ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন? তিনি ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি মূলত রোমান্টিক কাব্য লিখে গেছেন। ইংরেজ কবি এবং গ্রিক এই বীর মাত্র এক রাতের ব্যবধানে অখ্যাত থেকে বিখ্যাত কবি বনে যান। তার বিখ্যাত কবিতা ‘চাইল্ড হ্যারল্ড’স পিলগ্রিমেজ’ প্রকাশ হওয়ার পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে বিখ্যাত কবি হিসেবে আবিষ্কার করেন। তার নাম অল্প কয়েকদিনের মধ্যে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক হয়তো ভাবছেন মহুয়া মৈত্রের সাথে লর্ড বায়রনের এই ঘটনার মিল কোথায়? মিল তো অবশ্যই রয়েছে। ভারতে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন মহুয়া মৈত্র। সাংসদ নির্বাচনের পরও তার পরিচিতি ছিল শুধুমাত্র নিজ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু একটি মাত্র ভাষণ তাকে ভারতজুড়ে পরিচিতি এনে দিয়েছে। কী ছিল তার সেই সারা জাগানো ভাষণে?
মহুয়া যেদিন লোকসভায় বক্তব্য রাখেন সেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। সাধারণত লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী যেদিন ভাষণ দেন সেদিন অন্য সাংসদদের বক্তব্য গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। সে কারণে এ বছরের ২৫ জুন তৃণমূল কংগ্রেস ভাষণের জন্য মহুয়া মৈত্রকে ঠিক করে। তিনি দলের শিক্ষিত ও যোগ্য শাসকদের একজন। মহুয়া তার বক্তব্য শুরু করেন ভারতের বহুত্ববাদ দিয়ে। এরপর তার ১০ মিনিট ২১ সেকেন্ডের বক্তব্যের পুরোটা বিজেপিকে বাকরুদ্ধ করেছে, বিদ্ধ করেছে তীব্র বাক্যবাণে। ইংরেজি, উর্দু ও হিন্দিতে দেওয়া তার সেই বক্তব্যের প্রতিটি শব্দ ছিল স্ফুলিঙ্গের মতো। লোকসভায় বিজেপির প্রায় তিন শতাধিক সাংসদ চেষ্টা করেছিলেন তাকে থামানোর। কিন্তু মহুয়ার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দে কম্পিত হয়েছে পুরো লোকসভা। সেই কম্পন বয়ে গেছে বিজেপির প্রত্যেক সাংসদের ভেতর দিয়ে। তারা ভাবতে পারেননি একজন নারীর প্রতিবাদের ভাষা এতটা কঠোর হতে পারে। গত মেয়াদে সবক’টি বিরোধী দল যা করতে পারেনি একজন মহুয়া মৈত্র একাই সেটা করে দেখান। বিজেপিসহ পুরো ভারতকে নাড়িয়ে দেন মিনিট দশেকের এক বক্তব্যে।
বিজেপি সাংসদরা যখন হট্টগোল করছিলেন তখন তিনি চোখ কান খোলা রেখে তার বক্তব্য শুনতে বলেন। স্পিকারকে বারবার পরিবেশ শান্ত করার কথা বলেন। হট্টগোলের মধ্যেও তিনি নিজের খেই না হারিয়ে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বক্তব্য দিতে থাকেন। তিনি পুরো ভারতবর্ষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন কীভাবে ফ্যাসিবাদী সরকারের উত্থান ঘটে। কীভাবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতীয় লোকসভা বিজেপির নিয়ন্ত্রণে। সেখানে প্রায় প্রতিদিনই তাদের উল্লাস চলে। কিন্তু সকল উল্লাস থামানোর জন্য যে একটি কণ্ঠই যথেষ্ট, মহুয়া মৈত্র তার প্রমাণ। নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদও কত তীব্র হতে পারে সেটা এই ভাষণ আরো একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। মহুয়ার ভাষণের শুরুটা যেমন ছিল চমৎকার, শেষটাও ঠিক তেমনই ছিল। তিনি তার বক্তব্যে আসামের নাগরিক পঞ্জি নিয়ে বলেন,
যেখানে সিনিয়র সাংসদরা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র দেখাতে পারেন না, সেখানে গরীব কৃষক কীভাবে পুরনো নাগরিক সনদ দেখাবেন।
তার এই কথার পরপরই বিজেপির সাংসদরা যখন তুমুল হইচই শুরু করেন, তখন তিনি উর্দু কবি রাহাত ইন্দোরির কবিতা উদ্ধৃত করে বলেন,
সভি কা খুন হ্যায় শামিল য়াহাঁ কি মিট্টি মে—
কিসি কা বাপ কা হিন্দোস্তান থোড়ি হ্যায়।’অর্থাৎ
‘সবার রক্ত মিশে আছে এখানকার মাটিতে—
এ তো কারও বাপের হিন্দুস্তান নয়।’
সেদিনই তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ ভারতীয়দের কাছে তার এই ভাষণ প্রশংসা কুঁড়ায়। সংবাদমাধ্যম তার ভাষণের চুলচেরা বিশ্লেষণে নামে। মহুয়াকে এনে দেয় জাতীয় রাজনীতিবিদের খ্যাতি। সমগ্র ভারতবর্ষ তাকে এখন চেনে। সংবাদমাধ্যম তার বক্তব্যের গুরুত্ব দেয়। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিতে ঝড় তোলা মহুয়া মৈত্র ছিলেন একজন কর্পরেট ব্যক্তিত্ব। চাকরি করেছেন বিখ্যাত এক বহুজাতিক কোম্পানিতে। কিন্তু স্বপ্ন ছিল রাজনীতিতে থিতু হবেন। তার জন্য আরাম-আয়েশের চাকরি ছেড়ে নাম লেখান তিনি রাজনীতিতে।
