মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান দুনিয়ার পরাশক্তি। অনেকের কাছে স্বপ্নের দেশ। সে দেশে হুমায়ূন আহমেদ তার জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন। নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সুবাদে একটানা দীর্ঘ সাত বছর ফার্গো শহরে বাস করেছেন সপরিবারে। এসবের বাইরেও নানা সময় নানা উপলক্ষে তিনি আমেরিকা গিয়েছেন, থেকেছেন। এমনকি তার জীবনের শেষ দিনগুলোও সেখানেই কাটিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। দেশ হিসেবে আমেরিকার অবস্থা, মার্কিনীদের যাপিত জীবন, তাদের চিন্তা-ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি, কর্মমুখরতা এসব নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ তার অনেক বইতে লেখালেখি করেছেন। তবে স্পষ্টভাবে এসব পাওয়া যায় তার ট্রাভেলগগুলোতে। সেসব নিয়েই অল্প-বিস্তর আলোচনা হবে আজ।
সত্তরের দশকের শেষে হুমায়ূন আহমেদ স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করতে যান যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথমে তিনি ওঠেন হোটেল গ্রেভার ইনে। নর্থ ডাকোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচেই সেখানে থাকতেন। পরিচিত কেউ সেখানে ছিল না, এমনকি কোনো বাংলাদেশিও নয়। মার্কিন উচ্চারণের ইংরেজিতে প্রাথমিক অবস্থায় তিনি অতটা সাবলীল ছিলেন না। তার উপরে টাকা-পয়সার টানাটানি ছিল। সে মুহূর্তে তার মনে হচ্ছিল, সবকিছু ছেড়েছুড়ে দেশে চলে আসবেন।
ধীরে ধীরে ফার্গো শহর তার ভালো লাগতে শুরু করে। সেই গল্পটাও বেশ মজার। প্রতি রাতে একই রেস্টুরেন্টে একই ফ্রেঞ্চ টোস্ট দিয়ে তিনি ডিনার করতেন। খাবারটা যে খুব ভালো ছিল, তা নয়। তবুও তিনি একই খাবার খেতেন, একই চেয়ার-টেবিলে বসতেন। তার এই দুর্দশায় এগিয়ে আসে রেস্টুরেন্টের ওয়েট্রেসরা। তারা এক রাতে কোনো কিছু না জানিয়ে নিজেদের খরচে লেখকের জন্য দামী ও ভালো ডিনারের ব্যবস্থা করে। এ ঘটনা হুমায়ূন আহমেদের মনোজগত বদলে দেয়, তিনি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকেন।
মার্কিনীরা ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সাবালক হলে সন্তানেরা বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হয়ে যায়। অনেক সময় শিশুকালে বাবা-মা সন্তানকে আলাদা করে দেয়। আমেরিকান পুরুষরা মানিব্যাগে বৌয়ের ছবি রাখে। সঙ্গীবদল হওয়া সেখানে এমন কোনো বড় ঘটনা নয়। সঙ্গীবদল হলে ছবিও বদলায়। ব্যক্তিস্বাধীনতার সোনার হরিণ খুঁজতে গিয়ে তারা সঙ্গী, সন্তান, পরিবার, আত্মীয়, পরিজন, বন্ধু সবাইকে দূরে ঠেলে দেয়। বৃদ্ধাবস্থায় নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করে। মৃত্যুর পর দেখা যায় সকল সম্পত্তি প্রিয় কুকুর বা বিড়ালের নামে উইল করে দিয়ে গেছে। হোটেল গ্রেভার ইনে এরকমই এক বৃদ্ধা লেখকের পাশের কামরায় থাকতেন। আমেরিকান বৃদ্ধরা ওল্ডহোমের পরিবর্তে হোটেলে থাকতে ভালোবাসেন।
লেখকের মা আয়েশা ফয়েজ একবার মার্কিন কবরস্থান দেখে অভিভূত হন। তিনি কবরবাসীর জন্য কবরের সামনে দাঁড়িয়ে দোয়া কালাম, অজিফা পাঠ করে প্রার্থনা করতেন। একসময় জানা গেল, সেটা কুকুর, বিড়ালের কবরস্থান।
অনেকটা কাছাকাছি রকম ঘটনা ঘটে লেখক ও তার তৎকালীন স্ত্রী গুলতেকিন খানের বেলায়। কবরস্থানের প্রতিটি কবরে প্রতিদিন তাজা ফুল দেখে তারাও অভিভূত হয়ে যান। মৃত স্বজনের জন্য মার্কিনীদের এত ভালোবাসা তাদেরকে চমকে দেয়। একসময় জানা যায়, ঘটনা অন্য কিছু। কবরে রাখা সমস্ত ফুল নকল হলেও আসল ফুলের মতো করে তৈরি, দেখে বোঝার উপায় নেই। বছরে একবার মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুল রেখে যাওয়া হয়, আর সারা বছর তাজা ফুলের মতোই ভালোবাসা (!) বিলায়।
“আই লাভ ইউ- কথাটি একজন আমেরিকান তার সমস্ত জীবনে কত লক্ষবার ব্যবহার করে তা আমার জানতে ইচ্ছে করে। এই বাক্যটির আদৌ কোনো অর্থ তাদের কাছে আছে?”
