বেইজিং সরকারের দীর্ঘদিনের সমালোচক, মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্ন-কক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি প্যালোসির দু’দিনের তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালীতে বাড়ছে উত্তেজনা। গত ২-৪ আগস্ট তিনি তাইওয়ানে অবস্থান করেন, বৈঠকে বসেন তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতির পর তৃতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা, প্যালোসি এমন একসময় তাইওয়ান সফর করছেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক নিম্মমুখী, ন্যাটো আর রাশিয়ার বিবাদে পশ্চিমে ইউক্রেন হয়েছে রণাঙ্গন। চীনের হুমকি ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিষেধের পরও পেলোসির এই তাইওয়ান সফর আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। চীন তার তাইওয়ান সীমান্তে বাড়াচ্ছে সামরিক মহড়া, দিয়ে যাচ্ছে হুমকির পর হুমকি। উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে- চীন কি তাহলে তাইওয়ানে আক্রমণ করতে যাচ্ছে?
তাইওয়ান ভূখন্ডের পটভূমি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পূর্ববর্তী তাইওয়ান দ্বীপটি জাপানের একটি কলোনি থাকলেও, যুদ্ধোত্তর তাইওয়ানের নেতৃত্ব চলে যায় চিয়াং কাই শেকের নেতৃত্বাধীন চীনা সরকারের কাছে। কিন্তু ১৯৪৯ সালে চীনে মাও সে তুংয়ের লাল বাহিনীর নেতৃত্বে শুরু হয় চীনা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। একের পর এক যুদ্ধে হারতে থাকে চিয়াং কাই শেক ও তার কুয়োমিনটাং সরকার। কাই শেক তখন তার অধীনস্থদের নিয়ে পালিয়ে যান তাইওয়ানে, গঠন করেন ‘রিপাবলিক অব চায়না’ নামে নতুন সরকার। পরবর্তীতে, ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দুই দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কুয়োমিনটাং পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারই রিপাবলিক অব চায়নার প্রতিনিধিত্ব করে। কুয়োমিনটাং পার্টির সরকারও নিজেদের চীনের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার বলে দাবি করতে থাকে, স্বপ্ন দেখতে থাকে একত্রিত চীনের। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ ঘোষণা দিল- বেইজিংয়ে অবস্থিত সরকারই চীনের আসল সরকার, যার ফলে কমতে শুরু করল তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
অন্যদিকে, চীন তাইওয়ানকে মনে করে মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এক প্রদেশ হিসেবে, বর্তমানে যার পুনঃএকত্রীকরণ চীনা জাতীয়তাবাদের অংশ। তাইওয়ানকে একত্রীকরণের জন্য স্বায়ত্তশাসনসহ ‘এক দেশ, দুই পদ্ধতি’ নীতির প্রস্তাব দেয় চীন। তাইওয়ান সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৫০ সালে কোরীয় যুদ্ধ শুরু হলে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান তাইওয়ানকে চীনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য সম্মত হন। তাইওয়ান-চীনের মধ্যবর্তী সাগরে পেট্রোল দেয়ার জন্য নিযুক্ত করেন সপ্তম নৌবহর। তাইওয়ানকে শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করতে মার্কিন প্রশাসন ১৯৬০ এর মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত ১.৫ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য দিয়েছিল। স্নায়ুযুদ্ধকালীন বিশ্বে আদর্শিক দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে তাইওয়ান। আদর্শগত কারণে যুক্তরাষ্ট্র চায় সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক, অন্যদিকে চীন জাতীয়তাবাদী চেতনা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে তাইওয়ানকে মূল সমাজতান্ত্রিক চীনের অংশ করে নিতে চায়। তাইওয়ানের বড় দুই দলের মধ্যে ‘ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি’ এখন স্বাধীনতার পক্ষে। অন্যদিকে, কুয়োমিনটাং পার্টি (কেএমটি) চায় মূল চীনের সঙ্গে একত্রীকরণ।
