আশির দশকের শেষভাগে যখন নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে জার্মানিতে বার্লিন দেয়ালের পতন ঘটে, শাসনতন্ত্র হিসেবে কমিউনিজমের পতন তখনই অনেকটা সুনিশ্চিত হয়ে যায়। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন তখন ছিল কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকতা, শাসনতন্ত্র হিসেবে কমিউনিজমের পতন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর পৃথিবী জুড়ে গণতন্ত্রের ঢেউ বয়ে যায়, আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্যামুয়েল পি. হান্টিংটনের মতে এটি ছিল গণতন্ত্রায়নের তৃতীয় ঢেউ।
এই সময়ের ব্যপ্তি ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। এই সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের স্বৈরশাসকদের পতন ঘটে, সামরিক শাসনের গ্রহণযোগ্যতা হঠাৎ করেই অনেক কমে যায়, বিদ্যমান রাজতন্ত্রগুলোর ক্ষমতা সংকুচিত হওয়ার পথও তৈরি হয়। বিভিন্ন দেশে শুরু হয় গণতন্ত্রায়নের প্রক্রিয়া।
এর মধ্যে গণতন্ত্রের অনেকগুলো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ঠ্য গড়ে ওঠে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, তাত্ত্বিক দিক থেকে গণতন্ত্রের বিভিন্ন প্রকার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই আলোচনা মূলত শাসনব্যবস্থা, তথা গণতন্ত্রের প্রয়োগের ক্ষেত্রটি জুড়ে ছিল।
পরিবর্তনশীল সমাজ
মধ্যযুগের পুরোটাই ছিল সাম্রাজ্যবাদের যুগ। জাতিরাষ্ট্রের যুগ শুরু হয় আটলান্টিক রেভ্যলুশনের মাধ্যমে, যার প্রেক্ষাপট তৈরি হয় ইউরোপের রেনেসাঁর মাধ্যমে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে আটলান্টিক রেভ্যলুশন হলেও, উনবিংশ আর বিংশ শতাব্দীর শুরুর ভাগেও ছিল উপনিবেশ শাসন, ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর প্রভাব। মোটাদাগে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এশিয়াতে বিউপনিবেশায়ন শুরু হয়, আফ্রিকাতে বিউপনিবেশায়ন শুরু হয় আরো এক দশক পর। বিউপনিবেশায়নের ফলে, এশিয়া আর আফ্রিকাতে প্রায় শতাধিক জাতিরাষ্ট্রের জন্ম হয়।
বিউপনিবেশায়ন হওয়া এসব সমাজে একদিকে পুরোদমে চলছে আধুনিকায়ন, অন্যদিকে উপস্থিতি রয়েছে সমাজের রক্ষণশীল কাঠামোর। এসব দেশে স্বাধীনতার পর মোটাদাগে স্বৈরশাসন চললেও, গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের পরবর্তী সময়ে এখানে গণতন্ত্রায়ন শুরু হয়। দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, রাজনৈতিক অবতারবাদ, সংঘাতপ্রবণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি, জবাবদিহিতার অভাব, দুর্নীতি এসব দেশের গণতন্ত্রকে ভঙ্গুর কাঠামোতে পরিণত করেছে।
প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন এসব সমাজকে আখ্যায়িত করেছেন ‘পরিবর্তনশীল সমাজ’ হিসেবে। উপস্থাপনার সুবিধার্ধে এই লেখায় ‘পরিবর্তনশীল সমাজ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবর্তনশীল রাষ্ট্র’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
গণতান্ত্রিক কাঠামোর বৈশিষ্ট্য
গণতন্ত্রের বিভিন্ন ঘরানার আর বৈশিষ্ট্যমন্ডিত কাঠামোগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য কাঠামো হচ্ছে উদার গণতান্ত্রিক কাঠামো। উদার গণতান্ত্রিক কাঠামোতে নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়, নাগরিকদের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়, নাগরিকদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষিত হয়, নাগরিকেরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা উপভোগ করে, রাজনৈতিক দল তৈরিতে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা উপভোগ করে, সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের নিশ্চয়তা পায়, সাংবিধানিক শাসনের নিশ্চয়তা পায়, নিশ্চয়তা পায় সুষ্ঠু নির্বাচনের। উদার গণতন্ত্রের মধ্যে কতিপয়ের শাসন থাকে না, থাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ্যের মতের আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সংস্কৃতি।
উদার গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে আইনের শাসন নিশ্চিত করা হয়, রাষ্ট্রের আদর্শ হুয় সেক্যুলার, সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করে নাগরিকদের প্রতি, কার্যকর বিরোধী দলের উপস্থিতি থাকে, শাসনতন্ত্রে থাকে স্বচ্ছতা। রাজনৈতিকভাবে এবং তাত্ত্বিকভাবে উদার গণতন্ত্র অত্যন্ত সফল হলেও, গত কয়েক দশকের শাসনতান্ত্রিক অভিজ্ঞতা এই গণতান্ত্রিক কাঠামোর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার প্রকাশ ঘটেছে। এই লেখায় সেই সীমাবদ্ধতাগুলো নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পরিবর্তনশীল রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের সীমাবদ্ধতা
