১৮ এপ্রিল, ১৯৯৪। দুই হাজার মানুষ বসনিয়ার রাস্তায় নেমে আসে সার্বিয়ান নিপীড়ন আর গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে, সাহায্যের প্রার্থনা নিয়ে। সারায়েভোর সেই মানুষেরা জাতিসংঘ, ন্যাটো কিংবা আমেরিকান পতাকা প্রদর্শন করেননি, র্যালি করেছেন সৌদি আরব আর তুরস্কের পতাকা নিয়ে। সৌদি আরব আর তুরস্কের পতাকা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে বসনিয়ানরা নিজেদের মুসলিম পরিচয়কে তুলে ধরতে চেয়েছে, পৃথিবীর সামনে নিজেদের বন্ধুদের পরিচয়ও তুলে ধরেছে। একই বছরে আমেরিকায় সত্তর হাজার মেক্সিকান প্রপোজিশন-১৮৭ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে মেক্সিকান পতাকা নিয়ে।
স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির কাঠামো পরিচালিত হচ্ছে পরিচয়ের ধারণা কেন্দ্র করে। হান্টিংটনের মতে, বহুমেরুর বিশ্বব্যবস্থা আর স্নায়ুযুদ্ধকালীন দ্বিমেরুর আন্তর্জাতিক রাজনীতির কাঠামো পেরিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মাধ্যমে আবার বহুমেরুর রাজনৈতিক কাঠামো ফিরে এসেছে, পরিচয়ের ধারণার উপর ভিত্তি করে সভ্যতাগুলো রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করছে।
স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন তার বই ‘The Clash of Civilizations and the Remaking of World Order’-এ বলছেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতির শক্তিসাম্য বদলে যাচ্ছে, পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রভাব কমছে, বাড়ছে এশিয়ার সভ্যতাগুলোর প্রভাব। শক্তিসাম্যের প্রতিযোগিতার মধ্যেই সভ্যতাকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠছে, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন থাকা সমাজগুলো নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলছে। পাশ্চাত্য যে বৈশ্বিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছে, সেটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষত, চীনা সভ্যতা এবং ইসলামিক সভ্যতা পশ্চিমা মূল্যবোধের বিশ্বায়নে সবচেয়ে বেশি বাধা তৈরি করছে। সভ্যতার সংঘাতের মধ্যে পাশ্চাত্য সভ্যতার টিকে থাকা নিশ্চিত হবে আমেরিকানদের পাশ্চাত্য সভ্যতার পরিচয় ধারণ করার মধ্য দিয়ে, পাশ্চাত্য সভ্যতার দেশগুলোর বাইরের সভ্যতাগুলোর বিরুদ্ধে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে।
সভ্যতা কী?
গ্রাম, অঞ্চল, ভাষা, নৃগোষ্ঠীগত পরিচয়, জাতীয়তার স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় আছে, স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় তৈরি করে ধর্মও। ইতালির দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্রাম থেকে হয়তো উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামের সংস্কৃতি ভিন্ন হবে। কিন্তু, দুই গ্রামের মানুষই ইতালিয়ান সংস্কৃতি ধারণ করে, যেটি ইউরোপের অন্যান্য অনেক দেশের সংস্কৃতির চেয়ে আলাদা। সভ্যতা হচ্ছে একজন মানুষের সাংস্কৃতিক পরিচয় নির্ধারণের সর্বোচ্চ ধাপ, যেটি সাধারণ নির্ধারণী পরিচয়ের মাধ্যমে উঠে আসে। সভ্যতার ক্ষেত্রে এ ধরনের পরিচয় উঠে আসতে পারে ভাষা, ইতিহাস, ধর্ম কেন্দ্র করে, পরিচয়ের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে প্রথা, প্রতিষ্ঠান কিংবা স্বতন্ত্র আত্মপরিচয়ের ধারণা।
