২০২১ সালের গ্রীষ্মের শেষ ভাগে যুক্তরাজ্যের লেখক কেট লিস্টারের একটি টুইট ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয় তার ভক্ত-অনুসারীদের মাঝে। তিনি যা লেখেন, তার সারমর্ম অনেকটা এমন :
“ঠিক কোন বয়সে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে জীবনে সফল হতে নিজে মুখ ফুটে কিছু না বলেও স্রেফ সত্যিই খুব ভালো মানুষ হওয়ার, খুব কঠোর পরিশ্রম করার এবং নিজের সাধ্যের চেয়েও অনেক কাজের দায়িত্ব নেয়ার যে পরিকল্পনা আপনি এঁটেছিলেন, তা আদতে ছিল অতি জঘন্য একটি পরিকল্পনা?”
তার এই টুইটে লাইক দিয়েছে বা এটি রিটুইট করেছে চার লক্ষেরও অধিক মানুষ। অর্থাৎ, এই বিপুল পরিমাণ টুইটার ব্যবহারকারী একমত লিস্টারের অনুভূতির সঙ্গে।
ছোটবেলা থেকে আমরা যতই শুনে থাকি না কেন যে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি, এটাই আমাদের সাফল্যের চরম শিখরে পৌঁছে দেবে, তা আসলে সত্য নয়। এমনই বিশ্বাস জেফ শ্যাননের। তিনি একজন নির্বাহী প্রশিক্ষক এবং ‘হার্ড ওয়ার্ক ইজ নট এনাফ: দ্য সারপ্রাইজিং ট্রুথ এবাউট বিয়িং বিলিভেবল অ্যাট ওয়ার্ক’ বইয়ের লেখক।
শ্যাননের মতে, কঠোর পরিশ্রম সূচনা হিসেবে বেশ ভালো। ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকে এটি অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করতে পারে আপনার নতুন চাকরিতে বা কর্মস্থলে থিতু হতে, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। কিন্তু, কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট নয়, যদি আপনি চান সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে একদম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যেতে। অর্থাৎ, একজন নিছকই সাধারণ কর্মী থেকে নেতৃস্থানীয় পদে উত্তীর্ণ হতে।
এর কারণ কী? শ্যাননের মতে,
“একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছে আপনি আপনার চারপাশে তাকাবেন এবং বুঝতে পারবেন, বাহ, এই পর্যায়ে সকলেই তো কঠোর পরিশ্রম করে। নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও কঠোর পরিশ্রম এখানে পরিণত হয় প্রাথমিক প্রত্যাশায়, ফলে তা আর আপনাকে সিঁড়ির উপরের ধাপগুলোতে পরিচালিত করবে না।”
এই কথাগুলোর নেতিবাচক অর্থ না করেও বাস্তবতাকে আমরা এভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি: আমরা সবাই এমন একটি সিস্টেমের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি, যেটি শুধু এবং কেবলই শুধু কঠোর পরিশ্রমকে মূল্যায়ন করে না। কর্মজীবনে সামনের দিকে এগোতে গেলে কঠোর পরিশ্রমের চেয়েও আপনার মধ্যে আরো কিছু গুণাবলি সন্নিহিত থাকতে হবে, আরো কিছু কাজ আপনাকে করতে বা পারতে হবে।
আর তা না-হলে, আপনি যতই প্রতিভাধর হোন না কেন, কর্মজীবনের কোনো একটা সময়ে আপনার মনের মধ্যেও লিস্টারের লেখা চিন্তাগুলোরই অনুরণন ঘটবে। বিশেষত যখন দেখবেন, আপনার সমান (বা কম) যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়েও আপনার এক বা একাধিক সহকর্মী ক্যারিয়ারে উড়ে বেড়াচ্ছে, একের পর এক সাফল্যের দেখা পাচ্ছে, অথচ আপনি এতদিন যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই পড়ে রয়েছেন।
