রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য

ইতিহাসের যে ক’জন নারী শাসককে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে, তাদের মধ্যে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ অন্যতম। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে আধুনিকায়নের পাশাপাশি দ্রুতগামী পৃথিবীর সঙ্গে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ২০১২ সালে রানী এলিজাবেথ হীরক জয়ন্তী উদযাপন করেন। অতঃপর ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, তিনি তার পিতামহী রানী ভিক্টোরিয়ার রেকর্ড ভেঙ্গে দীর্ঘ সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসক হওয়ার খেতাব অর্জন করেন। নিজের সুদীর্ঘ শাসনকাল স্মরণীয় রাখতে পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালে নীলা জয়ন্তী উদযাপন করেছিলেন তিনি। চলতি বছরের হিসেব অনুযায়ী, ৬৭ বছর ধরে গ্রেট ব্রিটেন এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড শাসন করছেন ৯৩ বছর বয়সী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ; Image Source: town & country.com

সর্বোপরি এই প্রজন্মের জন্য রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ যেমন অমূল্য সম্পদ, তেমনি তার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাও জরুরি। এরপর হয়তোবা রাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কোনো শাসকের দেখা মিলবে না। আজ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১১টি চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হলো।

অপ্রত্যাশিত রানী

দ্বিতীয় এলিজাবেথের রানী হওয়ার কথা ছিলো না। সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার অবস্থান ছিলো পিতৃব্য অষ্টম এডওয়ার্ড এবং পিতা ষষ্ঠ জর্জের পরে। কিন্তু রাজপরিবারের একটি ঘটনা সকল সমীকরণ পাল্টে দেয়। বিপত্নীক নারী ওয়েলিস সিম্পসনকে বিয়ে করার কারণে ১৯৩৬ সালে সিংহাসন ত্যাগ করেন অষ্টম এডওয়ার্ড। অতঃপর তার স্থলাভিষিক্ত হন এলিজাবেথের পিতা ষষ্ঠ জর্জ। তিনি ১৯৫২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর নিয়মানুযায়ী ব্রিটিশ সিংহাসনে স্থলাভিষিক্ত হন এলিজাবেথ। সে হিসেবে বলা যায়, ষষ্ঠ জর্জ ব্রিটেনের শেষ পুরুষ শাসক।

অভিনয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রানী তার ছোটবোনের সঙ্গে মূকাঅভিনয় করেন। তখন তার বয়স ছিলো মাত্র ১৫ বছর। প্রথমবার থিয়েটারে তিনি প্রিন্সেস মার্গারেটের বিপরীতে প্রিন্স ফ্লোরিজেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। মূলত বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন বড়দিনের ছুটি কাটানোর জন্য নতুন কিছু আয়োজনের পরিকল্পনা করেন দুই বোন। ১১ বছর বয়সী মার্গারেট হাইস্কুলের কনসার্টে দেখা মূকাভিনয় প্রদর্শনীর জন্য অনুরোধ করেন।

বোনের সঙ্গে অভিনয় করছেন এলিজাবেথ; Image Source: 
Photo by Lisa Sheridan/Studio Lisa/Getty Images

ছোটবোনের বুদ্ধিতে সহজেই রাজি হন এলিজাবেথ। অতঃপর ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। এলিজাবেথ সর্বমোট চারটি প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছিলেন। প্রথমটি ছিলো সিনেড্রেলা, দ্বিতীয়টি স্লিপিং বিউটি, তৃতীয়টি আলাদিন এবং শেষটি ওল্ড মাদার রেড রাইডিং বুটস। স্লিপিং বিউটিতে সালভাদরের রাজপুত্রের চরিত্রে অভিনয় করলেও আলাদিনের প্রদর্শনীতে শিরোনামে অভিনয় করেন এলিজাবেথ। আলাদিনে অভিনয় করতে গিয়েই তার সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের প্রেম শুরু হয়। তার পিতামহীর লেখা একটি চিঠির মাধ্যমে এর সত্যতা পাওয়া যায়। চারটি প্রদর্শনীর চারটি ছবিই এখন অবধি সংরক্ষিত রয়েছে।