সভ্যতার সাধারণত জাতিরাষ্ট্রের মতো পরিষ্কার সীমান্ত থাকে না, থাকে না সুনির্দিষ্ট কোনো শুরু কিংবা শেষ। সময়ের সাথে মানুষের পরিচয়ের ধারণায় যেমন পরিবর্তন আসে, পরিবর্তন আসে সভ্যতার আকার আর আকৃতিতেও। ফলে, সভ্যতার একসময় সমাপ্তি ঘটলেও, সভ্যতাগুলো সাধারণত সমাপ্তির পূর্বে দীর্ঘদিন টিকে থাকে, রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলোতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখে। সভ্যতাগুলো হয়ে ওঠে সম্মিলিত মানুষের সবচেয়ে বড় গল্প, স্বতন্ত্র পরিচয়, আর ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতার মধ্যেই সভ্যতাগুলোর উত্থান-পতন ঘটে। সভ্যতার বিভাজন ঘটে, আবার একত্রীকরণও ঘটে সময়ের সাথে। আবার, সভ্যতাগুলো একসময় হারিয়ে যায়, সময়ের সমুদ্রে তাদের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যায় না অনেক সময়। সভ্যতার এই উত্থান-পতনের প্রক্রিয়াকে কুইগলি বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক ধাপের মাধ্যমে দেখিয়েছেন।
শুরুতে সভ্যতার মিশ্রণ ঘটে, তারপর এটি গর্ভকালের মতো একটি সময় পার করে। গর্ভকাল শেষ হলে সভ্যতার বিস্তৃতি শুরু হয়, শুরু হয় অপরাপর অন্যান্য রাজনৈতিক সত্তাগুলোর সাথে সংঘাত। সংঘাতের যুগ উতরে গেলে সভ্যতা বৈশ্বিক একটি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে, প্রতিষ্ঠা করে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব। সাম্রাজ্যবাদের পরে ধীরে ধীরে ক্ষয় শুরু হয়, একসময় নতুন শক্তিশালী সভ্যতা বিদ্যমান সভ্যতাকে আক্রমণ করে চূড়ান্ত পতন ঘটায়।
সভ্যতার পরিচয়ের উপর ভিত্তি করেই সাম্রাজ্য কিংবা রাষ্ট্র তৈরি হলেও, সভ্যতাগুলো সাধারণত রাজনৈতিক সত্তা না। সভ্যতা সাধারণত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কাজ করে না, স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দায়িত্ব নেয় না, কর সংগ্রহ করে না, কিংবা সীমান্ত নির্ধারণের জন্য যুদ্ধেও জড়ায় না। এই কাজগুলো সাধারণত বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকার করে থাকে। বরং, সভ্যতা হলো একটি সাংস্কৃতিক পরিচয়, যেটি অনেকগুলো রাজনৈতিক সত্তায় বিভাজিত থাকতে পারে। স্বতন্ত্র রাজনৈতিক সত্তাগুলো নগররাষ্ট্র হতে পারে, সাম্রাজ্য হতে পারে, ফেডারেশন হতে পারে, হতে পারে কনফেডারেশন কিংবা জাতিরাষ্ট্র। একটি সভ্যতার মধ্যেই থাকতে পারে বিভিন্ন ধরনের সরকারব্যবস্থা, থাকতে পারে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন।
হান্টিংটনের দৃষ্টিতে প্রধান সভ্যতাগুলো
স্যামুয়েল পিটার হান্টিংটনের মতে, স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর দ্বিমেরুর বিশ্বব্যবস্থা বহুমেরুর বিশ্বব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে, জাতিরাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক রাজনীতির মূল ক্রীড়ানক থাকলেও তাতে স্বার্থ আর পরিচয় নির্ধারণ করে দিচ্ছে সভ্যতাগুলো। সভ্যতার অভ্যন্তরে সংঘাত হলেও সেটি ততটা বিস্তৃত হবে না যতটা বিস্তৃত হবে এক সভ্যতার দেশের সাথে অন্য সভ্যতার সংঘাত ঘটলে। হান্টিংটন তার বই ‘The Clash of Civilizations and the Remaking of World Order’-এ কিছু প্রধান সভ্যতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পাশ্চাত্য সভ্যতা
ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকাকে নিয়ে প্রধানত গড়ে উঠেছে পাশ্চাত্য সভ্যতা, পাশ্চাত্য সভ্যতাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ইউরোপের সাবেক দুই উপনিবেশ, নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াও। পাশ্চাত্য সভ্যতার দুই প্রধান অংশ, ইউরোপ আর উত্তর আমেরিকার মাঝে সম্পর্ক সময়ের সাথে অনেকবারই বদলেছে, গিয়েছে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে। আমেরিকানরা সাধারণত নিজেদের স্বাধীনতা, সমতা, সুযোগ আর ভবিষ্যতের নিরাপত্তার ভূমি হিসেবে দেখেছে, ইউরোপকে দেখেছে নির্যাতন, শ্রেণি সংগ্রাম, পদসোপান আর পশ্চাৎপদতার ভূমি হিসেবে। তবে, বিংশ শতাব্দীতে পাশ্চাত্য সভ্যতার দুই প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ে, কমে আসে মনস্তাত্ত্বিক পার্থক্য। পূর্বে আমেরিকানরা নিজেদের স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে তুলে ধরলেও, বিংশ শতাব্দী থেকেই আমেরিকা নিজেদের পাশ্চাত্য সভ্যতার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে, পরবর্তীতে এই সভ্যতার নেতৃত্ব নেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এই সভ্যতা যেমন গণতান্ত্রিক বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সময়েও পাশ্চাত্য সভ্যতা একক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। সম্প্রতি রাশিয়ার আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হওয়া ইউক্রেন সংকটে পাশ্চাত্য সভ্যতার সম্মিলিত পদক্ষেপ এর প্রমাণ।
সিনিক সভ্যতা
স্যামুয়েল পি. হান্টিংটনের মতো অধিকাংশ স্কলারই সিনিক সভ্যতাকে একটি স্বতন্ত্র সভ্যতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। প্রায় সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার হাজার বছর আগে উত্থান ঘটে সিনিক সভ্যতার, বিকশিত হয় শক্তিশালী রাষ্ট্রকাঠামো আর করব্যবস্থা। সিনিক সভ্যতার মধ্যেই গড়ে ওঠে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক দর্শন, কনফুসিয়ানিজম আর তাওইজম যার মাঝে প্রাধান্য বিস্তার করে। চীনের সাধারণ সংস্কৃতি সিনিক সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত, অন্তভুর্ক্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও। সাংস্কৃতিক সম্মিলনের দিক থেকে কোরিয়া আর ভিয়েতনামও সিনিক সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত।
জাপানী সভ্যতা
অধিকাংশ স্কলারই জাপানী সভ্যতাকে স্বতন্ত্র একটি সভ্যতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন না, চীন আর জাপানকে দেখেন দূরপ্রাচ্যের একক সভ্যতা হিসেবে। তবুও, স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন তার বহুমেরুর বিশ্বব্যবস্থায় জাপানী সভ্যতাকে একটি স্বতন্ত্র সভ্যতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। প্রায় দুই হাজার বছর আগে জাপানী সভ্যতার বিকাশ শুরু হয়, দেশটিতে গড়ে ওঠে শক্তিশালী একাডেমিক আর রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
হিন্দু সভ্যতা
ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বী জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে গড়ে উঠেছে এই সভ্যতা। চীনা সভ্যতার মতো হিন্দু সভ্যতার জনসংখ্যাও একশো কোটির উপরে। গত কয়েক দশকে হিন্দু সভ্যতা পাশ্চাত্যের মূল্যবোধগুলো গভীরভাবে গ্রহণ করলেও, বর্তমানে হিন্দুত্ববাদের বিকাশ ঘটছে নতুন করে। হান্টিংটনের আটটি সভ্যতার একটি হচ্ছে এই হিন্দু সভ্যতা।
