২০১৭ সালের ডিসেম্বর, ম্যানচেস্টার ডার্বি অনুষ্ঠিত হবার পূর্বমুহূর্ত। ব্রাজিল কোচ টিটে ইংল্যান্ডে থাকার কারণে ওর্ল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার সাথে ছোট্ট একটি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সবকিছু ছাপিয়ে টিটের আগ্রহ মূলত গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও ফার্নান্দিনহো সম্পর্কে গার্দিওলার ধারণা ও মতামতেই কেন্দ্রীভূত ছিল। তার পরিকল্পনা হলো, বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল গঠন করার জন্য খেলোয়াড়দের নিজ চোখে পরীক্ষা করা। তাই ইংল্যান্ড আসার মুখ্য কারণ হলো জেসুস ও ফার্নান্দিনহো। সিটিজেনদের হয়ে জেসুস তখন আক্রমণে আগুয়েরোর পাশে খেলেন। আর ইয়াইয়া তোরে’র স্থান নিয়েছেন ফার্নান্দিনহো। আলাপ-আলোচনার মাঝে আস্তে আস্তে এদের দু’জনকে নিয়েই দুই কোচ মেতে উঠলেন।
এরই মাঝে গার্দিওলা হঠাৎ টিটেকে অনুরোধ করলেন মিডফিল্ডার ফ্রেডকে নিয়ে মতামত দিতে, কারণ ফ্রেড তখন গার্দিওলার নজরে। তবে টিটের জবাব শুনে সিটিজেনদের কোচ বেশ অবাক হলেন।
টিটে বললেন,
‘আমি তার ভেতর বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের ছাপ দেখতে পেয়েছি ঠিকই। কিন্তু তাকে এবং গ্রেমিও’র মিডফিল্ডার আর্থুর মেলোর মাঝে যদি একজনকে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি আর্থুরকে বেছে নেবো। কারণ তার ভেতরে একদম ভিন্ন কিছু আছে।’
টিটের এরূপ মন্তব্য শোনার পর ম্যানচেস্টার সিটি ফ্রেডের উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, এবং এই সুযোগে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফ্রেডকে কিনে নেয় ৫২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে। যদিও যার কারণে ফ্রেডকে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আনা হয়নি, সেই আর্থুর মেলোকেও পায়নি তারা। বার্সেলোনার সাথে প্রাথমিক চুক্তি হয়েই ছিল, ২৭.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আর্থুর মেলোকে বার্সেলোনা কিনে ফেলে সর্বশেষ গ্রীষ্মকালীন দলবদলের মৌসুমে।
বার্সেলোনাতে নতুনভাবে ক্যারিয়ার শুরু করার পর বোঝা যায়, আর্থুরকে নিয়ে বলা টিটের প্রতিটা মন্তব্যই সত্য। লা মাসিয়া থেকে শিক্ষা না নিয়েও বার্সেলোনার মনোযোগ আর্থুর প্রথম থেকেই কেড়ে নেয়। তার প্রথম ম্যাচ দেখে বোঝার উপায় ছিলো না, ক্যাম্প ন্যুয়ের এই আবহাওয়া তার কাছে নতুন। এমনভাবে বার্সেলোনার খেলার সাথে মানিয়ে নেবার জন্য, আর তার খেলার ধরণ দেখে অনেকেই তাকে বার্সেলোনা লিজেন্ড জাভি হার্নান্দেজের ছায়া তার মধ্যে দেখতে পাচ্ছে।
আর চড়া মূল্যে ওর্ল্ড ট্রাফোর্ডে যাওয়া ফ্রেড এখনও দলে তার স্থান তৈরি করতে পারেননি। প্রিমিয়ার লিগে ১৫ অথবা এর বেশি সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও ফ্রেড ১০ ম্যাচেও মাঠে ছিলেন না। আর গোল সংখ্যা? মাত্র একটি। কিন্তু দু’জনের ক্লাবের পরিস্থিতি এমন হলেও রাশিয়া বিশ্বকাপ কিছুটা ভিন্ন কথা বলে। আর্থুরের এতো প্রশংসার পরও টিটে রাশিয়াতে নিয়ে গেলেন ফ্রেডকে। যদিও ফ্রেড দলে তেমন সময়ই পাননি। কিন্তু কেন আর্থুর নয়?
