ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম নিউ জিল্যান্ডের ওডিআই সিরিজের শেষ ওডিআইটি ছিলো ২০১৭ সালের শেষ ওডিআই ম্যাচ। ২০১৭ সালের সবচেয়ে সফল দল ভারত। ২৯টি ওডিআইতে ২১ ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। এরপরই আছে ২০ ম্যাচে ১৫টিতে জয় পাওয়া ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯ ম্যাচে ১৩টি এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফ্রির শিরোপা ঘরে তোলা পাকিস্তান ১৮ ম্যাচে ১২টি জয় পেয়েছে। ব্যক্তিগত পারফরমেন্সের দিক দিয়ে বিরাট কোহলি, হাসান আলীরা দুর্দান্ত এক বছর কাটিয়েছেন। ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স বিবেচনা করে রোর বাংলার দৃষ্টিতে ২০১৭ সালের সেরা ওডিআই একাদশ সাজানো হলো।
১. রোহিত শর্মা
ইনজুরির কারণে বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে দলের বাইরে ছিলেন রোহিত শর্মা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মধ্য দিয়ে দলে ফেরেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৩* রানের ইনিংস সহ পাঁচ ম্যাচে ৭৬.০০ ব্যাটিং গড়ে ৩০৪ রান করেন। এরপর শ্রীলঙ্কার মাটিতে টানা দুটি শতক হাঁকানোর পর অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও শতক হাঁকিয়েছেন রোহিত।
ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৭ সালের সেরা ইনিংস খেলেন রোহিত। ১৫৩ বলে ১৩টি চার এবং ১২টি ছয়ের সাহায্যে ক্যারিয়ারের তৃতীয় দ্বিশতক হাঁকিয়ে ২০৮* রান করেন তিনি। ২০১৭ সালে ২১টি ওডিআইতে ছয়টি শতক এবং পাঁচটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৭১.৮৩ ব্যাটিং গড়ে ১,২৯৩ রান করেন রোহিত শর্মা।
২. কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক)
রোহিত শর্মার সাথে ইনিংস গোড়াপত্তন করার জন্য শ্রীলঙ্কান উপুল থারাঙ্গা এবং তার স্বদেশী শিখর ধাওয়ানও যোগ্য দাবিদার। থারাঙ্গা ও ধাওয়ান থেকে একজন খেললে দলে বাড়তি আরেকজন উইকেটরক্ষক নিয়ে সাজাতে হবে। ওপেনার হিসেবে কুইন্টন ডি ককও ভালো বছর কাটিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সফলতার সাথে ইনিংস উদ্বোধনের পাশাপাশি উইকেটের পিছনেও দুর্দান্ত ছিলেন ডি কক।
ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের ওডিআই সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে এবং নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের ওডিআই সিরিজের প্রথম তিন ওডিআইতে অর্ধশতক হাঁকান। এই পাঁচ ওডিআইতে যথাক্রমে ৫৫, ১০৯, ৬৯, ৫৭ এবং ৬৮ রান করেন। কুইন্টন ডি কক ২০১৭ সালে নিজের সেরা ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ১৪৫ বলে ২১টি চার এবং দুটি ছয়ের মারে ১৬৮* রান করেন তিনি। ২০১৭ সালে ডি কক ১৯ ম্যাচে দুটি শতক এবং সাতটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫৩.১১ ব্যাটিং গড়ে ৯৫৬ রান করেছেন। উইকেটরক্ষক হিসেবে ২৩টি ক্যাচ লুফে নেওয়ার পাশাপাশি দুটি স্ট্যাম্পিং করেন।
৩. বিরাট কোহলি (অধিনায়ক)
তিন নাম্বার ব্যাটিং পজিশনে বিরাট কোহলির বিকল্প নেই। বছরের শুরু করেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২২ রানের ইনিংসের মধ্য দিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনটি অপরাজিত অর্ধশতকের সাহায্যে ১২৯.০০ ব্যাটিং গড়ে ২৫৮ রান করে নিজের দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছিলেন কোহলি।
কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ১১১* রানের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলোম্বোতে জোড়া শতক এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে দুটি শতক হাঁকিয়ে ২০১৭ সালের ওডিআইতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন বিরাট কোহলি। ২৬ ম্যাচে ছয়টি শতক ও সাতটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৭৬.৮৪ ব্যাটিং গড়ে ১,৪৬০ রান করেছেন।
৪. জো রুট