এই প্রশ্ন রেখেছেন হুমায়ূন আহমেদ।
মার্কিনীদের রসবোধও প্রবল। ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে তাদের মাতামাতি লক্ষণীয়। হোটেল গ্রেভার ইনের ৩০৯ নম্বর কক্ষে একজন ভূত থাকে, এরকম একটা কথা হোটেলের তথ্য পুস্তিকাতে লিখে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। সেই কক্ষ বছরের পর বছর খালি থাকে, তবে প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয়, নতুন বিছানার চাদর দেয়া হয়, বাথরুমে দেয়া হয় নতুন সাবান ও টুথপেস্ট!
আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতি বছর ‘হোম কামিং’ উৎসব হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সেরা সুন্দরীকে হোম কামিং রানী ঘোষণা করে হৈচৈ, আনন্দ মিছিল হয়। লেখকের পিএইচডির প্রথম বর্ষে এরকম উৎসবে সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে নিয়ে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা একদিন কিসিং বুথ তৈরী করে। প্রতি ডলারে একটি চুমু, জড়িয়ে ধরা যাবে না, ডলার ক্যাশ দিতে হবে- এরকম নিয়ম-কানুন ছিল।
চুমু নিয়ে আরেকটি মজার ঘটনা ঘটে লেখকের একই বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার সময়ে। ম্যারাথন কিস। লম্বা সময় চুমু খেয়ে গিনেস বুকে রেকর্ড করার ঘটনা। যে ছেলে রেকর্ড করতে চেয়েছিল, তার বাবা-মাও উৎসাহ দিতে হাজির হয়েছিলেন।
আমেরিকায় পূর্বদেশীয় ভদ্রতা অচল। তারা সোজা-সাপ্টা কথা বলতে ও শুনতে পছন্দ করে। কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নামে নাম রাখার প্রবণতা আছে। আমেরিকানদের ইংরেজি বোঝা যায়, ব্রিটিশদেরটা যায় না। তারা অর্ধেক কথা রাখে পেটে। লেখকের অভিজ্ঞতা ঝুলিতে এসবও আছে।
লেখক তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুষারপাতের মধ্যে বাসায় আসার পথে চড়ুই পাখি সদৃশ একটি আহত পাখি খুঁজে পান। যত্ন করে সেটিকে বাসায় নিয়ে আসেন। গুলতেকিন পাখির জন্য কার্ডবোর্ডের বাসা তৈরি করে দেন, খাবার দেন। প্রতিবেশীর মাধ্যমে এ খবর চলে যায় সেখানকার পশুপাখি ক্লেশ নিবারণ সমিতির কাছে। তারা লোক পাঠিয়ে একে পশুদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভাঙা ডানার অপারেশন করে সারিয়ে তোলে। পাখির অবস্থার আদ্যােপান্ত টেলিফোনে লেখককে বারবার জানাতে থাকে, এতে তিনি যারপরনাই বিরক্ত হলেও মুখে হাসি হাসি ভাব ধরে রাখেন। একসময় পশুপাখি ক্লেশ নিবারণ সমিতি পাখিটিকে ওয়াশিংটনের সিয়াটলে সঙ্গী-সাথীদের কাছে ছেড়ে দিয়ে আসে।
