বর্তমান বিশ্বে যতগুলো মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে নামকরা এবং আইকনিক নামটি হলো হার্লি-ডেভিডসন। বিখ্যাত এই আমেরিকান মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের বাইকগুলোকে প্রায়ই বিবেচনা করা হয় আরেক নামকরা আমেরিকান মাসল কার ফোর্ড মাসট্যাংয়ের দুই চাকার ভার্সন হিসেবে। সময়ের পরিক্রমায় চার স্বপ্নবাজ তরুণের হাত ধরে শুরু হওয়া হার্লি-ডেভিডসন কোম্পানি বর্তমানে পরিণত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে পরিচিত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডে।
শতবর্ষী মোটরবাইক কোম্পানি হার্লি-ডেভিডসনের উত্থান এবং তাদের একশত বছরের পথচলা নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের লেখা।
১৮৮০ সালের ২৯ ডিসেম্বর আমেরিকার মিলওয়াকি শহরে একটি শিশুর জন্ম হয়। সে সময় কারো সুদূরতম কল্পনাতেও ছিল না যে, এই শিশুটির হাত ধরেই এক সময় গড়ে উঠবে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড। শিশুটির নাম রাখা হয় উইলিয়াম এস. হার্লি।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে উইলিয়াম হার্লি জীবিকার তাগিদে একটি বাইসাইকেল কারখানায় কাজ জুটিয়ে নেন। প্রায় একই সময়ে হার্লির শৈশবের বন্ধু আর্থার ডেভিডসনও তার কর্মজীবন শুরু করেন। কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে দুই বন্ধুর আগ্রহের কমতি ছিল না।
তাদের এই আগ্রহ আরও গতি পায় বিংশ শতাব্দীর শুরুতে। সেসময় গোটা আমেরিকা জুড়ে দুই চাকার বাইসাইকেল বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। কিন্তু অন্যদের মতো শুধু বাইসাইকেলেই সন্তুষ্ট ছিলেন না তৎকালীন ২১ বছর বয়সী হার্লি এবং ২০ বছর বয়সী ডেভিডসন। তারা বরং একটি মোটরচালিত বাইসাইকেল তৈরির স্বপ্নে বুঁদ হয়ে ছিলেন, যা দ্বারা সাধারণ বাইসাইকেলের চেয়ে অনেক দ্রুত যাতায়াত করা যাবে।
কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যে কারিগরি দক্ষতার প্রয়োজন তা দুজনের কারোরই ছিল না। অগত্যা বাধ্য হয়ে তারা দ্বারস্থ হন আর্থারের বড় ভাই ওয়াল্টার ডেভিডসনের। ওয়াল্টার সেসময় রেইলরোডের একজন মেশিনিস্ট হিসেবে কানসাস রাজ্যে কর্মরত ছিলেন। তারা দুজন ওয়াল্টারকে নিজেদের তৈরি একটি মোটরসাইকেল দেখানোর নাম করে কানসাস থেকে মিলওয়াকিতে নিয়ে আসেন। অথচ দুই বন্ধুর মোটরসাইকেল তখনও পরিকল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
ওয়াল্টার ডেভিডসন মিলওয়াকিতে এসে মোটরসাইকেলের টিকিটিও খুঁজে পেলেন না। এর কারণ জিজ্ঞেস করলে আর্থার ও হার্লি তাকে নিজেদের পরিকল্পনার কথা খুলে বলেন। তাদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কথা শুনে ওয়াল্টার তাদেরকে সাহায্য করতে রাজি হয়ে যান। এর কিছুদিন পর তাদের দলে যোগ দেন ডেভিডসন ভাইদের সবচেয়ে বড় জন- উইলিয়াম ডেভিডসন। তিনি মিলওয়াকি রেইলরোড শপের একজন ফোরম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এই চারজন মিলেই ডেভিডসন পরিবারের বাড়ির পেছনের উঠানে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত ১০×১৫ ফুট আকারের কক্ষে শুরু করেন তাদের প্রথম মোটরসাইকেল তৈরির কাজ। ওই কক্ষের দরজায় বড় করে লেখা ছিল ‘দ্য হার্লি-ডেভিডসন মোটর কোম্পানি’। সেই থেকেই শুরু হয় হার্লি-ডেভিডসন কোম্পানির পথচলা।
হার্লি ও ডেভিডসন ভাইদের নিরলস পরিশ্রমের ফসল হিসেবে ১৯০৩ সালে তারা তাদের প্রথম মোটরবাইকটি তৈরি করতে সক্ষম হন। হার্লি-ডেভিডসন কোম্পানির তৈরি প্রথম সেই মোটরবাইকে ছিল এক-সিলিন্ডারের একটি ইঞ্জিন, বাইসাইকেল ক্র্যাঙ্ক এবং প্যাডেল। প্যাডেল ঘুরিয়ে ইঞ্জিন চালু করতে হত। ১৯০৩ সালে তারা এই ধরনের তিনটি মোটরবাইক তৈরি করেন।
