বয়স এখন বিশ ছুঁইছুঁই। জীবনটা আবেগ-রোমাঞ্চে ভরপুর হতেই পারে, এই বয়সে যা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আফিফ হোসেন ধ্রুব যেন ব্যতিক্রমের ছবি। এই বয়সের সাহসিকতা শতভাগ রয়েছে তার মাঝে। সঙ্গে পরিণত এক ক্রিকেটারের ছায়া এই তরুণের মাঝে স্পষ্ট।
২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল। তারপরই বাদ পড়েছেন জাতীয় দল থেকে। এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরলেন ভিন্ন ধাতুতে গড়া, পরিণত ক্রিকেটার আফিফ। টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেই নায়ক বনে গেছেন তিনি।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে এই তরুণের ব্যাটে চড়েই পরাজয়ের শৃঙ্খল ভেঙেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত রেজাল্ট আসেনি, বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কাতেও ধবলধোলাই হয়েছিল বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ঘরের মাঠে টেস্টে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। গত কয়েক মাসে ওয়ানডে-টেস্ট মিলিয়ে টানা ছয় ম্যাচে হার। সব মিলিয়ে পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল বাংলাদেশ দল।
অবশেষে ক্রিকেটের ক্ষুদে সংস্করণে এসে মিলল জয়ের দেখা। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ৭২ দিন পর কাঙ্খিত জয়ের আবেশে ভাসে টাইগাররা। অনেক চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিলেও আফিফের দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে পরাজিত করেছিল সাকিব বাহিনী।
বৃষ্টিতে দেড় ঘণ্টা বিলম্বের পর ম্যাচের দৈর্ঘ্য ঠিক হয় ১৮ ওভার। আগে ব্যাট করে রায়ান বার্লের বিধ্বংসী হাফ সেঞ্চুরিতে পাঁচ উইকেটে ১৪৪ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। পরে ১৭.৪ সাত উইকেটে ১৪৮ রান করে স্বস্তির জয় পায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে অসামান্য সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা আফিফ।
ইনিংসের দশম ওভার, ৬০ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কাঁপছে বাংলাদেশ। অনেকটা পিনপতন নীরবতা মিরপুর স্টেডিয়ামে। দলের বিপদের এমন ক্ষণেই ব্যাটিংয়ে আসেন আফিফ। আট নম্বরে নেমে প্রথম বলেই মাদজিবাকে সোজা ব্যাটে চার মেরেছেন এই তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এই চার যেন মুহূর্তেই গুমোট শেরেবাংলায় প্রাণের সঞ্চার করল। এক ঝলক তাজা সুবাতাস বইয়ে দিল বাংলাদেশ শিবিরে। তারপর একপ্রান্ত আগলে তোপ দাগালেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের উপর। প্রবল চাপে থাকা বাংলাদেশ দল দ্রুতলয়ে চালকের আসনে ফিরল।
ইনিংসের ১১তম ওভারে শন উইলিয়ামসকে দু’টি চার ও একটি ছক্কা মারেন আফিফ। পরের ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত হাঁকান দু’টি ছক্কা। তাতেই রানে-বলের দূরত্বটা দৃষ্টিসীমায় চলে আসে। মোসাদ্দেককে নিয়ে ৮২ রানের জুটি গড়েন আফিফ। ২৪ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। মোহাবিষ্ট হয়ে শেরেবাংলার গ্যালারি উপভোগ করল এই তরুণ তুর্কির ব্যাটিং। ২৬ বলে ৫২ রানের (৮ চার, ১ ছয়) ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন আফিফ।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ম্যাচসেরার পুরস্কার পান আফিফ। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এই ইনিংসের আদ্যোপান্ত জানিয়েছেন এই তরুণ। ম্যাচের খুঁটিনাটি, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসে না যাওয়া পরিণত এক ক্রিকেটারের ছবিই ধরা পড়ল আফিফের মাঝে। আর বাদ পড়ার হতাশা নয়, এবার জাতীয় দলে লম্বা সময় থাকতেই এসেছেন এই তরুণ।
৬০ রানে ৬ উইকেট নেই, ব্যাটিংয়ে নামার সময় চিন্তা কী ছিল?
