আমলাতন্ত্রকে মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমটি মাঠ পর্যায়ের আমলাতন্ত্র আর পরেরটি কেন্দ্রীয় পর্যায়ের আমলাতন্ত্র। গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল হয়। বাংলাদেশে পাঁচ বছর অন্তর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৩০০ সংসদীয় আসনে একযোগে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে যে দল বা জোট জেতে তাদের রাষ্ট্রপতি সরকার গঠন করতে আহ্বান জানান। পাঁচ বছরের মেয়াদকালে সরকার গঠিত হয় এবং প্রধানমন্ত্রী হন সরকারের প্রধান। এরপর মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের আকার অনুযায়ী প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়।
একেকটি মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক কাজগুলো সুচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এক বা একাধিক সচিব নিয়োগ দেয় সরকার। সচিবগণ হলেন কেন্দ্রীয় পর্যায়ের আমলা। সচিবরা হন বেতনভোগী, পেশাদার, রাজনীতি নিরপেক্ষ কর্মচারী। সচিবদের সহযোগিতার জন্য কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব থাকেন। অতিরিক্ত সচিবের নিচে থাকেন কয়েকজন যুগ্ম-সচিব। তার নিচে উপ-সচিব। উপ-সচিবের নিচে সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব।
সহকারী সচিব হলো সচিবালয়ের প্রাথমিক পোস্ট। সহকারী সচিব থেকে পদোন্নতি লাভ করতে করতে একজন কর্মকর্তা সর্বোচ্চ পদ সচিব বা সিনিয়র সচিবের পর্যায়ে পৌঁছান। আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মাঠ পর্যায়ের আমলাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), জেলা প্রশাসক বা ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), বিভাগীয় কমিশনার।
মাঠ পর্যায়ের আমলাতন্ত্র
উপমহাদেশীয় আমলাতন্ত্রের ইতিহাস তলিয়ে দেখলে মাঠ পর্যায়ের আমলাতন্ত্রের ইতিহাসই বেশি চোখে পড়বে। ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের পত্তন করা হয়েছিল মাঠ পর্যায়ে একটি দক্ষ প্রশাসকগোষ্ঠী গঠন করার মাধ্যমে। বাংলাদেশে একক সিভিল সার্ভিস কমিশন থাকায় ও প্রদেশ না থাকায় প্রাদেশিক বা প্রভিন্সিয়াল সিভিল সার্ভিসের কোনো অস্তিত্ব দেখা যায় না। প্রতিবেশী দেশ ভারতে আইএএস এর পাশাপাশি প্রাদেশিক সিভিল সার্ভিসের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতা চোখে পড়ে।
বাংলাদেশে পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রতিবছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সৃষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। নির্দিষ্ট নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের পরে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নামের তালিকা তৈরি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ প্রশাসন একাডেমিতে ট্রেনিংয়ের পর তাদের কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে পদায়ন করা হয়। মাঠ পর্যায়ে এরা প্রাথমিকভাবে সহকারী কমিশনার হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বা সহকারী সচিব হিসেবে মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হন। এছাড়াও, রাষ্ট্রপতির একক নির্বাহী আদেশবলে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ অনুযায়ী নির্বাহী আদালতে বিচারকের দায়িত্বও পালন করে থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
সহকারী কমিশনার হিসেবে ছয় বছর চাকরির পর একজন সিভিল সার্ভেন্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা ইউএনও হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তাকে সিনিয়র সহকারী কমিশনারের পদমর্যাদা দেওয়া হয়। ইউএনওদের প্রথমদিকে থানা কমিশনার নাম দেওয়া হয়েছিল। জেনারেল এরশাদের প্রশংসিত উদ্যোগগুলোর একটি ছিল উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন। তিনি ১৯৮২ সালে প্রশাসনের পুনর্গঠন ও সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় জন-বান্ধব প্রশাসন গঠনে সরকারের সামনে পরিকল্পনা এবং সুপারিশ পেশ করার। কমিটির সুপারিশ অনুসারে মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের প্রতিটি থানাকে মান-উন্নীত থানায় রূপান্তর করা হয়। সাথে সাথে থানা পর্যায়ে মাঠ প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে থানা নির্বাহী অফিসারের পদ সৃষ্টি করা হয়।