হার্লি-ডেভিডসনের পরের কয়েকটি বছরকে দুটি কথার মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়- ক্রমবিকাশ এবং অগ্রগতি। ১৯০৪ সালেও তারা তিনটি মোটরসাইকেল তৈরি করেন এবং এর পরের বছর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় সাতটিতে। কোম্পানির আয় এবং অগ্রগতি এত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল যে, ডেভিডসনদের উঠানের সেই ছোট কক্ষটি বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতির ভার আর কুলিয়ে উঠতে পারছিল না। ফলে ১৯০৬ সালে হার্লি এবং ডেভিডসন ভাইয়েরা মিলওয়াকি শহরের জ্যুনো এভিনিউতে তাদের কোম্পানির প্রথম কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ওই বছরই তাদের কারখানা থেকে রেকর্ড ৫০টি মোটরসাইকেল তৈরি হয়।
ডিজাইন এবং কিছু স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্টের কারণে হার্লি-ডেভিডসন মোটরবাইক নিয়ে সেসময় আমেরিকা জুড়ে একপ্রকার উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। ফলে কোম্পানির বিক্রিও বাড়তে থাকে হুঁ হুঁ করে। ১৯০৯ সালে জ্যুনো এভিনিউয়ের কারখানাটির আকার প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হলে প্রতি বছর এর উৎপাদন ক্ষমতা গিয়ে দাঁড়ায় ১,০০০টি মোটরসাইকেলে।
কিন্তু শুধু এক সিলিন্ডারের মোটরবাইকে সীমাবদ্ধ থাকার কোনো ইচ্ছাই ছিল না হার্লি-ডেভিডসন কোম্পানির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম হার্লির। নিজেদের সৃষ্টিকে আরো উন্নত করে তোলার প্রচেষ্টায় তিনি দুই সিলিন্ডারের ইঞ্জিন নিয়ে কাজ শুরু করেন। ১৯০৯ সালের মধ্যেই হার্লি তাদের মোটরবাইকের জন্য একটি দুই সিলিন্ডারের ইঞ্জিন ডিজাইন করে ফেলেন। নতুন তৈরি ইঞ্জিনটির নাম রাখা হয় ‘ভি-টুইন (V-Twin)’।
নতুন তৈরি ইঞ্জিন ব্যবহারের ফলে হার্লি-ডেভিডসন বাইকগুলোর গতি গিয়ে পৌঁছে ৬০ মাইল/ঘন্টায়। ভি-টুইন ইঞ্জিনের সাফল্য হার্লি-ডেভিডসন কোম্পানিকে আমেরিকার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি এনে দেয়। ১৯১০ সালের মধ্যে কোম্পানির বার্ষিক উৎপাদন গিয়ে দাঁড়ায় ৩,২০০টি মোটরসাইকেলে।
হার্লি-ডেভিডসন এর বাইকগুলোতে পরবর্তী উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে ১৯১৬ সালে। সে বছর প্রথমবারের মতো বাইকে সাইকেলের ঘোরানো প্যাডেলের পরিবর্তে প্যাডেল স্টার্টার ব্যবহার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে হার্লি-ডেভিডসনের মোটরবাইকগুলো বাইসাইকেলের বাঁধন থেকে পুরোপুরি মুক্তি লাভ করে।
১৯২০ সালে কোম্পানির বার্ষিক বাইক উৎপাদন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ২৮,১৮৯ এ, যা হার্লি-ডেভিডসনকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী কোম্পানিতে পরিণত করে।
কিন্তু ১৯২০ সালে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে কোম্পানির বিক্রি কমতে শুরু করে। তার ওপর সেসময় অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যের ফোর্ড ‘মডেল-টি’ দেশজুড়ে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করলে মোটরসাইকেলের প্রতি মানুষের আগ্রহ কিছুটা কমে যায়।
সঙ্কটময় সেই মূহুর্তে নতুন মার্কেটিং পদ্ধতি নিয়ে মাঠে নামে হার্লি-ডেভিডসন। তারা আমেরিকার পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে এটা বোঝাতে সক্ষম হয় যে, অপরাধীর পেছনে ধাওয়া করার ক্ষেত্রে চার চাকার গাড়ির চেয়ে হালকা-পাতলা গড়নের মোটরসাইকেলই অধিক কার্যকর। ফলে পরবর্তী এক দশকের মধ্যেই ২,৯০০ জনের বেশি শেরিফ হার্লি-ডেভিডসনের বাইক ব্যবহার করা শুরু করেন!