১৯৭৫ সালের ৫ মে কলকাতার এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মহুয়া মৈত্র। স্কুল জীবন কলকাতাতেই কাটিয়ে দেন তিনি। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান মার্কিন মুলুকে। ম্যাসাচুসেটসের মাউন্ট হলইয়োক কলেজ থেকে গণিত ও অর্থনীতির উপর ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক জেপি মরগানে। প্রথমে তিনি নিউ ইয়র্কে কর্মরত ছিলেন। এরপর তাকে লন্ডনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। লন্ডনে তিনি জেপি মরগানের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেপি মরগানের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিতে সফল ক্যারিয়ার গড়লেও কলেজ জীবন থেকেই মহুয়ার রাজনীতির প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল।
মাউন্ট হলইয়োকের দশম পুনর্মিলনী মহুয়া মৈত্রের জীবন বদলে দেয়। সে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি দেখেন যে তার প্রায় সব বন্ধুই সফল ব্যাংকার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সবার ভীড়ে তাই নিজেকে বিশেষ একজন হিসেবে উপস্থাপন করতে পারলেন না মহুয়া। সেদিনই প্রতিজ্ঞা করলেন ২০তম পুনর্মিলনীতে নিজেকে অন্য সবার মতো একজন ‘ম্যানেজিং ডিরেক্টর’ হিসেবে দেখতে চান না। বরং তিনি হবেন সবার চেয়ে আলাদা। সব বন্ধুদের ভীড়ে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের তাগিদেই ২০০৮ সালে জেপি মরগানের চাকরি ছেড়ে দিয়ে দেশে ফিরে আসেন মহুয়া মৈত্র।
রাজনীতি ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং আপাতদৃষ্টিতে দুটি ভিন্ন বিষয় মনে হলেও মহুয়া দুটি বিষয়ের মধ্যে বিস্তর মিল খুঁজে পান। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, জেপি মরগানের অভিজ্ঞতা দিয়েও রাজনীতিতে সফল হওয়া সম্ভব। তার ভাষায়,
ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং এবং রাজনীতিতে তিনটি অভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রয়োজন। প্রথমত কঠোর পরিশ্রম। শারীরিক ও মানসিক উভয় দিকেই প্রচুর চাপ সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত প্রয়োজন আত্মনিয়ন্ত্রণ। রাজনীতি একটি দীর্ঘ পথ। এবং এখানে সবারই উত্থান-পতন রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি নিয়মশৃঙ্খলা না মানেন তাহলে যে কারো কাছে হেরে যাবেন। তৃতীয় বিষয়টি হলো অধ্যবসায়। রাজনীতিতে অনেক তারকা থাকেন। কিন্তু যাদের মধ্যে সাফল্য ক্ষুধা থাকে তারাই সফল হন।
দেশে ফেরার পর মহুয়া প্রথমে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের যুব সংগঠন ভারতীয় যুব কংগ্রেসে যোগদান করেন। তিনি রাহুল গান্ধীর বিশ্বস্ত এক যোদ্ধা ছিলেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের চালু করা ‘আম আদমি কা সিপাহি’ প্রজেক্টে মহুয়া মৈত্র গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তার নিজ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের শক্তি বলতে শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ। কিন্তু সেখানেও তৃণমূল আধিপত্য বিস্তার করার কারণে কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যের রাজনীতিতে নিজেকে বেশিদূর নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না মহুয়ার। সে কারণে ২০১০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে তিনি দলীয় প্রধান মমতা ব্যানার্জির আস্থা অর্জন করেন। দ্রুত দলে তার উত্থান ঘটে। মমতা ব্যানার্জী তাকে দলের সাধারণ সম্পাদকের আসনে বসান। এবং দলের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবেও নিয়োগ দেন। দলের মুখপাত্র হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন টক শোতে মহুয়া ছিলেন পরিচিত মুখ। তবে সেটা শুধুমাত্র তার নিজ রাজ্যে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন আসে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি দলের টিকিটপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের অনেকেই বলেছিলেন তার কর্পোরেট ব্যাকগ্রাউন্ড এবং তার পশ্চিমা লাইফস্টাইল বাঙালি রাজনৈতিক সংস্কৃতির সাথে মানানসই নয়। অনেকের ধারণা ছিল সাধারণ জনগণ তাকে গ্রহণ করবে না। কিন্তু মহুয়া তাদের ভুল প্রমাণ করেন। নদীয়ার করিমপুর আসন থেকে জয়লাভ করে দলীয় প্রধানের আস্থার প্রতিদান দেন।