শ্যানন বলছেন, কঠোর পরিশ্রম কোনো কাজেই লাগে না, যদি না অন্যরা আপনার কাজ স্বীকৃতি দেয়। কেননা সেই স্বীকৃতিরই প্রতিফলন ঘটে কাজে প্রমোশন কিংবা বেতন ও সম্মান বৃদ্ধির মাধ্যমে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক কনসাল্টিং ফার্ম নেগোশিয়েটিং উইমেন ইঙ্কের প্রেসিডেন্ট ক্যারল ফ্রলিংগার বলেন, কঠোর পরিশ্রম এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু অন্য কেউ নিজে থেকে আপনার কঠোর পরিশ্রমের ব্যাপারটি বুঝে যাবে, সেজন্য অপেক্ষা করা ক্ষতিকর। তার মতে এ ধরনের প্রবণতা হলো ‘টিয়ারা ইফেক্ট’।
“কিছু মানুষ আছে যারা সত্যিই প্রচুর খাটে, এবং সেই সুবাদে নিজেদের কাজে দারুণ ফল বের করে আনে। কিন্তু তারপর তারা আশা করতে থাকে যে সঠিক মানুষেরা তাদের এই কৃতিত্বের বিষয়টিকে লক্ষ্য করবে, এবং তাদের মাথায় টিয়ারা (মুকুট) পরিয়ে দিয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা সাধারণত হয় না।
“যেসব কর্মী খুবই ভালো কাজ করে, কিন্তু অন্য কিছু করে না, তারা সাধারণত পাদপ্রদীপের আলোয় থাকে না। কেউ তাদের দিকে আলাদা করে নজর দেয় না, তাদের কথা ভেবে দেখে না। তাই যখন কোনো প্রমোশনের সুযোগ আসে, তখনো তাদের কথা বেমালুম ভুলে যায় সবাই।”
এই সমস্যার শেকড় প্রোথিত রয়েছে সেই প্রাইমারি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষায়, যেখানে ছোট ছোট বাচ্চাদের বলা হয় সবসময় চুপ থাকতে, কেননা যারা পরিশ্রম করে তারা এমনিতেই সফল হয়। বাস্তবিকই জীবনের সেই প্রথম কয়েক বছর শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের পরিশ্রম ও নীরবতার গুণকে পুরস্কৃত করে, যে কারণে তাদের অবচেতন মনে এ ব্যাপারটি থেকে যায় যে তাদের ভবিষ্যতের বসদের কাছ থেকেও তারা একই ধরনের প্রতিদান পাবে। কিন্তু যখন সেই আশা সত্যি হয় না, তখন নেমে আসে কর্মজীবনের প্রতি হতাশা, বিরক্তি, ও অনাসক্তি।
শ্যানন তাই এই ব্যাপারটির উপর বারবার গুরুত্ব দেন যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম আর কাজে লাগে না। কারণ সেই নির্দিষ্ট পর্যায়ে প্রায় সকল কর্মীরই থাকে প্রায় সমান দক্ষতা ও যোগ্যতা। তাই কেউ যদি আলাদা করে সবার মনোযোগ ও আকর্ষণ নিজের দিকে না টানে, তাহলে তার আড়ালে চলে যাওয়ার আশঙ্কাই থাকে অনেক বেশি।
সাধারণত নারী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গের কর্মীরাই কমবেশি এ ধরনের আড়ালে চলে যাওয়া তথা নিজেদের কাজের যথাযথ স্বীকৃতি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। তবে ফ্রলিংগারের মতে, নারীদের জন্য এ ব্যাপারটি সামলানো বেশি দুষ্কর হয়ে পড়ে। পুরুষরা সহজেই নিজেদের কাজের ব্যাপারে বাগাড়ম্বর করে সকলকে সেগুলো জানিয়ে দিতে পারে। কিন্তু নারীরা নিজেদের কৃতিত্বের ব্যাপারে উচ্চকিত হবে, তা এই সমাজে এখনো গ্রহণযোগ্য নয়।
“নারীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের আচরণকে দেখা হয় হামবড়াই ভাব হিসেবে, এবং যে নারীরা বড়াই করে, তাদের শাস্তি পেতে হয়।”
