“শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই আমাদের পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। তবে যদি আমরা বাধ্য হই, নিঃসন্দেহে আমরা এটির (পারমাণবিক শক্তি) কঠোর প্রয়োগও করবো!”- জওহরলাল নেহরু
নেহরুর এই উক্তিতেই ভারতের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সাফ বোঝা গিয়েছিল। শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের কথা তো কেবল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য বলা। তবে বৈদেশিক শক্তি কিন্তু মোটেই অনুকূলে ছিল না ভারতের জন্য। জাতিসংঘের নিরাপত্তা কমিটির স্থায়ী ৫ সদস্য রাষ্ট্র ছাড়া আর কেউ পারমাণবিক শক্তি অর্জন করুক, তা কোনোভাবেই ঘটতে দিতে চায়নি পরাশক্তি এই রাষ্ট্রগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তো বরাবরই নজরদারি এবং নানাবিধ সতর্কতা ছিল। এমনিতেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক বোমার ধ্বংসলীলা দেখে পুরো বিশ্ব জনমতই এই অস্ত্রের বিপক্ষে ছিল। অথচ বিশ্ব জনমতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে, বিশ্বরাজনীতির বৈরিতা অতিক্রম করে ভারত সফলভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় ১৯৭৪ সালে। সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে ভারতের করা এ পারমাণবিক পরীক্ষার গল্পই জানাবো আজ।
ভারতে পারমাণবিক কর্মসূচী শুরু হয়েছিল বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই। ব্রিটিশ ভারতে ‘টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল নিউক্লিয়ার রিসার্চ’ নামক একটি পারমাণবিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন প্রখ্যাত পরমাণুবিদ জেহাঙ্গীর ভাভা। ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ইনস্টিটিউট মূলত শান্তিপূর্ণ কাজে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করতো। ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর ভারত তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করে। বহির্বিশ্বের সম্ভাব্য সমালোচনার কথা মাথায় রেখে ১৯৪৮ সালে ‘অ্যাটমিক এনার্জি অ্যাক্ট’ নামক একটি পারমাণবিক আইন পাস করে ভারতীয় সংসদ, যেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয় যে ভারত কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করবে। তবে ভারতের লক্ষ্য যে ভিন্ন কিছুই ছিল, তা বোঝা গিয়েছিল দ্রুতই। শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তির ব্যবহারে সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ ভারত অনেক নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত ‘নিউক্লিয়ার নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি’ তথা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত চুক্তিতে যোগ দেয়নি।
পঞ্চাশের দশকে ভারত নীরবে নিভৃতে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। এক্ষেত্রে বিশ্ববাসীর জন্য ভয়ের কারণ স্নায়ুযুদ্ধ ভারতের জন্য আশীর্বাদের মতোই ছিল। স্নায়ুযুদ্ধের ডামাডোলে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচীর দিকে নজর দেয়ার ফুরসতই মেলেনি বিশ্বনেতাদের! ‘ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাটমিক এনার্জি’ বা ডিএই গঠন ছিল পরমাণু অস্ত্রের দিকে ভারতের প্রথম বড় পদক্ষেপ। এই দফতরের প্রথম সচিব হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন জেহাঙ্গীর ভাভা।
একদিকে নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্য ঠিক রেখেই বিশ্ব রাজনীতিতেও নিজেদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছিল ভারত। কয়েক বছরের মাথায় ডিএই’র বাজেট বর্ধিত হয়ে ভারতের মোট সামরিক বাজেটের এক-তৃতীয়াংশে উন্নীত হয়। এ সময় কানাডা আর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘সাইরাস’ নামক একটি পারমাণবিক চুল্লী স্থাপনের চুক্তি করে ভারত, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে চুল্লীটি কেবলই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। এই চুক্তিটি বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের দেয়া একপ্রকার আইওয়াশের মতো ছিল। তবে চুল্লী স্থাপনের চুক্তি করলেও পারমাণবিক জ্বালানির জন্য কানাডার দ্বারস্থ হতে চায়নি ভারত। অবশ্য দেশী মেটালারজিস্ট ব্রহ্ম প্রকাশ সাইরাসের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি যোগাড়ের প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের পরই নেহরু কানাডা থেকে জ্বালানি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।