পেলোসির সফর: নিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন পূর্ব ইউরোপ নিয়ে ব্যস্ত, তখনই চীনে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে ঘটে যায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। চিয়াং কাই শেকের বাহিনী প্রতিরোধ করতে পারেনি মাও সে তুংয়ের লাল বাহিনীকে। তখন কুয়োমিনটাং পার্টির সরকারের প্রয়োজন ছিল মার্কিন সাহায্যের। প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত পূর্ব ইউরোপে প্রভাব বিস্তার ও পুনর্গঠন নিয়ে ব্যস্ত। পরবর্তীতে, কোরীয় যুদ্ধের সময় সমাজতান্ত্রিক ব্লকের দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে অগ্রসরতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ান নিয়ে শঙ্কিত করে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে নিরাপত্তা দিতে শুরু করে। চিয়াং কাই শেকের সময় থেকে রিপাবলিক অব চায়না ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বাড়তে থাকে। খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত চিয়াও কাই শেককে পশ্চিমারা ভেবেছে বন্ধু হিসেবে। কাই শেকের নেতৃত্বাধীন চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াগুলোতে পেয়েছিল ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
স্নায়ুযুদ্ধকালীন বিশ্বে আদর্শিক দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে যায় তাইওয়ান। তাইওয়ান যখন মাও সে তুংয়ের বাহিনীর আগ্রাসনের শিকার হয়, তখন যুক্তরাষ্ট্র একে গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিরুদ্ধে হুমকি হিসেবে দেখে, তাইওয়ান আদর্শিকভাবে হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৫১ সালে ‘সামরিক সহায়তা ও পরামর্শ দল’ প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দিতে শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে তাইওয়ানের অর্থনীতি।
সুতরাং, ঐতিহাসিক ও আদর্শিক কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাইওয়ানের গুরুত্ব রয়েছে। গণতান্ত্রিক বিশ্বের রক্ষক হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে গণতন্ত্র রক্ষা করা নৈতিক দায়িত্ব মনে করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই মার্কিন সমরবিশারদরা এই অঞ্চলের সামরিক গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন, প্রশান্ত মহাসাগরে নিজেদের কৌশলগত নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন পড়ে একটি নিরপেক্ষ কেন্দ্রের। সেজন্য নিরপেক্ষ তাইওয়ান হয়ে উঠেছে মার্কিন সামরিক ও পররাষ্ট্রনীতিতে সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্য।
তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র সেমিকন্ডাক্টরের জন্য তাইওয়ানের উপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমান্ডো বলেন, “সেমিকন্ডাক্টরের জন্য তাইওয়ানের উপর আমাদের নির্ভরতা অস্থিতিশীল ও অনিরাপদ।” যদি তাইওয়ানের উপর চীনের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক ধস নেমে আসতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বিচ্ছিন্নতার নীতি’ অনুসরণ করে আসছে। অর্থাৎ, ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ করতে থাকুক, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে অংশ নেবে না। যখন রাষ্ট্রসমূহ যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত, তখন যুক্তরাষ্ট্র তার পুলিশি ভূমিকা নিয়ে হাজির হয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান বাইডেন প্রশাসন সেই বিচ্ছিন্নতার নীতি অনুসরণ করছে। একদিকে স্নায়ুযুদ্ধকালীন শত্রু রাশিয়াকে যুদ্ধে নামিয়ে ব্যস্ত রেখেছে, সে নিজে সরাসরি অংশগ্রহণ করেনি। অন্যদিকে চাচ্ছে- চীনও যদি তাইওয়ানকে ঘিরে যুদ্ধে জড়িয়ে যায়, তাহলে আবারও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের শক্তিশালী করবার সুযোগ পাবে। আবারও যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে হাজির হবে সবচেয়ে শক্তিশালী সত্তা হিসেবে।
অপরদিকে , মার্কিন কংগ্রেসে চীন-বিরোধীতা এখন চরমে উঠেছে। পেলোসি তাইওয়ান সফরের মাধ্যমে চীন বিরোধিতাকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন বলে বিশ্লেষকদের মত। গণতান্ত্রিক এই নেতা সবসময় চীনের সমাজতান্ত্রিক দলের বিরোধী আওয়াজ দিয়ে থাকেন। স্বল্প পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন তরুণ আইনপ্রণেতা ন্যান্সি পেলোসির তিয়েন আনমেন স্কয়ারে প্রতিবাদের পর পেরিয়ে গেছে ৩০ বছর। তৎকালীন আইনপ্রণেতা বর্তমানের মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার, গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের টানাপোড়েনের সময় আবারও তাইওয়ানে সফর করে চীনা সমাজতান্ত্রিক দলের বিরুদ্ধে আরো একটি প্রতিবাদ করে বসলেন। তাইওয়ানের পার্লামেন্টে পেলোসি বলেন, “আমরা তাইওয়ানকে বিশ্বের সবচেয়ে স্বাধীন সমাজের একটি হওয়ার জন্য প্রশংসা করি।” কোনো কোনো বিশ্লেষকরা ভাবছেন, পেলোসির এই সফর অন্য কোনো কারণে নয়, বরং এটা বোঝাতে যে তিনি তাইওয়ানের পাশে আছেন।