গণতন্ত্রের জয়জয়কারের যুগে বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে জয়জয়কার চলছে উদার গণতান্ত্রিক কাঠামোর। দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিতামূলক এই শাসনতান্ত্রিক কাঠামো সাধারণত প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারব্যবস্থায় প্রয়োগ করা হয়। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এই রাজনৈতিক কাঠামোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের মনোপলি
গণতান্ত্রিক কাঠামোতে এখন পর্যন্ত মানের চেয়ে সংখ্যাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি তৃতীয় বিশ্বের যেসব দেশে নতুন গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিকাশ ঘটছে, সেগুলোতে সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজত্ব তৈরি করছে। অধিকাংশ নাগরিক সুবিধা তাই চলে যাচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক গ্রুপের দিকে, ভোটের রাজনীতির কারণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও সকলের জনপ্রতিনিধি না হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের রাজনৈতিক স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এই রাজনৈতিক সংকীর্ণতার উত্থানের ফলে গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তিগুলো বাধাগ্রস্থ হচ্ছে, সকল নাগরিকের জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের নিরঙ্কুশ রাজনীতি অধিকাংশ পরিবর্তনশীল রাষ্ট্রেই সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে, সংখ্যালঘুদের নাগরিক সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত করে। ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রোপ্যাগান্ডা চালানো হয়, উসকে দেওয়া হয় সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে সংঘাত তৈরিকে।
রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণে বাধা
সংখ্যাগরিষ্ঠের পরিচয় বিভিন্ন পরিচয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে। যেমন- অঞ্চলগত পরিচয়, নৃ-তত্ত্ব, জাতিগত পরিচয়, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ইত্যাদি। এর মধ্যে, উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর ধর্মনিরপেক্ষ প্রকৃতির প্রতি হুমকি হয়ে উঠছে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দলগুলো। এরা বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলোকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে, উদার গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলোকে ঠেলে দেয় অনুদার গণতান্ত্রিক কাঠামোর দিকে।
একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোতে সকল নাগরিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার অধিকার রাখেন, নিজের পছন্দমতো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হতে পারেন, প্রয়োজনবোধে নিজে রাজনৈতিক দল তৈরি করতে পারেন। পরিবর্তনশীল রাষ্ট্রগুলোতে সাধারণভাবে এই অধিকারগুলো নাগরিকেরা উপভোগ করেন না। বরং, সংখ্যাগরিষ্ঠের বা সরকারে থাকা দলের বাইরে অন্য দলকে সমর্থন করলে সেটি নেতিবাচকভাবে দেখে সরকার, অনেক সময় চালায় রাজনৈতিক নিপীড়ন। সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক স্বার্থকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত দলকে অনেক সময়ই আখ্যায়িত করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে।
আমলানির্ভর সরকার
পরিবর্তনশীল রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলোতে সরকারের নিয়মিত পরিবর্তন হয়, অনেক সময়ই অনভিজ্ঞ রাজনীতিবিদেরা জনপ্রতিনিধির অফিস চালাতে গিয়ে আমলাতন্ত্রের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এই সুযোগে আমলারা বিপুল প্রশাসনিক ক্ষমতার চর্চা করেন, জনপ্রতিনিধির ক্ষমতাকে ব্যবহার করে আমলারাই হয়ে ওঠেন প্রকৃত শাসক। এই প্রক্রিয়া এত সূক্ষ্ম হয় যে, এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের কোনো সময়ই জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হয় না।
আমলাতন্ত্রের অধিক ক্ষমতায়নের ফলে অনেক সময়ই পরিবর্তনশীল রাষ্ট্রগুলোতে একটি বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়ায় আমলাদের ইচ্ছামতো সরকার ক্ষমতায় আসে, নিজেদের পছন্দমতো রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনতে গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোগুলোকে অনেক সময় ব্যবহার করে। এই আমলাতন্ত্র সামরিক আমলাতন্ত্র হতে পারে, হতে পারে বেসামরিক আমলাতন্ত্র।
উন্নয়নকেন্দ্রিক পরীক্ষানিরীক্ষা