বিশ্বকাপের আগে আর্থুর দীর্ঘ সময়ের জন্য ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিলেন। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেও পুরনো ফর্ম খুজে পেতে তার সময় লেগে গিয়েছিলো। কিন্তু টিটের হাতে অত সময় ছিল না তার জন্য। তিনি ক্লাবের ম্যাচগুলোতে তাকে দেখলেন, কিন্তু আর্থুর হতাশাজনক পারফরম্যান্স দিলেন। অগত্যা তিনি একজন ফর্মহীন খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে না নিয়ে ফ্রেডকেই নিয়ে গেলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের টিটে যখন ভবিষ্যৎকে লক্ষ্য রেখে পুনরায় ব্রাজিল দল সাজাচ্ছেন, সেই দলে সেপ্টেম্বর মাসে অভিষেক হলো আর্থুরের। সেই থেকে ব্রাজিলের নতুন দলে নিয়মিত মুখ তিনি। আর বিশ্বকাপের পর থেকে ফ্রেডের কোনো খবরই নেই। কিছুদিন আগে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিল যখন প্রীতি ম্যাচ খেললো, গ্যালারিতে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন ফ্রেড। আর আর্থুর? আরও একবার সিনিয়র দলে জায়গা করে নিলেন। আর ফ্রেডও বেশ ভালোভাবে লক্ষ্য করেছেন যে, টিটে তার মিডফিল্ডারত্রয়ী নির্বাচন করে ফেলেছেন। তার স্কোয়াডে মধ্যমাঠের লাগাম এখন কৌতিনহো, ক্যাসেমিরো এবং আর্থুরের হাতে।
১৯৭০ এর ব্রাজিল দলের স্ট্রাইকার টোস্টাও আর্থুর সম্পর্কে লিখেছেন,“ব্রাজিল জাতীয় দল যেভাবে খেলে, সে সেই ধারা পরিবর্তন করতে যাচ্ছে।” চিন্তা করুন, একজন ফুটবলার কতটা মেধাবী ও কর্মঠ হলে তাকে নিয়ে কিংবদন্তীতুল্য একজন খেলোয়াড় এমন স্তুতি করতে পারেন! এছাড়া সদ্য এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাক্তন আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি ও বার্সেলোনা লেফটব্যাক এবং বর্তমানে ব্রাজিল জাতীয় দলে টিটের সহকারী কোচ সিলভিনহো তার সম্পর্কে বলেছেন,“আমরা সবাই আর্থুরের প্রেমে পড়েছি।”
এই ব্রাজিলিয়ানের উত্থান কোথায়? কার হাত ধরে? টিটে, নাকি অন্য কেউ? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে যেতে হবে অতীতে। অনেকদিন যাবৎ ব্রাজিল তাদের দলের জন্য একজন ‘রিমিস্তা’কে খুঁজে চলছে। ব্রাজিলে ‘রিমিস্তা’ তাদের বলা হয়, যারা মধ্যমাঠের চাপকে ঠান্ডা মাথায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। টিটে কোচ আসার পর এমন একজনকে আবিষ্কার করতে গিয়ে পুরো ব্রাজিলের যুবদলকে চষে ফেলেছেন। তবে তাতে লাভও হয়েছে, তিনি পেয়েছেন আর্থুর ও লুকাস পাকুয়েতাকে। পাকুয়েতা আসন্ন জানুয়ারিতে ফ্লামিঙ্গো ছেড়ে এসি মিলানে নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। আসলে আর্থুরের মত খেলোয়াড় ব্রাজিলে বিশেষ তৈরি হয় না, আর তাদের লোকাল ফুটবলে তো নয়ই। কারণ তাদের ফুটবলের ধরণে এমন একজন শৈল্পিক ঘরানার ফুটবলারের বিশেষ দরকার হয় না।