ব্রহ্ম প্রকাশের জ্বালানি উৎপাদনের পরিকল্পনাটি ‘প্রজেক্ট ফিনিক্স’ নামকরণ করেন নেহরু। মূলত, সাইরাস পুনঃউৎপাদন ব্যবস্থা সম্বলিত একটি চুল্লী ছিল। সেখানে ইউরেনিয়াম থেকে শক্তি উৎপাদনকালে প্লুটোনিয়াম উৎপন্ন হবে। আমেরিকান কোম্পানি ‘ভিট্রো ইন্টারন্যাশনাল’ এর সহায়তায় সেই পুনঃউৎপাদিত প্লুটোনিয়ামের পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রজেক্ট ফিনিক্সের আওতায় একটি প্লুটোনিয়াম প্ল্যান্ট স্থাপন করে ভারত।
ষাটের দশকের শুরুতে ভারতে পারমাণবিক উন্নয়ন কর্মসূচী কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে। ইন্দো-চায়না যুদ্ধের কারণে পারমাণবিক কর্মসূচীতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করার সুযোগ হচ্ছিলো না ভারতীয় কর্তৃপক্ষের। যুদ্ধে কিছুটা কোণঠাসা ভারত সাহায্যের জন্য দ্বারস্থ হয়েছিল রাশিয়ার। কিন্তু ইতোমধ্যে কিউবান মিসাইল সংকটে জড়িয়ে পড়া রাশিয়া ভারতের অনুরোধ রাখতে পারেনি। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভারত দুটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল। প্রথমত, রাশিয়া তাদের কোনো শক্ত মিত্র নয়। দ্বিতীয়ত, পরাশক্তি হতে হলে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া বিকল্প নেই। দু’বছর পর, ১৯৬৪ সালে ভাভাকে প্রধান নিযুক্ত করে পারমাণবিক অস্ত্রের নকশা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেন নেহরু। শুরু হয় পরমাণু অস্ত্রের দিকে ভারতে মূল অগ্রযাত্রা।
মূল কর্মসূচী শুরুর পূর্বে অবশ্য তার ভিত্তি স্থাপন করার প্রয়োজন হয়। সে ভিত্তি স্থাপনের কাজটা ভালভাবেই করেন জেহাঙ্গীর ভাভা। মূল ভিত্তিই জনমত, যা তিনি ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে আদায় করতে সমর্থ হন। রেডিওতে আর পত্রপত্রিকায় দিনরাত তিনি পারমাণবিক অস্ত্রের সুবিধা, নিরাপত্তা আর স্বল্প খরচের কথা প্রচার করেন। অবশ্য মূল কর্মসূচী শুরুর কিছুদিনের মাথায় নেহরুর মৃত্যু ছিল এ কর্মসূচীতে একটি বড় বাধা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় এলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, যিনি কট্টর গান্ধীবাদী ছিলেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি পরমাণু প্রকল্পের প্রধান হিসেবে তার পছন্দের গান্ধীবাদী পরমাণুবিদ বিক্রম সারাবাইকে নিয়োগ দেন। এ দুজন পুনরায় ভারতের পরমাণু কর্মসূচীকে অস্ত্র থেকে সরিয়ে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন।
ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিমিয়ে পড়া পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচী নতুন উদ্যমে শুরু হয়। বহির্বিশ্বের নিকট নিজেদের নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচী চালিয়ে নেয় ভারত। এর গোপনীয়তা ধরে রাখতে মাত্র ৭৫ জন বিজ্ঞানীকে হোমি সেথনা, রাজা রামান্না ও কৃষ্ণগোপাল ইয়েঙ্গারের মতো পরমাণুবিদ এবং পদার্থবিদদের আওতায় নিয়োগ দেয়া হয় এই অস্ত্র প্রকল্পের জন্য। শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম চুল্লী সাইরাস ছিল বিশ্বের সামনে ভারতের টোটকা। ইন্দিরা গান্ধীর অনুমোদিত বিজ্ঞানী দল অস্ত্র কর্মসূচীর জন্য গোপনে একটি প্লুটোনিয়াম চুল্লী নির্মাণ করে ফেলে ১৯৭০ সালের মধ্যে।
একই বছর ইন্দিরা গান্ধী ‘ভাভা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার’ তথা বার্চ স্থাপন করেন পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের জন্য। বার্চের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় পদার্থবিদ রাজা রামান্নাকে (যেহেতু ভাভা মারা গিয়েছিলেন কয়েক বছর আগেই)। প্রকল্পের গোপনীয়তা রক্ষায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে মাত্র ৭৫ জন বিজ্ঞানী এবং প্রয়োজনীয় শ্রমের জন্য আরো কিছু সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। প্রকল্পটি এত গোপনীয়তার সাথে সম্পন্ন হয় যে ভারতের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাগজীবন রামও অস্ত্র পরীক্ষা সম্পন্ন হবার পূর্বে এ সম্পর্কে জানতে পারেননি!