এখন, এ ধরনের স্টেরিওটাইপ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? উত্তর হলো: আপনি নারী বা পুরুষ যা-ই হোন না কেন, আপনাকে চুপচাপ বসে অন্য কারো আপনার কাজের মূল্যায়নের অপেক্ষা করা যাবে না। এর বদলে এমন কোনো একটা উপায় বের করতে হবে যাতে করে অন্যরা পরিষ্কারভাবেই দেখতে, জানতে ও বুঝতে পারে আপনার কঠোর পরিশ্রম ও কাজের ইতিবাচক ফলাফল সম্পর্কে।
এক্ষেত্রে ফ্রলিংগারের পরামর্শ হলো, বসকে আপনার কাজের ব্যাপারে নিয়মিত, তবে সংক্ষিপ্ত, আপডেট জানাতে হবে। এবং চেষ্টা করতে হবে আপনার সাফল্যের কথাকে প্রাসঙ্গিকভাবে কোনো আলাপচারিতায় নিয়ে আসার।
“এটি হতে পারে কেবলই বুলেট পয়েন্ট সমৃদ্ধ একটি ছোট মেইল, যেখানে আপনি বলবেন, ‘এগুলো হলো আমাদের কাজ, এগুলো হলো আমাদের সাফল্য, কোম্পানি এইসব উপায়ে উপকৃত হয়েছে, এভাবে কোম্পানির সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে।’ তবে মনে রাখবেন, রোজ রোজ কারো কৃতিত্বের কথা কিন্তু কেউই শুনতে চায় না। তাই এ ব্যাপারে আপনাকে পরিমিতিবোধ দেখাতে হবে। এছাড়া শুধু ‘আমি আমি’ না করে ‘আমার দল ও আমি’ জাতীয় বাক্যাংশ ব্যবহার করবেন, যাতে অন্যরা বুঝতে পারে আপনি অন্যদেরকেও তাদের কাজের কৃতিত্ব দিতে কার্পণ্য করছেন না।”
তাছাড়া ফ্রেমিংও খুব জরুরি বিষয়। অযাচিতভাবে যদি আপনি বসের কাছে গিয়ে বারবার নিজের গুণগান করেন, তাতে বস আপনার প্রতি খুশি হওয়ার চেয়ে নারাজই হবে বেশি। আপডেট হিসেবে এই মুহূর্তে কী করছেন জাতীয় তথ্য জানিয়ে রাখাই হতে পারে শ্রেয়তর। কারণ তাতে বিষয়টি এমন দাঁড়ায়: আপনি নিজের কৃতিত্ব দাবি করছেন না, স্রেফ বসকে আপনার কাজের খবরাখবর জানিয়ে রাখার মাধ্যমে তাকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করছেন, তাকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিচ্ছেন।
আর সর্বশেষ, আপনাকে পলিটিকসের গুরুত্বও উপলব্ধি করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কর্মক্ষেত্রে যাদের অগ্রগতি ঘটছে, তাদের অগ্রগতির নেপথ্যে রয়েছে পলিটিক হওয়া। আর দু-পাঁচজন যখন পলিটিক হওয়াকে মন্দ ভেবে তা থেকে বিরত থেকেছে, ব্যস্ত থেকেছে স্রেফ নিজেদের কাজ ঠিকভাবে করে যাওয়ায়, তখন সফল হওয়ারা পলিটিকের ইতিবাচক দিকগুলোকে কাজে লাগিয়েছে।
প্রকৃতপক্ষেই, এখানে দৃষ্টিভঙ্গি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পলিটিক শব্দটিকে আপনি কীভাবে দেখেন? আভিধানিকভাবে এর প্রধান অর্থ রাজনৈতিক, এবং আপনি হয়তো ‘আই হেইট পলিটিকস’ প্রজন্মের গর্বিত সদস্য। তাই আপনি স্বভাবতই পলিটিক হওয়ার পক্ষপাতী নন।
অথচ পলিটিকের আরো কয়েকটি বাংলা প্রতিশব্দ হলো বিজ্ঞ, সুবিবেচক, পরিণামদর্শী, সুকৌশলী। আর এই প্রতিশব্দগুলোর কথা চিন্তা করলে, এবং পরবর্তীতে কর্মস্থলে যদি কেউ আপনাকে এসব বিশেষণ আয়ত্ত করতে বলে, তাহলে নিশ্চয়ই আপনার খুব একটা আপত্তি থাকবে না।
কর্মজগতে সফল হতে গেলে নিজের কাজে খুব ভালো হিসেবে প্রমাণিত হওয়া ছাড়াও, অন্যদের কাছে পছন্দনীয় ও স্মরণীয় হয়ে ওঠা জরুরি। শ্যাননের মতে, যদি আপনি আপনার আশেপাশের মানুষ তথা আপনার সহকর্মী থেকে শুরু করে বসের উপর প্রভাব ফেলতে চান, তাহলে প্রথমেই আপনাকে তাদের বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠতে হবে। এমন কেউ হতে হবে, যাকে তারা পছন্দ করে, যার উপর তারা নিশ্চিন্তে আস্থা রাখতে পারে।
