তৃতীয় পার্টিশন
১৭৯৪ সালে ট্যাডেউস দেশে ফিরে বহিঃশক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দেন। স্ট্যানিস্ল তাকে দুর্বলভাবে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও পোলিশ জনতা ট্যাডেউসের সঙ্গী হয়। টার্গোভিৎজার অনেক সমর্থককে হত্যা করা হলো। স্বাধীনতার ঝাণ্ডা তুলে ১৭৯৪ সালের ৪ এপ্রিল রাৎসোয়াভিৎজার (Raclawice) গ্রামের সামনে ট্যাডেউস মুখোমুখি হন দুটি রাশিয়ান বাহিনীর। একদিকে জেনারেল ডেনিসভের ২,৫০০ সৈন্য, অন্যদিকে তোর্মাসভের ৩,০০০। তোর্মাসভ পাহাড়ের উপর ঘাঁটি করে থাকা পোলিশদের উপর কামান দাগলে ট্যাডেউসের আদেশে পোলিশরা সরাসরি রাশিয়ান লাইনের উপর আক্রমণ করে বসে। শত্রুসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা নিরাপদেই পিছিয়ে যেতে সক্ষম হলো।
এদিকে ট্যাডেউসের বিজয়ে উদ্দিপ্ত ওয়ারশর অধিবাসীরা পোলিশ রাজকীয় সেনাদের সহায়তায় ঠিক দশদিন পরে ওয়ারশতে অভ্যুত্থান ঘটায়। শহরে থাকা রাশান গ্যারিসন ধরা খায় একদম অপ্রস্তুত অবস্থায়। জনতার সাথে যোগ দিয়েছিল স্ট্যানিস্ল’র রাজকীয় পোলিশ বাহিনী। তাদের সাথে গ্যারিসনে থাকা সৈনিকদের সংঘর্ষ চলে কয়েকদিন ধরে, শেষ পর্যন্ত গ্যারিসনের পতন ঘটে এবং দুই হাজারের মতো রাশান সেনা নিহত হয়। বহু সৈনিক এবং অফিসার বন্দি হলো। রাশিয়ানরা ভাবেনি যে ওয়ারশতে এরকম কিছু হতে পারে। তারা এখানকার ঘাঁটি থেকে অনেক সেনাই সরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু ট্যাডেউসের বিদ্রোহ তাদেরকে গুছিয়ে ওঠার সময় দিল না। ফলে খুব দ্রুতই এখানে রাশিয়ান শিবিরের পতন ঘটে। তবে পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ নির্দেশ করে এ ছিল ক্ষণস্থায়ী এক বিজয়। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পোলিশদের লড়াই চালিয়ে যাবার আসলে কোনো সামর্থ্য ছিল না।
নভেম্বরের ৩ তারিখ জেনারেল সুভোরভ ওয়ারশর উপকণ্ঠে প্রাগাতে এসে পৌঁছেন। তার ৪০,০০০ সৈন্যের সাথে প্রুশিয়ান রাজা দ্বিতীয় ফ্রেডেরিক উইলিয়ামের প্রেরিত ৩০,০০০ সেনা। আরম্ভ হলো ব্যাটল অফ প্রাগা। রাশিয়ান কামানে পোলিশ প্রতিরক্ষা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরের দিন ভোররাতে রাশিয়ান সেনারা অতর্কিতে পোলিশদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় সংঘাত শুরু হয়। বিদ্রোহীরা অনেকেই বেসামরিক নাগরিকদের ভিড়ে লুকিয়েছিল। কিন্তু তাদের আলাদা করার কোনো চেষ্টা রাশান সৈনিকেরা করেনি। সুভোরভের পরিস্কার নির্দেশ থাকার পরেও তা উপেক্ষা করে তারা বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগনকে হত্যা করে, যা ম্যাসাকার অফ প্রাগা নামে পরিচিত।
রাজকীয় পোলিশ বাহিনীসহ বিদ্রোহীদের ভিস্তুলা নদীর তীরে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছিল। প্রায় দশ হাজার সেখানে মারা যায়, দশ হাজারের মতো বন্দি হয়। এই যুদ্ধে পনের থেকে বিশ হাজার বেসামরিক নাগরিক রাশানদের শিকার হয়। । বলা হয়, ওয়ারশতে নিহত রাশিয়ানদের প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। আহত জেনারেল ট্যাডেউস বন্দি হন, তাকে রাশিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সম্রাজ্ঞী ক্যাথেরিনের মৃত্যুর পর ট্যাডেউসকে মুক্তি দেয়া হয়। এই সংঘর্ষের পর পোলিশ প্রতিরোধের সমস্ত আশা শেষ হয়ে যায়। অস্ট্রো-রাশান-প্রুশিয়ান জোট পোল্যান্ডের একটা হেস্তনেস্ত করবার সিদ্ধান্ত নিল।
এরপর যা হবার তা-ই হলো। অস্ট্রিয়া, প্রুশিয়া এবং রাশিয়া পোল্যান্ডের অবশিষ্ট ভূখণ্ডও ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। স্ট্যানিস্ল সিংহাসন ত্যাগ করে সেন্ট পিটার্সবার্গে চলে যান, সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ক্ষমতাহীন সেইম নিজেদের মৃত্যু পরওয়ানায় দস্তখত করে দিল। তৃতীয় পার্টিশনের পর রাশিয়া পোল্যান্ডের ৬২ শতাংশ এলাকার আর ৪৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীর মালিক বনে যায়। প্রুশিয়া পেল ২০ শতাংশ অঞ্চল আর ২৩ শতাংশ মানুষ। অস্ট্রিয়া নিয়ে যায় ১৮ শতাংশ ভূমি, সাথে ৩২ শতাংশ লোক। বিশ্বের মানচিত্র থেকে পরবর্তী প্রায় ১২৩ বছরের জন্য মুছে গেল পোল্যান্ড নামে একটি দেশের নাম।