গণতান্ত্রিক সরকারগুলো সাধারণত অনেক বেশি পরীক্ষানিরীক্ষা করে বিভিন্ন শাসনতান্ত্রিক ইস্যুতে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যাপারগুলোতে। আবার, গণতান্ত্রিক কাঠামোর শাসকেরা চান নাগরিকদের সর্বোচ্চ নাগরিক সুবিধাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে, কিংবা ন্যূনতম নাগরিকদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষা করতে। ফলে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধার সরবরাহপ্রক্রিয়া নিয়ে তারা প্রায়ই পরীক্ষানিরীক্ষা করতে চান। শাসকদের এই পরীক্ষানিরীক্ষা করতে চাওয়ার প্রবণতা উদার গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলোতে শাসনতান্ত্রিক ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। অধিক শাসনতান্ত্রিক ব্যয় নাগরিকদের উপর আরোপ করে অধিক করের বোঝা, তুলনামূলকভাবে ফলাফল প্রাপ্তি হয় কম।
সরকারের সংঘাতপূর্ণ বদল
পরিবর্তনশীল রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে সরকারের ক্ষুদ্র ভুলগুলোও অনেক সময়ই নৈতিক জায়গা থেকে নাগরিকেরা বেশ বড় করে দেখেন, গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন স্বার্থের সংঘাতের ধারণা। ফলে, প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারে না, নিয়মিতভাবে বদল হয় সরকারপ্রধান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা। ফলে সরকারের মধ্যে অনেক সময়ই একটি অস্থিতিশীল ভাব তৈরি হয়, সরকারের দক্ষতায় ঘাটতি তৈরি হয়, ঘাটতি তৈরি হয় ধারাবাহিকতায়।
পরিবর্তনশীল রাষ্ট্রগুলো অনেক সময় বড় শক্তিগুলোর তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হয়। কোনো স্বাধীনচেতা রাজনৈতিক নেতৃত্বের উত্থান ঘটলে, অনেক সময়ই বড় রাজনৈতিক শক্তিগুলোও সরকারকে ধসিয়ে দেয় বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং কনসেন্ট ম্যানুফেকচারিং এর মাধ্যমে।
জনতুষ্টিবাদের উত্থান
গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলোর মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনৈতিক হিসাবকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে জনতুষ্টিবাদের উত্থান ঘটছে। নব্বইয়ের দশকের পরবর্তী সময় থেকে জনতুষ্টিবাদীদের উত্থানের দুটি ঢেউ দেখা গেছে। এর প্রথমটি ঘটে নব্বইয়ের দশকের একেবারে শেষদিকে এশিয়ার অর্থনৈতিক ক্রান্তিকালের সময়, দ্বিতীয় ঢেউটি এই শতাব্দীর প্রথম দশকেই, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্রান্তিকালের পরবর্তী সময়ে। প্রথম ঢেউয়ে কেবল অপরিণত গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলো প্রভাবিত হলেও, দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়েছে পৃথিবির সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতে, পড়েছে গণতান্ত্রিক বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী দেশ ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকাতেও। ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই উদার সেক্যুলার রাজনীতির দেশ, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে উদার গণতন্ত্রের চর্চা করলেও জনতুষ্টিবাদী রাজনীতিবিদদের উত্থানকে সামাজিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারেনি।
জনতুষ্টিবাদের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে লাতিন আমেরিকাতে। প্রায় প্রতিটি দেশেই উত্থান ঘটেছে জনতুষ্টিবাদী রাজনৈতিক নেতৃত্বের, এসেছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এদের পাশাপাশি জনতুষ্টিবাদী রাজনৈতিক নেতৃত্বের উত্থান ঘটেছে ইউরোপেও। ইউরোপ কিংবা আমেরিকা, এর কোনোটিই পরিবর্তনশীল সমাজের অন্তর্ভুক্ত না। তবে, ইউরোপ আর আমেরিকার নাজুক অবস্থা পরিবর্তনশীল রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।
কতিপয়তন্ত্রের বিকাশ
গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে সরকারের জন্য জনমত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে, সরকার টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে। সরকারকে জনমত ধরে রাখতে হলে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য দেখাতে হয়। এই অর্থনৈতিক সাফল্য দেখাতে গিয়ে পরিবর্তনশীল রাষ্ট্রগুলোকে ব্যবসায়ী শ্রেণিকে সুবিধা দিতে হয়, পুঁজিবাদী বাজার ব্যবস্থায় বাজারের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ কম থাকায় ব্যবসায়ীরাও বিভিন্নভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হয়ে ওঠে। কর্তৃত্ববাদী শাসক কালোবাজারির মতো ইস্যুগুলো যেভাবে মোকাবেলা করতে পারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে, উদার গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলোর জন্য সেই একই প্রক্রিয়ায় কাজ করা কঠিন।