এই ব্যাপারগুলো নিশ্চিত করতেই আপনাকে আশ্রয় নিতে হবে সামান্য পলিটিকসের, অর্থাৎ আপনার প্রতিটি কথা ও কাজ হতে পারে বিবেচনাপ্রসূত, সুকৌশলী, সর্বোপরি ভরসাযোগ্য।
ফ্রলিংগার বলেন,
“আপনাকে একজন নেতা হয়ে উঠতে হবে। আপনাকে হতে হবে এমন কেউ যাকে পছন্দ করে সবাই: আপনার সমস্তরের মানুষেরা, আপনার উপরের স্তরের মানুষেরা, এবং আপনার নিচের স্তরের মানুষেরা। যখন আপনি কর্মক্ষেত্রে কাজের মূল্যায়নে যাবেন, একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে– যে মানুষকে সবাই পছন্দ করে, তাদের রেটিংই বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, এমনকি তাদের কাজের গুণগতমান অন্যদের সমান হওয়া সত্ত্বেও।”
আর এই কথাগুলোর মাঝেই লুকায়িত রয়েছে জীবনের এক চরম অন্যায্য সত্য: আপনার ও আপনার একজন সহকর্মীর হয়তো সমান দক্ষতা ও কাজের সততা রয়েছে, তারপরও সে যদি আপনার চেয়ে বেশি সময় কাটায় বন্ধু তৈরি করতে, আশেপাশের মানুষকে প্রভাবিত করতে, তবে কর্মক্ষেত্রে তাদের সাফল্যের পরিমাণই হবে বেশি। কারণ হাজার হোক, বসেরাও তো মানুষ, এবং যেকোনো মানুষেরই সহজাত প্রবৃত্তি হলো সেসব মানুষের পক্ষ নেয়া, যাদেরকে সে পছন্দ করে।
অবশ্য কর্মক্ষেত্রে নিজেদের ‘পলিটিক্যাল ক্যাপিটাল’ বৃদ্ধি করা খুব কঠিন কাজ নয়। কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলে অনায়াসে অফিসে সকলের প্রিয় সদস্য হয়ে ওঠা সম্ভব। ফ্রলিংগারের মতে,
“অফিসে গিয়ে শুধু কাজের কথাই চিন্তা না করে, আপনাকে এ-ও চিন্তা করতে হবে যে কীভাবে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি দেখতে পারেন, আপনাদের দুজনের অভিন্ন শখ বা আগ্রহের বিষয় রয়েছে। সেই অনুযায়ী আপনি শুরু করতে পারেন আলাপচারিতা। যেমন কারো যদি বাগান করার শখ থাকে, তার সঙ্গে প্রায়ই মেতে উঠতে পারেন এ বিষয়ক আলোচনায়। মাঝেমধ্যে তাকে পাঠাতে পারেন বাগান করা বিষয়ক দু-একটি আর্টিকেলের লিংক। এই কাজগুলো কিন্তু খুবই সহজ, অথচ এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী।”
আপনি হয়তো বলতে পারেন, এই বিষয়গুলো তো স্পষ্টত ম্যানিপুলেশন। হ্যাঁ, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এ ধরনের ম্যানিপুলেশনে কি কারো কোনো ক্ষতি হচ্ছে? যদি না হয়, তবে নিজের উন্নতির স্বার্থে এ ধরনের কাজ আপনি করতেই পারেন।
অবশ্য কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সকলের সঙ্গেই আপনি ঠিক একইভাবে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করবেন, তা কিন্তু সম্ভব নয়। আপনার কোনো সহকর্মী বা বস হয়তো সামাজিকতা রক্ষার চেয়ে নিজের কাজে ডুবে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। তার সাথে আপনি যদি আগ বাড়িয়ে অহেতুক কথা বলতে চান বারবার, তবে আপনার উপর তার নাখোশ হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। ফলে কে কেমন, তা আপনাকে আগেভাবে গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যাচাই করে নিতে হবে। নিজের ব্যক্তিত্ব জোর করে কারো উপর চাপিয়ে দেয়া চলবে না।
পরিশেষে ফ্রলিংগারের এই কথা মাথায় রাখতে হবে,
“আপনি নিজে যদি আপনার ক্যারিয়ারের যত্ন না নেন, অন্য কেউই তা নেবে না।”