বিয়ের রেশন

রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপের বিয়ে নিয়েও অনেক গল্প প্রচলিত আছে। দ্য টেলিগ্রাফের মতে, ফিলিপের সঙ্গে এলিজাবেথের প্রথম বাগদান সম্পন্ন হয় ১৯৪৬ সালে। যদিও ১৯৪৭ সালের পহেলা এপ্রিল এলিজাবেথ ২১ বছরে পদার্পণের পর সেটি স্বীকৃতি পায়। একই বছরের ২০ নভেম্বর এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপের রাজকীয় বিয়ে সম্পন্ন হয়।

রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপের বিয়ের সময়ের ছবি; Image Source: Market Watch

অন্যান্য ব্রিটিশ নাগরিকের মতো রানী এলিজাবেথও সরকার থেকে রেশনের কুপন পেতেন। কারণ তখনও তিনি রাজপরিবারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন না। প্রতিবারের কুপনগুলো জমিয়ে রেখেছিলেন এলিজাবেথ। অতঃপর বিয়ের সময় ব্রিটিশ সরকার তাকে বিয়ের উপহার হিসেবে আরও ২০০টি রেশন কুপন প্রদান করে। তার বিবাহোত্তর শুভেচ্ছায় উপহার পাওয়া কুপনগুলো দিয়ে বিয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বলা হয়েছিল।

রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ; Image Source: town & country.com

এলিজাবেথের বিয়ের পোশাকটি ছিলো ১৩ ফুট লম্বা। আইভরি সিল্কের কাপড়ে নানানরকম কারুকাজের পাশাপাশি ১০,০০০ মুক্তা যুক্ত পোশাকটি আমেরিকা থেকে এটি আনা হয়। দ্য টেলিগ্রাফের মতে, সে সময় শুধুমাত্র তার বিয়ের পোশাকটি তৈরি করে ব্রিটেনে আনা অবধি ৩৭,০০০ ডলার খরচ করা হয়। রানী এলিজাবেথ এবং ফ্রিন্স ফিলিপের বিয়ের ৭০ বছর পার হয়ে গেলেও তার বিয়ের পোশাকটি এখন পর্যন্ত যত্নসহকারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

দায়িত্ববান মা

এলিজাবেথ-ফিলিপ দম্পতি সর্বমোট চার সন্তানের জনক। এলিজাবেথ রানী হওয়ার পূর্বে প্রিন্স চার্লস, প্রিন্সেস অ্যানি এবং সিংহাসনে বসার পর প্রিন্স অ্যান্ড্রু, প্রিন্স এডওয়ার্ড জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে প্রিন্স অ্যান্ড্রু জন্মানোর পর রানী এলিজাবেথ প্রথম সার্বভৌম রানী হিসেবে সন্তানলাভের কৃতিত্ব অর্জন করেন।

প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে খেলছেন এলিজাবেথ; Image Source: History Extra.com

এর আগে ১৮৫৭ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন রানী ভিক্টোরিয়া প্রিন্সেস বিয়াট্রিসের আগমন উদযাপন করেছিলেন। রানী এলিজাবেথ তার সব সন্তানকেই সমানভাবে স্নেহ করতেন। তিনি রাজপুত্রদের মধ্যে কাউকে বিশেষভাবে বিবেচনা করেননি বলেই তার শাসনামলে ব্রিটিশ রাজপরিবারে কখনও ভাঙ্গন ধরেনি।

যোগাযোগ কার্যক্রম

রানী এলিজাবেথ এখন অবধি ব্রিটিশ রাজপরিবারে তার উপর আরোপিত কাজগুলো করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বার্ধক্যজনিত কারণে সরাসরি সব কাজে হাত না দিলেও যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন, যেমনভাবে তিনি তার দীর্ঘ শাসনামলের প্রথম থেকে কাজগুলো করতেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের হিসেব অনুযায়ী, কমনওয়েলথ এবং ব্রিটিশ উপনিবেশিক অঞ্চলে ১,৭৫,০০০ এর অধিক টেলিগ্রাম পাঠিয়েছেন তিনি।