আমার চিন্তা ছিল, আমি আমার মতো খেলব, পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করার চেষ্টা করব।
প্রথম বলে চার মেরেছেন। এটাই কি মোমেন্টাম পরিবর্তন করে দিয়েছিল?
মোমেন্টাম তো অবশ্যই পরিবর্তন করেছে। তবে প্রথমে ওরা ফিল্ডার চারজন বাইরে পেত, তিনজন বাইরে রেখে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে। আমি ঐ সময়ে চেষ্টা করেছি তাদের বল বোঝার, এবং বল বুঝতে পেরেছি বলেই প্রথম বলে মারতে পেরেছি।
এক বছর আগে অভিষেক, এখন মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত? এই সময়ে কী প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?
আসলে মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত বলতে, আমার চিন্তা ছিল, বাদ পড়েছি ওটা আমার দেখার বিষয় না। যেখানেই খেলাবে, আমি যেন আমার সেরা পারফর্ম করে আবার ফিরে আসতে পারি, সেই চেষ্টা করেছি। প্রস্তুতি বলতে, এইচপি দলের যতগুলো ম্যাচ ছিল, সেখানে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি।
এই ম্যাচ দিয়ে নতুন করে অভিষেক হলো কি না? আর প্রধানমন্ত্রী ফোনে কী বলেছেন?
প্রধানমন্ত্রী শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, জয় উপলক্ষে পুরো দল এবং আমাকে। আসল শুরুটা তো এক বছর আগেই হয়েছে। আজকে (১৩ সেপ্টেম্বর) আমার দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল টি-টোয়েন্টি। চেষ্টা করেছি, নিজের জায়গাটা যেন ধরে রাখতে পারি এমনভাবে খেলার।
ছয় ম্যাচ পর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে আপনার ব্যাটিংয়ে। নিজের ব্যাটিং নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট?
নিজের ব্যাটিং নিয়ে অবশ্যই আমি সন্তুষ্ট। কারণ, আজকে (১৩ সেপ্টেম্বর) ম্যাচ জেতানোর মতো একটি ইনিংস খেলতে পেরেছি। আর অপরাজিত থাকতে পারলে আরো ভালো লাগতো নিজের কাছে।
গত এক বছরে এইচপি ও ‘এ’ দলের হয়ে খেলাটা কতটা সাহায্য করেছে?
এইচপি আর ‘এ’ দলের ম্যাচগুলো খেলতে পেরে ভালো হয়েছে। ভালো দলগুলোর সঙ্গে খেলতে পেরে অনেক অভিজ্ঞতা এসেছে। আশা করি, এই অভিজ্ঞতাগুলো সামনে কাজে লাগাতে পারব।
এই পারফরম্যান্সে কতটা মোরাল বুস্ট হবে?
মোরাল বুস্ট বলতে, আমার আত্মবিশ্বাস আরো তৈরি হবে। আমি সামনে যদি আরো সুযোগ পাই, তাহলে সেই সময়ে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারবো।
ব্যাটিংয়ে নামার আগে ড্রেসিংরুম থেকে কেউ কিছু বলে দিয়েছিল কি না?
আমি ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগে তেমন কারো সঙ্গে কথা হয়নি। সবাই আমাকে ম্যাচের প্রথম দিকে বলেছে যে, আমাকে আমার মতো খেলতে। স্বাধীনতা দিয়েছে, আর আমি সেই অনুসারে খেলতে পেরেছি।
এই ইনিংসের পরে ড্রেসিংরুমে কি কথা হয়েছে সবার সাথে?