কিন্তু আর্থুরের খেলার ধরণ মেলে ব্রাজিল থেকে দূরের এক দেশে, স্পেনে। আর বিশেষ করে সে দেশের বার্সেলোনা ক্লাবে, যারা পাসিং ফুটবলকে ভিন্ন একটি স্থানে নিয়ে গেছে। বার্সেলোনার ফুটবলে পাস দেওয়াটা একটি শৈল্পিক বিষয়। লা মাসিয়া থেকে যারা ফুটবল দীক্ষা নিয়ে বের হয়, তাদের সবার রক্তে বার্সেলোনার ঐতিহ্য ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এবং সে ঐতিহ্য কখনোই তাদের স্বভাব থেকে দুরে সরে যায় না। কিন্তু বার্সেলোনা থেকে অদূরে আর্থুর যে বার্সেলোনার ছোঁয়া না পেয়েও তাদের ধরণে গড়ে উঠেছেন, তা কে ভাবতে পেরেছিলো! আর তাদের ধরণের সাথে মিলে যাবার পর বার্সেলোনাও আর দেরি করেনি, খুব দ্রুত তাদের খেলোয়াড়কে ন্যু ক্যাম্পে এনে দিয়েছে জাভির ঐতিহ্যবাহী ৮ নম্বর জার্সি। আর মৌসুম শুরু পর থেকে আর্থুরও দেখাতে শুরু করেছেন তার দক্ষতা।
বার্সেলোনার পাসিং ফুটবলে মধ্যমাঠের খেলোয়াড়রা কখনোই টানা গোলে অভ্যস্ত ছিলেন না। ইনিয়েস্তা বা জাভিদের যেন আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়দের সাথে টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ ছিল। মেসি থেকে ভিয়া, কিংবা হালের নেইমার বা সুয়ারেজদের কাছে মধ্যমাঠ থেকে মোক্ষম সময়ে জাদুময়ী পাস চলে আসতো; আর তার সূচনা হতো জাভি বা ইনিয়েস্তার পা থেকে। আর তাদের সোলো রান, ৩৬০ ডিগ্রী টার্ন, ড্রিবল আর চোখ ধাঁধানো পায়ের কারিকুরি মুগ্ধ করে রাখতো পুরো বিশ্বকে। ইনিয়েস্তা ও জাভির বিদায়ের পর আর্থুর এসে তাদের সেই সোনালি সময়ের স্মৃতিকে জাগিয়ে তুলছেন। তার পাসিং দক্ষতা খুবই উচ্চমানের, মেসি বা সুয়ারেজদের সাথে তার টেলিপ্যাথিক যোগাযোগও লক্ষণীয়। গোল সুযোগ তৈরি, এমনকি ৩৬০ ডিগ্রী টার্নসহ বার্সেলোনার টোটাল ফুটবল দর্শন যেন তার রক্তে।
প্রাক্তন জুভেন্টাস স্কাউট জুনিয়র কাভারে, তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো গ্রেমিও-এর স্কাউট হিসেবে। কাভারের হাত ধরে বেশ কিছু ব্রাজিল প্রতিভাবান খেলোয়াড় বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন। পোর্তোর অ্যালেক্স তেলাস, বায়ার লেভারকুসেনের ওয়েনদাল, হ্যানোভারের ওয়ালস এবং প্রতিভাবান জুটি এভারটন ও লুয়ানের আবিষ্কারক তিনিই। কাভারের সাথে আর্থুরের দেখা হয়েছিলো, যখন তার বয়স ১৪। এরপর থেকে যখনই আর্থুর সম্পর্কে কিছু বলার জন্য তাকে অনুরোধ করা হয়, তিনি উৎফুল্ল বোধ করেন। টানা ১০ মিনিট কথা বলে যান আর্থুরের প্রসঙ্গে।
ব্লিচার রিপোর্টকে কাভারের দেওয়া মন্তব্য,
‘যখন বার্সেলোনা আর্থুরকে কেনে একটি কাতালান পত্রিকা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো এবং তারা প্রশ্ন করে বার্সেলোনার খেলার সাথে সে মানিয়ে নিতে কত সময় নেবে। দুই নাকি তিন বছর? আমি বলেছিলাম আর্থুর এখনই বার্সেলোনা মূল দলে খেলার জন্য তৈরি। তারা আমার জবাবে হেসে বলেছিলো তা কী করে সম্ভব? তখন আমি বলি, সম্ভব! কারণ তোমরা তাকে জানো না যতটা আমি তাকে জানি।’
আর্থুর সম্পর্কে তিনি আরও বলেছেন,
‘আমি সবসময় বলি, আর্থুরের মানসিক শক্তি তার নিজের ক্ষমতা থেকেও অনেক বেশি। সে হলো একজন বালকের শরীরের ভেতর পুর্ণবয়স্ক মানুষ। আর্থুর এমন একটি পরিবার থেকে এসেছে, যেটা ব্রাজিলে খুব একটা দেখা যায় না। তবে সে বুদ্ধিমান এবং প্রতিভাবান ছিল। সে নিজেকে হারিয়ে যেতে দেয়নি। তার ভেতর যে দক্ষতা ছিল, সে সেটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে বলেই তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আর এই অধ্যবসায়ের ফল সে পেয়েছে অনেক আগেই, কারণ আর্থুরের প্রতিভা দেখে বার্সেলোনা তাকে নজরে রেখেছে সেই ২০১৪ সাল থেকে।’