২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত তিনি করিমপুরের বিধায়ক ছিলেন। এই তিন বছরে তিনি সেখানে প্রায় ১৫০ কোটি রুপির উন্নয়ন কাজ করেন। তার এই উন্নয়ন কারো কাছে অজানা ছিল না। বিধায়ক হিসেবে তার এই সাফল্য সন্তুষ্ট হয়ে লোকসভা নির্বাচনে নদীয়ার কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব দেন মহুয়াকে। এই আসনে এর আগে তৃণমূল সাংসদ ছিলেন অভিনেতা তাপস পাল। কিন্তু রোজভ্যালির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে তাকে জেলে যেতে হয়েছে। এ কারণে এই আসনে তৃণমূলের জন্য জয় পাওয়া খুবই কঠিন ছিল। বিজেপিও এই আসনকে তাদের হবে বলেই প্রাথমিকভাবে হিসাবে রেখেছিল।
কৃষ্ণনগর আসনে মহুয়া মৈত্রের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন বিজেপির প্রার্থী ও সাবেক ফুটবলার কল্যাণ চৌবে। সিপিএম থেকে ছিলেন কৃষি বিজ্ঞানী প্রফেসর শান্তনু ঝা। এবারের লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের উত্থানের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এতে বিন্দুমাত্রও বিচলিত ছিলেন না মহুয়া। জয়ের ব্যাপারে তিনি বেশ আশাবাদী ছিলেন। তার পক্ষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দুটি রোড শো করেন। অন্যদিকে কল্যাণ চৌবের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দুটি জনসভা করেন। নরেন্দ্র মোদীর জনসভার পর মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের বলেন,
এই আসন (কৃষ্ণনগর) থেকে যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও নির্বাচন করেন, তবু আমিই জিতব। আমি জয়-পরাজয় নিয়ে ভাবছি না। আমি ভোটের ব্যবধান নিয়ে ভাবছি।
মহুয়া লোকসভা নির্বাচনের আগে আরো বেশ কয়েকটি নির্বাচনের সাথে জড়িত ছিলেন। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের হয়ে বাঁকুড়াতে প্রচারণা চালিয়েছেন। এরপর তৃণমূলের হয়ে সিভিক, বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নিজের নির্বাচন করেছেন। সে কারণে মহুয়া জানতেন কীভাবে মাঠপর্যায়ে কাজ করতে হয়। লোকসভা নির্বাচনে এক ফ্যাশনেবল মহুয়ার দেখা মিলেছে। কিন্তু সেই ফ্যাশন তার আর জনগণের মধ্যে কোনো বিভেদ তুলতে পারেনি। তিনি মিশে গেছেন মানুষে মাঝে। নদীয়ার গ্রামগঞ্জের মানুষের সাথে হাত মিলিয়েছেন, তাদের অভিযোগগুলো শুনেছেন।
মহুয়ার চরিত্রের মধ্যে কোনো ভয়ডর নেই। তিনি আত্মবিশ্বাসী এক বাঙালি নারী। তিনি এক সাহসী নেত্রী, যার প্রমাণ তিনি নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বারবার দিয়েছেন। নদীয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার তাকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বলেন, যা ছিল নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থি। কিন্তু এরপরও যখন নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, তখন তিনি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানান। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে মহুয়া যে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সেটা তিনি বারবার বলেছেন। তার সেই আত্মপ্রত্যয়ী বক্তবের সত্যতা পাওয়া যায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ঝড় বয়ে গেলেও কৃষ্ণনগর আসন রক্ষা করতে পেরেছে তৃণমূল। আর সেটা মহুয়া মৈত্রের কারিশমায়। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কল্যাণ চৌবের চেয়ে ৬৩,২১৮ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। এবং মোট ভোটের ৪৫ শতাংশ পড়ে তৃণমূলের বাক্সে। বিজেপির পক্ষে গেছে ৪০ শতাংশ ভোট। এই জয় মহুয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। যে স্বপ্ন নিয়ে তিনি জেপি মরগানের মতো বিখ্যাত কোম্পানির লোভনীয় পদের চাকরি ছেড়েছিলেন। একইসাথে তার এই জয় বাঙালি নারীদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বাঙালি নারীরাও পারেন। সে হোক জেপি মরগানের চাকরি, অথবা লোকসভার মতো কোনো নির্বাচন।