পলিশড্ বুট, পাশে ঝোলানো চামড়ার ব্যাগ এবং এর সাথে হার্লি-ডেভিডসন বাইকের অনন্য সাধারণ ডিজাইন শেরিফদের অনেকটা ওয়েস্টার্ন লুক এনে দিত, যা তৎকালীন তরুণদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। এই উদ্দীপনাকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে কোম্পানি এ সময় বাজারে হার্লি-ডেভিডসন নামের কাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্য বাজারে নিয়ে আসে যা আজ পর্যন্ত কোম্পানিটির অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
১৯২০ সালের সঙ্কটময় পরিস্থিতির মতো ১৯২৯ সালেও আরও একবার বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয় হার্লি-ডেভিডসনকে। সে বছর আমেরিকার শেয়ার বাজারে ধ্বস নামলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এর প্রভাবে ১৯৩৩ সালের মধ্যে কোম্পানির বিক্রি এক ধাক্কায় নেমে আসে মাত্র ৪ হাজারে। বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার জন্য তারা ১৯৩৬ সালে আগের ইঞ্জিনের চেয়ে দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং নতুন অবকাঠামোর ‘ইএল মডেল’ এর বাইক বাজারে ছাড়ে।
ইএল মডেলের বাইকগুলো বাজারে আসা মাত্রই কোম্পানির বিক্রি আবার বাড়তে শুরু করে। পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে তাদের বার্ষিক মোটরসাইকেল উৎপাদনের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজারে।
এরই মধ্যে শুরু হয়ে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধ অধিকাংশ অটোমোবাইল কোম্পানির জন্য অভিশাপ হিসেবে আবির্ভূত হলেও হার্লি-ডেভিডসন কোম্পানির জন্য তা শাপে-বর হয়ে ধরা দেয়। যুদ্ধের প্রয়োজনে আমেরিকা ও মিত্রবাহিনীকে তারা প্রায় ৯০,০০০ মিলিটারি বাইক সরবরাহ করে, যার দরুণ তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ ফুলে-ফেঁপে ওঠে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মোটরসাইকেলের প্রতি আমেরিকান জনগণের আগ্রহ পুনরায় বাড়তে থাকে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বাজারে হার্লি-ডেভিডসন বাইকের চাহিদা। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ১৯৪৭ সালে ওয়াওয়াটোসা শহরে কোম্পানির দ্বিতীয় কারখানা প্রতিষ্ঠা করে হার্লি-ডেভিডসন। ১৯৫০ সালে শেষ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যখন আর্থার ডেভিডসন মৃত্যুবরণ করেন ততদিনে তাদের প্রতিষ্ঠিত হার্লি-ডেভিডসন কোম্পানি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মোটরসাইকেল নির্মাতা হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছিল।
পরবর্তী বছরগুলোয় নানা কারণে হার্লি-ডেভিডসনের নাম বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭১ সালে ইভেল নাইভেলের গড়া একটি বিশ্ব রেকর্ডের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। সে বছর তার করা একটি জাম্পিং স্ট্যান্টে তিনি ‘হার্লি-ডেভিডসন এক্সআর – ৭৫০’ বাইক ব্যবহার করে সর্বমোট ১৯টি গাড়ি অতিক্রম করে যান, যা তখন বিশ্বব্যাপী তুমুল আলোচিত হয়েছিল। এছাড়াও আলোচিত ‘Easy Rider’ মুভিতে পিটার ফন্ডার ব্যবহৃত হার্লি-ডেভিডসন চপার তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে প্রায় শতবর্ষ যাবৎ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা হার্লি-ডেভিডসন কোম্পানি বর্তমানে কিছুটা সংকটময় সময় পার করছে। গত পাঁচ বছর ধরে তাদের শেয়ার মূল্য শুধু কমছেই। এছাড়াও, তাদের প্রধান বাজার আমেরিকাতে হার্লি-ডেভিডসন বাইকের বিক্রি কমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে এবং ক্রেতাদের একটি বড় অংশ হলো সিনিয়র সিটিজেন। অর্থাৎ, আমেরিকান তরুণদের মাঝে আবেদন হারাচ্ছে বিখ্যাত এই মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডটি।
প্রতিবারের মতো এবারো সঙ্কট সামাল দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে হার্লি-ডেভিডসন কোম্পানি। এ লক্ষ্যে তারা বাজারে এনেছে নতুন প্রজন্মের ইলেক্ট্রিক বাইক ‘Harley-Davidson LiveWire’। এছাড়াও তরুণদের আকৃষ্ট করতে অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির মোটরসাইকেল নিয়েও কাজ করে যাচ্ছে তারা।
কিন্তু বরাবরের মতো এবার হয়তো দুঃসময় থেকে খুব শীঘ্রই মুক্তি মিলবে না হার্লি-ডেভিডসন কোম্পানির। কারণ, মোটরসাইকেল শিল্পে জাপানী ব্র্যান্ডগুলোর ক্রমশ বেড়ে চলা আধিপত্য এবং তাদের একসময়ের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী ‘ইন্ডিয়ান মোটরসাইকেল’ এর পুনরুত্থান হার্লি-ডেভিডসনের স্বমহিমায় ফেরাকে আরো বিলম্বিত করবে নিশ্চিত।
তবে যত যা-ই হোক, এখনই কিংবদন্তিতুল্য মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হার্লি-ডেভিডসনের শেষ দেখে ফেলা বাতুলতা। আদতে তারাই তো তরুণ প্রজন্মকে শিখিয়েছিল ‘Live to Ride and Ride to Live মন্ত্রটি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য হার্লি-ডেভিডসন বাইকের ভক্তরা এখন আরও একটিবারের জন্য এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়ার অপেক্ষায় পার করছে একেকটি দিন।
ইতিহাসের চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কেঃ roar.media/contribute/