মহকুমা ব্যবস্থার বিলোপ করা হয় এবং জেলা সদর মহকুমা বাদে বাকি সব মহকুমাগুলোকে জেলা পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। থানাকে একটি শক্তিশালী প্রশাসনিক ইউনিটে পরিণত করা হয়। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে করা হয় থানার প্রধান মহালানবিশ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নকাজ বাদে বাকি সব কাজ থানার উপর ন্যস্ত করা হয়।
থানা কমিশনার নামটি কমিশনের প্রস্তাবিত নামের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং কিছুটা ঔপনিবেশিক ধাঁচের হওয়ায় একে বদলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা ইউএনও করা হয়। পরবর্তীতে জেলার সাথে সঙ্গতি রেখে মান উন্নীত থানার নামকরণ করা হয় উপজেলা। এরশাদের পতনের পরে উপজেলা ব্যবস্থার বিলোপ হলে ইউএনওদের আবার টিএনও বলে ডাকা শুরু হয়। ১৯৯৯ এ পুনরায় উপজেলা ব্যবস্থা বহাল হওয়ার পরে পুনর্বার ইউএনও নামটির প্রচলন ঘটানো হয়।
ইউএনও হন উপজেলার প্রধান নির্বাহী। তিনি প্রশাসন পরিচালনায় উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। তিনি উপজেলার রাজস্ব ও বাজেট প্রশাসনের তদারকি করেন। উপজেলার সকল উন্নয়ন পরিকল্পনার তত্ত্বাবধায়ন করেন ইউএনও আর মুন্সেফ ও ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত উপজেলার সকল কর্মকর্তার গোপন বার্ষিক রিপোর্ট তৈরি করেন। তিনি উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেটি ভূমিকা পালন করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুপস্থিতিতে তাকে করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জরুরি ত্রাণ তৎপরতা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের প্রশিক্ষণের ইউএনও হন মুখ্য সমন্বয়ক।
জেলা প্রশাসক
জেলা প্রশাসক জেলার সবচেয়ে বড় আমলা। সরকারের উপ-সচিব বা ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণের মধ্য থেকে জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। ইংরেজিতে জেলা প্রশাসককে বলা হয় ডেপুটি কমিশনার বা ডিসি। বাংলা মুলুকে জেলা প্রশাসনের ইতিহাস অনেক পুরনো। মুঘল আমলে জেলাগুলোকে বলা হতো ‘সরকার’। সরকারের একজন মুখ্য নির্বাহী থাকতেন।
১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস জেলা কালেক্টর নামক একটি পদ সৃষ্টি করেন। মূলত রাজস্ব সংগ্রহই ছিল জেলা কালেক্টরের প্রধান কাজ। পরে জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিএম নামে আরেকটি পদ তৈরি করা হয়। কালেক্টরকেই ডিএম এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেকালে কালেক্টর সাহেবের অফিসকে কালেক্টরেট বলে ডাকা হতো। এখনো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে কালেক্টরেট অফিস নামে ডাকার চল আছে।
দেশ ভাগের পরে পাকিস্তানে জেলার সব প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে ডেপুটি কমিশনার বা ডিসি নামক আরেকটি পদ সৃষ্টি করা হয়। পূর্ববর্তী ডেপুটি কালেক্টরদেরকেই ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভারতে এখনও জেলার প্রধান নির্বাহী ডিএম নামে পরিচিত। বাংলায় বলা হয় জেলা শাসক। শাসক শব্দটি সিভিল সার্ভেন্টদের জনগণের চোখে কর্তৃত্ববাদী ইমেজ তৈরি করতে পারে এমনটি ভেবে বাংলাদেশে শাসকের বদলে প্রশাসক শব্দটির প্রচলন ঘটানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসকই জেলার একমাত্র কর্মকর্তা যিনি সরাসরি সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা রাখেন। তিনি একটি জেলায় জাতীয় সরকারের প্রতিনিধি। জেলার যেকোনো ব্যাপারে তাকে সরকারের নিকট জবাবদিহিতা করতে হয়। জেলা প্রশাসকগণ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অন্তর্গত হয়ে থাকেন। জেলা প্রশাসক মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে ও তত্ত্বাবধায়নে কাজ করে থাকেন।
ডিউটিস অব চার্টার বা কার্যবিধি অনুসারে জেলা প্রশাসক হন একটি জেলার বিভিন্ন দপ্তর সংক্রান্ত ১২০টি কমিটির চেয়ারম্যান। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর জেলা পর্যায়ের অফিস জেলার প্রশাসকের সাধারণ এখতিয়ারের মধ্যে থাকে। জেলার সার্বিক বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ন করে তিনি পনের দিন অন্তর অন্তর একটি পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন বা Fortnight Confidential Report সরকারের নিকট পেশ করে থাকেন। ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি কালেক্টরকে বলা হতো ‘জেলার মা-বাপ’। উপমহাদেশীয় সিভিল সার্ভিসে ডিসি বা ডিএম পদটি ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও সম্মানজনক। সে ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার
বিভাগীয় কমিশনার মাঠ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ। সরকারের অতিরিক্ত সচিবদের মধ্য থেকে বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়। ডেপুটি কালেক্টর পদ সৃজনের কয়েক দশক পরে বিভাগীয় কমিশনারের পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। জেলাগুলোর মধ্যে রাজস্ব আদায় এবং বিচারব্যবস্থার সমন্বয়হীনতার অনুভূত হওয়ার পরে পদটি সৃষ্টি করা হয়। বর্তমানে বিভাগীয় কমিশনারের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে অন্তর্ভুক্ত জেলা প্রশাসকদের রাজস্ব, উন্নয়ন ও প্রশাসন সংক্রান্ত কাজের তদারকি করা। শুধু বিভাগাধীন জেলা প্রশাসকই নয় ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমেত প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের তদারকি ও প্রয়োজনমত দিক-নির্দেশনা প্রদান বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব। ইউএনওদের বদলি বিভাগীয় কমিশনারের অফিস থেকে হয়। বিভাগীয় কমিশনার বিভাগীয় উন্নয়নমূলক এবং প্রশাসনিক অনেকগুলো কমিটির সভাপতি হন। পদাধিকারবলে বিভাগীয় কমিশনার বিভাগীয় নির্বাচন বোর্ডের সভাপতি হন। এ বোর্ড কমিশনারের কার্যালয়, ডিআইজি বা পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়, অন্তর্গত ডিসি ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে।
কেন্দ্রের আমলাতন্ত্র
বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের মহাতীর্থ বাংলাদেশ সচিবালয়। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের পত্তন করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। প্রাদেশিক করণিক ভবন হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীনতার পরে একে জাতীয় সরকারের প্রধান আমলাতান্ত্রিক অফিসে পরিণত করা হয়। মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের সময় কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ে একটি সচিবালয় গঠন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে একটি সাময়িক সংবিধানের ভিত্তিতে অস্থায়ী মুজিব নগরের সরকারের বিলুপ্তি ঘটান এবং সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। বাহাত্তরের শেষ নাগাদ একটি সম্প্রসারিত মন্ত্রীপরিষদ গঠিত হলে ১৯টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে সচিবালয়কে পুনর্গঠিত করা হয়। সচিবালয়ের পদবিগুলোর ক্রম নিম্নরূপ–
সহকারী সচিব → সিনিয়র সহকারী সচিব → উপ-সচিব → যুগ্ম-সচিব → অতিরিক্ত সচিব → সচিব/সিনিয়র সচিব
সহকারী ও সিনিয়র সহকারী সচিবের পদগুলো মূলত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দিয়েই পূরণ করা হয়। উপ-সচিব পদের ২৫ শতাংশ এবং যুগ্ম-সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদের ৩০ শতাংশ সংরক্ষিত পদে অন্য ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও আসতে পারেন। একটি মন্ত্রণালয়কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য একে কয়েকটি উইং, ব্রাঞ্চ ও সেকশনে বিভক্ত করা হয়। উইং একটি বিশেষ স্বয়ংসম্পূর্ণ ইউনিট। এর প্রধান থাকেন একজন যুগ্ম-সচিব বা অতিরিক্ত সচিব। ব্রাঞ্চ পরিচালিত হয় একজন উপ-সচিব বা সমপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার নেতৃত্বে। ব্রাঞ্চ গঠিত হয় কয়েকটি সেকশনের সমন্বয়ে। সেকশন কার্য পরিচালনার সবচেয়ে মৌলিক ইউনিট। এটি পরিচালনার দায়িত্ব থাকে একজন সহকারী সচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিবের উপর।
সচিব হন একটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি মন্ত্রীকে নীতিনির্ধারণী যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সচিব মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত উইং, ব্রাঞ্চ ও সেকশনের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজ করতে হয় তাকে। অধীনস্থ কর্মকর্তাগণের মধ্যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা অর্পণের মাত্রা ও পরিমাণ সচিব নির্ধারণ করে দেন। একজন যুগ্ম-সচিব বা অতিরিক্ত সচিব উইংয়ের প্রধান হিসেবে পূর্ণ ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন এবং পরামর্শের জন্যে প্রতিবেদন সরাসরি মন্ত্রীর কাছে পেশ করতে পারেন যেগুলো পরে সচিবের মাধ্যমেই তাদের কাছে ফেরত আসে।