রেডিও সম্প্রচার কেন্দ্রে এলিজাবেথ ও তার ছোটবোন; Image Source: Town & country.com

এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্য এবং কমনওয়েলথ অঞ্চলের দম্পতিদের বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা হিসেবে বিভিন্ন সময় ৫,৪০,০০০ টেলিগ্রাম পাঠিয়েছেন তিনি। ধারণা করা হয়, এখনও নিয়মিত তিনি নবদম্পতিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে টেলিগ্রাম করেন। রানী তার শাসনামলে প্রায় ৪৫,০০০ ক্রিসমাস কার্ড লিখেছেন এবং প্রাসাদে দায়িত্বরত কর্মীদের মাঝে ৯০,০০০ ক্রিসমাস কেক বিতরণ করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এর আগে কোনো শাসক এত সংখ্যক শুভেচ্ছাবার্তা, উপহার বিতরণ করেছিন বলে জানা যায় না।

অদ্ভুত উপহার

দীর্ঘ সময় ধরে রাজকার্য পরিচালনার সময় রানী এলিজাবেথ জীবন্ত প্রাণী সহ বিভিন্নরকম অদ্ভুত উপহার পেয়েছেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের নিজস্ব ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্যমতে, ১৯৭২ সালে সিসিলি ভ্রমণকালে দুটো কচ্ছপ উপহার পেয়েছিলেন তিনি। একই বছর তার বিয়ের রৌপ্য বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ক্যামেরুনে সাত বছর বয়সী জাম্বো নামের একটি জংলি হাতির বাচ্চা উপহার দেওয়া হয় তাকে।

এলিজাবেথ এবং তার ছোটবোন; Image Source: Town & country.com

অতঃপর কানাডায় রাজকীয় ভ্রমণের সময় দুটো কালো বেভার উপহার পান রাণী এলিজাবেথ। সবগুলো প্রাণী লন্ডনের চিড়িয়াখানায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলো ছাড়াও সানগ্লাস, সাত কেজি ওজনের চিংড়ি এবং রাখালদের জুতো জোড়া উপহার পেয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন গবেষকের দাবি, রানীর পাওয়া অদ্ভুত উপহারের মধ্যে আরও অনেক কিছুই থাকতে পারে, যেগুলোর নাম বা সংখ্যা প্রকাশ করতে চান না রাজপরিবারের মুখপাত্ররা।

কুকুর পোষার শখ

রানীর ৩০টিরও বেশি পোষা কুকুর ছিলো। প্রথমটি তিনি ১৯৪৪ সালে নিজের ১৮ত্ম জন্মদিনে উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন। কথিত আছে, কুকুরটির নাম ছিলো সুজান এবং তা তিনি নিজের মধুচন্দ্রিমায় সঙ্গে নিয়ে যান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯৪৭ সালে ব্যালমোরাল স্টেটের ব্রডল্যান্ড, হ্যাম্পশায়ার এবং বীরখালে এলিজাবেথ ও ফিলিপ দম্পতির মধুচন্দ্রিমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

রাণী এলিজাবেথ এবং তার কুকুর; Image Source: HistoryExtra.com

এলিজাবেথের মতো তার পিতামহী ভিক্টোরিয়াও কুকুর পছন্দ করতেন। রানী ভিক্টোরিয়ার বেশিরভাগ কুকুরই ছিলো জার্মান ডাচশান্ড প্রজাতির। শেষ জীবনে তিনি কয়েকটি স্কটিশ কলিস পুষেছিলেন। স্কটিশ কলিসগুলোর মধ্যে একটির নাম ছিলো নোবেল। ধারণা করা হয়, রানী এলিজাবেথ এই বৈশিষ্ট্যটি পিতামহীর কাছ থেকেই পেয়েছিলেন।