মাজিনহো, যিনি ১৯৯৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন, তার আরেকটি পরিচয় হলো, লা মাসিয়া গ্রাজুয়েট থিয়াগো আলকানতারা ও রাফিনহা আলকানতারা’র বাবা। তিনিও আর্থুরের ক্যাম্প ন্যু যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন,
“আর্থুরের বল কন্ট্রোল দুর্দান্ত। পাসিং সেন্স একদম বার্সেলোনা ঘরানার। সে জানে, কীভাবে মধ্যমাঠের চাপকে দমিয়ে রাখা যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক যে, সে দ্রুত এই ক্লাবের দর্শনের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। আর রাফিনহা ও কৌতিনহোর পাশে তাকে দেখে আমি অত্যন্ত খুশি।”
তবে এতসব রূপকথার মাঝে একসময় গ্রেমিও অধ্যায় পার করা তার জন্য কষ্টদায়ক ছিল। হুট করে তিনি একবার নিজেকে গ্রেমিও’র যুব দলের রিলিজ লিস্টে আবিষ্কার করলেন। মূল দলে জায়গা পাওয়া তো দূরের কথা, লুইস ফিলিপে স্কলারি এবং রজার মাচেদোর গ্রেমিওতে তিনি নিন্মসাড়ির কোনো দলে লোনে চলে যাওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। গ্রেমিও ছেড়ে কাভারে তখন সাও পাওলোতে ছিলেন, এবং আর্থুরের এই কঠিন সময়েই আবার তিনি গ্রেমিওতে ফিরে আসেন। অনেকটা ডুবে যাওয়া আর্থুর কিভাবে নিজেকে ফিরে পেলেন, তা কাভারের ইন্টারভিউ থেকে জানা যাক।
” আমি ফিরে এসে দেখি আর্থুর ও ক্লাবের মাঝে বেশ কিছু সমস্যা চলছে। ক্লাবের সাথে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। ক্লাব চাচ্ছে তাকে ছেড়ে দিতে। আমি বাধা দেই। আমি আর্থুরের সাথে কথা বলে তার সমস্যা বুঝতে পারি, এবং ক্লাব থেকে দূরে একা ট্রেনিং সেশন শুরু করি ৩ মাসের জন্য।
আমি দু’টো জিনিস পর্যালোচনা করার চেষ্টা করি: তার খেলার শক্তি ও সর্বোচ্চ সহ্য করার ক্ষমতা। এর আগে ক্লাবে সে নাম্বার টেনের ভুমিকায় ছিলো। আমি প্রথমে তাকে নম্বর এইট ও পরবর্তীতে নম্বর ফাইভে নিয়ে আসি। ৯০ মিনিটে ৯/১০ কিলোমিটার দৌড়ানোর জন্য তাকে আমি প্রস্তুত করার চেষ্টা করছিলাম।
তার এই যন্ত্রণা পছন্দ হচ্ছিল না। প্রতিদিন সে ট্রেনিং এর সময়ে আমাকে বিচার দিতো। এমনকি একবার তার বাবা চলে এসেছিলো জানতে যে, ক্লাবের সাথে তার ছেলের কি সমস্যা চলছে। কিন্তু ঐ তিন মাসই আজকের খেলোয়াড় আর্থুর গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে।
তার ৩৬০ ডিগ্রীতে ঘুরে যাবার সামর্থ্য যেমন আছে, তেমনি নজরও আছে। আপনি তাকে আটকে দিতে ডান পাশ দিয়ে যাবেন, সে আপনাকে বেকুব বানিয়ে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে যাবে। তার ডিসিশন-মেকিং দক্ষতা খুবই উচ্চমানের। আমাদের তৈরি করা খেলোয়াড়দের মধ্যে আর্থুর মেলো একদম ভিন্নধর্মী খেলোয়াড়।”
সবকিছু ছাপিয়ে আর্থুরের যাত্রা ছিল নতুন একটি অধ্যায়ের পথে, যে যাত্রাশেষে তিনি পেয়েছেন সেলেসাও দল ও বার্সেলোনার ঐতিহাসিক জার্সি। তবে মাত্রই এ দু’টো মর্যাদা এসেছে হাতের মুঠোয়, নিজের স্পর্শে দেশ ও বার্সেলোনাকে রাঙিয়ে তোলার জন্য এখনও অনেক পথ বাকি।