আহত পাখিদের জন্য আমেরিকানদের এত ভালোবাসা, আবার একই মার্কিনিরা হিরোশিমা-নাগাসাকিকে অ্যাটম বোমে নিঃশেষ করে দেয়, নিঃশেষ করে ইরাক, আফগানিস্তান। তাদের চরিত্রের এই বৈপরীত্য লেখককে ভাবায়।
আমেরিকানদের স্ক্রু ড্রাইভার প্রীতি আছে। তারা কোনো যন্ত্রপাতি কাজ না করলে প্রথম ধাক্কায় যন্ত্রটা স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুলে ফেলে, যন্ত্রটার কার্যকারণ না জানলেও তারা এটি করে। আর বাঙালির আছে যন্ত্রভীতি। ছোটবেলায় যন্ত্রে হাত দিতে গিয়ে বাবা-মার নিষেধ শুনতে হয়, বড় হলেও মনের মধ্যে এ নিষেধাজ্ঞা থেকে যায়। যার দরুন বিদ্যুতের ফিউজ কেটে গেলেও আমরা সুইচ ধরতে ভয় পাই।
আমেরিকান পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। ৬০ পৃষ্ঠার মাঝে ৪৫ পৃষ্ঠাই বিজ্ঞাপন। তার মাঝে ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনই বেশি। সম্পাদকীয় কেউ পড়ে না বলে অনেক কাগজে এসব ছাপাও হয় না। এক পৃষ্ঠা থাকে রসিকতার জন্য বরাদ্দ। দেখা যায়, পুরো পত্রিকা কেউ না পড়লেও রসিকতার পৃষ্ঠা পড়া হতে বাদ যায় না।
আমেরিকায় সব কিছু নির্ধারিত দামে পাওয়া যায়। দরদাম করে নষ্ট করার মতো সময় তাদের নেই। দর কষাকষির পদ্ধতি সম্পূর্ণ প্রাচ্য দেশীয়।
লেখকের মতে, আমেরিকান যেসব ছেলে-মেয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট পড়তে আসে, তারা গাধা টাইপের। কাজ করে খাওয়ার জন্য ইন্টারমিডিয়েট পড়াশোনাই যথেষ্ট। মার্কিন ছেলেদের লক্ষ্য থাকে মিলিয়নেয়ার হওয়া, আর মেয়েদের লক্ষ্য চিয়ারলিডার হওয়া বা ধনী সঙ্গী খুঁজে পাওয়া। লেখকের ভাষ্যমতে,
“এই অতি সভ্য দেশে আমি দেখি, মেয়েদের কোনো সম্মান নেই। একজন মহিলাকে তারা দেখবে একজন উইম্যান হিসেবেই। একটি মেয়ের যে মাতৃরূপ আছে, যা আমরা সবসময় দেখি, তারা তা দেখে না। একটি মেয়ে শারীরিকভাবে যতদিন পর্যন্ত আকর্ষণীয়, ততদিনই তার কদর।”
আমেরিকানরা সরাসরি কথা বলে, সহজ-সরল কথাবার্তা তাদের কাছে ‘ফান’ মনে হয়। আমেরিকার সিবিসি টিভি চ্যানেলের ডেভিড লুটারম্যান শো-তে আমেরিকায় বসবাসরত দুই বাংলাদেশিকে নিয়ে আসা হয়, তাদের ইংরেজি উচ্চারণ আমেরিকানদের মতো নয়, কথাবার্তাও সোজাসাপ্টা। এসব দেখে আমেরিকানরা হেসে গড়াগড়ি খায় আর বাংলাদেশি কমিউনিটি অপমানিত বোধ করে। অষ্টম বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকা সম্মেলনে লেখককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন,
“আমেরিকানরা যখন বাংলা শেখে, বাংলা বলে- আমাদের চেয়ে বেশি ভুলভাল বলে। তাতে যদি তাদের অপমান না হয়, আমাদের হবে কেন?”