ইসলামিক সভ্যতা
প্রথম সারির সকল স্কলারই সাধারণত ইসলামিক সভ্যতাকে একটি স্বতন্ত্র সভ্যতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ইসলামিক সভ্যতার যাত্রা শুরু হয় আরব উপত্যকা থেকে, প্রায় দেড় হাজার বছর আগে। সভ্যতার প্রতিষ্ঠার পর পরই ইসলাম দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া শুরু করে, মধ্য এশিয়া থেকে শুরু করে এর বিস্তৃতি ছড়ায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও। ধর্মীয় পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ইসলামিক সভ্যতা বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম সভ্যতা, এর বিস্তৃতি ঘটছে অন্য সভ্যতাগুলোর চেয়ে দ্রুতগতিতে। ইসলামিক সভ্যতার মধ্যে আবার স্বতন্ত্র কিছু পরিচয়ের সত্তা গড়ে উঠেছে, গড়ে উঠেছে রাজনৈতিক ব্লক।
অর্থোডক্স সভ্যতা
ইউরোপের অংশ হলেও রাশিয়াতে স্বতন্ত্র ধর্মব্যবস্থা রয়েছে, ইউরোপে ক্যাথলিক আর প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টানদের আধিপত্য থাকলেও, রাশিয়ার অধিকাংশ খ্রিস্টান অর্থোডক্স। আধুনিক যুগের শুরু থেকে যেসব সংস্কারবাদী মতাদর্শ রেনেসাঁর সময় ইউরোপে বিস্তার লাভ করেছে, তার অধিকাংশই রাশিয়া আর এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিস্তার লাভ করেনি। ফলে, উদার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রাশিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, আমলাতন্ত্র সীমাহীন কর্তৃত্ব চর্চা করছে, ঘটেনি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ।
আফ্রিকান সভ্যতা
ব্র্যাউডেল বাদে অধিকাংশ মূলধারার স্কলারই আফ্রিকাকে একটি স্বতন্ত্র সভ্যতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন না। আফ্রিকা মহাদেশের উত্তরাংশ ইসলামিক সভ্যতার অংশবিশেষ, ইথিওপিয়াতে বিস্তার লাভ করে স্বতন্ত্র সভ্যতা। এর বাইরে আফ্রিকার দেশগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে ছিল ইউরোপীয় শাসন, ফলে পাশ্চাত্য সভ্যতার অনেক সংস্কৃতিই সেখানে বিস্তার লাভ করেছে।
তবে, বর্তমানে আফ্রিকানদের মধ্যে নিজস্ব পরিচয় সন্ধানের তাড়না লক্ষ করা গেছে। এই দিক বিবেচনায় নিয়েই স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন আফ্রিকাকে একটি স্বতন্ত্র এবং ক্রিয়াশীল সভ্যতার স্বীকৃতি দিয়েছেন।
লাতিন আমেরিকান সভ্যতা
মূলধারার অনেক স্কলারই লাতিন আমেরিকান সভ্যতাকে পাশ্চাত্য সভ্যতার অংশ হিসেবে দেখেন। তবে, লাতিন আমেরিকাতে স্বতন্ত্রভাবে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে, ইউরোপের সংস্পর্শে থাকলেও লাতিন আমেরিকা তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো ধরে রেখেছে। লাতিন আমেরিকায় পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে স্বতন্ত্র কর্পোরেট কালচার রয়েছে, শাসকেরা সাধারণত কর্তৃত্ববাদী, শাসনতন্ত্রে বার বার সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ ঘটেছে, বিকাশ ঘটেনি নাগরিক অধিকার আর রাজনৈতিক স্বাধীনতার। ইউরোপে ক্যাথলিক আর প্রোটেস্ট্যান্ট, দুটির উপস্থিতি থাকলেও ল্যাতিন আমেরিকানরা ক্যাথলিক। রাজনৈতিক বিবর্তন আর অর্থনৈতিক উন্নয়নও লাতিন আমেরিকার ক্ষেত্রে ভিন্নভাবে ঘটেছে ইউরোপ থেকে।