চীনের উদ্বেগের কারণ
পেলোসির তাইওয়ান সফরের সম্ভাব্যতা শুনার পর থেকেই চীন বার বার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি তাইওয়ানে পৌঁছানোর পর থেকেই চীন দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক মহড়া বসিয়েছে, বাড়াচ্ছে সামরিক শক্তি, উচ্চারণ করছে নানা নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে। তার তাইওয়ান সফর নিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলতে চাই যে চীন পাশে দাঁড়িয়েছে, এবং চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি কখনোই অলসভাবে বসে থাকবে না। চীন তার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য দৃঢ় প্রতিক্রিয়া এবং শক্তিশালী পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।“
আন্তর্জাতিক রাজনীতির গঠনবাদ তত্ত্বানুযায়ী- চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছিন্ন ভূখন্ড ভাবার পক্ষে বুদ্ধিভিত্তিক নায্যতা তৈরি, রাজনৈতিক প্রচারণা ইত্যাদি কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। চীনা জাতীয়তাবাদের অন্যতম একটি বিশ্বাস হয়ে উঠেছে তাইওয়ান প্রশ্ন। চীনের নাগরিকরা তাইওয়ানকে নিজেদের ভাবেন, যারা এর ভিন্নমত পোষণ করেণ তাদের জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেম নিয়ে তোলা হয় প্রশ্ন, শিকার হতে হয় কঠোর দমন-পীড়নের। তাছাড়া, তাইওয়ানকে নিয়ে রয়েছে চীনের কৌশলগত নিরাপত্তা-ঝুঁকি, তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি চীনের জন্য শঙ্কার কারণও। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীনবিরোধী শক্তি আক্রমণের পরিকল্পনা করতে পারে। ন্যাটো সম্মিলিত শক্তির চীনবিরোধী কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে তাইয়ান। তাছাড়া, তাইওয়ানের লুজন প্রণালীতে অবস্থিত বাশি চ্যানেল নৌযান চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই চ্যানেলে চীনের অধিপত্য রাখতে চাওয়ার কারণ- এই পথে সহজে ও নিরাপদে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করা যায়। তাছাড়া, চীন এই চ্যানেলের আধিপত্যের মাধ্যমে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে মার্কিন ভূখন্ডসমূহে।
চীনের সাথে তাইওয়ানের বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। চীনের বাণিজ্যের জন্য তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি, তাহলে এই প্রণালীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাণিজ্যে একক আধিপত্য ভোগ করতে পারে চীন। যদি কমিউনিস্টবিরোধী ব্লক এ প্রণালীতে প্রভাব খাটায়, তাহলে তা চীনের বাণিজ্যের জন্য হুমকি কারণ বটে। তাইওয়ানের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ২৬ শতাংশ হয় চীনের সাথে। চীনের পণ্যের একটি বড় ক্রেতা তাইওয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীনও তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টরের অন্যতম ক্রেতা রাষ্ট্র। চীন তাইওয়ানের উপর এক্ষেত্রে অনেকটা নির্ভরশীল।
আন্তর্জাতিক রাজনীতির গঠনবাদ অনুযায়ী, চীন চাচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য বিস্তার করতে। প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযুক্ত করেছে দক্ষিণ চীন সাগর, যা সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচলের ব্যস্ততম রুট। এই দক্ষিণ চীন সাগরে রয়েছে অনেকগুলো দ্বীপ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাইওয়ান, যা কেন্দ্রে অবস্থিত।
কট্টর চীনবিরোধী ও তাইওয়ানের প্রতি সহানুভূতিশীল মার্কিন ডেমোক্রেটিক দলের এই নেতার তাইওয়ান প্রণালী সফর তাই বর্তমানে সবচেয়ে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে এশিয়ায় আরেকটি যুদ্ধ বাধার সম্ভাবনার। এই সফরকে ঘিরে চীন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে নিতে শুরু করেছে সামরিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। ইতোমধ্যেই চীন তাইওয়ান থেকে কিছু পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। পেন্টাগন ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মধ্যে অনেকেই ধারণা করছেন, চীন তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। তবে এটা অনস্বীকার্য যে, আগের থেকে চীন এখন সামরিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে শক্তিশালী হয়েছে। এবার দেখার পালা, পেলোসির এই তাইওয়ান সফর কি ইউক্রেনের মতো এশিয়াতেও এক নতুন রণাঙ্গন তৈরি করবে?