২০১৭ সালে চার নাম্বার ব্যাটিং পজিশনে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন রস টেইলর। ২০ ম্যাচে ৬০.৫০ ব্যাটিং গড়ে ৯৬৮ রান করেছেন। পাকিস্তানের বাবর আজমও ২০১৭ সালে নিয়মিত রানের দেখা পেয়েছেন। পাকিস্তানের হয়ে তিনে ব্যাট করেন তিনি। তবে সেরা একাদশে বিরাট কোহলি থাকাতে তিনে অন্য কোনো ক্রিকেটারের নাম আসবে না। রানের মধ্যে থাকলেও বাবর আজমের স্ট্রাইক রেট ছিলো তুলনামূলক কম। তিনি ১৮ ম্যাচে ৭৯.২৭ স্ট্রাইক রেটে ৮৭২ রান করেছেন। এ দুইজনকে ছাপিয়ে চার নাম্বারে জায়গা করে নিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট। মিডল অর্ডার রুটের মতো শান্তশিষ্ট একজন ব্যাটসম্যান সব দলই চাইবে।
জো রুট ২০১৭ সালের সেরা ইনিংস খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বের ঐ ম্যাচে ১২৯ বলে ১৩৩* রান করেছিলেন। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরপর ৯০* ও ১০১ রানের ইনিংস খেলেছেন। রুট ২০১৭ সালে ১৯ ম্যাচে দুটি শতক এবং সাতটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৭০.২১ ব্যাটিং গড়ে ৯৮৩ রান করেছেন।
৫. আব্রাহাম বেঞ্জামিন ডি ভিলিয়ার্স
পিঠের ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৭ সালের শুরুতেই পুনরায় ক্রিকেটে ফিরে আসেন তিনি। পোর্ট এলিজাবেথে নিজের ফিরতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৭ বলে অপরাজিত ৩০* রান করেন। পাঁচ ম্যাচ ওডিআই সিরিজের তৃতীয় এবং চতুর্থ ম্যাচে হাঁকান অর্ধশতক। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছন্দে ছিলেন তিনি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আশানুরূপ পারফরমেন্স করতে পারেননি।
অক্টোবরের ১৮ তারিখে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন ভিলিয়ার্স। মাত্র ১০৪ বলে ১৫টি চার ও ৭টি ছয়ের মারে ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। পাঁচ নাম্বারে তার মতো একজন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। ২০১৭ সালে ডি ভিলিয়ার্স ১৯ ম্যাচে ৫৯.৪৬ ব্যাটিং গড়ে ও ১১৬.৯৪ স্ট্রাইক রেটে ৭৭৩ রান করেছেন। শতক হাঁকিয়েছেন একটি এবং অর্ধশতক পাঁচটি। স্ট্রাইক রেটের কারণে তিনি অন্য সবার চেয়ে পাঁচ নাম্বার পজিশনে এগিয়ে আছেন।
৬. বেন স্টোকস
বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ২০১৭ সালের শেষদিকে রাস্তায় মারপিট করার অপরাধে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন। ২০১৭ সালে ১৩ ইনিংসে ৬১.৬০ ব্যাটিং গড় এবং ১০৬.৯৪ স্ট্রাইক রেটে ৬১৬ রান করেছেন। মিডিয়াম পেস বল করে শিকার করেছেন ১৪ উইকেট।
ভারতের বিপক্ষে পুনেতে ৪০ বলে দুটি চার পাঁচটি ছয়ের মারে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংসের মধ্য দিয়ে ২০১৭ সাল শুরু করেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পূর্ব মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৯ বলে ১১টি চার এবং তিনটি ছয় হাঁকিয়ে ১০১ রান করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সেরে নিয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০৯ বলে ১৩ চার এবং দুই ছয়ে ১০২* রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন। ছয় নাম্বার পজিশনে মাহেন্দ্র সিং ধোনি বছর জুড়ে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছিলেন। একাদশে প্রথম পাঁচজন ব্যাটসম্যানের মধ্যে সবাই স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যান হওয়ার কারণে ছয় নাম্বারে বেন স্টোকস জায়গা করে নিয়েছেন।
৭. সাকিব আল হাসান
২০১৭ সালে বল হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব আল হাসান। ১২ ইনিংস বল করে শিকার করেছেন মাত্র ছয় উইকেট। ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ১২ ইনিংসে ৩৫.৮৩ ব্যাটিং গড়ে ৪৩০ রান করে নিজের নামের প্রতি কিছুটা সুবিচার করেছেন। বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাম্বুলায় ৭২ রানের ইনিংস দিয়ে বছর শুরু করেন তিনি। বল হাতেও শিকার করেন এক উইকেট। সাকিবের দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠানোর অন্যতম কারিগর সাকিব আল হাসান। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান তিনি। রিয়াদের সাথে রেকর্ড জুটি গড়ে নিউ জিল্যান্ডকে পরাজিত করতে বড় ভূমিকা পালন করেন সাকিব। তার ১১৪ রানের ইনিংসের কল্যাণে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠে। আশানুরূপ পারফরমেন্স করতে না পারলেও টিম কম্বিনেশন ঠিক রাখতে হলে সাকিবের কোনো বিকল্প নেই।