এই ইনিংসের পর ড্রেসিংরুমে… আমরা একটি ম্যাচ জিতেছি, ড্রেসিংরুমে সবাই খুশি ছিল। আমরা এই খুশিটিই উদযাপন করছিলাম।
সাকিব সবাইকে মন খুলে খেলতে বলেছেন, এটা কতটা কাজে দিয়েছে?
আমি সবসময় আমার মতো খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমাকে কেউ বাধা দেয়নি। এই কারণে আমার ভালো হয়েছে।
শেষ ১৫ বলে ২৩ রান দরকার ছিল। তখন স্কুপ শটে একটি চার মারলেন। তখন কি অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
তখন ফিল্ড সেটআপ দেখে মনে হচ্ছিল যে, এখানে বল করতে পারে। ফিফটি-ফিফটি সুযোগ ছিল। আমি সুযোগটি নিয়েছি, এবং সে ওখানেই বল করেছে। আমার লাক ফেভার করেছে, এবং চার হয়েছে।
সিপিএলে এনওসি দেয়া হয়নি, মন খারাপ হয়েছিল কি না?
আসলে সিপিএলে এনওসি দেয়নি, এর জন্য আমার কখনোই মন খারাপ হয়নি। কারণ, আমার এইচপি, ‘এ’ দলের খেলা ছিল। আমি সেখানেই মনোযোগ দিচ্ছিলাম বেশি, যেন সেখানে ভালো খেলতে পারি।
ম্যাচ জেতানোর পর কোচ কিছু বলেছেন কি না?
ম্যাচ জেতানোর পর এমনি শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল, এগুলোই। আর ম্যাচের আগে আমাকে আমার মতো খেলতে বলেছে। এছাড়া আর কিছু না।
উইকেটে ব্যাটিংয়ের সময় মোসাদ্দেকের সঙ্গে কী কথা হচ্ছিল?
কথা বলছিলাম যে, আমাদের বলের চেয়ে তেমন বেশি রান লাগে না। দুই-তিনটা বাউন্ডারি হলেই বলে বলে রান চলে আসবে। এগুলো নিয়েই কথা।
ব্যাটিং অর্ডারে উপরে জায়গা পেলে আরও ভালো হয় কি না?
দল যেখানে ভালো মনে করবে, আমি সেখানেই আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব।
মাঠে দর্শকরা যখন ‘আফিফ, আফিফ’ চিৎকার করছিল, তখন কেমন লাগছিল?
এই অনুভূতিটি আসলে বলে প্রকাশ করা যায় না। এটি অন্যরকম একটি অনুভূতি। আর অবশ্যই ভালো লাগছিল যে, এতদিন পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। আর এমন একটি ভালো ইনিংস খেলতে পেরেছি। দর্শকরাও অনেক খুশি হয়েছিল। এটি নিজের জন্যেও অনেক আনন্দদায়ক ছিল।
হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করতে দেখা যায়নি আপনাকে। কেন?
আমার যখন ফিফটি হয়েছে, তখন আমি খেয়াল করিনি। আমার চিন্তা ছিল, ম্যাচটি যেন শেষ করতে পারি। ম্যাচটি শেষ করে উদযাপন করব ভেবেছিলাম। কিন্তু ম্যাচটি শেষ করতে পারিনি, তার আগেই আউট হয়ে গেছি।
দলে সাকিব-মুশফিকদের মতো সিনিয়ররা আছে। তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত। তাদের উপস্থিতিতে এমন ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে পারা কতটা আনন্দের ছিল?