আমেরিকায় যখন-তখন চাকরি চলে যাওয়ার অনিশ্চয়তা থাকে। এটাকে মানুষজন স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে। তারা বিদেশীদের নাম সঠিক উচ্চারণে বলে না বা বলতে চায় না। হংকংবাসী এ সমস্যার সমাধানে চীনা নামের পাশাপাশি আমেরিকায় থাকাকালীন একটি ইংরেজি নাম নিয়ে নেয়। নামের বিষয়টি লেখক বেশ সিরিয়াসলি নিয়েছিলেন, কারণ তাকে প্রতিনিয়ত ‘হামেন’, ‘হিউমেন’ এসব নামে ডাকা হতো। তিনি এসব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি পত্রিকায় লেখালেখিও করেন। তার যুক্তি ছিল, আমেরিকানরা ইচ্ছে করে ভুল উচ্চারণ করে। কপালে জোটে ‘মাথা খারাপ’ খেতাব। তবে তার দেশে ফিরে আসার দিন পিএইচডি-র কোর্স কো-অর্ডিনেটর তাকে সঠিক উচ্চারণের নামে ডেকে অবাক করে দেন।
আমেরিকাতে লেখকের দ্বিতীয় কন্যা শীলা আহমেদের জন্ম হয়। তখন সেখানে প্রচণ্ড শীতকাল, তুষারপাতে রাস্তাঘাট ঢাকা, জরুরি দরকার ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। এমন আবহাওয়ায় ভোরবেলা লেখকের গুলতেকিনের প্রসববেদনা উঠল। লেখক তাকে নিয়ে উল্কার গতিতে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। আমেরিকার হাসপাতালের নিয়মানুযায়ী প্রসবকালে বাচ্চার বাবাকে অপারেশন থিয়েটারে থাকতে হয়, হবু মাকে সাহস দিতে হয়। হুমায়ূন আহমেদ নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওটিতে গেলেন। স্ত্রীর হাত ধরে নতুন শিশুর আগমনের প্রতীক্ষা করছেন। অপেক্ষার অবসান হলো, জন্ম হলো ফুটফুটে কন্যাসন্তানের। এরপরের ঘটনা লেখকের মুখেই শোনা যাক।
“গুলতেকিন ক্লান্ত গলায় বলল, তুমি চুপ করে আছ কেন, আজান দাও। বাচ্চার কানে আল্লাহর নাম শোনাতে হয়।
আমি আমার ফুসফুসের সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করে বললাম, আল্লাহু আকবার…।
নার্সের হাতে একটা ট্রে ছিল। ভয় পেয়ে সে ট্রে ফেলে দিল। ডাক্তার আমার দিকে তীক্ষ্ণ গলায় বললেন, What is happening?”
যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক লেখক সম্মেলনে হুমায়ূন আহমেদ এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে এ কাহিনী বলার পর শ্রীলঙ্কার কবি জেনের চোখ ছলছল করে ওঠে। তিনি ঘোষণা দেন, এ ঘটনা নিয়ে কবিতা না লিখলে তিনি শান্তি পাবেন না। কবিতাটি তিনি হুমায়ূন আহমেদকে উৎসর্গ করেন, কবিতার নাম Desh। কবিতার প্রথম কয়েক লাইন-
Beside your wife’s bed awaiting the birth
of your child you uttered the name of God
Many times
Allah-U-Akbar
লেখক আমেরিকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের তিনভাগে ভাগ করেছেন। প্রথমভাগে আছে দেশের সেরা সন্তানেরা। এরা পিএইচডি করতে আমেরিকা গিয়ে আর ফেরেননি। সেখানে বাড়ি গাড়ি সবই করেছেন, আমেরিকার মূল স্রোতে মিশে গেছেন। দ্বিতীয় দলে আছেন অবৈধ বাংলাদেশিরা, এরা দেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, অবৈধ হওয়ায় ভিসা, পাসপোর্ট পান না। ছুটিছাটায় একজোট হয়ে ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে ইলিশ মাছ কিনে ভেজে খান আর দেশ নিয়ে নস্টালজিক হন। শেষ ধাপে আছেন, ওপি ওয়ান বাংলাদেশিরা। এ দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে রিকশাওয়ালা সবাই আছেন। এরা বৈধ নাগরিক। ফরম ফিলআপ করে লটারি পেয়ে আমেরিকা এসেছেন। পরিশ্রম করে টিকে আছেন, আয়-রোজগার করছেন। দেশ নিয়ে এদের আগ্রহটা বেশি। লেখককে পেয়ে নানা প্রশ্ন তারা করছেন, যেমন…
টিভিতে এখন ধারাবাহিক নাটক কী হচ্ছে?
দেশে এখন চালের দর কত?
এবার নাকি ফসল ভালো হয়েছে?
লেখকের ভাষায়,
“আমার এত ভালো লাগল। বাংলাদেশ তারা পেছনে ফেলে আসেনি। রুমালে বেঁধে পকেটে করে নিয়ে এসেছে। রুমাল খুলে দেশকে তারা দেখে, মাঝে মাঝে সেই রুমালে চোখ মোছে।”
[হুমায়ূন আহমেদের বই কিনতে ভিজিট করুন রকমারিতে। লেখকের বইগুলো দেখতে ক্লিক করুন এখানে।]