৮. রশিদ খান
বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত স্পিনারের নাম রশিদ খান। আফগান লেগস্পিন বোলার রশিদ খান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ না পেলেও বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া আসরে অসাধারণ বল করে সবার নজর কেড়েছেন। ২০১৭ সালে ওডিআইতেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। ক্রিকেট বিশ্বের সবার চোখ যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে, তখন রশিদ খান ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের তার স্পিনবিষে ধ্বংস করছেন। গ্রোস আইলেটে সিরিজের প্রথম ওডিআইতে আগে ব্যাট করে ছয় ২১২ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে ২১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রশিদ খানের তোপের মুখে পড়ে মাত্রে ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। রশিদ খান ৮.৪ ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান দিয়ে সাত উইকেট শিকার করেন।
২০১৭ সালে ওডিআইতে ১৫ ইনিংস বল করে মাত্র ১০.৪৪ বোলিং গড়ে ৪৩ উইকেট শিকার করেছেন রশিদ খান। ওডিআইতে ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারী বোলারদের তালিকায় তিনি দ্বিতীয় স্থানে আছেন। এই লেগস্পিনার ওভারপ্রতি মাত্র ৩.৮০ রান দিয়েছেন এবং প্রতি ১৬.২ বলে এক উইকেট শিকার করেছেন। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবেও রশিদ খান বেশ নির্ভরযোগ্য। তার শেষ তিনটি ওডিআই ইনিংস যথাক্রমে ৪৮, ১৬* এবং ৪৪।
৯. লিয়াম প্লাঙ্কেট
৩২ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসার লিয়াম প্লাঙ্কেট ২০১৭ সালে বল হাতে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ এবং নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চারটি করে উইকেট শিকার করেছিলেন প্লাঙ্কেট। এই তেজোময় পেসার সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখে ব্রিস্টলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫২ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। ৬২ ম্যাচের ওডিআই ক্যারিয়ারে এটি তার সেরা বোলিং বিশ্লেষণ।
২০১৭ সালে ১৭ ইনিংসে ২২.৪৭ বোলিং গড়ে ৩৬ উইকেট শিকার করেন প্লাঙ্কেট। ইকোনমি রেট ৫.৬২। দলের তৃতীয় পেসার হিসাবে লিয়াম প্লাঙ্কেট ২০১৭ সালে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন।
১০. হাসান আলী
২০১৭ সালে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানোর অন্যতম কারিগর ডানহাতি মিডিয়াম পেসার হাসান আলী। নিখুঁত লাইন লেংথে বল করে ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করাই তার বোলিংয়ের মূল শক্তি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে এক উইকেট শিকারের পর আসরের বাকি চার ম্যাচে তিনটি করে উইকেট শিকার করেছিলেন হাসান আলী।
২০১৭ সালে ওডিআইতে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন হাসান আলী। ১৮ ম্যাচে ১৭.০৪ বোলিং গড়ে ৪৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ১৮ ম্যাচের মধ্যে ১০ ম্যাচে তিন বা ততোধিক উইকেট শিকার করেছেন পাকিস্তানের এই উদীয়মান পেসার। আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪ রানের পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে এটি তার সেরা বোলিং বিশ্লেষণ।
১১. জাসপ্রিত বুমরাহ
বর্তমানে ডেথ ওভারে সবচেয়ে বেশি কার্যকর বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ। আইপিএলে নামীদামী বোলাদের সাথে খেলার সুবাদে চাপের মুখে ভালো বল করার কৌশল রপ্ত করেছেন তিনি। সেই সাথে তার ভিন্নধর্মী বোলিং অ্যাকশনও ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করে।
২০১৭ সালে ২৩ ম্যাচে ২৬.২৫ বোলিং গড়ে ৩৯ উইকেট শিকার করেছেন বুমরাহ। ২৭ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেল্লেতে ২৭ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে এটি তার সেরা বোলিং বিশ্লেষণ। পাল্লেকেল্লেতে এর আগের ম্যাচেও চার উইকেট পেয়েছিলেন বুমরাহ।
ফিচার ইমেজ – Associated Press, Zimbio, NewIndianExpress, Edited by writer