এটি তো আমি আগেও বললাম যে, এটি অনেক আনন্দের। এমন একটি ইনিংস খেলতে পেরেছি দেশের জন্য, এটি আসলে সবারই ইচ্ছা থাকে। আমার এই ইচ্ছাটি আজ পূরণ হয়েছে।
যেভাবে আলোর মঞ্চে আফিফের পদার্পণ
২০১৬ সালের নভেম্বর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্ব চলছিল তখন। শুনশান মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পুরোদমে অনুশীলন করছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সাইফ হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটা নবগঠিতই ছিল। মেহেদী হাসান মিরাজের অধিনায়কত্বে ওই বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে যুব বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্তদের পর্ব পেরিয়ে ওই বছর নভেম্বরে নতুন করে মাঠে নামে বাংলাদেশ যুব দল। উপলক্ষ ছিল ওই বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপ।
আর সব দিনের মতো ১৯ নভেম্বরের সকালেও বিসিবি একাডেমি মাঠে চলছিল যুবাদের অনুশীলন। ফিল্ডিং কোচ গোলাম মুর্তজা ধারণা দিচ্ছিলেন নতুন যুব দলটা সম্পর্কে। তার মাধ্যমেই জানা গেল, অনুশীলনে দলের সঙ্গে নেই সহ-অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব।
গোলাম মুর্তজা বেশ গর্বভরে বলছিলেন, ধ্রুব তো এখন বিপিএলে আছে, রাজশাহী কিংস নিয়ে গেছে। চট্টগ্রামে ওদের দলের সঙ্গেই আছে ধ্রুব। ক্যাম্প চলাকালীন প্রস্তুতি ম্যাচে মারকাটারি, দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংই তার বিপিএলের দরজা খুলে দিয়েছে। গোলাম মুর্তজার বর্ণনাটা ছিল এমন,
‘দারুণ ব্যাটসম্যান ধ্রুব। বিকেএসপিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দেড়শ’ করেছে, পরের ম্যাচে আবার সেঞ্চুরি। তৃতীয় ম্যাচেও সত্তরোর্ধ্ব একটা ইনিংস খেলছে।’
২০১৬ সালের ওই বিপিএলে তখন টপ-অর্ডারে ইনফর্ম একজন ব্যাটসম্যান দরকার ছিল রাজশাহীরও। তাই বিকেএসপির ছাত্র ধ্রুবকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময়ই দলভুক্ত করে নেয় রাজশাহী। তবে রনি তালুকদারের ইনজুরিতে অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীকে দলে নিয়েছিল রাজশাহী। তাই একাদশে সুযোগ পেতে কিছুটা অপেক্ষাও করতে হয়েছে ধ্রুবকে।
যুবদলের এই প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানকে দলে নেয়ার বিষয়টি ওই সময় নিশ্চিত করেছিলেন রাজশাহীর কোচ সারোয়ার ইমরান। মুঠোফোনে তিনি বলেছিলেন,
‘হ্যাঁ, আমরা ওকে দলে নিয়েছি। আমাদের দলের সাথে আছে এখন। চিটাগং আসার সময় নিয়ে আসছি। ছেলেটা ভালো, খুবই ভালো।’
চট্টগ্রাম ঘুরে ঢাকায় আসার পর সুযোগ পান আফিফ হোসেন। ৩ ডিসেম্বরে মিরপুর স্টেডিয়ামে চিটাগং ভাইকিংসের বিরুদ্ধে একাদশে ঠাঁই হয় তার। টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই মাত করেছিলেন আফিফ। তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে। অভিষেকেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন।
যদিও ওই ম্যাচে ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েই চোখ-ধাঁধাঁনো পারফরম্যান্স করেছিলেন আফিফ। অফ স্পিনার আফিফের ঘূর্ণিতে নাকাল হয় চিটাগং ভাইকিংস। ক্রিস গেইল, জহুরুল ইসলাম অমি, জাকির হাসান, সাকলাইন সজীব ও ইমরান খান জুনিয়র আফিফের শিকার হন। ২১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সে অভিষেক রাঙান খুলনার এই ক্রিকেটার।
আফিফের প্রতিভার প্রথম প্রদর্শনীটা এভাবেই হয়েছিল। এই তরুণ পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছিলেন বিপিএলের এই ম্যাচ দিয়ে।