রাজকীয় জাহাজের সমাহার

রানী এলিজাবেথ তার রাজকীয় জীবনে এখন অবধি ২৩টি জাহাজ ব্যবহার করেছেন। সবক’টাই তার ব্যক্তিগত মালিকানায় সমুদ্রে নামানো হয়। তার ব্যবহৃত প্রথম জাহাজের নাম এইচএমএস ভ্যানগার্ড। ১৯৪৪ সালের ৩০ নভেম্বর এটি সর্বপ্রথম সমুদ্রে ভাসানো হয়। তখন অবশ্য এলিজাবেথ শুধু রাজকন্যা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রানী হিসেবে এলিজাবেথের ব্যবহার করা প্রথম হাজাটির নাম ব্রিটানিয়া। ১৯৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল এটি সমুদ্রে ভাসানো হয়। এছাড়াও বাকি জাহাজগুলোর মধ্যে এলিজাবেথ-২ এবং কুইন মেরি-২ যথাক্রমে ১৯৬৭ এবং ২০০৪ সালে সমুদ্রে ভাসানো হয়।

রাজকীয় সম্মতি

ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো আইন প্রণয়নের জন্য সর্বপ্রথম হাউজ অভ লর্ডস এবং পরবর্তীতে হাউজ অভ কমন্সে পাশ হয়ে রানীর কাছে পৌঁছায়। পরবর্তী সময়ে রানী এলিজাবেথ এবং রাজপরিবারে তার বিশ্বস্ত ও দায়িত্ববান সদস্যরা সবকিছু মূল্যায়ন করেন। তারপর শুধুমাত্র রানীর সম্মতি পেলেই সেসব আইন পাশ হয়েছে বলে গণ্য করা হয়। ১৯৫২ সাল থেকে এখন অবধি পার্লামেন্টের ৩,৫০০ এর বেশি আইন পাশে সম্মতি দিয়েছেন রাণী এলিজাবেথ।

প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাত

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিয়মিতভাবে ব্রিটিশ সরকার প্রধানের সঙ্গে সান্ধ্যকালীন বৈঠকে বসতেন। প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় রানীর সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত ১২ জন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এই ১২ জনের মধ্যে শুধুমাত্র টনি ব্লেয়ারই তার রাজ্যাভিষেকের পূর্বে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নিয়মিত বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিলো দেশ পরিচালনা, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এবং আইন প্রণয়ন সম্বলিত বিষয়গুলো ঠিকঠাক চলছে কি না, তা রানীকে অবহিত করা।

বরিস জনসনের সঙ্গে রাণী এলিজাবেথ; Image Source: India Today

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীদের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ জন প্রেসিডেন্টের সাথেও নিয়মিত বৈঠকে বসতেন রাণী এলিজাবেথ। বিভিন্ন সময় প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ছুটে গিয়েছেন তিনি। তার বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাকে কখনও অবজ্ঞা করেনি। উল্টো প্রতিবারই তাকে যোগ্য সম্মান দিয়ে বরণ করে নিয়েছিল তারা।

যত রেকর্ড

১০৬৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম উইলিয়াম ইংল্যান্ডের রাজা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন অবধি যে ক’জন শাসক ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শাসন করেছেন, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৪০তম অবস্থানে রয়েছেন। তিনি সবচেয়ে বয়স্ক শাসক হিসেবে ২০০২ সালে ৭৬ বছর বয়সে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেন। এর আগে সর্বকনিষ্ঠ রাজা (৫১ বছর বয়স) হিসেবে এটি উদযাপন করেন রাজা ষষ্ঠ জেমস। এছাড়াও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে প্রথম শাসক হিসেবে তিনি ২০০৭ সালের ২০ নভেম্বর হীরক বিবাহ বার্ষিকী এবং ২০১৭ সালে প্লাটিনাম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেন রানী এলিজাবেথ।

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ; Image Source: Getty Images/ Leal Olivas

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছাড়া আরও পাঁচজন শাসক ৫০ বছরের অধিক সময় ব্রিটিশ সিংহাসনে টিকে থাকতে পেরেছেন। নারী শাসকদের মধ্যে শুধুমাত্র রানী ভিক্টোরিয়া এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। কিন্তু এত সংখ্যক সফল শাসক ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শাসন করলেও তার মতো দীর্ঘস্থায়ী কেউ হতে পারেননি।

বিশ্বের চমৎকার, জানা-অজানা সব বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: https://roar.media/contribute/

In this Bangla article, we have discussed about some surprising facts about Queen Elizabeth II. She is the oldest monarch of British Kingdom. Her great great grandmother was famous Queen Victoria.

Featured Image: Daily Express

 

Related Articles

Exit mobile version