ভারতের নির্মিত পারমাণবিক অস্ত্রটির বিস্ফোরক ব্যবস্থা অনেকটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাগাসাকিতে নিক্ষেপ করা পারমাণবিক বোমা ‘ফ্যাটম্যান’ এর মতো। এতে ব্যবহার করা প্লুটোনিয়ামের পুরোটাই আসে সাইরাস থেকে। পোখরান-১ নামক এই পারমাণবিক বোমা পরীক্ষায় ১.২৫ মিটার পরিধির ব্যবহৃত বোমাটির ওজন ছিল ১৪০০ কেজি। রাজস্থান প্রদেশের পোখরান নামক স্থান এর বিস্ফোরণের জন্য নির্ধারণ করা হয়। এটি ছিল একটি ভূগর্ভস্থ পরীক্ষা আর বোমাটির বিস্ফোরণ প্রক্রিয়া ছিল ফিশন। এই বিস্ফোরণ ছিল তেজস্ক্রিয়তামুক্ত।
১৯৭৪ সালের ১৮ মে। দিনটি ছিল বুদ্ধ জয়ন্তী, ভারতে সরকারি ছুটির দিন। ঠিক সকাল ৮টা বেজে ৫ মিনিটে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়ে পোখরান টেস্ট রেঞ্জে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ভারত। বুদ্ধ জয়ন্তীতে বিস্ফোরণ ঘটানোয় এর কোডনাম দেয়া হয়েছিল ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’। সেনা কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী স্মাইলিং বুদ্ধের মোট উৎপন্ন শক্তি ছিল ১২ কিলোটনের মতো। অবশ্য ‘ম্যাগনিট্যুড টু ইল্ড কনভার্সন’ প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত পরিমাণ ছিল ৬ কিলোটন। তবে ভারতীয় পক্ষ-বিপক্ষের রাজনীতিবিদগণ স্মাইলিং বুদ্ধের সক্ষমতার অতিরঞ্জন আর অবনমন দুই-ই করেছেন। রাজনীতিবিদগণের দেয়া সংখ্যাগুলো ২ কিলোটন থেকে শুরু হয়ে ২০ কিলোটন পর্যন্ত গিয়েছে! হয়তো ‘কিলোটন’ শব্দটির প্রকৃত পরিমাণই তারা অনুধাবন করতে পারেননি!
স্মাইলিং বুদ্ধ বোমা পরীক্ষার পর আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কীরূপ তীব্র ছিল, তা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারছেন। ফ্রান্স অবশ্য এই পরীক্ষার জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানিয়ে টেলিগ্রাম করেছিল, যা আবার পরে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। কারণ, পরীক্ষা সম্পন্ন হবার পরও ভারত একে একটি শান্তিপূর্ণ গবেষণালব্ধ পরীক্ষা বলে অভিহিত করে আসছিল। একে সামরিকায়ন করা হবে না, এ মর্মে তারা একাধিক বিবৃতিও দেয়। এসব বিবৃতি পাকিস্তান অবশ্য কানে তোলেনি। তারাই ছিল এ পরীক্ষার সবচেয়ে বড় সমালোচক। অন্যদিকে ভারি পানি (D2O) দ্বারা চালিত সাইরাস চুল্লীটি কানাডাই সরবরাহ করেছিল ভারতকে। তাই তারা তাদের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে ভারতের বিরুদ্ধে এবং ভারি পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। রাশিয়া নিরপেক্ষ দর্শকের ভূমিকা পালন করলেও আমেরিকা সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভারতের শান্তিপূর্ণ পরীক্ষার দাবি মেনে নেয়। এর কারণ অবশ্য অনুমানযোগ্য। ঐ মুহূর্তে ভারতের তারাপুরে একটি পরমাণু বিদ্যুৎ চুল্লী নির্মাণের কাজ করছিল আমেরিকা। তারা হয়তো চায়নি সেই কাজ বন্ধ হয়ে যাক!
অন্যদিকে দেশীয় প্রতিক্রিয়া ছিল ইতিবাচকতা আর প্রশংসায় ভরপুর। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানকে পরাজিত করতে সহায়তা করার সাহসী ভূমিকার জন্য এমনিতেই ইন্দিরা গান্ধীর জনপ্রিয় তুঙ্গে ছিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা কমিটির ৫টি দেশের বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে ভারতকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশের তালিকায় স্থান করে দেয়ার কারণে তার এবং তার দল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হয়। এ প্রকল্পে সার্বিক অবদানের জন্য হোমি সেথনা আর রাজা রামান্না পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন। আরো পাঁচজন লাভ করেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। সব মিলিয়ে পোখরান-১ ভারতের জন্য এক স্মরণীয় অধ্যায়। নিঃসন্দেহে এ অধ্যায়টিই ভারতকে আজকের শক্তিশালী অবস্থানে আসতে সহায়তা করেছে সর্বাগ্রে। তবে একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়। পোখরান-১ পরীক্ষাটি কিন্তু ভারত শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে করেছিল বলেই প্রচার করেছে। তাই তখন ভারত কেবল পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত হয়। পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে ভারত পরিচিত হয় আরো পরে, পোখরান-২ এর সময়।